নাস্তিক ও দুর্বৃত্তদের পাশে সরকার অথচ কৃষকগোষ্ঠী আজ নির্যাতিত।এই স্বাধীনতা কার স্বার্থে?
লিখেছেন লিখেছেন ইরফান ভাই ১৭ মে, ২০১৬, ১০:২৩:৪৬ রাত
আড়িয়াল বিলে কৃষকের জমি দখল করতে চেয়েছিল সরকার।তখন তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল জনতা।যার ফলে প্রকল্প বন্ধে বাধ্য হয়েছিল সরকার।
একের পর এক ইস্যু(?) এর চাপে দেশের কৃষক সমাজের কষ্টের কথা চাপা পরে গেল।অথচ কৃষকদের এমন-তেমন উন্নয়ন করবে বলেই ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামি সরকার।আমাদের তথাকথিত নিরেপেক্ষ (?) মিডিয়াও এই ব্যাপারে একদম চুপচাপ।বছরের পর বছর কৃষকরা ন্যায্য দাম না পাওয়াই আরও দরিদ্র হয়ে হচ্ছেন।সরকার বারবার কৃষকদের সাফল্যকে নিজেদের ক্রেডিট হিসেবে প্রচার করলেও বাস্ত্যবতা হচ্ছে মাট পর্যায়ের সাধারন কৃষকেরা পাচ্ছেন না তাদের প্রাপ্য টুকু।তার ওপর রাজনৈতিক দলেগুলোর তথাকথিত নেতাদের দিতে হচ্ছে বিভিন্ন চাদা।যদি এভাবে চলতে তাকে তবে বোরো চাষে অনুৎসাহিত হয়ে যাবে কৃষকরা যার ফলে দেশে দেখা যাবে তীব্র সংকট।কৃষকদের থেকে জানা যায় যে,তাদের প্রতি মন ধান প্রতি ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ৪০০-৫০০ টাকা।মন্ত্রীরা মিডিয়াই কতদিন পরপর কৃষকদের জন্য বিভিন্ন উদ্দোগ্য নিলেও তারা তা পান না বলে জানা যায়।সরকার কৃষকদের ব্যাপারে একদমই সচেতন নয় সেটা তাদের ক্ষতি দেখলেই বোঝা যায়।এদিকে সরকারি/বেসরকারি ব্যাংকের ছোবলে কৃষকরা একদমই নাজেহাল অবস্তা।এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে,
==>>দেশের প্রায় ২ লাখ কৃষকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৬ ব্যাংক।
==>>এরই মধ্যে দেশের ১২ হাজার ৫৩১ জন কৃষককে ওয়ারেন্ট জারি করে ঘরছাড়া করা হয়েছে। এই দুইটি তথ্য থেকেই দেখা যাচ্ছে যে,আমাদের দেশের কৃষকরা কতটুকু নির্যাতিত।তারা মাত্র ৩০ হাজার টাকা ঋণ শোধ করতে না পেরে গ্রেফতারের ভয়ে দেশের কৃষকরা ফসলের ক্ষেত ফেলে ফেরারী অবস্থায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে।সেই সাথে রয়েছে বিভিন্ন সময় প্রতারনা।এই সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় আক্রান্ত কৃষকদের প্রতিবাদের ছোট্র একটি অংশ,
(১)(২০১৫ সালের ৫ মার্চ) শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বোরো মৌসুমে বীজ ডিলারদের প্রতরণায় ধান চাষে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককেরা মানববন্ধন করেছেন। ৫ মার্চ মঙ্গলবার দপুরে পৌরশহরের স্থানীয় শহীদ মিনার মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
(২)(৮ মার্চ ২০১৬) নওগাঁয় বোরো আবাদে পানি সেচ নিশ্চিত করার দাবিতে কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন। মঙ্গলবার শহরের রুবির মোড়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে নেতৃত্বদেন স্থানীয় ইরি বোরো স্ক্রিম কমিটির সভাপতি জামেদ আলী।
(৩)(২০১৫ সালের ২৯ জুন) শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের ৭৯ জন কৃষকের নামে অগ্রণী ব্যাংক থেকে ভূয়া ঋণ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের প্রতিবাদে ২৮ জুন রবিবার দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে ভুক্তভোগি কৃষকরা।
(৪)(২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬) ময়মনসিংহের ভালুকায় বিলে বাঁধদিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে মাছ চাষের পরিকল্পনা করায় উজানের ব্যাপক ফসলহানির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন কয়েক’শ কৃষক। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
(৫)(২০১৪ সালের ২৮ আগস্ট) চিংড়ি ঘেরে লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ করে শ্যামনগর উপজেলার পাটনীপুকুর বিলের ১৩শ বিঘা কৃষি জমি রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
(৬)(২৯ এপ্রিল ২০১৪) সোমবার বেলা ১১টায় খালের বন্দোবস্ত বাতিল ও লবণপানি উত্তোলন বন্ধের দাবিতে শ্যামনগর উপজেলার চকবারা মানব কল্যান কৃষক সংগঠন, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম এবং স্থানীয় কৃষকরা সম্মিলিতভাবে লক্ষীখালী সাইক্লোন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। পরে সাইক্লোন সেন্টার সংলগ্ন খালের পাড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
=> এই মাত্র কয়েকটি ছবি প্রমান করে যে,কৃষকরা ব্যাংক হ্যাকিং, শেয়ার বাজার লুটফাট,বিশ্ব ব্যাংক ক্যালেঙ্কারি,বিমান ক্রয় সহ কালো গ্লাসের বিদেশী বাসমতি চাল খাওয়া মানুষের মত হতে না পারলে সারাজীবন দরিদ্র থেকে যাবে।কেননা,তারা তথাকথিত মুক্তমনা নয় যার ফলে নিউজের প্রথম পাতায় তারা আসবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৯৫০ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন