আল-কোরানের কাঠগড়ায় বিভক্তিবাদ- ৪

লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১০:৩৪:১২ সকাল

মুসলিমِ ভ্রাতৃত্ব আল্লাহ্‌র নিয়ামতঃ-

ۚ وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ﴾ = আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা স্মরণ রেখো ৷ তোমরা ছিলে পরস্পরের শক্র ৷ তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন৷ ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানীতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো৷ তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে৷ আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।এভাবেই আল্লাহ তাঁর নির্দশনসমূহ তোমাদের সামনে সুস্পষ্ট করে তুলেন ৷ হয়তো এই নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে তোমরা নিজেদের কল্যাণের সোজা সরল পথ দেখতে পাবে। (আল-ইমরান/১০৩)

ব্যাখ্যাঃ ইসলাম মুসলিম ভ্রাতৃত্বকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। কোরআন হাদীসের যত জায়গায় মুসলমানদের পারস্পরিক সম্পর্ক, লেনদেনের আলোচনা এসেছে সেখানেই পরস্পরকে ভাই ভাই হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন, (১) إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ (২)- فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا(৩) এমনকি মুসলিম ভ্রাতৃত্ব এত মজবুদ যে কোরআনে হত্যাকারীকে নিহত ব্যক্তির পরিবারের ভাই হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। ٰ فَمَنْ عُفِيَ لَهُ مِنْ أَخِيهِ شَيْءٌ -- তবে যাকে কিছুটা রেহাই দেয়া হয় তার ভাইয়ের (নিহতের পরিবার) তরফ হতে) রাসূল (সাঃ)বলেছেন, সমগ্র মুসলমান একটা দেহের ন্যায়, কোন অঙ্গ আঘাতপ্রাপ্ত হলে সমস্ত দেহ যেমন ব্যথা অনুভব করে ঠিক তেমনি কোন মুসলমান আঘাত প্রাপ্ত হলে সমগ্র উম্মাহ ব্যথা অনুভব করবে।

বস্তুত ইসলাম মুসলমানদের মধ্যে যে ভ্রাতৃত্ব স্থাপন করেছে তা আল্লাহ্‌র অনেক বড় নিয়ামত এবং এ বন্ধন ওয়ারিশ ও বৈবাহিক অবস্থা ব্যতিত বাকী সকল ক্ষেত্রে সহোদর ভাইদের বন্ধনের ন্যায় মজবুত।এ বন্ধনের ফলেই পৃথিবীর এক প্রান্তের মুসলমানের প্রতি অন্য প্রান্তের মুসলমান ভালবাসা ও হৃদয়ের টান অনুভব করে, কেউ আঘাত প্রাপ্ত হলে সকলেই দুঃখিত হয়, প্রতিবাদী হয়ে উঠে। কোন দেশ আক্রান্ত হলে সমগ্র বিশ্বের মুসলমান রাস্তায় নেমে আসে। যেমন আরাকান, ফিলিস্তিন, কাশ্মির ইত্যাদি দেশের জন্য সমগ্র মুসলিম জাতি দুঃখিত ও আন্দোলনরত। হাদীসে এসেছে নিজের জন্য যা পছন্দ করবে মুসলিম ভাইয়ের জন্য ও তা পছন্দ করবে, মুসলিম নিজের চেয়ে মুসলিম ভাইকে অগ্রাধিকার দিবে। কাজেই বুঝা গেল মুসলিম ভ্রাতৃত্ব আল্লাহ্‌র এক অপরিসীম নিয়ামত। আর এ নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ্‌ তা’লা নিয়ামতকে গযবে রূপান্তরিত করে দেবেন। যেমন ইরশাদ হচ্ছে - وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لَأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ ﴿ابراهيم: ٧﴾ -আর স্মরণ করো! তোমাদের প্রভু ঘোষণা করলেন -- ''তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো তাহলে আমি অবশ্যই তোমাদেরকে নিয়ামত বাড়িয়ে দেবো, কিন্তু তোমরা যদি অকৃতজ্ঞ হও তাহলে আমার শাস্তি নিশ্চয়ই সুকঠোর।) অর্থাৎ আমরা যদি নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করি তাইলে তিনি নিয়ামত বৃদ্ধি করে দেবেন।অর্থাৎ ভ্রাতৃত্বকে শক্তিতে রুপান্তরিত করবেন, পৃথিবীর নেতৃত্বে অধিষ্টিত করবেন।আর যদি অকৃতজ্ঞ হই তাহলে শাস্তি দিবেন, যেমন বর্তমানে দিচ্ছেন। কাজেই এক্ষনে আমাদের আত্নসমালোচনা করতে হবে আমরা ভ্রাতৃত্ব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করছি কিনা। ভ্রাতৃত্বের অনুভুতি থাকলে আমরা পরস্পরকে মারছি কিভাবে? তদুপরি আমরা ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ থাকলে আরাকান ফিলিস্তিন, কাশ্মির সহ সমগ্র বিশ্বে কাফেররা মুসলমানদের মারছে কিভাবে? তারা তো মুসলমানদের প্রতি চোখ তুলে তাকাবার সাহস রাখারও কথা নয়। এর মূল কারণ হচ্ছে – মুসলমানরা ভ্রাতৃত্বের কোন পরোয়া না করে ভ্রাতৃঘাতি সর্ববিধ্বংসি হানাহানিতে লিপ্ত রয়েছে। এজন্যই আজ জাতির এই পতন। যেমন বাস্তবতায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের ইসলামি দলগুলি, যেমন তরীকতী, দেওবন্দী তাবলীগী ও জামায়াতী ইত্যাদিরা ভারত, চীন ও মার্কিনকে দুবেলা চা চাটছে তিন বেলা পায়ের পাতায় তেল মালিশ করছে। কিন্তু নিজেরা নিজেরা পরস্পরকে ধ্বংসের ষোল আনা কসরত করছে আর ঐক্যান্তিক আকাঙ্ক্ষা করছে প্রতিপক্ষের শেষ প্রানীটি পর্যন্ত মর্তের সীমানা থেকে মুছে ফেলা হউক। যেমন তরিকতী ও তাবলিগীরা কামনা করে পৃথিবী থেকে জামায়াতের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাক। আবার জামাত চায় পৃথিবী তরিকতী ও তাবলীগী মুক্ত হউক। তদুপরি আওয়ামী লীগ মনে করে জামায়াত হত্যা অত্যাবশ্যক, আর জামায়াত মনে করে আওয়ামী লীগ নাস্তিক মুরতাদ কাজেই তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা জরুরি। অনন্তর, বৈশ্বিক মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অবস্থা তো আরো শোচনীয়।আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ইসরাঈলকে দিয়ে হামাস ও ফিলিস্তিনীদের হত্যা করাচ্ছে, ইরানকে সাইজ করার ধান্ধায় আছে। মিসরের ফিরাউন (সিসি) ব্রাদার হুডের রক্ত হালাল করে নিয়েছে, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরান, ইরাকে কখনো সুন্নীরা শিয়াদের শিয়াল কুকুরের মত মারছে, কখনো শিয়ারা সুন্নীদের মারছে। এই হলো মুসলিম ভ্রাতৃত্বের অবস্থা। আল্লাহ তো বলেই দিয়েছেন,- وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ - অর্থাৎ তার নিয়ামতের নাশুকরি করলে তিনি কঠোর শাস্তি দেবেন। এখন সেই শাস্তিটি কি, কোরআন কি বলে তা একটু অনুসন্ধান করব। আল্লাহ তা’লা বলেন - قُلْ هُوَ الْقَادِرُ عَلَىٰ أَن يَبْعَثَ عَلَيْكُمْ عَذَابًا مِّن فَوْقِكُمْ أَوْ مِن تَحْتِ أَرْجُلِكُمْ أَوْ يَلْبِسَكُمْ شِيَعًا وَيُذِيقَ بَعْضَكُم بَأْسَ بَعْضٍ انظُرْ كَيْفَ نُصَرِّفُ الْآيَاتِ لَعَلَّهُمْ يَفْقَهُونَ ﴿الأنعام: ٦٥﴾ বলো - ''তিনি ক্ষমতাশীল তোমাদের উপরে শাস্তি আরোপ করতে, তোমাদের উপর থেকে অথবা তোমাদের পায়ের নিচে থেকে, অথবা তোমাদেরকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করে দলাদলিতে লিপ্ত রাখতে, আর তোমাদের একদলকে ভোগ করাতে পারেন অন্য দলের নিপীড়ন। দেখো, কিরূপে আমরা নির্দেশনসমূহ নানাভাবে বর্ণনা করি যেন তারা বুঝতে পারে! (৬: ৬৫) অর্থাৎ শাস্তি হিসাবে তিনি মুসলিম জাতিকে বিভক্ত করে দিবেন ফলে তারা একে অন্যকে বাঁশ দিবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে কাউকে মালামত করার সময় বলা হয় তোমাকে বাঁশ দেয়া হবে, আইখ্যা ওলা বাঁশ। মানুষ মনে করে এখানে বাংলা বাঁশ বুঝানো হয়েছে। আসলে তা নয়। সম্ভবত এটি আরবি -بأس(বা’স) শব্দ থেকে নেয়া হয়েছে, যার অর্থ- শাস্তি, বিপদাপদ, যুদ্ধ, বিষন্ন, অভাব, ভয়, ক্ষুধা ইত্যাদি। হায়রে মুসলমান এখনো কি হুশ হবে না। যাই হউক, বাস্তবতায় বুঝা যাচ্ছে মুসলিমরা ভ্রাতৃত্বের মত নিয়ামতের কদর বুঝল না, তারা পরস্পরকে ধ্বংসের মহড়া দিয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে মজলুম জনগোষ্টি রোহিঙ্গা, ইউঘোর, কাশ্মিরী, ফিলিস্তিনী ইত্যাদি মুসলমানদের পক্ষে তারা জেহাদ করে না, সম্মিলিতভাবে কোন পদক্ষেপ নেয় না। তখন আল্লাহ্‌ তা’লা মুসলিম জাতির মধ্যে গজব ঢেলে দিলেন। তিনি ভ্রাতৃত্ব বা ঐক্যকে বিভক্তিতে (تفرق) রূপান্তরিত করে দিলেন। এখন তারা একে অন্যের - بَأْسَ-বাশ খেয়ে চলছে। আর এভাবেই ভ্রাতৃঘাতি হানাহানিতে লিপ্ত হয়ে, কামড়া কামড়ি করে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে, যদি না তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার ভ্রাতৃত্ব নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে। মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ফরয, আর সেই ভ্রাতৃত্ব ভঙ্গ করে বিভক্ত হওয়া হারাম।

বিভক্তিবাদিদের বিধানঃ এখানে সাধারণ মুসলমানদের আলোচনা করে লাভ নেই। কারণ তারা কোন ফিরকা-বিভক্তির জন্ম দেয়নি বরং আলেমদের নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন ফিরকায় ভাগ হয়ে গেছে। কাজেই মূল কালপ্রিট হচ্ছে আলেম সমাজ-আর তারা দুই ভাগে বিভক্ত। যারা উম্মতের ফিরকা বিভক্তিকে সমর্থন করে, ঐক্য ফরয ও বিভক্তিকে হারাম মনে করে না তারা অমুসলিম মুরতাদ। আর মুরতাদ হিসাবে তারা মৃত্যুদণ্ডের প্রাপ্য। বিশেষত ইসলাম ও মুসলিম জাতি ধ্বংসকারী হিসাবে অবশ্যই তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।

দ্বিতীয় প্রকারের আলেম হচ্ছে যারা ঐক্য ফরজ ও বিভক্তি হারাম জানে, মানে ও বিশ্বাস করে। কিন্তু বিভক্তি মাড়িয়ে ঐক্যের জন্য প্রাণান্তর প্রচেষ্টা চালায় না, তারা কবিরা গুনাহে লিপ্ত। কারণ তারা ফরজ লঙ্ঘন করেছে ও হারামে মুবতালা রয়েছে। বর্তমানের আলেম সমাজ এই শ্রেণী ভুক্ত। কারণ তাদের মধ্যে সম্ভবতঃ এমন মুর্খ কেউ নেই যে ঐক্য ফরজ ও বিভক্তি হারাম বলে বিশ্বাস করে না, তবে পরস্পর হিংসা- বিদ্বেষ বা নমনিয়তা উদাসীনতা ও সুযোগের অভাবে তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। তাদের দৃষ্টান্ত হচ্ছে যেমন কেউ নামায, রোজা, ফরজ জেনেও তা আদায় করে না, আবার শুকরের মাংস হারাম জেনেও তা ভক্ষন করে। এ ব্যক্তি যেমন কবিরা গুনায় লিপ্ত বর্তমানের ফেরকাবাজ আলেমরাও তদ্রুপ কবিরা গুনায় লিপ্ত। আর এসব আলেমরাই আমাদের ধর্মানুষ্ঠানগুলি পরিচালনা করছে, নামাযের ইমামতি করছে। সঙ্গত কারণেই তাদের পিছনে নামায আদায় হচ্ছে না। নামায হচ্ছে না বলেই দোয়া কবুল হচ্ছে না। তাই আমরা নিজের জন্য, পরিবার, সমাজ, দেশ, জাতি, রাষ্ট্র ও উম্মাহর জন্য যে দোয়া করছি তা কবুল হচ্ছে না। বরং আল্লাহতালা আরো ক্রুধান্বিত হচ্ছেন। ফলে পূর্বের ইহুদী জাতির জেরুজালেম ও যিহুদার বাসিন্দাদের প্রতি যেমন ক্রুধান্বিত হয়ে সম্রাট নেবুচাদ নেজারকে দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিলেন তদ্রুপ আমাদের উপরও হিন্দু,বৌদ্ধ, ইহুদী, খ্রিস্টানের মত অভিশাপ চাপিয়ে দিয়েছেন। কাজেই মুক্তির একমাত্র পথ মুসলিম জাতীয় ঐক্য ।

আমাদের আহ্বানঃ ঐক্য ফরয বিভক্তি হারাম। আবার মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ফরয তা ভঙ্গ করা হারাম। আবার বিভক্তি ও ঐক্যহীনতার কারনে মুসলিম জাতি আজ ধ্বংসের শেষ ঘাটি অতিক্রম করছে। কাজেই আমরা মরক্বো থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত সকল ধর্মীয়, রাজনৈতিক, ও পেশাজীবি দল-সংগঠনের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। ঐক্যের পর খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ খিলাফত ব্যতীত এ জাতির ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তির দ্বিতীয় কোন পথ নেই। খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হলে উম্মাহ বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবে, সেই সাথে নিজেদের এখতেলাফি বিষয়গুলি মিটিয়েও নিতে পারবে। (ধারাবাহিক)

বিষয়: রাজনীতি

১৫১৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358583
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:৫২
চেতনাবিলাস লিখেছেন : সুবাহান আল্লাহ! সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।
358589
০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:২৮
নকীব আরসালান২ লিখেছেন : সালাম। ভাই শুধু আমাকে ধন্যবাদ দিলে তো আর ইসলাম ও উম্মাহ রক্ষা হবে না বিধায় ঐক্যের চিন্তা করতে হবে, ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File