চিঠি-১৭ (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)

লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ০৭ আগস্ট, ২০১৬, ০৭:৫৭:৪৮ সকাল

মেয়েরা সাধারণত বাপ ভক্ত হয়। কারণ মেয়েদের জন্য পৃথিবীতে বাবাই একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়। এ জন্যই তারা সর্বদা বাবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকে, বাবার মোকাবেলায় স্বামীকে কমই পাত্তা দেয়, আর এমনটা হওয়া উচিতও বটে। এজন্য বিয়ের আগে হাসানের হিসাব ছিল, তার হবু বধুর বাবা নাই, দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। এ ধরনের মেয়েরা সাধারণত স্বামী নির্ভর হয়, সংসারি হয়। তাকে নিয়ে সে সুখের স্বর্গ রচনা করবে, ছোট্ট একটি ঘর বাধবে, যার পৃথিবীতে স্বামী ছাড়া অন্য কারো নাম উচ্চারিত হবে না। কিন্তু বিয়ের পর তার গণেশ উল্টে গেল। কারণ তার স্ত্রীর বাবা মারা যাওয়ার পর সে বোন ও ভগ্নিপতিদের আশ্রয়ে পালিত হয়। এখন ঘটনা হল, বাবা থাকলে যাও বা একক বাবাকে প্রাধান্য দিত কিন্তু এখন সকল বোন ও ভগ্নিপতিদের স্বামীর উপর প্রাধান্য দেয়, নিজের ও তাদের পদানত করে রাখতে চায়।

এ বাসায় প্রথম পর্যায়ে কাজ কর্ম ফেরদৌসীই করত। এমনকি স্বামীর কাপড় চোপড়ও সেই ধুয়ে দিত। তাকে কোন কাজের হুকুম করত না, কাজের জন্য ঝগড়াও করত না বা কাজের মেয়ে চাইত না। কিন্তু তাই বলে ঝগড়ার বিরাম ছিল না। আর এ ঝগড়ার মূল বিষয়ই ছিল স্বামীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা আর তার বোন, দুলাভাই ও তাদের পরিবারের সর্বদা উচ্ছসিত প্রশংসা করা। সেই সাথে স্বামী ও স্বামীর পরিবারকে তার বোন, দুলাভাই, তাদের পরিবার এমনকি তার নিজের পদানত করে রাখতে চাইত। নিজেদের দুয়েকটা গুনের কথা উল্লেখ করত আর স্বামী ও স্বামীর পরিবারের বদনাম শুরু করত। এ সবের উদ্দেশ্য ছিল নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করা আর স্বামী ও তার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করা, যাতে স্বামী তাদের সামনে মাথা না তুলে, পদানত হয়ে থাকে। জনশ্রুতি আছে এটা নাকি ফকির বংশের মেয়েদের স্বভাব। অথচ বাস্তবতা হল তাদের যে কারো চেয়ে হাসানের পরিবারিক অবস্থান ছিল উর্ধ্বে। শিক্ষা, সম্পদ ও পৈত্রিক পরিচয়ের দিক থেকে অন্যান্য জামাইরা তার সাথে তুলনীয় ছিল না।

আবার বিষয়টা এমনও ছিল না যে, হাসান তাদেরকে শ্রদ্ধা করত না। তাদের সবাইকে সে গভিরভাবে শ্রদ্ধা করত। দুলাভাইদের সে ফেরেশতা মনে করত, পরিচিত জনদের সাথে তাদের ধার্মিকতা নিয়ে আলাপ করত, এ নিয়ে সর্বত্র গর্ব করত। আবার ফেরদৌসীর বোনেরা অহংকার ও মুখরাপনা শিক্ষা দিলেও অন্তত এ শিক্ষা দিত না যে, তোর জামাইকে অন্যদের তুলনায় হেনেস্তা করবি ও পদানত করে রাখবি। বস্তুত এ মেয়েটিই ছিল দাম্ভিক ও ঝগড়াটে।

সে বিয়ের পর থেকে স্বামীর উপর এভাবে টর্চার করতে করতে বেচারাকে দাসে পরিণত করে ফেলেছিল। একটি ঘটনাই এর প্রমাণ বহন করে। একদিন ফেরদৌসী কোন কাজে তার বড়াপার বাসায় গেছে, হাসান দুপুর দুইটার দিকে বাসায় শুয়ে শুয়ে তাসবীহ টিপছে। এমন সময় সতের আঠার বছরের তার শ্যালকটা এসে বলল- এডি দুলা ভাইয়ের বাসায় ব্যাগটা রেখে এসেছি, আমার ব্যাগটা এনে দেন। হাসান জিজ্ঞেস করল- তুমি কোত্থেকে এসেছ? -এডি দুলা ভাইয়ের বাসা থেকে। - তাহলে তুমি আনলে না কেন? - আমি অসুস্থ মানুষ না? – অসুস্থ হলেও একটা ব্যাগ আনা যায় না, তুমি আসলে আর ব্যাগটা আমার জন্য রেখে আসলে? এই রোদের মধ্যে আমি যেতে পারব না। ছেলেটা হুকুমের স্বরে বলে- যেতে হবে, এখন আমার ঔষধ খাওয়ার টাইম। -এই গরমের মধ্যে গেলে তো আমি অসুস্থ হয়ে যাব। - আপনার কিছু হবে না, নিয়ে আসেন গিয়ে। হাসান অসহায়ের মত বলে, না, আমি এমন রোদে গেলে মরে যাব। - ঠিক আছে আমি বড়াপার বাসায় গেলাম, ঔষধের কথা জিজ্ঞেস করলে বলব দুলা ভাইকে বলেছিলাম, এনে দেয়নি।

হাসান এবার নড়েচড়ে উঠল। বড়াপার বাসায় গিয়ে এ কথা বললে আর তার রক্ষে নেই। বউ সেখানে আছে, এসেই চোখ পাকিয়ে, মাথা ঝাকিয়ে, দাঁত- মুখ খিচিয়ে বলবে, ছেলেটা অসুস্থ আপনি জানেন না, ব্যাগটা একটু এনে দিতে পারলেন না। অসুস্থ ছেলেটাকে একদিন তো ডাক্তারের কাছেও নিয়ে যেতে পারলেন না, কয়টা টাকা দেয়ার মুরোদ হল না। বড় দুলা ভাই, এডি দুলা ভাই ডাক্তার দেখাল, টাকা দিল আর আপনি ব্যাগটাও এনে দিতে পারেন না, আপনে কিসের জামাই, কেমন জামাই? তখন বউ এটা নিয়ে দিনের পর দিন ঝগড়া করতে করতে আমার জীবন অতিষ্ট করে তুলবে। তাছাড়া বড়াপা ও শ্বাশুড়ি মনক্ষুন্ন হবে। এডি বলবে, ছেলেটা ঔষধ খাবে তুমি ব্যাগটাও এনে দিতে পারলে না। তখন সবাই রুষ্ট হবে, তার চেয়ে ব্যাগটা নিয়ে আসি গিয়ে, আমার যা হয় হউক। এই চিন্তা করে সে বের হল।

বৈশাখের খরতাপ, কাঠফাটা রুদ্দুর, ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় পৃথিবী তাঁতিয়ে উঠেছে, অগ্নিগোলকের তেজস্ক্রিয়তায় প্রকৃতি পুড়ছে। হাসান জানে, আজ তার একটা কিছু হবেই। কারণ তার গরম সহ্য হয় না, গরমের দিনে সে সতর্ক হয়ে চলে, যে কোন কৌশলে রৌদ্র থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। নিজের অসহায়ত্বে তার কান্না পাচ্ছে, অগ্নিদাহ মাথায় নিয়ে সীমাহীন দুঃখ ও ক্ষোভে বিদগ্ধ হতে হতে সে গেল ব্যাগ আনতে। আর এমন একটা ছেলের ব্যাগ যে না হালের না পালের। না আছে মেধা আর না আছে গায়ে কোন শক্তি। খালাদের টাকায় মাদরাসায় লেখাপড়া করছে। একটা অথর্ব ছেলে। এই ছেলেটাকে দিয়ে সে কোন দিন কোন কাজ করাতে পারেনি। কতদিন ছোট খাট কত কাজের কথা বলেছে, কিন্তু সে পারবে না বলে মুখের উপর না করে দিয়েছে। হায় দাসত্ব! আজ তারই ব্যাগ আনার জন্য তাকে জীবন বিপন্ন করতে হচ্ছে, অথচ পিতা মাতা উস্তাদ মুরুব্বী কেউ তাকে এত গরমে এমন হুকুম করার সাহস করত না। করলেও সে উষ্মা দেখাত। সে ছিল একটা সংসারের কর্তা, জীবনে কারো হুকুম তামিল করেনি, কিন্তু আজ একটা অথর্ব শালার হুকুম মানতে হচ্ছে।

সে গলি ঘুপচি ও মাইনকা চিপা মাড়িয়ে এক কিলোমটার দূর থেকে ব্যাগ এনে দিল বটে তবে ইতিমধ্যে তার যা হওয়ার হয়ে গেছে। ঘামে জামা কাপড় ভিজে গেছে, সর্দির লক্ষন শুরু হয়েছে, মাত্রারিতিক্ত গরমে চামড়া ফুটে গেছে। সর্দি বসে গিয়েছিল, কাশলে বুকের ভিতর যেন ঢুল বাজত। অনেক ঔষধ পথ্য খেয়ে আড়াই মাস ভোগে সুস্থ হয়েছিল। গায়ের চামড়া ফুটে পিঠের সলমের ন্যায় মাঝে মধ্যে সাদা সাদা হয়ে গিয়েছিল। শীতকালে তেমন দেখা যেত না কিন্তু গরমকালে চকচক করে ভেসে উঠত। এইভাবে একটা মুখরা স্ত্রী একজন নিরীহ স্বামীকে তিলে তিলে দাসে পরিনত করল, পদে পদে স্বামীর মানবাধিকার লঙ্ঘন করল, এটা শুধু স্বামীর বিরুদ্ধে অপরাধ নয়, এটা মানবতার বিরুদ্ধেও অপরাধ। হাসান তার এই বোকাপনা কাজটির জন্য পরবর্তিতে আফসোস করত কিন্তু তার স্ত্রী কোন দিন তজ্জন্য সমবেদনা প্রকাশ করেনি বরং সে খুশি হয়েছিল।

ফেরদৌসী বহুদিন ধরে স্বামীকে বলছে একটু কাপড় কিনে দিতে জামা বানিয়ে দিবে। হাসানও বিয়ের সময় থেকে এ যাবৎকাল শুনে এসেছে তার বউ সেলাই ও হস্ত শিল্পজাত কাজে অতুলনীয়। তাই কাপড় কিনে এনে দিল। তাদের বাসা থেকে কিছু দূরে এডির বাসায় সেলাই মেশিন আছে, সেখানে সেলাই করতে যাবে। খাওয়া দাওয়ার পর হাসান তাকে রিকশায় তুলে দিয়ে মাদরাসায় চলে গেল, কথা থাকল বিকালে গিয়ে সে নিয়ে আসবে। বিকালে আনতে গেল কিন্তু স্বামীকে দেখেই ক্রোধে তার মুখটা বিকৃত হয়ে গেল- আপনি শুধু আমাকে খাটাতে চান, আমার সুখ দেখতে পারেন না, আমার কষ্ট দেখলেই আপনি খুশি ইত্যাদি বকবকানি শুরু করল। হাসান বুঝতে পারে না এমন করছে কেন। জিজ্ঞেস করল কী হয়েছে? কিন্তু রাগে সে স্বামীর দিকে তাকায় না। তার এক ভাগ্নি বলল, খালামণি সেলাই করতে পারে না, হাত টোন্ডা (আড়ষ্ট) হয়ে আসে, আপনি দর্জি দিয়ে সেলাতে পারেন না? হাসান উত্তর না দিয়ে বলল, চল, পারলে কালকে সেলাই করবে, আর না পারলে দর্জি দিয়ে সেলাই করে নেবনে খন। সে গেল বটে কিন্তু সারা রাত স্বামীর প্রতি রাগে ফুলে থাকল। পরদিন সকালে হাসান বলল, আর যাওয়ার দরকার নেই, দর্জির কাছে নিয়ে যাই। কিন্তু সে জিদ ধরল, আপনি আমাকে খাটাতে চান খেটেই মরব।

বিকালে আবার তাকে আনতে গিয়ে দেখে পুরা দস্তুর যেন একটা মুমুর্সু রোগী, চেহারায় বিষণ্ণতা ও ক্লান্তির ছাপ। হাসানকে দেখেই আবার বকবকানি শুরু করল, রীতিমত গালাগালি শুরু হল- আমার হাত আড়ষ্ট হয়ে যায়, অবশ হয়ে খিচুনি উঠে। কিপটে ছোদা পয়সা বাছায়, খলিফার কাছে নিতে পারে না, আমাকে খাটাতে চায়, আমি মরলেই খুশি- ইত্যাদি ইত্যাদি। চেহারা শরীর দেখে মনে হচ্ছে টানা একমাস না খেয়ে কঠিন পরিশ্রমের কাজে লিপ্ত আছে। এখন হাসান কিছু বললে আরো ক্ষেপে যাবে তাই বেচারা বউয়ের খেদমত শুরু করল, কিছুক্ষণ হাত টিপে দিল। তারপর বলল, তুমিই বার বার বলে কাপড় আনালে, আমি তো তোমাকে জামা বানাতে বলিনি এখন আমাকে দোষ দিচ্ছ কেন? সে কর্কশ ভাষায় বলল, আপনি যে চান আমাকে খাটাতে, আপনের মন রক্ষা করতে চেয়েছিলাম। হাসান বুঝল এবার ঝগড়া বেধে যাবে। সে আর কিছু না বলে কাপড়ের টুকরা গুলি হাতে নিয়ে বলল, আর বানাতে হবে না, বাকিটুকু আমি বাইরে সেলাই করে নেব। সে লাফ দিয়ে উঠে স্বামীর হাত থেকে কাপড় নেয়ার জন্য কাড়াকাড়ি করতে করতে বলতে লাগল, আমি কাজ করতে করতে মরব, আমি মরলেই তো আপনের শান্তি। এটা শেষ না করে আমি যাব না। স্ত্রীর জেদ সে জানে, কাপড় না দিলে হাঙ্গামা শুরু করবে। সে কাপড় ছেড়ে দিয়ে বলল, এত তাড়াহুড়ার তো দরকার নাই অল্প অল্প করে পনের দিন বা এক মাসে কর তাতে ক্ষতি কি? এখন চল। না সে যাবে না, এটা শেষ করে তারপর যাবে, অগত্যা হাসান চলে গেল।

কাছেই সরদার মসজিদে মাগরিব পরে বসে রইল। কষ্ট আর হতাশায় তার বুকটা ভেঙ্গে যাচ্ছে। একে তো সে নিজেই জামা বানানোর আগ্রহ দেখিয়েছে এখন দোষ চাপাচ্ছে তার উপর। সবচেয়ে বড় কথা যে মেয়ে একটু কাজ করলেই হাত পায়ে খিচুনি উঠে, অসুস্থ হয়ে যায় সে কিভাবে সংসার সামাল দিবে। আরো বাচ্চা কাচ্চা হবে। সংসারের কত কাজ কর্ম, তখন কী হবে? এমন একটা অথর্ব স্ত্রী নিয়ে সে জীবন সংসার কী করে পাড়ি দিবে। দুঃখ ও হতাশায় বেচারা ম্রিয়মান হয়ে পড়ে। কিছু কাজ বাকী রেখে ফেরদৌসী পরদিন বাসায় আসল। তারপর পনের দিনে জামা বানানোর কাজ শেষ করল। কিন্তু এমন জামা হল যে, নিজে গায়ে দিবে তো দুরের কথা ফকির মিসকনকে দেয়ারও যোগ্য ছিল না। অগত্যা সেটাকে বাসা ধোয়া মোছার কাজে লাগানো হল।

এর পর থেকেই তার মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে লাগল। এ পর্যন্ত বাসার যাবতীয় কাজ, মেয়েকে রাখা, কাপড় ধোয়া এমনকি গোসলের পর স্বামীর লুঙ্গি ধোয়া ইত্যাদি সব কাজ কর্ম সেই করত, স্বামীকে কাজের কথা বলত না, কাজের মেয়ে চাইত না। কিন্তু জামা বানানোর ঘটনার পর থেকে তার মধ্যে কাজে অনিহা ঢিলেমি ও উদাসীনতা দেখা দিল। হাসানকে বলতে শুরু করল, সব জামাইরা বউদের কাম কইর‍্যা দেয় আপনে আমারে কী কইর‍্যা দেন। ভারি কাপড়- চোপড় ধোয়া ও অন্যান্য কঠিন কাজগুলি আগে থেকে স্বামীই করত আর তখন থেকে সে বাসার টুকটাক কাজও শুরু করল, কয়েল জ্বালানো, মশারী টানানো। আগে থেকেই স্ত্রীর অভ্যাস ছিল- গোসল করে কাপড় রেখে আসত পরদিন ধৌত করত কিন্তু তখন থেকে স্বামীই তার কাপড় ধুয়া মেয়েকে রাখা ইত্যাদি কাজ শুরু করল।

তার দ্বিতীয় উপসর্গ দেখা দিল অসময়ে ঘুম। জহুরের সময় ও মাগরিবের পর ঘুমিয়ে পরত। হাসান ডেকে তুলত। কিন্তু ডেকে তোলার জন্য তখনো সে রাগ করত না, কাঁদত না বা স্বামীকে গালাগালি করত না। বরং স্বাভাবিক ভাবেই উঠে প্রয়োজনীয় কাজ করত। স্বাস্থ্যগত ভাবে সে ছিল দুর্বল। তজ্জন্য হাসান সর্বদা তার ঘুম খাওয়া ইত্যাদির প্রতি লক্ষ রাখত। অনেক সময় নিজের থালা থেকে ভাল কিছু তুলে দিয়ে খাওয়াত আর বলত তোমার শরীরটা দুর্বল ভাল-মন্দ বেশি বেশি খেতে হবে। দিন দিন তার ঝগড়ার মাত্রা বেড়েই যাচ্ছিল। হাসান তাকে উপদেশমূলক বা বুঝানোর জন্য কোন কিছু বললে সে দাঁত খিচিয়ে মাথা ঝাকিয়ে এমনভাবে ঝগড়া করত যে, কোন নারীকে এমন কুৎসিত মুখাভিনয় ও অঙ্গভঙ্গি করতে সাধারণত দেখা যায় না। হাসান তাজ্জব বনে যেত। প্রথম বাসায় তারা দুই মাস থাকল কিন্তু রান্নার ঝাঁঝ ঘরে ঢুকে, বাচ্চা ও তারা হাঁচি দিতে দিতে প্রাণ উস্টাগত হয়ে উঠে। এছাড়াও অন্যান্য সমস্যার কারণে জুন মাসে তারা দ্বিতীয় বাসায় চলে যায়।

বিষয়: সাহিত্য

১২২১ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

375999
০৭ আগস্ট ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : আমার মেয়েরাও আমার কাছে অনেক প্রিয়।মেয়েরা সাধারণত বাপ ভক্ত হয়। কারণ মেয়েদের জন্য পৃথিবীতে বাবাই একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়। চালিয়ে যান অনেক ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
376516
২০ আগস্ট ২০১৬ দুপুর ০৩:৫২
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File