চিঠি- ৯ (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ২৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:১২:০৯ দুপুর
জামাত যাবে ময়মনসিংহের ভালুকা। মসজিদ থেকে বেরিয়ে আমীর সাব হাসানকে বলল, এখানে আর জুতা কোথায় কিনবেন ভালুকা গিয়েই কিনেন। জামাত দেয়া হল ভালুকা বাজারের কিছুটা পুর্বে চেয়ারম্যান বাড়ির মসজিদে। এলাকায় পৌঁছে বুঝা গেল তাবলীগের প্রয়োজনীয়তা। মানুষ যেন ইসলাম চিনেই না, অথচ তাবলীগের আনাগোনা থাকলে এরা আগেই লাইনে উঠে যেত। এলাকার লোকজন মসজিদে আসত না। বারবার গাশত করে, দাওয়াত দিয়েও আনা যায় না। মসজিদ সংলগ্ন পশ্চিমের বাড়িতে জামাতের কয়েকজন গেল, কিন্তু সে লোক মসজিদে আসতে পারবে না তার কাজ আছে। আসলে কোন কাজ নেই, এমনিই আসবে না। অনেক বলার পরও যখন লোকটা আসবে না, তখন রংপুরের এক ভাই নুয়ে পড়ে তার পায়ে ধরতে গেল। তবে রক্ষে যে লোকটা পিছিয়ে গেল, পায়ে ধরতে পারল না। তা দেখে হাসানের বেদম হাসি পাচ্ছে, অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে সে হাসল। এটা কি উচিত না অনুচিত এ সম্পর্কে বিতর্ক থাকতে পারে, কিন্তু লোকটা আর কোন উচ্চ বাচ্য না করে তাদের সাথেই মসজিদে এল এবং যা কয়েকদিন ছিল তাদের সাথেই থাকত।
কিন্তু হাসানের সমস্যা হয়ে গেল, তাবলীগে তার শিখার কিছু ছিল না, তার যাওয়া শিখানোর জন্য। রংপুরের এক চেয়ারম্যান, তার ছেলে আরো কিছু লোক এরা নামাযের দোয়া দুরুদ বা কোন সুরা এমনকি কালেমাটা পর্যন্ত ঠিকমত জানে না। সে চাচ্ছিল যা কয়েকদিন থাকবে তাদেরকে সেগুলো ভাল করে শিক্ষা দিয়ে আসবে। প্রথম কিছু দিন রাত দিন খুব চেষ্টা করল, তাতে কারো কারো কিছুটা হল, কারো কারো কিছুই হল না। বিশেষত চেয়ারম্যান পিতা-পুত্র কিছুই শিখতে পারল না। তখন হাসান বসার জন্য তাদেরকে চাপ দিত, আর এটা তারা অনধিকার চর্চা মনে করত, তারা বসত না, চেয়ারম্যানের সাথে তো একদিন তর্কই হয়ে গেল। আমীর সাবকে বলল, বলে কয়ে তাদেরকে বসানোর জন্য। কিন্তু সে গায়ে মাখে না, এটা তারা তাবলীগের অংশ মনে করে না। অথচ নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া ও সুরা শিখানো তাবলীগের প্রধান বিষয় হওয়া উচিত। ছয় উসুল আর গদবাধা কিছু আলোচনার কোন মূল্য নেই।
আবার প্রথম প্রথম আমীর সাব আলোচনার জন্য হাসানকে দিত। সে তাবলীগের গদবাধা আলোচনা জানতও না করতও না। কোরআন হাদীস ভিত্তিক আলোচনা করত, এটা আমিরের কাছে ভাল লাগত না। তিনি দিনাজপুরের একজন প্রাইমারী স্কুল শিক্ষককে দিতেন, এ ব্যক্তি তাদের নিয়মানুযায়ী আলোচনা করত। এসব আলোচনা হাসানের শুনার-বুঝার ও মনোযোগ দেয়ার বা আন্তার খোরাক যোগায় এমন কিছু ছিল না। কারমাইকেল কলেজের একটা ছেলে তার খুব ভক্ত ছিল, খাদেমের মত সব কাজ করে দিত। কারণ তার বাবা ছিল আলিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল আর ভগ্নিপতি ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক।
হাসান বুঝতে পারল, তার দ্বারা ইসলামের অন্যান্য খেদমত কিছুটা হলেও হতে পারে কিন্তু এ তাবলীগে তার কোন কাজ নেই। কারণ অশিক্ষিত ও অজ্ঞ লোকদের নামায রোযা ও কিছুটা ইসলাম শিখানোর জন্য ছয় উসুল ও অন্যান্য কিছু নিয়ম কানুন প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলি রাসুল (সাঃ) প্রবর্তিত কোন বিষয়ও নয়, ফরয, ওয়াজিবও নয়। আবার এ গুলোতে আলেমদের জানার বুঝার ও আত্নার খোরাক কিছুই নাই। সঙ্গত কারণেই তার মনোযোগ বসত না, ভাল লাগত না, উঠে চলে যেত। হ্যাঁ আলেমদের কাজ হল অন্যদের সুরা ও দোয়া দরুদ ইত্যাদি শিখানো। কিন্তু তাবলীগের উসুল বা নিয়মের মধ্যে সম্ভবত এটা মানে সুরা মশক নেই বিধায় কেউ বসত না। ফলে তার অতি উৎসাহের কারণে অন্যদের সাথে দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেল। আবার বে-আলেম তাবলিগিরা তাবলীগের গদবাধা আলোচনা ছাড়া কোরআন হাদিসের আলোচনা পসন্দ করে না বিধায় আমিরের সাথেও তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়ে গেল।
তখনো হাতে হাতে মোবাইল পৌঁছেনি। দোকানের মোবাইল ভরসা। দিনে সে কয়েক বার দোকানে যায়, বাঘার মোবাইল বলে কয়ে পাঠায় বউয়ের কাছে। তারপর চলতে থাকে চ্যাটিং, কী গো আমার কপোতি, আমারে বনবাসে পাঠিয়ে তুমি তো খুব মৌজেই আছ, ঠ্যাং নাচিয়ে নাচিয়ে খাচ্ছ। এখানে তো আমার খাওয়ার নাই কোন ছিরিবিরি, থাকার নাই কোন ব্যবস্থা, মশার কামড়ে নায়িকাদের মত নাচতে হয়। আরেক বার থেইক্যা আমারে চিল্লার কথা কইলে তোমারে পাঞ্জাবি-টুপি-পাগড়ী পরাইয়া কাকরাইলে পাঠাইয়া দিমু। সমস্যা নাই, আমিই গিয়ে দিয়ে আসুম। বলব যে কম বয়সি ছেলে, তাড়াতাড়ি লম্বা হয়ে গেছে, দাড়ি গোফ গজায়নি। এস, এস, সি পরিক্ষার্থী, আল্লাহ্ বিল্লাহ করতে এসছে। জোয়ান তাগরা পোলাপানের জামাতে দেন না যেন, গুতাগুতি করবে। বুড়া-মুরুব্বীদের জামাতে দিয়েন। আর একটু লাজুক তো, অন্যদের থেকে দুরে দুরে থাকতে চায়, তাকে একটু আলাদাই থাকতে দিয়েন। তখন বউ তাকে মুরুব্বীর মত শাসাত, আল্লাহ্র কাম করতে গিয়ে এত কথা কিসের।
কখনো বলত কী গো আমার ময়না পাখি, একা একা বিছানায় থাক ঠাণ্ডা লাগে না, আমি থাকলে তো বিছানাটা গরম করে দিতে পারতাম, নাকি অন্য কেউ গরম করে দেয় ? সে ফুসে উঠত, অসভ্য জানোয়ার, নিজের বউয়েরে এমন আজে বাজে কথা কইতে মুখে বাধে না। এভাবেই চলতে থাকত।
হাসান ঈদ করল ভালুকা বাজার ঈদগাহে। বাংলাদেশের কোথাও বিদেশী ইমাম নামায পড়ায় কিনা জানা নেই, তবে এখানে ঈদের নামায পড়ায় বিহারের এক পীর। তিন পুরুষ ধরে এই পীরের পুর্ব পুরুষরা এখানে ঈদের নামায পরিয়ে আসছে। বিহার থেকে আসে আবার চলে যায়। এখানে একটা উল্টা জিনিস দেখা গেল। অন্যান্য ঈদগাহে নামাযের আগে ওয়াজ নসিহত করা হয়, কিন্তু এখানে নামাযের আগে রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য ঝাড়ল।
রমযানের ছুটি শেষ হয়ে গেছে, চলে আসতে হবে। সে বউকে কল করে বলল, তুমি জামালপুর এসে পর। সে বলল কাকে নিয়ে আসব ? হাসান বলল, আম্মা মানে শাশুরিকে বা তার ছোট ভাইকে নিয়ে চলে আসতে। না সে আসবে না। পর্দা ওয়ালী মানুষ, স্বামী ছাড়া আসলে নাকি তার পর্দা ফেটে যাবে। হাসান অনুনয় করে, আপা না, বোন না আমার, এসে পর, তোমার সাথে দেখা করে আবার আমি বাড়িতে যাব। না আসবে না, তাকে গিয়েই আনতে হবে। কিন্তু সে দিনে কয়েক বার করে কল করতেই থাকে। কখনো বলে আমার পাখি, আমার ময়না, আমার উড়াল পাখি। কখনো বলে, আমার হুতোম পেচা, আমার গোখড়া সাপ, আমার বিচ্চু, আমার ঈগল পাখি। তেল মারতে যখন মুখে যা আসে তাই বলে, সেও রাগ করে না, উপভোগ করে। সে বলতেই থাকে আস না গো, এতদুরে যাইতে আমার মন চায় না। তুমি আসলে একমন আদর দিব, একটুও কম দিব না। অবশেষে অনেক তেল মবিল মেরে রাজি করাল এবং ওয়াদা করাল যে, তার মাকে নিয়ে চলে আসবে।
পরেও একবার এডির বাসায় এমন হয়ে ছিল। হাসান বাড়ি থেকে এসে তাকে কল করে বলল, আম্মাকে নিয়ে চলে আস। কিন্তু সে তাকে ছাড়া আসবে না। বউকে ঘায়েল করার ঔষধ তখন তার জানা হয়ে গিয়েছিল। কারণ সে জানত বউ ভয় পায় যে, সে তাকে ফেলে চলে যাবে। তখন হাসান সেই ঔষধ কাজে লাগাল- তুমি যদি আজকে না আস তাহলে কিন্তু আমি বাড়িতে চলে যাব। বাহ অব্যর্থ ঔষধ। তিন ঘণ্টার মধ্যেই সে এডির বাসায় এসে উপস্থিত। সে আসলেই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে তার স্বামী চলে গেছে। কিন্তু তাকে দেখে আনন্দের আতিশয্যে কি করবে না করবে দিশা না পেয়ে এসে দুই হাতে স্বামীর দুই কান মলে দিল। তারপর মুখ ভেঙচিয়ে বলল, তুমি এখানে শুইয়া থাকবা আর আম্মা আমারে তোমার কাছে আইন্যা দিব তুমি এইতা করতা- তর্জনিটা খাড়া করে নাড়িয়ে নাড়িয়ে ইঙ্গিত করল। আসলে এ তারিখের কাজটা তার অন্যায় হয়ে গিয়েছিল, এজন্য সে দুঃখিত এবং লজ্জিত হয়েছিল। শাশুড়ি তার সাথে কথা না বলেই সম্ভবত রাগে চলে গিয়েছিলেন। অথচ সে ছিল শ্বাশুড়ির ভক্ত আর তিনি ছিলেন তার অনুরক্ত।
ভালুকা থেকে জামালপুর এসে এডির বাসায় গিয়ে দেখল আসে নাই। বড়াপার বাসায় গেল, না আসে নাই। ধপাস করে বসে পড়ল, মনটা বিগড়ে গেল। একমাস ধরে দেখা নেই। বেচারা মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে, প্রথমেই দরজা বন্ধ করে সাক্ষাতটা করে ফেলব। আর এ অবস্থায় আশা ভগ্ন হলে কি হয়, মেয়েরা না বুঝলেও পুরুষরা ভাল করেই বুঝে, তখন মেজাজ বিগড়ে যায়। আবার তাকে আনার জন্য সেই যমুনার তিরে যাইতে তার একদম মন চায় না। কথা দিয়েও কথা রাখল না, মনটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠল, নাঃ উকে শাস্তি দিব, আমি বাড়িতে চলে যাব।
কিন্তু তখন নিজেকে অসহায় মনে হল, কারণ শাস্তিটা তো তারই হবে, তার বউ একমাস কেন, একশ মাস সাক্ষাত ছাড়া থাকলেও ঘুমের কোন ব্যাঘাত হবে না। এখানেই তো ছেলেদের অসহায়ত্ব আর মেয়েদের বাহাদুরিত্ব। প্রচন্ড ক্ষোভ নিয়ে সে রওয়ানা হল। সংকল্প করল, গিয়েই আগে ওকে কয়েকটা থাপ্পড় দিয়ে তারপর বসবে। মেজাজ খিচড়ে থাকার কারণে বাসে এক যাত্রির সাথে ঝগড়া হল, যাত্রীটা বারবার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে মাথা তার কাঁধে ছেড়ে দেয়। আরেকবার সে মাথায় ধরে জোরে ধাক্কা মারল, বাসের দেয়ালে লেগে ব্যাথা পেল, ঝগড়া হল।
ক্ষ্যাপা মন নিয়েই গিয়ে হাযির হল শ্বশুর বাড়ি। বউ দরজা খুলেই সালাম দিয়ে একটা উচ্ছসিত হাসি দিল। কিন্তু হাসান উত্তর না দিয়ে অপাক্তেয় একটা দৃষ্টিপাত করে খাটের পাশে বসে অন্যদিকে ফিরে রইল। ফেরদৌসী কোন কথা না বলে এক দৃষ্টিতে স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু সে ফিরেও তাকায় না। একাত্মার দুটি দেহ কিন্তু কথা নেই। কিছুক্ষণ নির্বাক থেকে সে তার মাকে ডাকতে গেল। শ্বাশুরি এসে বেশ উচ্ছসিত আনন্দে জিজ্ঞেস করলেন, কী শিখলা কী জানলা ? আসলে তারা সবাই ভেবেছে তাদের জামাই হজ্ব করে এসেছে। আর জামাই জানে সে দেশ ভ্রমণ করে বা বলা যায় পিকনক করে এসেছে। এ আহাম্মকরা বুঝে না যে, একজন মুহাদ্দিসের জন্য তাবলীগে শিখার কিছুই নেই। শ্বাশুরি কিছুক্ষণ আলাপ করে চলে গেলেন।
বউ দাঁড়িয়ে থাকল, কিন্তু কেউ কথা বলল না। আর স্ত্রীর তো আত্মশ্লাঘা এত উচ্চাঙ্গের যে, সে স্বামীর সাথে উপযাচক হয়ে কথা বলবে না, কারণ তাতে সে ছোট হয়ে যাবে। কাজেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সে চলে গেল। এদিকে খাওয়ার সময় হয়ে গেছে, এনে খাওয়াল কিন্তু কথা হল না। তারপর বউ বেচারা কখনো স্বামীর এখানে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে, আবার মায়ের ওখানে চলে যায়। আবার আসে আবার যায়। কিন্তু ক্রোধে হাসান কথা বলে না, সে চাচ্ছে তার স্ত্রী অন্যায় করেছে, কথা দিয়েও যায়নি, কাজেই সেই আগে একটা কিছু বলুক। কিন্তু সে তো এমন দাম্ভিক স্ত্রী যে, মরে গেলেও স্বামীর সামনে নত হবে না। এভাবে মান অভিমানের মধ্যেই শুয়ার সময় হয়ে গেছে। হাসান দক্ষিণ দিকে ঠ্যাং লম্বা করে টেবিলে এক হাতে ঢেস দিয়ে বসে আছে। ফেরদৌসী মেঝেতে আরো কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল কিন্তু কেউ কথা বলল না। অবশেষে সে রাগে চ্যাং মাছের মত লাফিয়ে খাটে উঠে আড়াআড়ি শুয়ে পড়ল। তার মাথা স্বামীর পায়ে লেগে আছে। হয় এমনিতেই লেগেছে, অথবা ইচ্ছা করেই লাগিয়ে রেখেছে। আর তখনই স্ত্রীর প্রতি তার দাম্পত্য জীবনের একমাত্র অন্যায় কাজটি করে ফেলল। যা মনে হলে পরবর্তিতে সে লজ্বিত হত, দুঃখ পেত। আসলে এ দীর্ঘ সময়ে যদি অন্তত একটু কথা হত বা ঝগড়া হত বা একে অন্যকে গালি দিত তবুও বিষয়টা শেষ হয়ে যেত, গ্যাস বেলুনের মত ফুলে উঠত না। কিন্তু এখন তো চূড়ান্ত মুহুর্ত, ওর কাছে তো যেতে হবে, কাজেই তাকেই একটা কিছু করতে হবে। আর তখন পা দিয়ে স্ত্রীর মাথায় দুইটা গুতা মেরে বলল, এই পেত্নি এত করে বললাম গেলি না কেন।
কিন্তু ফেরদৌসির মত দাম্ভিক মেয়ের ক্ষেত্রে এটা বাঘিনীর গায়ে হাত দেয়া ছিল না, এটা ছিল সরাসরি আহত সিংহির পাছায় আঙ্গুল দেয়া। সে ঝটকা মেরে উঠে খাট থেকে লাফিয়ে পরে- আম্মা আম্মা বলে শাশুড়ির রুমের দিকে ছুটল। অমনি সে চমকে উঠে খপ করে তার চুলে ধরে হেচকা টান মারল। আর তখন স্ত্রীর হালকা- পাতলা দেহটা তার কোলে এসে পড়ল। সাথে সাথেই ঠোটের উপর ঠোট বসিয়ে দিল যাতে আর কথা বলতে না পায়। তারপর বিছানায় ফেলে চেপে ধরল।
হাসান মাঝরাতে পেশাব করতে উঠে গরমের জন্য বাতাসে ঘুরছে। কিছুক্ষণ পর দেখে তার বউ বেরিয়ে তাকে খুজছে। তার হাসি পেল, কারণ নিশ্চয়ই এ দাম্ভিক ও বোকা মেয়েটা ভাবছে, এই মধ্য রাতে তাদেরই বাড়িতে তাকে ফেলে তার স্বামী চলে গেছে। পরদিন স্ত্রীকে নিয়ে শহরে এসে পরল। কিন্তু ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তার ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে যেতে হবে। সে বারবার কল করে যেতে বলছে।
বিষয়: সাহিত্য
১৪৪৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন