চিঠি- ৩০ (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:২৬:৫৪ দুপুর
তৃতীয় বাসায় উঠার পর হাসানের হৃদকম্প রোগ দেখা দিল। কারণ সে বাইরে থাকলে যখনি মেয়ের কথা মনে হত অমনি আত্মা ধরপর করে উঠত, বুকের ভিতর হাতুড়ি পিটানো শুরু হত। বাচ্চাকে দেখে শুনে রাখার মত হুস বা চেতনা তার মায়ের ছিল না। স্বাভাবিক নিয়মে যা হবার তাই হত। খাটের উপর থাকলে খেলতে খেলতে কিনারে চলে আসত আর পরে যেত, বাচ্চার মা তাকে ধরতে পারত না। তখন বাচ্চা হাঁটতে শিখেছে, সে হাঁটতে হাঁটতে বাথরুমে গিয়ে পা পিছলে পরে যেত, বাথরুমের বালতি থেকে মগ ভরে পানি এনে বারান্দায় ঢালত, চুলার কাছে, আগুনের কাছে চলে যেত, দা নিয়ে খেলত, হান্ডি পাতিল বা অন্যান্য জিনিস উলট পালট করত। তার মা হয়ত শুয়ে বসে থাকত কিন্তু ঘরে যে বাচ্চা আছে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে, মনোযোগ রাখতে হবে এ চেতনাটুকুই তার মধ্যে ছিল না। দ্বিতীয় বাসায় থাকতেই যখন হাসান বুঝতে পারল- বাচ্চা লালন পালনের মত যোগ্যতা তার স্ত্রীর নেই তখন থেকেই মেয়ে রক্ষনা বেক্ষনের দায়িত্ব সেই নিয়েছিল। আর তখন থেকেই সে আরো গা ছাড়া হয়ে গেল।
হাসান বাসায় থাকাবস্থায় বাচ্চা তার মায়ের কাছে গেলে সে পাষানের মত ধুম-ধুম, ঢাস-ঢাস করে কয়েকটা চড় দিয়ে- যাঃ, বাপের কাছে যা, আমার কাছে কেন। অর্থাৎ সে বাসায় থাকলে এক মুহুর্তের জন্যও মেয়ে রাখবে না, সবকিছু স্বামীকে করতে হবে। কষ্টে তার বুকটা ফেটে যেত, কোন মা এত নিষ্ঠুর হতে পারে। কতবার ধ্মক দিয়ে, কখনো অনুনয় করে বলেছে- আচ্ছা মেয়েকে তো আমিই রাখব, তুমি অন্তত এভাবে মেরো না। কিন্তু এ ছিল এমন এক বিরল চরিত্রের নারী- যে কোন কাজ করত না, করতে চাইত না, করতে পারত না এমনকি মাতৃত্বের দায়িত্ব টুকুও পালন করতে চাইত না।
একদিন মাদরাসা থেকে এসে দেখে মেয়ে ভীষণ ভাবে কাদতেছে। জিজ্ঞেস করলে বলল- মারবো নাতো আদর করবো, বারান্দাটা পানি ফেলে ভাসিয়ে দিয়েছে। তখন কথায় কথায় ভীষণ ঝগড়া বেধে গেল, পরিস্কার জানিয়ে দিল- সে মেয়ে রাখতে পারবে না, হয় হাসান নিজে রাখবে নয়তো কাজের মেয়ে দিয়ে রাখাবে। মেয়ে কাঁদলে মা ধারে কাছেও যেত না, হাসান নিয়ে গিয়ে বাইরে ঘোরাফিরা করে কান্না থামাত। রাতের বেলায় সে ঘুমালে আর উঠত না, মেয়ে ক্ষুধায় কান্নাকাটি করত। দুয়েক দিন হাসান নিজেই দুধ গরম করে ফিডারে ভরে খাইয়েছে। তারপর স্ত্রীকে বলে কয়ে রাজি করাল যে, শুয়ার সময় ফিডার ভরে দুধ শিয়রের কাছে রেখে দিতে। তখন রাতে উঠে সেই খাওয়াত। হাসান প্রতিদিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ফ্লোরের উপর মেয়ের বিছানা পেতে দিয়ে স্ত্রীকে কঠোর নির্দেশ দিয়ে আসত- আমি না আসা পর্যন্ত মেয়েকে নীচে রাখবে, কখনোই খাটে তুলবে না। কারণ সে না থাকলে মেয়ে খাট থেকে পরবেই এটা অবধারিত।
একদিন হাসান বাইরে যাবে, ফেরদৌসী মেয়েকে কোলে নিয়ে দরজা বন্ধ করার জন্য পিছু পিছু বাইরের রুমে আসল এবং মেয়েকে বিছানায় রাখল। হাসান দরজা খুলবে অমনি শুনে ধপাস। মা সাথে থেকেও না মেয়েকে ধরতে পারল আর না তুলতে পারল। হাসান ত্বরিতে তুলে নিয়ে বাইরে গিয়ে কান্না থামাল। মেয়ের মাথা পরেছিল নীচদিকে, ফ্লোরে মাথার আঘাতে পুরা ঘরটা কেঁপে উঠেছিল, মেয়ের কষ্টে তার গলা পর্যন্ত কান্না ফেনায়িত হয়ে উঠেছিল। এজন্যই বাইরে থাকলে মেয়ের জন্য তার আত্মা ছটফট করত, না জানি কি হচ্ছে, কি করছে। প্রয়োজন ছাড়া বাইরে সময় কাটাত না। ঘরে এসে মেয়েকে নিয়েই সময় কাটাত। মেয়ে বাইরে ঘুরার জন্য পাগল ছিল। কারণ সে ঘরেই সব সময় আবদ্ধ থাকত, বাইরে বেরুনোর সুযোগ ছিল না, যেহেতু তার মা বাইরে বের হত না। হাসান বাইরে নিয়ে ঘুরত। রোডের পাশেই বাসা ছিল গাড়ি- ঘোড়া দেখাত, সে খুব আনন্দ করত, উচ্ছসিত হয়ে হাসত, বাপ ক্লান্ত হয়ে যেত কিন্তু মেয়ে ঘরে ফিরতে চাইত না। তখন দরজা থেকে একটু সামনে পিড়িতে বসিয়ে দিয়ে তারা দরজা খুলে লক্ষ রাখত। সে কখনো রাস্তায় চলমান গাড়ি ও মানুষের দিকে তাকাত, কখনো মা-বাপের দিকে তাকিয়ে পুস্পের হাসি হাসত।
ফেরদৌসি সন্তান পালনে যেমন ছিল অথর্ব কাজ- কর্মে ছিল আরো অকর্মন্য। রান্না করে হলুদ মরিচ লবণ ইত্যাদির কৌটা উদোম রেখে আসত। ভাত তরকারির পাতিল উদোম রাখত। খাওয়ার পর প্লেট না ধুয়েই রেখে দিত। যে জিনিসটা যেখানে পরত সেখানেই পরে থাকত, সামলাত না। বললে ঝগড়া শুরু হয়ে যেত। স্ত্রীকে শিখানোর জন্য বুঝিয়ে বললেও ঝগড়া বেধে যেত। কথায় কথায় বলত- এই কিপটে ছোদা কামলা রাখতে পারস না। হাসান চাউল, চালের গুড়া, চিঁড়া, মাছ, দুধ ইত্যাদি গৃহস্থালি জিনিস সাধারণত বাড়ি থেকে নিয়ে আসত। একদিন দেখে চালের গুড়ার পাত্র উদোম, তাতে টিকটিক মরে পড়ে আছে। এটুকু বলায় উত্তর দিল- আমাকে বলেন কেন নিজে করতে পারেন না। একদিন দুপুরে খাওয়ার কিছুক্ষণ পর চিঁড়া ভাজতে যাবে, অনেক গুলি চিঁড়া নিল। স্বামী বলল- আরো কম ভাজ, আমি খেতে পারব না। এটুকু বলার কারণে আর ভাজল না, ভিজা চিঁড়া ফেলে রাখল, দুদিন পর দেখা গেল চিরার উপর চাতা পড়ে গেছে। বলল তো শুরু হল- আপনি আমারে কি খাওয়ান, দুনিয়ার জামাইরা বউদের এই খাওয়ায় সেই খাওয়াই ইত্যাদি। স্ত্রীর অভ্যাস ছিল বাচ্চাদের মত দোকানের আজে বাজে জিনিস খাওয়া, স্বামী কিনে কিনে এনে দিত। খাওয়া নিয়ে ঝগড়া হত, অথচ মেয়েরা সাধারণত এত খাই খাই করে না।
চাউল ভাল করে না ধোয়ার কারণে ভাত কিছুটা কালচে রংয়ের হত। বহুদিন হাসান বলেছে চাউল ভাল করে রগড়িয়ে ধৌত করতে, কিন্তু সে স্বামীর কথা শুনার মত লোক ছিল না। বরং বাসী ভাত থাকলে তাতে চাউল দিয়ে হালকা ধুয়ে রান্না করত। হাসান টের পেলে বলত- বাসী ভাতে চাল দিয়ে রাধলে আমি খাব না। কিন্তু সে তার আড়ালে দস্তুর মত এ কাজ চালিয়ে যেত। একদিন দেখে ফেলে স্বামী বলল- আমি ভাত খাব না। সে পাতিলটা থেকনা মেরে রেখে- তাইলে আপনে রেধে খান গিয়ে- বলে বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল। সেদিন স্বামীকেই ভাত রাধতে হয়েছিল।
অসুখ বিসুখ হলে ছোট বাচ্চারা যেমন নাকি সুরে ঘ্যানর ঘ্যানর করে, মাকে অত্যাচার করে, সেও ঠিক এ রকমই করত। ঔষধ ঠিক মত খেত না, দিন রাত ঘ্যান ঘ্যান করত। হাসান ঘুমিয়ে পড়লে তাকে আঙ্গুলে গুতিয়ে জাগ্রত রাখত আর বকবক করত- আমার এমন লাগছে তেমন লাগছে। তখন সে বলত আমাকে ঘুমুতে দাও, আমি কি করব, ঔষধ খাইতেছ ঠিক হয়ে যাবে। স্ত্রী বলত- আপনাকে না বললে আর কাকে বলব, বলার আমার আর কে আছে। এভাবে যুক্তিপুর্ণ কথা বলত আর যতক্ষণ তার অসুখ থাকত ততক্ষনই জ্বালাতন করত। সাধারণত অসুখ বিসুখ তার একটার পর একটা লেগেই থাকত।
এমনকি মুনিরা পেটে থাকার সময় কয়েক মাস তাকে ঘুমুতে দেয়নি। স্বামীর হাত নিয়ে পেট ধরিয়ে দিয়ে সে নাক ডাকিয়ে ঘুমাত। হাসান ঘুমিয়ে পড়লে সে খুচিয়ে খুচিয়ে তুলে আবার পেট ধরিয়ে দিয়ে বলত- এই যে লাথি মারছে, এই যে গুতা মারছে, ঢুস মারছে। যত কষ্ট সব মেয়েদের, কেন, আল্লাহ এই কষ্টটা পুরুষদের দিতে পারল না, পুরুষদের বোঝা মেয়েরা বহন করবে কেন, এটা আল্লাহর অবিচার হয়েছে। তখন হাসান বলত- নাউযুবিল্লাহ, এজন্যই তো আল্লাহ মায়েদের এত সম্মান দিয়েছেন, নিজের পরেই মায়ের স্থান নির্ধারন করেছেন, মায়ের খিদমত আল্লাহর ইবাদত বলে গণ্য করেছেন। তারপর সুরা বনী ইসরাইলের ২৩- ২৫ নং আয়াত ও অন্যান্য হাদিস শুনিয়ে তাকে বুঝাত যে, একারনেই আল্লাহ তা’লা সন্তানের জন্য বাপের চেয়ে মায়ের তিনগুন সম্মান ও অধিকার বেশি দিয়েছেন। হাদিস- কোরান শুনার পরেও সে খেকিয়ে উঠত- আরে বাদ দেন সম্মান, জীবন বাচে না আবার সম্মান। বস্তুত এ মেয়েটা ছিল এমনই শ্রম বিমুখ এবং পুরুষ বিদ্বেষী যে, সে সত্যি সত্যি গর্ভধারনের কষ্টটা পুরুষদের জন্য কামনা করত, আর আল্লাহর উপর এটা তার সত্যিকার আপত্তি ছিল। ধর্মানুশিলন ব্যাতিত তসলিমা ও এ মেয়েটির মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল না। কখনো মুখ ভেংচিয়ে বলত- আমার পেটের মধ্যে একটা ঢুকিয়ে দিয়ে তুমি আরামচে ঘুমাইবা আর আমি সারা রাত কষ্ট করমু, না? আমি এভাবে থাকতে পারমু না, আপনের জিনিস আপনে পাহারা দেইন আমি একটু ঘুমাই। এভাবে সারারাত তার পেট ধরে থাকতে হত। স্বামী ঘুম থেকে না উঠতে চাইলে কাতুকুতু দিয়ে ঘুম ভাঙ্গাত আর সারা রাত বেচারাকে স্ত্রীর পেটের পাহারাদারি করতে হত।
গত বাসায় থাকতে মোবারক বিয়ের কথা বলেছিল। এ কথাটাকে উপলক্ষ ধরে সব সময় স্বামীকে খোচাত। কখনো বলত- আমার আর আমার মেয়ের তো আদর নাই, সুন্দর দেখে বিয়ে করবেন, তখন কত আদর হবে। হানিমুনে যাবেন, দেশ বিদেশ ঘুরবেন, তখন বউ বাচ্চার আদরও হবে কদরও হবে। আমি তো কেউ না। তখন আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব। কখনো বলত- সত্যি আমি আপনাকে বিয়ে করাব। কখনো বলত মেয়ে দেখেছি, কখনো বলত দেখতাছি। তখন ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেলে হাসান বলত, তুমি এভাবে অত্যাচার করলে বিয়ে ছাড়া উপায় কি। আর তখনই সে স্বামীর উপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিত।
এক রাত্রে শুয়ে শুয়ে অপ্রাসঙ্গিক ভাবে বিয়ে সম্পর্কে বকবকানি শুরু করল। হঠাৎ স্বামীর দিকে ফিরে চোখ পাকিয়ে বলে উঠল- তুই বিয়ে করবি, না? কর, করে দেখ তোর----টা কেটে ফেলব। এদিন রাত্রে স্ত্রীকে সে যতটুকু ভয় পেয়েছিল জীবনে অন্য কোন কিছুকে এতটা ভয় পায়নি। এ ভয়ের একটা কারণ ছিল, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় এসেছিল- ময়মনসিংহের খাগডহর এলাকায় এক প্রেমিক তার প্রেমিকাকে রেখে অন্যত্র বিয়ে করে ফেলে। তখন প্রেমিকা প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। উভয়ের বাড়ি ছিল কাছাকাছি। একদিন প্রমিকের ছোট ভাই-একটা শিশুকে নাগালের মধ্যে পেয়ে প্রেমিকা শিশুটির শিশ্ন কেটে ফেলে। এছাড়াও স্বামীর পরকিয়া বা অন্যত্র বিয়ের কারণে এমন কাটাকাটির ঘটনা অহরহ পত্রিকায় আসে। এসব ঘটনা স্বরন হতেই তার শরীর কাটা দিয়ে উঠে। কারণ তার স্ত্রী যে পরিমাণ ভয়ঙ্কর আর হিংস্র, যদি তার মনে পরে যায় যে স্বামী বিয়ে করবে তাহলে নির্দ্বিধায় এ কাজটি করতে তার ললাটে এক বিন্দু ঘামও জমবে না।
বেচারা ভীষণ ভয় পেয়ে গেল, শুয়ে শুয়ে ভাবছে কি করা যায়। স্ত্রী ঘুমিয়ে পরলে সে উঠে গিয়ে অতিরিক্ত কাপড় পরে কোমরের নিম্নাংশ নিরাপদ করল। উদ্দেশ্য খুলতে চাইলে বা কাপড় ধরে টানলে অবশ্যই সজাগ হয়ে যাবে।
কিন্তু পরদিন সত্যি সত্যি তার মনটা ভেঙ্গে পরল। হায় ভাগ্য, স্ত্রীর সাথে যদি এভাবে থাকতে হয় তাহলে নিরাপদ আশ্রয় কোথায়। মাদরাসা থেকে এসে তাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা শুরু করল- আচ্ছা তুমি এত বোকা কেন, কি করে বল যে আমি বিয়ে করব। আমি কোনদিন বিয়ের কথা বলেছি নাকি, তুমি মনে মনে মনকলা খেয়ে আমাকে দোষ দেও কেন? এ যুগে কেউ দুই বিয়ে করে নাকি, এযুগে একটা বউ পোষতে গেলেই মাথার চুল পেকে যায়, সেখানে দুই বিয়ে করবে কোন আহাম্মক। আগেকার দিনের মানুষ সংসারি কাজের জন্য বহু বিয়ে করত। একজন স্ত্রী ঘর- গৃহস্থালির কাজ সামাল দিতে পারত না, এ জন্য কয়েকটা বউ রাখতে হত। আবার বেশি সন্তান জন্ম দিয়ে কৃষি কাজে লাগাত। আগের দিনে যার মানুষ বেশি থাকত তার উন্নতি বেশি হত। কিন্তু এ যুগে যার লোক সংখ্যা বেশি সে পাগারে ও ভাগাড়ে পরে মরে। আমার দূর সম্পর্কের দুই মামা দুই বিয়ে করে সর্ব শ্বান্ত হয়ে গেছে। অথচ একজন ছিল চেয়ারম্যান, আরেকজন ড্রিলার। উভয়েই বড় লোক ছিল কিন্তু দুই বিয়ের কারণে আজ তারা কড়ার বিখারি। এভাবে অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে বউকে বিশ্বস্ত করে নিজেও আশ্বস্ত হল।
হাসান প্রথম যখন বাসায় উঠে শুধু প্রয়োজনীয় জিনিস পত্তর নিয়ে উঠেছিল। অতিরিক্ত কোন মালামাল বা ফার্নিচার ছিল না। দ্বিতীয় বাসায় এসে এগুলি কিনবে কিনবে করে সময় যাচ্ছিল। কিন্তু এ বাসায় এসে স্ত্রীর প্রতি তার ভালবাসা ঘৃণা ও হিংসায় রুপান্তরিত হয়ে গিয়ে ছিল। স্ত্রী যেমন তাকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পেত তখন সেও স্ত্রীর কষ্ট দেখলে আনন্দ অনুভব করত। এ জন্যই বউ ফার্নিচার বা জিনিস পত্রের জন্য ঝগড়া করত আর সে আনন্দ পেত। তবুও কিনার গরজ অনুভব করত না।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন