চিঠি-২২ (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ১৪ আগস্ট, ২০১৬, ০১:৪৭:৩০ দুপুর
ফেরদৌসীর ভাল অভ্যাস কমই ছিল, বদ অভ্যাসই বেশি ছিল। সে গ্যাসের চুলায় ভাত- তরকারি বসিয়ে এসে শুয়ে থাকে কিন্তু চুলার দিকে তার কোন খেয়াল থাকে না। এভাবে প্রতিদিনই একটা না একটা কিছু পোড়েই। কোন দিন হাসান খেয়াল রেখে বউকে পাঠায়, কোনদিন পোড়া গন্ধ পেয়ে নিজেই দৌড়ে, কিচেন পশ্চিমে হওয়ায় পুবালি বাতাস থাকলে কোনদিন নিজেরা টের পায় না, বাসার মালিক ডেকে বলে যায়। হাসান তখন আল-বারাকা নামক একটি মাদরাসা প্রকাশনীতে লেখা-লেখির কাজ করত। সেদিন এশার পর সে লিখতে বসেছে আর ফেরদৌসী খাটে শুয়ে আছে। তখন বাসার মালিক ডেকে বলল- তরকারি পোড়ার গন্ধ আসছে। স্বামী- স্ত্রী দুজনেই দৌড়ে গেল, পাতিল থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে, রান্না ঘর ধোঁয়ায় ভরে গেছে। ফেরদৌসীই পাতিল নামাল, তরকারি পোড়ে অঙ্গার হয়ে পাতিলের তলায় লেগে গেছে। রাগে হাসান বলল, আচ্ছা দুনিয়াতে প্রত্যেকটা মানুষের একটা না একটা কাজ আছে- তোমার কাজটা কি?
স্ত্রী তর্জনি খাড়া করে হাসানের পেটে গুতা মেরে গোপন বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করে চোখ পাকিয়ে মাথা ঝাকিয়ে বলল, এইটা আমার কাজ, তোমার ভাত রাধা, সংসার সামলানো, বান্দিগিরি করা আমার কাজ না। - তাহলে এসব করবে কে? - যার সংসার সেই করবে। - সংসার তো আমার একার নয়। উত্তর না পেয়ে বলল- কোরান হাদীসে আছে নাকি বউয়ের কাজ করতে হবে? – এই মূর্খ তুই কোরান হাদীসের কি বুঝস? মূর্খ বলাতে ক্ষেপে গেল, মোবারকের পরোয়া না করেই সে হেরে গলায় ঝগড়া শুরু করল। এত দিনের ঝগড়ায় মোবারক কোন দিন মুখ খোলেনি। কিন্তু আজ সে ঝিকে মেরে বউকে শিখানোর কৌশলে বলল, ভাবী তো ঠিকই বলেছে, সে কাজ করবে কেন? তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দাও আম্মা রেঁধে রেঁধে খাওয়াবে। তুমি আরেকটা বিয়ে কর, যে রান্না-বান্না করবে, সব কাজ কর্ম করবে, ঝগড়া করবে না- এমন দেখে একটা বিয়া কর তাহলে জীবনটা বাচাইতে পারবা, নইলে এভাবে আগুন তাপাইতে তাপাইতেই তোমার জীবন শেষ অইব। আরেক বিয়া করলে দেখবা সবাই সাইজ হয়া গেছে। তখন হাসানের গায়ে এমনিতেই রাগ, ধমক দিয়ে বলল- চুপ কর গাধা, ভেংচিয়ে বলল- বিয়ে কর, দেখস না বিয়ের মজা কেমনে বারাইতাছে, একটা করেই ঘরে থাকা যায় না, আরেকটা করলে তো জঙ্গলেও ঠাই হবে না।
বিয়ের কথা যদি হাসান বলত তাহলে এতক্ষণে তার মাথায় বোম ফুটত। কিন্তু দেবরকে তো আর উগ্রতা দেখানো যায় না, বেশি কিছু বলাও যায় না, তাই- ঠিক আছে, তোমার ভাইকে আরেকটা বিয়ে করাও, আমি কাজ কর্ম করি না, ঝগড়া করি, তোমার ভাইয়েরও আমাকে পসন্দ না, আমি ভাল না। কাজেই আমি ও আমার মেয়ের থাকার দরকার নাই, আমি চলে যাই, তারপর তোমরা যা খুশি কর- বলে বোরকা পরে মেয়েকে কোলে নিয়ে রওয়ানা হল। বাইরে বের হওয়ার দরজা ছিল মোবারকের রুম দিয়ে। হাসান ডেকে বলল- এই যে দেখ যাইতাছে গা। মোবারক দৌড়ে গিয়ে দরজায় দাঁড়িয়ে গলায় কৃত্রিম রাগ ফুটিয়ে বলল- কই যান, ও আমি আইছি বলে রাগ করছেন, আমি কি আপনার বাসায় খাইতে আইছি? ঠিক আছে, আমি কালই চলে যাব। আর রাগের দরকার নাই, এখন যান, ঘরে যান।
এ কথাটা ফেরদৌসিকে একেবারে বিধ্বস্ত করে দিল। কারণ সে শুধু স্বামীকেই রাগ দেখায়, অন্য কারো সাথে মিশেও না, কথাও বলে না, কোন বান্ধবীও নেই, কাউকে রাগও দেখায় না, ঝগড়াও করে না। কোন মেহমান এলে সর্বোচ্চ আপ্যায়নের চেষ্টা করে। মোবারককেও ভাল মন্দ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। কাজেই তার কথা ভাবীকে নিশ্চল করে দিল। মেঝেতে দাঁড়িয়ে ডুবন্ত গলায় বলল- না, আমার থাকার কী দরকার, আমি ভাল না, তোমার ভাইকে ভাল দেখে আরেকটা বিয়ে করাও।
হাসান বুঝল আজ আর চন্ডিপনা দেখাবে না, একটু সাধলেই ঠিক হয়ে যাবে। সে পাশের রুমে গিয়ে বলল- তুই গাছে তুলেছিস এখন তোকেই নামাতে হবে, মাফ চা। মোবারক কৌতুক করে নাকে ধরে বলল, এই যে আমি নাকে ধরলাম, নাফ (মাফ) চাই আর কোন দিন এমন কথা বলব না। হাসানেরও একটু কৌতুক করার লোভ জাগল, সে নিজের কান না ধরে বউয়ের কান ধরে বলল- এই যে আমি কান ধরলাম আর কোন দিন কিচ্ছু বলব না। ফেরদৌসি স্বামীর হাত ধরে সিটিয়ে মেরে- যাঃ, দুই ভাইয়ে মিলে আমারে খেলার পুতুল পাইছে, যা ইচ্ছে তাই করব- বলে রাগে গড়গড় করতে করতে পাশের রুমে চলে গেল। ছোট ভাই থাকায় আজ হাসান রক্ষা পেয়ে গেল। বোরকা খুলে সে দস্তুর মত কাজ শুরু করে দিল। আসলে তার নিয়ম হল স্বামীকে ভাজা পোড়ার কাজ শেষ হলে সে শান্ত সুবোধ গৃহিণী হয়ে যায়, সব কিছু ঠিকঠাক মত করে।
কিন্তু মোবারকের এই কথা বইয়ে আনল এক মহা বিপত্তি। এবার পাগল পুরাতন খুন্তি ফেলে নতুন খুন্তি হাতে নিল। বিয়ের পরপরই তার এক বোন বলেছিল- এত দুরে বিয়ে দিলে এখন যদি জামাই না আসে তাহলে কি হবে? এরপর থেকেই তার মনে ভয় ঢুকেছিল হাসান তাকে ফেলে চলে যাবে। আর এ ভয় তাকে বর্তমান পর্যন্ত তাড়া করে ফিরছিল। কিন্তু মোবারক বিয়ের কথা বলার পর সে পুরাতন কাসুন্দি বাদ দিয়ে নতুন সূত্র গ্রহণ করল। সেদিন থেকে তার মনে আশংখা ঢুকল হাসান আরেকটা বিয়ে করবে, আর এ আশংখাই শেষ পর্যন্ত দুটি নদীর মোহনায় চর জাগিয়ে তুলল।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন অফিস ছিল তার বাসার অদুরেই পশ্চিম দিকে। এডি যেহেতু তার বাবার ছাত্র ছিল সেই সুবাদে মোবারকের সাথেও একটা নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সে প্রায় প্রতিদিনই যেত আর বাসায় যা ঘটত সেই জর্দা খাওয়া থেকে নিয়ে প্রতিদিনের ঘটনা তাকে জানাত এবং প্রতিকার চাইত। ভাইকে মাঝে মাঝে বলত, আচ্ছা তুমি তার বোন জামাইদের কাছে বিচার দেও না, এমন বউ দুনিয়াতে আছে নাকি চব্বিশ ঘন্টা ঝগড়া করে, এটাকে নিয়ে জীবন কেমনে কাটাইবা? একটা নালিশ- টালিশ করাও। আসলে তখন এ ছেলেটা ভাইয়ের জন্য খুব চিন্তা করত। তখন হাসান বলত, কিছু কিছু জানাইছি কিন্তু লাভ নাই, আসলে তাদের পরিবারের নিয়ম নীতি একটু অন্য রকম। আর নিজের বউয়ের দোষ-ত্রুটি অন্যকে না বলাই ভাল। সংশোধনের চেষ্টা করছি। তাছাড়া মেয়েটা একটু বড় হলে এমনিতেই সব ঠিক হয়ে যাবে। এসব নিয়ে তোকে মাথা ঘামাতে হবে না।
একদিন হাসান মাদরাসা থেকে গিয়ে দেখে বাচ্চাটা পায়খানা করে সমস্ত শরীর, বালিশ ও বিছানায় ছড়িয়ে দিয়েছে। বুঝাই যাচ্ছে অনেক আগে পায়খানা করেছে। বউ রান্না ঘরে বসে রাধছে। তার প্রচন্ড রাগ হল কিন্তু মুখে কিছু না বলে মেয়েকে দুহাতে ধরে শুন্যে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে বলল- তাড়াতাড়ি যাও, ধুয়ে নিয়ে আস। ফেরদৌসি চোখ গরম করে- দেখতেছেন না কাজ করতেছি, আপনি যান। হাসান অসহায়ভাবে বউয়ের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে নিজেই গেল। ধুয়ে এনে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলল- শালার কপাল, আল্লায় বউ একখান জুটাইছে, দাজ্জালের মায়ের পেটের বোন। রাগে বউকে খোঁচা দেয়ার জন্য ভাইকে শুনিয়ে বলল- তুই ঠিকই কইছস, বিয়া আরেকটা না করলে আর চলছে না। স্বামীর বিয়ের কথা শুনলে মেয়েদের মাথায় এমনিতেই আগুন লাগে, আর ফেরদৌসির মাথা তো আগে থেকেই গ্যাস চুল্লি। সে লাফ দিয়ে উঠে বাথরুম থেকে হাত পা ধুয়ে এসে কৃত্রিম হাসি ফুটিয়ে বলল- যান যান, তাড়াতাড়ি বিয়ে করেন গিয়ে, যারা এত বিয়ে বিয়ে করে আল্লাহ্ তাদের কপালে বিয়েই রাখে।
তারপর বোরকা পরে মেয়েকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। হাসান ভাইকে ডেকে বলল- এই যে বারায়া পরছে। মোবারক দরজায় দাঁড়িয়ে ইয়ার্কি শুরু করল- ভাবী, আজকে না গেলে চলে না, দুয়েকদিন পরে যান, না হয় একটু পরেই যান, এখন বিশ্রাম করেন। - হেই ফাযিল ছেড়া (ছেলে) দরজা ছাড়- সে ধমকে উঠল। - দরজা ছাড়ব না, আজ কুস্তি হবে, আপনি বোরকা খোলেন, আমি লেংটি মারি, আমাকে ভাগাতে পারলে যাবেন, নইলে যেতে পারবেন না। - বেয়াদব মুখে যা আসে তাই কয়?- ওহ হো বেয়াদবি হয়ে গেছে ওস্তাদজী, তা ওস্তাদজী আপনি চলে গেলে আমার অংক দেখাবে কে? – কেন তোমার ভাইকে বিয়ে করাবে, সেই তো দেখাবে। শয়তান ছেড়া, ভাইকে বিয়ে করাবে। ছাড়, দরজা ছাড়- আবার ধমকে উঠল।
এবার সত্যি সত্যি ছেলেটা রেগে গেল- না, কাউকে বিয়ে করানোর আমার এত সাধ নাই। আপনাকেই অংক দেখাতে হবে, এখানেই দেখাবেন নাকি বাড়িতে গিয়ে? মানুষ চিনছেন না, এবার চিনবেন- বলে সে রাগে গড়গড় করতে করতে গিয়ে ব্যাগে বই-পত্র ও কাপড় চোপড় ভরল, তারপর ঘর থেকে বেরিয়ে বলল, আসেন আপনি যেখানে যাবেন আমিও সেখানে যাব। আমাকে অংক করতে হবে। ফেরদৌসি এতটা জব্দ আর কোন দিন হয়নি। সে থ মেরে দাঁড়িয়ে থাকল, একটা কথাও বলল না। কারণ সে কোথায় যাবে, মা হয়ত কোন বোনের বাসায়, ঘর তালাবন্ধ। আবার বোনের বাসায় দেবর নিয়ে গেলে তো ঝাড়ু দিয়ে তাড়া দিবে- সে অসহায় হয়ে গেল।
মোবারকের কণ্ঠ চড়তে লাগল- বেশি গেয়ার দেখান, আপনাদের মত জামাই- বউ আর দুনিয়াতে নাই। রাত দিন ঝগড়া করেন, কথায় কথায় বাসা থেকে বেরিয়ে যান। আপনি পেয়েছেনটা কি, নিজেকে কি মনে করেন ইত্যাদি তিরস্কার চলতে লাগল। বেডরুম থেকে হাসান বুঝতে পারল শীঘ্রই তার বউ ফেটে পড়বে, দেবরের সাথে ঝগড়া- খুবই লজ্বাকর ব্যাপার হবে। পরে তারও আর রক্ষে থাকবে না। দৌড়ে গিয়ে ভাইকে বলল- এই কি পাগলামি শুরু করেছিস, আমার শাশুড়ি একা মানুষ, সে বাড়িতে থাকে নাকি, ঢাকায় ছেলের বাসায় থাকে। তিনি বাড়িতে থাকলে তো শুধু তোকে কেন এতক্ষণে আমাকেও নিয়ে গিয়ে উপস্থিত হত। তারপর বউকে ধাক্কিয়ে ধাক্কিয়ে ঘরে নিয়ে গেল।
মোবারক এ ঘটনা এডিকে জানিয়ে এসে হাসানকে ডেকে চুপিসারে বলল- আজ এডি আসবে। সে মনে করল আজ দশাসই একটা বিচার হবে। কিন্তু হাসান তো জানে, এডির মত ভারহীন লোককে তার বউ বুড়ো আঙ্গুল দিয়েও গনে না। আর তার কথার মধ্যেও কোন ভারিক্কী নেই, শিশুদের মত গুরুত্বহীন কথা বলে। বিকালে এডি এসেই সরাসরি- হেই ফেরদৌসি, তুমি নাকি ঝগড়া কর? তার কথাটা এমনই খেলো শুনাল- মনে হল যেন একটা শিশু আরেকটা শিশুর কাছে খেলনার কৈফিয়ত চাইছে। তখন হাসান বেড রুমে, এডি পাশের রুমে, ফেরদৌসী রান্না করে অর্থাৎ তিনজনই কাছাকাছি। বেডরুম থেকে রান্না ঘর দেখা যায়। হাসান দেখল তার স্ত্রী ফিক করে একটু হাসল, কেন হাসল বুঝল না কিন্তু পরক্ষণে বুঝল। স্ত্রী উত্তর দিল- সে বিয়ে করবে। এবার এডির গলা চড়ে গেল- কী, তোমার এত বড় সাহস, বিয়ে করতে চাও? হাসান বলল, তাকেই জিজ্ঞেস করুন। কিন্তু তার কথা এডির কানে গেল বলে মনে হল না। আমার তো মাথায় রক্ত উঠে গেল- বলে বিড় বিড় করতে করতে সে চলে গেল। ফের একবার এদের দাসত্ব দেখে হাসান অবাক হয়। বউ কি বলল তাকে জিজ্ঞেস না করেই তার মাথায় রক্ত উঠে গেল অথচ বউ জামাইকে লাথি মারে, শত শত অত্যাচার করে শুনেও তার মাথা ঠাণ্ডা থাকে, চোখে ঘুম নামে, এটা কততম স্তরের দাসত্ব। এদিকে তার বউ তখনো মিটিমিটি হাসছে, সে মোবারকের কথাটা স্বামীর উপর গড়িয়ে দিয়ে এডির সাথে সার্থকভাবে মজা করতে পারল। এসময় মোবারক বাসায় ছিল না, থাকলে ভয়ঙ্কর একটা ঝগড়া হয়ে যেত।
অবাক কান্ড, সন্ধ্যার পর এডির বউ এসে উপস্থিত, হাসান বিয়ে করবে তার বোনকে রাখবে না, নিয়ে যেতে এসেছে। তারপর একটা না একশটা করুক গিয়ে তারা কিছু বলবে না। হাসান কিছু বলল না চুপ করে রইল। ফেরদৌসীই বলল, না বিয়ে করবে না, বাচাল, কত কথাই তো কয়। কিন্তু সে তখনো বলল না যে, কথাটা হাসানের নয় মোবারকের। তার বোন চলে গেল। কিন্তু এরপর এডি সর্বত্র ছড়িয়ে দিল- হাসান বউয়ের উপর অত্যাচার করে।
ঝগড়া দিনদিন বেড়েই যাচ্ছিল। কয়েক দিন পর এতসব ঝগড়া ঝাটি দেখে ছেলেটা সহ্য করতে না পেরে চলে গেল। এবার সে হয়ে উঠল একেবারে বেপরোয়া। কারণ শ্বশুর বাড়িতে বদনাম সম্পর্কে সবাই ভয় পায়। কিন্তু মোবারক যাবার পর যখন সে বুঝতে পারল তার গুণাবলির সব খবর বাড়িতে পৌঁছে গেছে, তখন সে আরো বেপরোয়া হয় উঠল। ভাব দেখে মনে হল এবার সে পৃথিবীতে আর কাউকে পরোয়া করে না। বারবার বলতে লাগল, সে জীবনেও আর বাড়িতে যাবে না, হাসানকেও শপথ করাতে চাইল যেন তাকে বাড়িতে নেয়ার কথা না বলে।
এরপর থেকে তার গালির মধ্যে আরো নতুন নতুন মন্ত্র যুক্ত হল। এবারের মন্ত্র হল- জামাইদের কোন লেম দিতে নেই, লেম (প্রশ্রয়) দিলেই মাথায় উঠে, এদেরকে যত পায়ের তলায় রাখা যায়।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন