চিঠি-৬ (সত্য ঘটনা অবলম্বনে এক অনন্য ট্রাজেডি)

লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ১৫ মে, ২০১৬, ১০:৩৮:৩৮ সকাল

হাসানের বাসা থেকে ১০০ গজ দুরে প্রতি বছরের মত এবারও তিন দিন ব্যাপি মেলা বসেছে। মেলা যদিও হিন্দু সংস্কৃতির একটা অংশ। কিন্তু এখন আর এটা হিন্দু সংস্কৃতি নয়, এটা বাঙালি সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বাংলার হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান সব ধর্মের লোকেরা এ উৎসবটি উদযাপন করে। গ্রাম-গঞ্জ, শহর-নগরের লোকেরা মেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। মেলা বসলে গিন্নিরা কিনে ঘর কন্নার সামগ্রি, পুরুষরা কিনে গৃহস্থালি জিনিস পত্র, শিশুরা কিনে খেলনা, তরুন যুবকরা উড়ায় ঘুড়ি। আনন্দ উৎসবে লোকালয় মাতিয়ে তুলে।

হাসান বিকালে হাঁটতে হাঁটতে মেলায় চলে গেল। মানুষের ভিড়ে হৈ হট্টগোলের মধ্যে থাকলে মনের বিষণ্ণতা ও দুঃখ কষ্ট অনেকটা লাঘব হয়। সে ঘুরে ঘুরে দেখছে, প্রতিটা দোকানের সামনে গিজগিজে ভিড় লেগে আছে। খাবার দোকানগুলির সামনে ভিড় কম। আসবাব পত্রের দোকানে মহিলাদের ভিড়, ফার্নিচার মাঠে মহিলার তুলনায় পুরুষই বেশি। কিন্তু খেলনার দোকানগুলির সামনে শিশুরা হৈ হুল্লোর করছে। কারো কারো মা বাবা পছন্দজনক খেলনা কিনে দিচ্ছে। তার বাসার পাশের একজন দরিদ্র মহিলা দুটি বাচ্চা নিয়ে ঘুরা ঘুরি করছে। আর তার মতই তামাশা দেখছে। সে জিজ্ঞেস করল, বাচ্চাদের জন্য কিছু কিনেছেন? মহিলা উত্তর দিল না ভাই আমাদের এত টাকা আছে, ঘুরে ঘুরে বাচ্চাদের দেখাচ্ছি। তখন সে এগিয়ে গিয়ে খেলনা আর কিছু ঝুরি(আঙ্গুলের মত নিমকি জাতীয়) কিনে দিল। তারপর বিষণ্ণ হয়ে ঘুরা ঘুরি করতে লাগল।

হঠাৎ একদল ছাত্র সামনে পড়ল। ওরা নিজেদের মধ্যে ফিসফিসিয়ে বলল, এই চল স্যারকে ধরি। তারপর এগিয়ে এসে বলল, স্যার জিলাপি খাওয়াতে হবে। একজন বলল, স্যারের কি টাকা কম নাকি, খাওয়াবেই তো। আরেক জন বলল, আরে স্যারের এত টাকা খাবে কে, স্যারের তো বউ বাচ্চা নাই। চল আমরাই খাই। শেষ কথাটায় বেচারার কেঁদে ফেলার উপক্রম হল, মুখে কৃত্রিম হাসি টেনে বলল, ঠিকই বলেছ। আসলে আমার বলতে কেউ থেকেও নাই, তোমরাই আমার আপন, চল, কি খাবে? জিলাপির দোকানে গিয়ে বলল, তিন কেজি জিলাপি দেন। তখন আকরাম নামের ছেলেটা বলে উঠল স্যার তিন কেজিতে কি হবে, লোক কতগুলি দেখছেন। একেকটা তো পেটুক মামা। এই যে স্যার সোহেলের পেটটা দেখেন, ওর বড় পেটে হাত বুলাতে বুলাতে বলল, তিন কেজিতে স্যার এই গুদামটাই ভরবে না। সবাই হেসে উঠল। হাসান জিজ্ঞেস করল, কিরে সোহেল কি কয়? না স্যার এখন আর এত পাড়ি না, ছোট বেলায় বাবা কিনে দিত আর আমি কেজি দুয়েক চালান দিতাম। আবার সবাই হাসতে লাগল। হাসান জিজ্ঞেস করল তাহলে তোমাদের কতটুকু লাগবে ? আকরাম বলল, ১০ কেজি নেন স্যার। তখন পালের গোদা সুজন বলল না না, এত লাগবে না, পাঁচ কেজিই যথেষ্ট হবে। কিনার পর সুজন বলল, স্যার আপনি এক কেজি বাসায় নিয়ে যান। হাসান বলল, না আমি জিলাপি পসন্দ করি না, বাসায়ও খাওয়ার মত কেউ নেই। সুজন বলল, স্যার খাওয়া না খাওয়া কথা না, মেলায় সবাই জিলাপি কিনে বাসায় নেয়, আপনিও নিবেন। অগত্যা ছাত্রদের তাগিদে আরো এক কেজি জিলাপি কিনে সে বাসার দিকে পা বাড়াল।

সর্বত্র মানুষের ভিড়। রাস্তায় দল বেধে মানুষ মেলায় যাচ্ছে, ফিরে আসছে। শিশুরা মা বাবার কোলে চড়ে, আঙ্গুলে ধরে হেটে হেটে মেলায় যাচ্ছে, ফিরে আসছে। বাঁশি বাজাচ্ছে, ফটকা ফুটাচ্ছে, বেলুন উড়াচ্ছে। ঘুড়ি উড়াচ্ছে, নাচছে, গাইছে আনন্দ উৎসবের জোয়ারে জনপদ ভাসছে। এসব দেখে তার শুন্য ঘরটির কথা স্বরণ হল, কে আছে ওখানে আমার! তার মনের কোণায় কচকচ করে কাটার মত বিধতে লাগল। পরিচিত একটি ছেলেকে ডেকে হাতে জিলাপির পুটলিটা দিয়ে বলল, নাও খেয়ে ফেল, আমি খাইনা। তারপর ঘরে এসে ধপাস করে বিছানায় পড়ে গেল। কিছুক্ষণ নির্জিব পড়ে থেকে আস্তে আস্তে উঠে পকেট থেকে ছোট্ট জুতা জোড়া বের করে ছোট কাপড়ের পুটলিটা মাথার নীচে দিল এবং জুতা জোড়া বুকের উপর রেখে দু’হাতে চেপে ধরে ঘুমিয়ে পড়ল।

পরদিন বিকালে হাঁটতে হাঁটতে আবার মেলায় চলে গেল। একটি হোটেলে বসে তার পরিচিত বন্ধু-বান্ধব ও কলিগদের নিয়ে দীর্ঘক্ষন আড্ডা দিল, চা নাস্তা করল। তারপর সবাই কিছু কিনা কাটার জন্য বের হল। তার সহকর্মি শিক্ষকরা তাকে সাথে নিয়ে গেল, নিজ নিজ শিশুদের জন্য খেলনা কিনার জন্য তারা সবাই খেলনার দোকানে ঢুকল। একেকজন একেকটা পসন্দ করে কিনতে লাগল। সেও প্রত্যেকের ছেলে বা মেয়ের জন্য ছোট খাট একটা একটা খেলনা কিনে প্রত্যেককে দিল। কিন্তু একটি খেলনা সবারই পসন্দ হল তবে কেউ কেনার আগ্রহ দেখাল না, দাম বেশি। একটি প্লেন, সুইচ টিপলে ১০ ফুট বলয়ের মধ্যে চক্রাকারে ঘুরে ঘুরে ১০ ফুট উপরে উঠে। আবার ঘুরতে ঘুরতে নীচে নেমে আসে। একজন বলল হাসান সাব আপনি এটা নিয়ে নেন। হাসান বলল, আমি এটা নিয়ে কি করব, কে আছে আমার? আরে আপনার মেয়ে আজ হোক কাল হোক আসবে তো, নিয়ে যান। এই বলে সবাই মিলে কিনে তার মেয়ের জন্য উপহার দিল।

কিন্তু তারা বুঝল না যে, এতে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়া হল। হাসান প্লেনটা নিয়ে ঘরে ঢুকল। তারপর তার মেয়ের উপস্থিতি কল্পনা করে নিজেই খেলা শুরু করল। সে ঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে প্লেনের চাবিতে টিপ দিল অমনি উহা তার চারপাশে ঘুরতে ঘুরতে উপরে উঠছে। নীচে নামছে, আবার উঠছে, এভাবে কিছুক্ষণ খেলার পর যখন একবার আলমারির সাথে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেল, নীচে পড়ে গেল তখন তার চমক ভাঙ্গল। তারপর সে খেলনাটা নিয়ে ঘরের কোণের দিকে এগিয়ে গেল। সেখানে সে একটা দু’টা করে কিনতে কিনতে খেলনার স্তূপ জমিয়ে ফেলেছে। সেখানে গিয়ে বসে বসে ভাবতে লাগল তার সহকর্মিরা বলেছে তার মেয়ে আজ হোক কাল হোক আসবেই। হ্যাঁ আমার মেয়ে আসবে, আসতেই হবে। কারণ বাপ ছাড়া এ পৃথিবীতে একটা মেয়ের আর কী সম্পদ আছে। আমার মেয়েকে অগত্যা আসতেই হবে। আমার মেয়ের জন্য তো আমি কম জোগাড়-পাতি রাখিনি। কত কাপড় চোপড় কিনে রেখেছি। এই তো খেলনার স্তূপ দিয়ে ফেলেছি। সে খেলনাগুলি নাড়া চাড়া শুরু করল। কিন্তু সেগুলির উপর আধা ইঞ্চি পুরো ধুলির আস্তর পড়ে রয়েছে। সে আপন মনে বলতে লাগল, ছিঃ ছিঃ ছিঃ আমার মেয়ের জিনিসগুলি এভাবে ময়লা হয়ে আছে, সে এসে দেখলে রাগ করবে না? সে তো আমাকে বকবে। এগুলি পরিস্কার করতে হবে। একটা ন্যাকড়া নিয়ে সে মুছতে লাগল। একটা করে মুছে আর চালু করে দেখে ঠিক আছে নাকি নষ্ট হয়ে গেছে। এভাবে খেলনা নিয়েই তার রাত কেটে গেল।

সারাদিন সে ডায়ালগ সাজিয়ে সাজিয়ে কাটিয়ে দিল। তার মেয়ে আসবে, খুব শীঘ্রই আসবে। আচ্ছা এসে কী বলবে? অনেক দিন দেখা নেই, মেয়ে তো তাকে চেনেও না। এসেই কি আব্বু ডেকে তার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়বে? তার ঠোটের কোণায় হাসি ফোটে উঠে। সে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে অনেকগুলি চুমু খাবে। তারপর অনেকক্ষণ কাঁদবে, না না কাঁদবে না, মেয়েকে নিয়ে নাচবে, স্ফুর্তি করবে। আচ্ছা সে যদি রাগ করে বলে আমি তোমার সাথে একটা কথাও বলব না। কাছেও আসব না, তুমি এতদিন এলে না কেন? তখন সে কি করবে? হ্যাঁ তখন সে মেয়েকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে বলবে, আম্মু তোমার জন্য আমি পৃথিবীর মাটি ছান মেরেছি। অনেক সাধনার পর তোমাকে পেয়েছি। তোমার জন্য আমার মনটা পুড়ে গেছে। এখন তুমি চব্বিশ ঘন্টা আমার সাথে থাকবে, এক মুহুর্তের জন্যও কোল থেকে নামবে না। এভাবে কল্পনা করতে করতে তার দিনমান কেটে গেল। বিকালে মেলায় যেতে তার ভাল লাগল না। সে মেঠো পথ ধরে গায়ের দিকে হাটতে লাগল।

প্রকৃতির রাজ্য তাতিয়ে উঠেছে। মাথার উপর মার্তন্ড ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অগ্নি বর্ষণ করছে। আর সেই তাপদাহে প্রকৃতি পুড়ছে। কিন্তু সে পুড়ছে না। তার হৃদয়ে যে আগুন জ্বলছে তার সামনে সূর্যের আগুন নিতান্তই নিস্প্রভ ম্লান। কাঠপাটা রোদ্রে সে আনমনে হেটে যাচ্ছে আর মেয়ের সাথে ডায়ালগ করছে। হাঁটতে হাঁটতে সে একটি খালের কিনারে পৌঁছে গেল এবং একটি গাছের ছায়ায় বসে পড়ল। তার মেয়ের অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ডুবে গেল। রাতের প্রথম জাম অতীত। চারদিকে আলো আধারির খেলা। হঠাৎ তার ধ্যান ভঙ্গ হল। নির্জন প্রান্তর, জনমানব নেই। তার মধ্যে ভয়ের উদ্রেক হল। গা ছম ছম করছে। লম্বা লম্বা পা ফেলে বাসার দিকে ছুটল। বাসায় পৌঁছে সোজা খাতা কলম নিয়ে লিখতে বসল।

সন্তানের প্রতিঃ

মুনীরা, মা আমার তুমি কেমন আছ? আমি ভাল নেই বাপ। কোলের সন্তানকে অজ্ঞাতবাসে রেখে পৃথিবীর কোন বাবা ভাল থাকতে পারে? বল মা, তুমিই বল। থাক, আমার দুঃখের কথা তোমাকে বলে তোমার দুঃখ বাড়াতে চাই না। এখন বল, তুমি কবে আসছ? সবাই বলছে শীঘ্রই নাকি তুমি আসবে। তোমার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আমি যে রোগী হয়ে গেলাম। তোমাকে খুব শীঘ্রই আসতে হবে। নইলে যে আমি মরে যাব। এলেই দেখবে তোমার জন্য আমি কত কিছু কিনে রেখেছি। কত জামা কাপড়, কতটি খেলনা তুমি গুণে শেষ করতে পারবে না। তোমার জন্য একটা বিদেশী সোনার লকেট কিনে রেখেছি। তুমি তাড়াতাড়ি আস। আমি তো তোমাকে পেতে মানুষের দোয়ারে দোয়ারে ঘুরে ঘুরে অপমানের শেষ স্তরে পতিত হয়েছি। তোমার বড় খালুর দোস্ত মোস্তফা জাব্বার দেড় মাস ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পরশুদিন জবাব দিয়েছে। আগে সে আমাকে যথেষ্ট সম্মান করত। কিন্তু পরশু যখন গেলাম তখন তার বাসায় বসে থাকতে থাকতে অনেক ডাকাডাকির পর বেরিয়ে এল। সে এমন একটা ভাব করল যেন আমাকে চিনে না। এসে গম্ভীর হয়ে ক্ষণকাল বসে থেকে সহসা রুক্ষ স্বরে আমাকে প্রশ্ন করল, রউফ সাব আপনাকে এক সাল( এক বছর চিল্লা) লাগানোর কথা বলেছিলেন, আপনি যান নাই কেন? আমি বললাম, আসলে আমার স্ত্রীর কিছু অমানবিক আচরণের কথা তাদেরকে জানিয়েছিলাম, তারাও বলেছিল এর বিচার করবে। কিন্তু পরবর্তিতে শর্ত দিল এক সাল লাগাতে হবে, না হলে বউ দিবে না। আমি তখন মহা ফ্যাসাদে পড়লাম। আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে পরামর্শ করলাম, তারা বলল, চাকরি বাকরি ছেড়ে কিসের সাল লাগানো, বউয়ের সাথে সালের কী সম্পর্ক? তারপর ময়মনসিংহ ও জামালপুরের তাবলীগের মুরুব্বীদের সাথে কথা বললাম তারা উষ্মা প্রকাশ করলেন। তারা বললেন, আমরা সাল লাগানোর কথা বলি অবিবাহিত এবং প্রোঢ় বা বৃদ্ধদেরকে। বিবাহিত যুবকদের আমরা কখনো সালের কথা বলি নাম, এটা জায়েয নয়। যারা আপনাকে এরূপ শর্ত দিয়েছে এরা তাবলীগের শত্রু। এদের জন্যই তাবলীগের বদনাম হচ্ছে, ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। তারপর বললাম, এসব কারণে চাকরি বাকরি ছেড়ে আমি সাল লাগাতে যাইনি। তবে তিন দিন সাত দিন ইত্যাদি তো খাটছি। তারপর মোস্তফা জাব্বার বলল, যান নাই আবার গর্ব করছেন। দেখুন ভাই আপনাদের এসব ঝক্কি ঝামেলা আমি মিটাতে পারব না। আপনি অন্য কোন চেষ্টা করে দেখতে পারেন। এটুকু বলে হন হন করে উঠে চলে গেল। বুঝতে পারলাম এ ব্যক্তির উপর তার বন্ধুর প্রভাব পড়েছে। আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল, আশা করেছিলাম যে, তার মাধ্যমে একটা মীমাংসা পাব। তার বাসায় অনেকক্ষণ নির্বাক পাথরের মত বসে রইলাম অবশেষে আমার মৃতপ্রায় দেহটি নিয়ে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এলাম। এখন কোথায় যাব? কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। ঘুরাঘুরি শুরু করলাম। বিভিন্ন বন্ধু-বান্ধব ও পরিচিত জনদের বাসায় গেলাম আলাপ করলাম কিন্তু কোন কুল কিনারা পাচ্ছিলাম না। অবশেষে একজন একটা পথ দেখাল। জামালপুরের অসি ময়মনসিংহের, আমাদের একই থানার। সে পরামর্শ দিয়ে বলল, এলাকার মানুষ হিসাবে অবশ্যই সে একটা বিহিত করতে পারবে। পরদিনই আমি গেলাম তার কাছে। কিন্তু সাক্ষাত পাইনি সে ঢাকা গেছে এক সপ্তাহ পর ফিরবে। তার মোবাইল নাম্বার নিয়ে এলাম, কথা বলে জানতে পারলাম সে আমাদের পাশের ইউনিয়নের লোক। তোমার দাদার সুবাদে সে আমাদেরকে চিনে। সে বিষয়টা দেখবে বলে কথা দিল। সে আসলেই আমি যাব। আশা করি এ তারিখে আর তোমাকে আমার থেকে আড়াল করতে পারবে না। যাই হউক বাপ, তুমি দোয়া করতে থাক। আমি খুব শীঘ্রই তোমাকে নিয়ে আসব। ইতি, তোমার আব্বু।

বিষয়: সাহিত্য

১১৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File