চিঠি- ৩ (সত্য ঘটনা অবলম্বনে এক অনন্য ট্রাজেডি)
লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ২০ মে, ২০১৬, ১১:১৭:১৮ সকাল
কোনদিনই বিশাল বিত্তবৈভবের উচ্চাভিলাষ ছিল না। পার্থিব প্রয়োজনগুলি স্বাভাবিকভাবে পূরণ হলেই যথেষ্ট। নিজের শিক্ষা দীক্ষার উপর একটা আস্থা ছিল, কোথাও না কোথাও কোন কর্মসংস্থান হয়ে যাবে। তাছাড়া পৈতৃক ভূসম্পত্তিও একেবারে মন্দ ছিল না। কাজেই শ্বশুরের সম্পদের প্রতি লোভাতুর থাকার কারণ ছিল না। পূর্ব থেকেই স্বপ্ন ছিল এমন একজন জীবন সাথী পাওয়া-যার মধ্য নারীত্বের সকলগুণ বিদ্যমান থাকবে। যার পেলব বাহু বন্ধন অতীত জীবনের সকল দুঃখ যন্ত্রনা ভুলিয়ে দিবে। আমার অতীত দুঃখময় জীবনের সকল গ্লানি মুছতে এটা একান্তই প্রয়োজন ছিল। যাকে নিয়ে আমি সুখের স্বর্গ গড়ে তুলব, ঘর হবে আমার বেহেশত।
জামালপুর আসার পর অনুসন্ধান শুরু করলাম আমার স্বপ্নের রাজকুমারীকে। পাত্রী দেখতে আমি কোথাও যেতাম না। নিজের এলাকায় হলে মেয়ে মহলে পাত্রী দেখার জন্য মাকে বা মামীকে পাঠাতাম, বোনের এলাকায় হলে বোনকে বা তার শ্বাশুরিকে পাঠাতাম বা অন্য কোন প্রকারে খোজ খবর নিতাম। ইচ্ছা ছিল আগে চয়েজ করে যাকে বিয়ে করব একমাত্র তাকেই দেখব। কিন্তু এ অভিজ্ঞতা সবারই আছে মনের মত পাত্রী বা পাত্র পাওয়া কতটা কঠিন। প্রত্যেক পাত্র পাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা তা হারে হারে টের পায়। অবশ্য আমাকে একাই তা টের পেতে হয়েছিল। কারণ আমার কোন অভিভাবক ছিল না।
এক্ষত্রে ফয়সালা এটাই ছিল যে, কোন ধনবান বিত্তবান বাবার কন্যা হওয়া দরকার নাই, কোন রকম মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত এমনকি দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হলেও চলবে। তবে শর্ত হল, মেয়ের বাবা যেন পরিচয় দিবার মত হয়, দ্বীনদার ও খ্যাতিমান হয়। তদুপরি যৌতুকের লোভ তো কোন দিন ছিলই না বরং ভাল পাত্রীর জন্য দেয়ার মানসিক প্রস্তুতি ছিল। বাঙালি বাবারা সাধারণত মেয়ে নিয়ে ব্যবসা করে না। ভাল পাত্রীর বাবারা শর্ত লাগায় আমার মেয়েকে এত ভরি স্বর্ণ, এত টাকা মোহর দিতে হবে। অর্থাৎ মেয়ের মঙ্গলের জন্য তারা বিভিন্ন শর্তারোপ করে। আর যে কোন শর্তে আমি প্রস্তুত ছিলাম।
একদিন আসরের নামাযের পর আলেম ধরনের একজন লোক আমার রুমে প্রবেশ করল। আমার পরিচয়ের পর তিনি নিজের পরিচয় দিলেন, বাড়ি ময়মনসিংহ, ইসলামীক ফাউন্ডেশনের এসিস্ট্যান্ড ডিরেক্টর বা এডি। এক সময় আমার বাবার মাদরাসায় পড়তে গিয়েছিলেন। তখন তিনি তাকে লজিং করে দেয়া ও অন্যান্য দেখবাল করে ছিলেন। এজন্য সে আমার বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ। তারপর শুরু হল দীর্ঘ আলাপ। সে আমার ব্যক্তি, পরিবার, ভাইবোন, শিক্ষা, সম্পদ, চরিত্র ইত্যাদি বিষয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন করছে আর আমার নাড়ির ও হাড়ির খবর নিচ্ছে। বুঝতে পারলাম, আসলে সে পাত্র দেখতে এসেছে এবং আমাকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছে। আমার পর্ব শেষ করে নিজের পর্ব শুরু করল। আট বোনের মধ্যে সর্ব কনিস্ট, তার শ্যালিকা। নাম্বার ওয়ান সুন্দরী, পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি লম্বা, এস এস সি পাশ করেছে, অতুলনীয় মেধাবী, উচ্চ বংশীয়। জমাজমি খুব বেশি নাই, সাত আট একরের মত আছে। তার শশুর একজন স্কুল মাস্টার হলেও আলেমের মত জীবন যাপন করতেন। নিজে মসজিদ ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেছেন। বিনে পয়সায় নিজেই ইমামতি করতেন। নিজের জমিতে নিজ প্রচেষ্টায় মাদরাসা গড়ে তোলেছেন। মেয়ে হস্ত শিল্পজাত কাজে অতুলনীয়, তাবলীগী পরিবার। তার নানা শ্বশুর ছিলেন জমিদার। তারপর শ্বশুর ও নানা শ্বশুরের পরিবারের অতীত ঐতিহ্য, তাদের কীর্তি ইত্যাদি বিষয়ে দীর্ঘ বয়ান শুরু হল, অবশেষে আমার বায়োডাটা লিখে দিতে বলল এবং পরদিন ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যাওয়ার দাওয়াত দিয়ে সে যখন বেরিয়ে যায় তখন রাত বারটা।
মনে মনে বললাম, যা খুঁজছি সম্ভবত তা পেয়ে গেছি। পরদিন ফাউন্ডেশনে গেলাম। সে আমাকে বাসায় নিয়ে চলল। যাবার সময় রাস্তায় প্রথম শ্রেণীর সুন্দরী কয়েকটা মেয়ে দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার শ্যালিকা কী এদের মত? সে বলল এদের চেয়েও ভাল। আসলে লোকটা ছিল সহজ সরল, সাদা মাটা। সে কী বলত নিজেই বুঝত না। দুদিন পর এক মাদরাসায় আমাকে ডাকা হল। মাগরীবের পর সবাই বসল। সেখানে তাদের সাত ভায়রা উপস্থিত। দেখতে ফেরেশতার মত, সাদা পাজামা পাঞ্জাবি পাগরি, সবাই তাবলীগী। দেখে আমার খুব ভাল লাগল। দুয়েক জন বাদে সবাই সরকারি চাকুরে। পরিচয় হল, প্রথমজন ইঞ্জিনিয়ার, দ্বিতীয়জন খুলনায় এক কলেজে চাকরি করে, তৃতীয় ব্যবসায়ী, চতুর্থ এডি, পঞ্চম ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সাধারণ চাকুরে, ষষ্ট পি, এইচ, ডি গবেষণারত, সপ্তম কলেজের শিক্ষক, অষ্টম জিনিসটার শুন্য পদে আমাকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।
সবাই সাদামাটা আলাপ করল। বড় দুলাভাই বলল, সর্ব জেস্ট ও কনিস্ট দুই ভাই, মাঝখানে পিঠাপিঠি আট বোন, সকলের ছোট বোন, ধন সম্পদ নাই, দরিদ্র পরিবার, বাবা নাই। আমি কৌতুক করে বললাম, কী দরকার! সাত দুলা ভাইয়ের বাড়িতে খেলেও তো সাত দিন চলে যাবে। আলাপ শেষ করে এশার নামাযের পর পাত্রী দেখতে চললাম। আমার সাথে উক্ত মাদরাসার কয়েকজন শিক্ষক যারা আমার বাবার ছাত্র এবং আমার কয়েক জন সহকর্মী। মেয়ের বাবা নাই। বড় দুলাভাই ইঞ্জিনিয়ার, তার বাসাতেই থাকে। বাসায় ঢুকতে রাস্তার বাকে গিয়ে বজলু দুলাভাই বলল, আমাদেরটা কাল, আপনারটা সুন্দর। জহির নামে আরেক দুলাভাই যার বাড়ি ময়মনসিংহ সে বলল, আপনারটা খুব কর্মঠ। তাকে যদি বলেন দুইশ মানুষকে একাকি রেধে বেড়ে খাওয়াতে সে সুচারুরূপে আঞ্জাম দিতে পারবে। কিন্তু তার বড়টা সারা রাত নামায পড়তে পারবে বটে তবে কাজে অথর্ব।
সামগ্রিক আলোচনায় পাত্রী সম্পর্কে যে ধারণা পেলাম এবং আগে বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে যা জানতে পারলাম, তাতে আমার মনটা আনন্দে ভরে উঠল। মনে হতে লাগল আমার সারা জীবনের দুঃখ কষ্টের বিনিময় পেতে যাচ্ছি। আমি তো যৌতুক বা উচ্চ শিক্ষিত বউ চাই না। আমি চাই মনের মত একজন জীবন সাথী। যার জন্য আমি সারা জীবন তপস্যা করেছি। মানুষের কমন চাহিদার বিপরীতে আমি তো আজীবন এমন কাউকেই চেয়েছিলাম-যার বাবা থাকবে না, তেমন ধন সম্পদ থাকবে না। কারণ বাবা থাকলে ও ধনবান থাকলে সাধারণত মেয়েরা অহংকারী হয়। বাবার বাড়ির খোটা দেয়, দু’দিন পর পর বাবা বাড়ি দৌড় লাগায়। এরা স্বামীর উপর নির্ভরশীল হয় না। অথচ আমি চাই সে হবে একমাত্র আমার উপর নির্ভরশীল, একান্তই আমার আর আমি তো পূর্ব থেকে তা হয়েই আছি।
এখন আমার সেই চির কাঙ্ক্ষিত মহাজন বসে আছে আমারই প্রতিক্ষায়। আমার সেই সাধনার ধন ঐ বাসায় লুকিয়ে আছে ঝিনুকের মধ্যে যেভাবে মুক্তা লুকিয়ে থাকে, এখন আমি তাকে উদঘাটন করব। এভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে পাত্রীর অপেক্ষায় একটা রুমে বসে থাকলাম। কিছুক্ষণ পর সবাইকে বের করে দেয়া হল এবং মেয়ের ভাগ্নে পাত্রী নিয়ে এল। কারণ এরা অন্য কারো সামনে যায় না। একটা চেয়ারে বসল। আমি বিছানায় বসা ছিলাম। একটু এগিয়ে এসে নাম, শিক্ষা, ভাই বোন, বাড়ি কোথায় ইত্যাদি কিছু কমন প্রশ্ন করলাম। উত্তর দিল না। পাজামা কামিজ পরে উড়নাটা মাথা থেকে বক্ষ বরাবর ঢেকে দিয়েছে। মুখ দেখতে চাইলাম, কয়েকবার বললাম, দেখাল না। ছেলেটা মুখ থেকে উড়না সরানোর চেষ্টা করল, দিল না, দু’হাতে উড়না চেপে ধরল। চুল দেখতে চাইলাম তখন ছেলেটা পিঠের উপর পড়ে থাকা হালকা এবং কিছুটা লম্বা চুল দেখাল। কয়েকবার দাড়াতে বলার পর দাঁড়াল এবং হেটে পাশের রুমে চলে গেল।
আমার পায়ের তলার মাটি দুলে উঠল। কী শুনলাম আর কী দেখলাম, কী দেখলাম তাও জানি না। জামার উপর দিয়ে হাত যতটুকু দেখলাম তালপাতার সেপাই বলে মনে হল। জীবনে কখনো এতটা অসহায়ত্ব বোধ করিনি। ইতিবাচক কিছুই তো পেলাম না। আমি চলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রুম থেকে বের হলাম। কিন্তু আমার সাথী যারা বাইরের রুমে বসা ছিল তারা কেউ নেই। একজন বলল বাজারে গেছে। তাদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণ পর তারা এল। দেখে তো আমার মুখ শুকিয়ে গেল। তারা বাকিতে বিয়ের শাড়ি, নাকফুল ও বিয়ের অন্যান্য সওদা নিয়ে এসেছে। আমি বললাম, আমাকে না জানিয়ে আপনারা একি করলেন, বিয়ে তো হবে না। তারা অবাক হয়ে গেল। তারা জানে সবই ঠিকঠাক, মেয়েও ভাল তাহলে বিয়ে হবে না কেন, মেয়ে পসন্দ হয় নি? আমি বললাম মেয়ে তো আমি দেখতেই পারিনি।
তারা আবার মেয়ে দেখার ব্যবস্থা করল। আবার রুমে ঢুকলাম। জোরজার করে কিছুটা দেখলাম। বুঝতে পারলাম মেয়েটা আপাদমস্তক রেগে আছে। তাকে প্রশ্ন করলাম, এ বিয়েতে কি আপনার সম্মতি নাই? সে রুক্ষ ভাষায় জবাব দিল, আমি আমার অভিভাবকদের অবাধ্য নই। এবার যা দেখলাম একটা সাধারণ মেয়ে যা সাধারণের জন্য পসন্দনীয়। কিন্তু আজীবন আমি যে নিখুত সুন্দরী জীবন সাথীর কল্পনা করেছি, যাকে নিয়ে আমি রচনা করব সুখের স্বর্গ, এ মেয়ে তার ধারে কাছেও ছিল না। আবার তার ভগ্নিপতিরা মেয়ের যে বর্ণনা দিয়েছে এবং আমিও বিভিন্ন জায়গা থেকে যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেছি সেসব বর্ণনার সাথেও এ মেয়ের কোন মিল ছিল না। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত চলে যাব, রুম থেকে বেরিয়ে সাথীদের বললাম চলুন যাই। তারা অবাক, রীতিমত আমাকে জেরা শুরু করল। আমি কী উত্তর দিব, আসলে মেয়ে আমার চাহিদানুযায়ি হাই চয়েজ না হলেও যা আছে চলে এবং ভাল রূপেই চলে। কিন্তু মেয়ের ব্যবহার আমাকে সন্ধিগ্ন করে ফেলেছে। বাপ নাই, নিশ্চয়ই এ মেয়ের কোথাও পসন্দ বা সম্পর্ক আছে। সাথীদের বললাম, মেয়ে মাত্রারিতিক্ত শুকনা। একজন গিয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে ডেকে জিজ্ঞেস করল, সে বলল, এদের বোনেরা সবাই বিয়ের আগে শুকনা থাকে কিন্তু বিয়ের পর মুটিয়ে যায়, তখন যেন আবার না বলে বেশি মুটিয়ে যাচ্ছে ভার বইতে পারছি না। এ নিয়ে তারা হাসাহাসি করল। আর আমাকে বুঝাল, এমন আত্মীয়ও পাবেন না, এমন মেয়েও পাবেন না, অমতের কোন কারণ নাই, বিয়ে হয়ে যাক।
এবার আমি বললাম, মেয়েটা সম্ভবত বিয়েতে রাজি নয়, অন্য কোথাও পসন্দ থাকতে পারে, সে আমার সাথে এমন এমন আচরণ করেছে। তারা বলল, সর্বনাশ এ পরিবার সম্পর্কে এমন ধারণা করা যাবে না। আমি বললাম, আচ্ছা ঠিক আছে এখন চলুন যাই, দুয়েক দিন পরে চিন্তা ভাবনা করে কাজ করা যাবে। তারা কেউ আমাকে বুঝাতে লাগল, কেউ রাগারাগি শুরু করল, এমন তো আপনি কোথাও পাবেন না। এই গড়িমসির কি কারণ থাকতে পারে ইত্যাদি ইত্যাদি বুঝানো ও রাগারাগি এক সাথে চলতে লাগল। আসলে সবাই চাচ্ছিল বিয়েটা হয়ে যাক। আমি ভীষণ ভাবে বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম। এখানে আমার আপনজন কেউ ছিল না, পরিস্থিতির উপর নিজেকে সমর্পন করলাম।
বিয়ে হয়ে যাবে, আমার কান্না পাচ্ছে। শুধু বাবার কথা মনে হচ্ছে। এ মেয়েকে নিয়ে আমি সুখি হতে পারব না। অসহায় হয়ে ইঞ্জিনিয়ারকে তার রুম থেকে ডেকে আনলাম, দেখতে একজন ফেরেশতার মত মানুষ। একান্ত কাতরভাবে তার হাত ধরে ফেললাম, আকুল হয়ে তাকে বললাম, ছোট বেলা থেকে আমার বাবা নাই, বড় ভাই নাই, আপনিই আমার বড় ভাই। এখন মেয়ের অন্য কোথাও সম্পর্ক আছে কিনা তাতো জিজ্ঞেস করা যায় না। কাজেই বললাম ওকে কি আগে কেউ দেখেছে? সে বলল, একবার মাত্র ঢাকার একটি ছেলে দেখে ছিল। আবার এত স্বাস্থ্যহানি কেন প্রশ্ন তো করা যায় না, কাজেই প্রশ্ন করলাম, জটিল কোন সমস্যা বা রোগ পীড়া আছে কি না? সে বলল গ্যাস্টিক ছাড়া অন্য কোন রোগ নেই। তারপর বলল, আপনি চিন্তা ভাবনা করেন, সময় তো আছেই, এত তাড়াহুড়ার দরকার নাই।
একটা সুযোগ পেলাম। ওদিকে বিয়ের প্রস্তুতি চলছে। এক সাথীকে ডেকে বললাম, আমি চলে যাচ্ছি পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে। সে ধমকে উঠল এবং আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে খাটে বসিয়ে দিল। বিয়ের সময় পাশের রুম থেকে মেয়েটির আকুল কান্নার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। তার কান্নার প্রতিটা রেশ আমার কানে আসছিল আর মনে হচ্ছিল আমার হৃদপিণ্ড থেকে এক কেজি করে রক্ত শুকিয়ে যাচ্ছে। শুধুই আব্বার কথা মনে পরছে আর কান্না পাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছিল এ মেয়েকে নিয়ে আমি জীবনেও সুখি হতে পারব না। কারণ সম্ভবত মেয়েটি বিয়েতে রাজি নয়। আসলে পাত্রী সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না। এটাই ছিল আমার জীবনে প্রথম পাত্রী দেখা। বিয়ে হয়ে গেল আর আমাদেরকে বিদায় করে দেয়া হল।
বিষয়: সাহিত্য
১৩১২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন