আগ্নেয়গিরির উদগিরণ- ৯
লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ২৪ জুন, ২০১৬, ০৪:০৪:০৫ রাত
বাস্তবতার দর্পনে ইসলামিষ্টদের কর্মকান্ড-
(১২৫২ সালে বাগদাদ ধ্বংস) এতো গেল আটশত বছর পূর্বের ইতিহাস। আর এ ইতিহাসের অনুঘটক আলেম সমাজ। কারণ তাদের ফিরকাবাজি ও অপরিনামদর্শিতার কারণেই মুসলিম জাতি খোদার গজবে নিপতিত হয়েছিল। আর আটশত বছর পরেও বর্তমান আলেম সমাজ একটুও বদলায়নি। তারা বরং পূর্বের চেয়েও অধিক ফিরকা বিভক্তি সৃষ্টি করে উম্মাহকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছেন। মুসলিম জাতি বর্তমানে যে প্রলয়ের মুখোমুখি দাড়িয়ে- এর দায় আলেম সমাজ কোনভাবেই এড়িয়ে যেতে পারবেন না। তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত দুয়েকটি বিষয় উল্লেখ করছি।
আফগানিস্তানে রাশিয়ার পরাজয়ের পর তথাকার ইসলামী দল ও আলেমদের উচিত ছিল দেশের জনগণ এবং মুসলিম দেশগুলোর পরামর্শ এবং সমর্থনে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তা না করে তারা তালেবান জন্ম দিয়ে প্রতিপক্ষ মুসলমানদের হত্যা করে জনবিচ্ছিন্ন এবং মুসলিম দেশগুলির সমর্থনহীন একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করল। তারা আমেরিকার সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে দেশ ও জাতির ধ্বংস ডেকে আনল। তদুপরি তালেবানরা জিহাদের নামে, ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে মুসলিম হত্যা অব্যাহত রাখল, কিন্তু ফিলিস্তিন, আরাকানসহ অন্যান্য মজলুম মুসলমানদের বেলায় তারা নীরব, শান্ত, সুবোধ বালকের ভূমিকা পালন করল।
সর্বশেষ তারা পেশোয়ারে প্রায় ১৫০ নিষ্পাপ শিশু হত্যার মত একটি কুৎসিত ঘটনার জন্ম দিল, তাও আবার ইসলামের নামে। তখন ভারত বর্ষের ইসলামী দল ও আলেম সমাজ হায় হায় করে উঠল না, তারা তালেবানদের নিয়ে বসল না, তারা বলল না, এটা ইসলামের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অপরাধ। কারণ ইসলাম একটি নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানব জাতিকে হত্যার সমান অপরাধ বলে রায় দিয়েছে। কাজেই তখন তালেবানদের উৎস দেওবন্দের আলেমগণ এবং উপমহাদেশে এ ধারার আলেমদের উচিত ছিল তালেবানদের নিয়ে বসে আলোচনা করে, জনগণকে সম্পৃক্ত করে খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য সঠিক কর্মপন্থা অবলম্বন করা। কিন্তু ইসলামী দল ও আলেমগণ তা করেননি বিধায় ঐসব হত্যাকান্ডের দায় তারা এড়াতে পারেন না। কারণ প্রথমতঃ তালেবানের জন্ম দেওবন্দি ধারা থেকে, দ্বিতীয়তঃ এটা আমরে বিল মা’রুফের কাজ। তৃতীয়তঃ এটা খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য ফরয কাজ।
১৯৯১ সালে বুশ সিনিয়র যখন কুয়েত দখলের অজুহাতে ইরাক আক্রমণ করল, তখন মুসলিম দেশগুলির নেতৃবৃন্ধের উচিত ছিল, বুশকে থামিয়ে সাদ্দামকে সতর্ক করা-এ মুহুর্তে কুয়েত থেকে সৈন্য প্রত্যাহার কর, অন্যথায় সমগ্র মুসলিম বিশ্ব মিলে তোমাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করব। ভ্রাতৃঘাতি হানাহানিতে খাল কেটে কুমির আনার সুযোগ তোমাকে দেয়া হবে না। কিন্তু মুসলিম নেতারা নিজেদের ফরয দায়িত্ব পালন না করে বরং উম্মাহকে ধ্বংসের দায়িত্ব কাধে তুলে নিল। তারা সাদ্দামকে ধ্বংসের জন্য শত্রুকে নিজের ঘরে ডেকে আনল, এমনকি নিজেদের স্ত্রী-কন্যা-সম্পদ পর্যন্ত শত্রুর হাতে তুলে দিল। নেতৃবৃন্ধের গাদ্দারির পর ইসলামী দল ও আলেম সমাজের উপর ফরযে আইন ছিল এ আত্নঘাতি কর্মকান্ড প্রতিহত করা। বিশেষত মক্কা মদিনার ইমামদের কর্তব্য ছিল, প্রত্যেক দেশের ইসলামী দল, জাতীয় ইমাম ও গন্যমান্য আলেমদের নিয়ে সম্মেলন করে তাদের মাধ্যমে সমগ্র মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করা। তারপর নিজেরাই অথবা প্রত্যেক দেশের জনগণের মাধ্যমে শাসকদের ঐক্যবদ্ধ করে বুশকে বিদায় জানিয়ে সাদ্দামের বিচার করা। ইসলামী দল ও আলেমগণ এ পদক্ষেপ নিলে তৎকালীন ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা এড়ানো যেত। কিন্তু তারা ফরয দায়িত্ব পালন করেন নাই বিধায় ঐ পাপের দায়ভার তাদের বহন করতে হবে এবং আল্লাহ্র কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
ইতিহাস সাক্ষি, ইউরোপ বারবার পোপের আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করেছে। ১০৯৯ খৃষ্টাব্দে পোপ দ্বিতীয় আর্বানের আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ সম্মিলিত ইউরোপ ক্রুসেড পরিচালনা করেছিল, ফিলিস্তিনকে লোহিত সাগরে পরিণত করেছিল। সুলতান সালাহ উদ্দিন আইয়ুবী ১১৮৭ সালে খৃষ্টীয় ক্রুসেডারদের মারতে মারতে নাকের ডগায় দম নিয়ে আসেন এবং জেরুজালেম পুনরুদ্ধার করেন। আর এ সংবাদ শুনে পোপ ৩য় আর্বান হার্ট এটাক করে মারা যান। তারপর পোপ ৭ম গ্রিগোরি আবার ক্রুসেডের ডাক দেন।
উসমানী খিলাফতের আমলে পোপের আহ্বানে সম্মিলিত ইউরোপীয় নৌবহর মুসলিম নৌবহর আক্রমণ করেছিল এবং পরাজিত হয়েছিল। আরো বিভিন্ন সময় তারা পোপের আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে। অথচ মুসলমানদের পোপ মক্কা মদিনার ইমামরা কোনদিন জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার দায়িত্ব পালন করেনি। খৃস্টীয় পোপ মুসলমানদের আক্রমণ করার জন্য, ধ্বংস করার জন্য, খৃষ্টানদের একতাবদ্ধ করেছে কিন্তু মক্কা মদিনার ইমামরা আক্রমণ তো দুরের কথা, আক্রমণ প্রতিহত করতে, উম্মাহকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে কখনো ঐক্যের ডাক দেয়নি। অথচ খৃষ্ট ধর্ম এবং বাইবেলে এমন কোন বিধান নেই যে, খৃষ্টানদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বা পোপের উপর ধর্মিয়ভাবে এমন কোন নির্দেশনা নেই যে, ঈসায়ী জগতকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। কিন্তু এর পরেও যুগে যুগে পোপরা সে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পক্ষান্তরে ইসলাম ঐক্য ফরয ও বিভক্তি হারাম করেছে। আর আলেমদের উপর উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ রাখার দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে। হায় আফসোস, ইসলামের আলেমরা উল্টো দায়িত্ব পালন করছেন। তারা জাতিকে শত শত ফিরকায় বিভক্ত করে পরস্পরের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন যোগপৎ তারা নিজেরা নিজেরা কামড়া কামড়ি করে তো ধ্বংস হচ্ছেই, সেই সুযোগে কাফেররা তাদেরকে ধ্বংসের সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে। বিশেষতঃ মক্কা মদিনার ইমামদের উপর ফরয ছিল উম্মতকে ঐক্যবদ্ধ করে এ ধ্বংসলীলা থেকে বাচানো। তারা অন্তত পোপদের নিকট থেকে শিক্ষা নিতে পারত। কিন্তু তারা তো জাতির ইমাম (নেতা) নয় বরং চাকরের দায়িত্ব পালন করছে। কয় টাকার বিনিময়ে চাকরি করছে, উম্মাহর কোন দায়িত্ব পালন করছে না- বিধায় আজ জাতি ধ্বংসের শেষ প্রান্তে উপনিত হয়েছে। কাজেই আমরা চাকর চাই না, ইমাম (নেতা) চাই, যারা উম্মাহকে নেতৃত্ব দিয়ে ঐক্যবদ্ধ করবে, জাতিকে রক্ষা করবে।
বুশ জুনিয়র ২০০১ সালে আবার ইরাক আক্রমণ করে। মার্কিন মুল্লুকের বশংবদ না হওয়ার কারণে সাদ্দামকে শয়তানের অক্ষ ঘোষণা দিয়ে, পরমাণু অস্ত্র মজুদের অপপ্রচার চালিয়ে ইরাকের উপর ধ্বংসলীলা চাপিয়ে দেয়া হয়। তখনো মুসলিম নেতৃবৃন্দ এ যুদ্ধ মীমাংসার কোন উদ্যোগ তো নেয়ই নি বরং সৌদি আরব, পাকিস্তান ও অন্যান্য দেশগুলি কার আগে কে শত্রুদের নিজের দেশে জায়গা দিতে পারে তা নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু করল। ফলে রাসূল (সাঃ) যে পুন্য ভুমিতে মুশরিকের প্রবেশ হারাম করেছিলেন, রাসূলের স্মৃতিবিজড়িত জন্মভুমি সেই মক্কায় বসেই খৃষ্টানরা তার উম্মত ধ্বংস করল। ফের একবার ইরাক ধ্বংস স্তূপে পরিণত হল। লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা পড়ল। মুসলমানদের ধন-সম্পদ, সহায়-সম্বল সব কিছুই ধ্বংস হল। অথচ তখন মক্কা মদিনার ইমাম ও আলেমগণসহ পৃথিবীর কোন আলেমই এ বর্বরতা প্রতিরোধের কোন উদ্যোগ গ্রহন করেন নি। কিন্তু এ আক্রমণ যদি ইউরোপে হত তাহলে নিশ্চয়ই পোপ খৃষ্টানদের ঐক্যবদ্ধ করে তা প্রতিহত করে দিত।। কিন্তু আলেম নাম ধারি ইসলামের পোরুহিতরা কোন দায়িত্বই পালন করলেন না বিধায় এ পাপের দায়ভার তাদের বহন করতে হবে।
ইরাক ধ্বংসের ষোল কলা পূর্ণ করে মোড়লরা চলে গেল। কিন্তু পশ্চিমারা জানে মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও সম্পদ ব্যতীত তাদের সভ্যতার চাকা অচল হয়ে যাবে বিধায় তারা সেখানে নিজেদের স্থায়ী স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষে আবার মুসলিম জগতকে আগ্নেয়গিরিতে পরিণত করল। শিয়া বনাম সুন্নী, গনতন্ত্র বনাম রাজতন্ত্র ইত্যাদির বিরোধ উস্কে দিয়ে চির সমৃদ্ধ আরব দেশগুলিকে ধ্বংস স্তূপে পরিণত করেছে। মিসরের নির্বাচিত সরকারকে অপসারণ করে ইসরাইল পন্থী স্বৈর শাসককে ক্ষমতায় বসিয়েছে। ফলে ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, মিসর, লেবানন, তিউনেসিয়া ইত্যাদি দেশগুলিতে আজ মুসলমানরা মানব বিপর্যয়ের সম্মুখিন হয়েছে। শিয়া, সুন্নী, রাজতন্ত্রী, গনতন্ত্রী একে অন্যের রক্ত পিপাসু হয়ে উঠেছে। এসব দেশে অন্যুন পনের লক্ষ মানুষ হত্যাযজ্ঞের স্বীকার হয়েছে। তছনছ হয়ে গেছে তাদের জীবন চক্র, ধুলিস্মাৎ হয়ে গেছে সহায়-সম্বল-সম্পদ, বাড়ি-ঘর।
বিত্তবান ধনি সমৃদ্ধ পরিবার গুলি বাস্তুহীন উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ বিভিন্ন দেশে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আশায় নিজেদের প্রিয় জন্মভুমি ছেড়ে মরুপথে, সমুদ্র পথে দেশ ছাড়ছে। হাজার হাজার মানুষের সলীল সমাধি রচিত হচ্ছে, নারী শিশুর লাশ সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে, জলজ ও বন্য প্রাণীর খাদ্য হচ্ছে। কেউ কেউ বিদেশ বিভুইয়ে অনাহারে অর্ধাহারে মারা পড়ছে। কেউ কেউ অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে জেলে ঢুকছে। ইরাক, সিরিয়া, ইয়ামেনে মহাকালের শ্রেষ্ঠ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। জাতীসঙ্গের ভাষায় এ পরিস্থিতি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের চেয়েও আরো ভয়ঙ্কর। আবাল বৃদ্ধ বনিতা আর অসহায় মানবতার আর্তনাদে গলে যাচ্ছে কঠিন পাষাণ, কেঁপে উঠছে আরশে আজিম। কিন্তু গলছে না শুধু মুসলিম নিধনে উন্মত্ত ইহুদী- খৃষ্ট সৃষ্ট দুষ্ট চক্রের হৃদয়, গলছে না মুসলিম জাতির অভিশাপ আলেম সমাজ ও নেতৃবৃন্দের হৃদয়।
এখন প্রশ্ন হল, এ বিপর্যয় যদি ইউরোপে দেখা দিত তাহলে পোপ কি করত ? অবশ্যই পোপ সমগ্র খৃষ্ট জগতকে ঐক্যবদ্ধ করে তা প্রতিহত করত। কাজেই এখন আমাদের মূল প্রশ্নটা হলো, ইসলামী দল ও আলেম সমাজ কি তাদের দায়িত্ব পালন করছে? মক্কা মদিনা, আল আযহার, দেওবন্দ, তেহরান ইত্যাদি মুসলিম কেন্দ্রগুলির ঈমাম ও আলেমগণ কী মুসলিম নেতৃবৃন্দের প্রতি বা ও আই সি-এর প্রতি এমন আহ্বান জানিয়েছে যে, পাকাফগান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, মিসর ইত্যাদি দেশগুলির সমস্যা সমাধান কর, অন্যথায় আমরা জিহাদ ঘোষণা করব।
অথবা তারা আইসিস, তালেবান, বুকো হারাম, আলকায়েদা, সিসি, বাসার ও অন্যান্যদের নিয়ে কি বসেছে, আলোচনা করেছে? অথচ ইসলামী দল ও আলেমগণ এ পদক্ষেপ নিলে অবশ্যই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। তাও না হলে মুসলিম বিশ্বের ইসলামী দল ও আলেমদের নেতৃত্বে খিলাফত বা এ জাতীয় কোন সংস্থা গঠন করে পৃথিবীর সকল আলেমকে ঐক্যবদ্ধ করে, তাদের মাধ্যমে সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে খুব সহজেই একতাবদ্ধ করতে পারতেন। আর তখন শুধু ঐসব সমস্যার সমাধানই হতো না বরং ইহুদী খৃষ্ট ও ব্রাহ্মন্য চক্রের গোলামি থেকে উম্মাহ মুক্তি পেত, বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিতও হতে পারত। কিন্তু না, আলেমরা তাদের উপর ফরয দায়িত্ব পালন করলেন না। তবে পালন করলেন হারাম দায়িত্ব, তারা শত শত ফেরকায় উম্মাহকে বিভক্ত করে ফিরকাবাজি করে, একে অন্যের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে জাতি ধ্বংসের কাজটি সুচারুরূপে আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।
কাজেই যারা উম্মাহকে রক্ষা করার ব্যাপারে কোন দায়িত্ব পালন করে না, পদক্ষেপ নেয় না, নিতে পারে না বরং উম্মাহ ধ্বংসের ষোল আনা উপকরণ যোগান দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে, তারা কি উম্মাহর শত্রু না মিত্র, তাদেরকে উম্মাহর কি প্রয়োজন? মুসলিম জাতির জন্য বড় শত্রু কে, আলেম নামের এ পোরুহিতরা নাকি ইহুদী খৃষ্টান ও ব্রাহ্মন্য চক্র ? আজ উম্মাহর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সর্ব বিধ্বংসি আলেমরা ঐক্যের পথে না এলে তাদেরকে প্রয়োজনে হত্যা করতে হবে, জাতিকে এদের অভিশাপ মুক্ত করতে হবে। পৃথিবীর দৈর্ঘ্যে প্রস্থে এদের নিঃশ্বাস হারাম করে তুলতে হবে। অন্যথায় এ জাতির মুক্তির দ্বিতীয় কোন পথ নেই। তদুপরি আলেম যালেম যে কেউ ঐক্যের পথে না এলে সে কাফের বলে গন্য হবে, তাকে হত্যা করা আবশ্যক। এটাই রাসূলের (সা) নির্দেশ—
20714 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلَاقَةَ، عَنْ عَرْفَجَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ خَرَجَ عَلَى أُمَّتِي وَهُمْ مُجْتَمِعُونَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمْ فَاقْتُلُوهُ كَائِنًا مَنْ كَانَ»
নবী করীম (সাঃ) বলেন, ঐক্যবদ্ধ আমার উম্মতের বিরুদ্ধে যদি কেউ বের হয় এবং তাদের মধ্যে বিভক্তি আনয়নের চেষ্টা করে তাহলে তোমরা তাকে হত্যা কর। সে যত বড় কেউ হউক না কেন?
অনন্তর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিপর্যস্ত ও বিধ্বস্থ মুসলিম দেশগুলির শরনার্থী আশ্রয়ের জন্য খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ শর্ত দিয়েছে। ফলে শত শত রিফিউজি জীবন বাঁচানোর তাকিদে খৃষ্ট ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। আর ইসলামের বিধান হচ্ছে কেউ ইসলাম ত্যাগ করলে তাকে মৃত্যুদন্ড দিতে হয়। কিন্তু এসব উদ্বাস্তুরা জীবন বাঁচাতে খৃষ্টান হয়ে গেছে বিধায় তাদের উদ্বাস্তু হওয়ার মুল অনুঘটক ইসলামী দল ও আলেম সমাজের উপর সেই বিধান অর্থাৎ মৃত্যুদন্ড প্রযোজ্য হওয়া উচিত। কারণ আলেম সমাজের উপর রাসূল (সাঃ) এর অর্পিত দায়িত্ব তারা পালন করলে কোন মুসলমানকে উদ্বাস্তু হতে হতো না। কাজেই এর দায় আলেমদের উপর বর্তাবে।
বিষয়: রাজনীতি
১২৫৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন