চিঠি- ২৬ (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ২০ আগস্ট, ২০১৬, ১১:০৫:৫৬ সকাল
২৬
হাসান মাদরাসায় যাচ্ছে, রাস্তায় ফেরদৌসীর সপ্তম দুলা ভাইয়ের সাথে দেখা, তার বাড়ি শহর থেকে দক্ষিণ দিকে, তার এক চাচাকে নিয়ে হাসপাতালে রোগী দেখতে যাচ্ছে। হাসান ভাবল বাইরের কেউ এলে তো ইঞ্জিনিয়ার আর এডির বাসায় ভিড় করে এখন সেও কিছুটা বোঝা বহন করবে। কাজেই সে বলল- যাবার সময় আমার বাসা হয়ে যাবেন। ভায়রা বলল, না ঝামেলা আছে চলে যাব। হাসান জোর দিয়ে বলল, যাবেনই তো কিন্তু আমার সাথে দেখা না করে যাবেন না। আরো জোর দিয়ে দু’চার কথা বলে বিদায় হল। তারপর বাসায় ফিরে বউকে বলল, তোমার দুলা ভাই ও তার চাচা আসবে, চারটে রান্না-বান্না করে রাখ। সে রান্না করে রাখল। তারা বিকাল তিনটার দিকে এসে দরজায় টোকা দিল। সে দরজা খুলে সালাম দিয়ে বলল, আসেন। ভায়রা বলল, না আসব না, আপনি বলেছিলেন তাই আপনার সাথে দেখাটা করে গেলাম। সে বলল- আরে না, ভিতরে আসেন, রান্না- বান্না করে রাখছে তো। ভায়রা বলল, না যাই গা, কাজ আছে বলে রোডের দিকে যেতে লাগল। হাসান ঘর থেকে বের হয়ে গিয়ে বলল- শুনেন রান্না খাবার রেখে যেতে নেই, চাচাকে নিয়ে আসছেন, তিনি হয়ত আর আসবেন না। চারটা খেতে আর কতক্ষণ লাগবে, তারপর যান- বলে তার হাত ধরে টেনে আনল। খানা প্রস্তুত ছিল, এনে দিল আর তারা খেতে বসল।
ফেরদৌসী আড়াল থেকে তার চাচাকে দেখে একটু নাক ছিটকাল এবং হেয় সুচক দুয়েকটা মন্তব্য করল। কারণ তিনি ছিলেন দরিদ্র মানুষ এবং পোশাক আসাক শ্রমিক শ্রেণির। কিন্তু হাসান ছিল চিরমজলুম এমনকি নিজের ঘরেও মজলুম। আর কোন মাজলুম অন্যকে হেয় করে না, করতে পারে না, এমন স্বভাব তার কোনদিন ছিলও না। তাছাড়া ইসলাম এটাকে হারাম করেছে। খাওয়া দাওয়ার পর তারা বের হয়ে গেল। কিন্তু তার ভায়রা চাচাকে বাইরে রেখে দু’কথা শুনানোর জন্য আবার ঘরে ঢুকল। সে এসেই হাসানকে বলল, আপনার আচরনে লজ্বা পেয়ে গেছিলাম, মনে হচ্ছিল চাচাকে না খাইয়ে নিয়ে যেতে হবে। আর জামালপুরে এতগুলি আত্মীয় থাকতে চাচা না খেয়ে গেলে আর লজ্বার সীমা থাকত না। তাই তো ভাবছি, এ পরিবারের মেয়েরা তো এমন হওয়ার কথা নয়। ফেরদৌসি জানবে আর আমাদেরকে না খাইয়ে ছেড়ে দিবে এটা কি করে হতে পারে। এ জাতীয় আরো কিছু কথা বলে সে চলে গেল।
হাসান অবাক হয়ে গেল কিন্তু মেহমানকে কিছু বলা সমীচীন মনে করেনি বিধায় একটা কথাও বলেনি। একেবারে স্তব্ধ হয়ে চেয়ারে বসে রইল। সেই দাওয়াত দিল, সেই এসে রান্না করালো, সেই টেনে এনে জোর করে খাওয়াল। এখানে তার সাধাসাধি ও আন্তরিকতার অভাব কোথায়? এরপরেও যদি এমন কথা শুনতে হয় তাহলে লজ্বায় মূষিকের গর্তে মুখ লোকানো ছাড়া উপায় কি। তার বউ তো ঘর থেকে সব দেখছে, আন্তরিকতার অভাব দেখলে তো সে এতক্ষণে তার মাথায় নারিকেল ভাঙ্গা শুরু করে দিত। মনে মনে ভাবল, এদের সাথে আত্মীয়তা করে প্রচলিত সমাজ সংস্কার সব হারিয়ে গেছে। এদের কারো গতিমতি বুঝার সাধ্যি আমার নাই। উপরে সরল ভিতরে জিলাপির প্যাচ, এখানেই মানুষের পার্থক্য। কিন্তু মেহমানকে চারটে ডাল ভাতের ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা অতিশয় লজ্বাজনক ও গর্হিত কাজ বলে তার কাছে মনে হল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, এখানে তার স্ত্রীর জায়গায় যদি কাজের মেয়ে বা অন্য কোন নিরপেক্ষ মহিলা থাকত, তাহলে সে অবশ্যই বলত- তাকে দোষারোপ করছেন কেন, সে তো আগাগোড়াই আপনাদের প্রতি আন্তরিকতা দেখিয়েছে। কিন্তু তার স্ত্রী বলবে তো দুরের কথা বরং তাকে ঘায়েল করার জন্য মুখিয়ে উঠল।
ততক্ষণে গর্বে তার স্ত্রীর পাছা ফুলে গেছে, গর্দান আকাশে উঠে গেছে। দুলা ভাই তার প্রশংসা করল আর হাসানকে হেয় করল- তাতে সে দারুন খুশি। স্বামীকে পদদলিত করে গর্দান উচু করার একটা সনদ পেয়ে গেল। তখন উভয়েই বিছানায় শুয়ে আছে। ফেরদৌসী স্বামীর পাশে শুয়ে শুরু করল- ছোট লোক, মেহমানের কদর বুঝে না, মেহমানদারী করে অভ্যাস নাই, চৌদ্দ পুরীতে কোনদিন মেহমানদারী করেনি- ইত্যাদি জাত গোস্টি তুলে গালাগালি শুরু করল। সে স্ত্রীর বকবকানির সময় সাধারণত কথা বলে না। কিন্তু তখন বলল, অন্য লোকের জন্য তুমি নিজের স্বামীকে অপমান করতেছ? সে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে বলল, করব না? জীবনে মেহমানদারী করেছেন, আপনাদের মেহমানদারী করার অভ্যাস আছে? রাগে হাসান শুয়া থেকে বসে বলল- এই কাকে কি বলছ, তুমি যাও নাই, নিজের চোখে দেখ নাই। আমাদের গ্রামে কি এমন কেউ আছে যে, আমাদের বাড়ি থেকে নেয় নাই, খায় নাই। ফকির মিসকিন যে কেউ খেয়ে যায় নাই এমন কোনদিন দেখেছ। তোমরা কয়টা করে লজিং রাখতে, সারা জীবন আমাদের কয়েকটা করে লজিং থাকছে। এমনকি গ্রামের মানুষেরা অত্যাচারি বিড়াল বহুদুরে ফেলে দেয়, তারা আমাদের বাড়িতে ফেলে যেত এ জন্য যে, এ বাড়িতে ভাতের অভাব নেই।
রাগে সে ফ্লোরে নেমে গেল-এত ভদ্দরলোকি গপ্প মাড়াও, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময় তোমার বাপ কয়টা মানুষকে বাঁচিয়েছে? আমার বাপ বাড়িতে লঙ্করখানা বানিয়ে মৃতপ্রায় অন্তত ১০০ মানুষকে শ্রাবণ মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত রেখেছিলেন, ওদের জীবন বাঁচিয়েছিলেন, ঘরের বীজ ধান পর্যন্ত ওদের খাইয়ে ছিলেন। মাকে মামার বাড়ির গপ্প শুনাও, না? কি আছে তোমাদের, নিজেরাই খাও অন্যেরটা আবার মেহমানদারী। ও আমার ঘরে মেহমানদারী করে আমার সাথেই বাহাদুরি। রাগের বশে সে বলে তো ফেলল কিন্তু পরিণতির ব্যাপারে এবার শঙ্কিত হয়ে গেল।
আঁতে ঘা লেগেছে। এরা স্বামীদেরকে গোলাম মনে করে, শুধু করে না, বাস্তবেও তাই। আর গোলাম হয়ে প্রভুর হৃদপিন্ডে হাত দিল, মানে তাদের দারিদ্রতার কথা বলল। সে হাসানের দিকে তাকিয়ে আছে, চোখ দিয়ে যেন আগুন ঠিকরে বেরুচ্ছে, পারলে তার মাথাটা চিবিয়ে খাবে। অন্তহীন গাম্ভির্য নিয়ে মেঘ গর্জনে উচ্চারণ করল- আমি তোর ঘরে থাকব না। ঝংকার দিয়ে উঠল- আল্লাহ্র কসম আমি তোর ঘরে থাকব না। লাফিয়ে উঠে গিয়ে বোরকা পড়তে লাগল। হাসান জানে, আজ সে যে কথা বলেছে নিশ্চয়ই চলে যাবে। আর গিয়ে বলবে- তার দুলা ভাইকে অপমান করেছে আর তাদের পরিবারকে ফকিন্নি- ঢেকুন্নি বলেছে। ব্যাস ইতিমধ্যেই এদের বোনদের সম্পর্কে তার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে- নির্ঘাত বউ আটকা দিবে, এমনকি তালাকও নিয়ে নিতে পারে। হাসানের চোয়াল শক্ত হয়ে এল। মনে মনে বলল, চেমরি আমারে খোকন সোনা পাইছ যা ইচ্ছা তাই করবা। তুই কি করে যাস আজ দেখে নিব, মাফও চাইব না পায়েও ধরব না, তোকে নিয়ে ইঁদুর বিড়াল খেলব। কিন্তু প্রথমে মোহাসেবি শুরু করল, গান ধরল- যাবে যদি যাও তবে পিছু ডাকব না, পিছু থেকে অশুভ ডেকে নিব না।
বোরকা পরে গেল মেয়েকে কোলে নিতে। - আচ্ছা রাখ তো, যাওয়ার কত সময় পাওয়া যাবে, আরেক দিন যেয়ো, এখন চল দুজন পাঞ্জাপাঞ্জি করে শুয়ে থাকি, অনেক মজা হবে। সে হাসানের দিকে অগ্নি দৃষ্টি হেনে বের হওয়ার জন্য ঘুরল। অমনি ডান হাতে তার একটা হাত ধরে বলল, যাস কই আমারে কি তোর দুলা ভাইদের মত গোলাম পাইছস, যা ইচ্ছা তাই করবি? যা না দেখি কেমন বেটিডা হইছস। অনেক মোচড়া মোচড়ি করল কিন্তু হাত ছাড়াতে পারল না। এবার বুঝল যে এটা স্বামীর হাত নয় পুরুষের হাত। কাজেই এবার সে গায়ের জোরে ঝাকি শুরু করল। এবার হাসান বুঝল যে বউ তার তাল পাতার সেপাই হলে কি হবে তাকত ভালই আছে। সর্ব শক্তি দিয়ে অনেক হুড়ো হুড়ি করে যখন হাত ছাড়াতে পারল না তখন বলল, ছাড়, ছাড় কইলাম, নইলে মেয়েরে ফালাইয়া দিমু। হাসান মেয়েকে নিতে চাইল কিন্তু সে আরো শক্ত করে ধরে। টানাটানি করলে মেয়ে ব্যথা পাবে বলে আর জোরাজোরি করল না। কিন্তু সে জানত মেয়েকে কোল থেকে ফেলে দেয়া তার জন্য কোন ব্যাপারই না। যে মা আট দিনের মেয়েকে গায়ের জোরে তিনটি থাপ্পড় মারতে পারে, অকারণে ধুপ ধুপ করে কিলাতে পারে - সে অবলীলায় মেয়েকে ফেলে দিতে পারবে। হাসান তার হাত ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে বাইরের দরজায় দাঁড়াল।
ফেরদৌসী দরজার যেদিক দিয়েই বের হতে চায় স্বামী সেদিকেই সরে গিয়ে পথ আটকে দাঁড়ায়। এভাবে দাড়িয়াবান্দা খেলার মত দু’জনে কিছুক্ষণ ধাপাধাপি করল। স্ত্রী বারবার এক কথাই বলছে- পথ ছাড়, ভাল হবে না কিন্তু কইলাম। হাসান শুধু মুচকি হাসে কথা বলে না। কিন্তু মনে মনে বলে- এতদিন তোকে পায়ে ধরে আটকে রেখেছি আজ কানে ধরে রাখব। স্ত্রী মেয়েকে বিছানায় রেখে এবার শুরু করল ধাক্কাধাক্কি। সে স্বামীকে ধাক্কিয়ে দরজা থেকে সরাতে চায় কিন্তু হাসান দুই চৌকাঠে দুই হাত দিয়ে পিরামিডের মত অনড় দাঁড়িয়ে আছে। স্ত্রীর রাগ ক্রমে ক্রমে বাড়ছে। অবশেষে শুরু করল চট্টগ্রামের বলি খেলা। এবার পাগলের মত কখনো স্বামীকে ধাক্কা মারে, কখনো ঘাড়ের পিছনে হাত দিয়ে টান মারে। কখনো পাঞ্জা মেরে ধরে উল্টিয়ে দিতে চায়। অনেক শক্তি ক্ষয় করার পর বুঝল এখানে তার স্বামী নয় একজন পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে- যাকে ভেদ করে যাওয়া তার সাধ্যাতিত।
এবার অসহায় হয়ে শিশুদের মত হাত পা ছুড়ে নাচতে নাচতে কান্না শুরু করে দিল- আমারে যাইতে দে, আমি বড়াপারে গিয়ে সব কমু, আমি থাকমু না। কিন্তু হাসান ভাবলেশহীন পাথরের মত নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ সে মেয়েকে কোলে নিয়ে ঘরের একপাশে সরে গিয়ে- সর, সরে যা কইলাম, নইলে মেয়েকে ফালাইয়্যা দিমু- বলে মেয়েকে শুন্যে ধরে উপর নিচ করে মাটিতে ফেলে দেয়ার ইঙ্গিত করছে। সহসা হাসানের চোখে স্ত্রীর চেহারায় ভেসে উঠল এক ডাইনির প্রতিচ্ছবি। পৃথিবীর কোন মা স্বামীকে ঘায়েল করার জন্য সন্তানকে আঘাত করতে পারে- সে এই প্রথম দেখল। এতদিন সে জেনেছিল এ মেয়েলোকটা স্ত্রী হওয়ার যোগ্য নয় কিন্তু আজ বুঝল এ মা হওয়ারও যোগ্য নয়, প্রকৃতই একটা ডাইনি। সে জানে দরজা না ছাড়লে সত্যি সত্যিই মেয়েকে ফেলে দিবে। অগত্যা সে দরজা ছেড়ে ভিতর রুমে গিয়ে শুয়ে পরল- এ আমি কার সাথে ঘর করছি, কোন ডাইনির সাথে তো সংসার করা সম্ভব নয়। বুকটা ফেটে যাচ্ছে, মন চাইছে চিৎকার করে কাঁদে। একে তো মেয়েটার জন্য দ্বিতীয়ত জানে সে চলে গেলেই আটকা দিবে। সীমাহীন বেদনা ও যন্ত্রনায় তার বুকটা ভেঙ্গে যাচ্ছে, সে শুয়ে শুয়ে কাঁদতে লাগল।
ফেরদৌসির ইচ্ছা ছিল স্বামীর এতগুলি গালাগালির জন্য তাকে মাফ চাওয়ানো, পায়ে ধরানো। কিন্তু এত কিছুর পরেও যখন সে মাফ চাইল না তখন সে সত্যি সত্যিই বেরিয়ে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল- স্বামী এসে হাত জোড় করে বলবে, আল্লাহ্র ওয়াস্তে মাফ করে দাও, চল এখন ঘরে চল- বলে হাতে ধরে টানতে টানতে ঘরে নিয়ে আসবে। কিন্তু দুই তিন মিনিট অপেক্ষা করার পরও যখন সে আসল না, কোন সাড়া শব্দও পাওয়া যাচ্ছে না তখন ফেরদৌসি নিজেই উপযাচক হয়ে ঘরে ঢুকল। সে মনে করত স্বামী তাকে পসন্দ করে না, ভালবাসে না, সে চলে গেলেই স্বামী খুশি হবে। কিন্তু হাসানকে কাঁদতে দেখে সত্যি সত্যিই স্ত্রীর মনে আঘাত লাগল এবং বুঝতে পারল যে স্বামী তাকে ভালবাসে। তখন তার ভালবাসা উথলে উঠল। সে মেয়েকে রেখে একবারে মাটিতে বসে পরল, তারপর হাত মারতে মারতে কাঁদতে লাগল- আপনে কাঁদেন কেন, আমি আপনেরে মুক্তি দিতে চাই। আমারে আপনের পসন্দ না, আমি চাই একটা সুন্দরী দেইখ্যা বিয়া করেন, সুখি হন, আমি আপনের সুখ চাই- বলতে বলতে কাঁদতেই লাগল।
মুর্খটার কথা শুনে হাসানের মনটা আরো বিষিয়ে গেল, তার দিকে ফিরেও তাকাল না। কিছুক্ষণ পর উঠে খাটের কিনারে বসে হাসানের উপর ঝুকে পড়ল, তার চোখের পানি মুছল- আপনে কাঁদেন কেন কাঁদবেন না- বলে তার বুকের উপর শুয়ে পড়ল। গালের উপর গাল রেখে- আপনে কাঁদলে আমি সহ্য করতে পারুম না, আমি মইর্যা যামু- বলে আকুল হয়ে কেঁদে উঠল। তার কান্নায় হাসানও কেঁদে উঠল। এক অন্তহীন মমতায় সে হাসানের মাথা ও মুখে পাগলের মত হাত বুলাতে লাগল আর বলতে লাগল- আমি আর কোন দিন যাওয়ার কথা কমু না, কোন দিন না, আল্লাহর কসম কইর্যা কইলাম। কিন্তু এই অর্বাচিন তার কথা রাখেনি বা রাখতে পারে নি।
এ দিন তার এক নতুন অভিজ্ঞতা হল। এতদিন তো শুধু সেই বউকে আদর দিত কিন্তু নিজে কোন দিন আদর খায়নি। বউয়ের আদর যে এত মজা- তা আগে জানত না, তবে একটু শরম শরমও লাগে। যাদের অভিজ্ঞতা নাই তাদের আর কালক্ষেপণ না করে চটজলদি অভিজ্ঞতা করে নেয়া দরকার।
বিষয়: সাহিত্য
১১০১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন