আল-কোরানের কাঠগড়ায় বিভক্তিবাদ -৩

লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৯:৪৪:১৮ সকাল

ঐক্য ফরজ বিভক্তি হারাম

وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا ۚ وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ إِذْ كُنتُمْ أَعْدَاءً فَأَلَّفَ بَيْنَ قُلُوبِكُمْ فَأَصْبَحْتُم بِنِعْمَتِهِ إِخْوَانًا وَكُنتُمْ عَلَىٰ شَفَا حُفْرَةٍ مِّنَ النَّارِ فَأَنقَذَكُم مِّنْهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَهْتَدُونَ﴾

তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রুজ্জু মজবুতভাবে আকঁড়ে ধরো এবং দলাদলি করে বিভক্ত হয়ো না ৷ আল্লাহ তোমাদের প্রতি যে অনুগ্রহ করেছেন সে কথা স্মরণ রেখো ৷ তোমরা ছিলে পরস্পরের শক্র ৷ তিনি তোমাদের হৃদয়গুলো জুড়ে দিয়েছেন৷ ফলে তাঁর অনুগ্রহ ও মেহেরবানীতে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেছো৷ তোমরা একটি অগ্নিকুণ্ডের কিনারে দাঁড়িয়ে ছিলে৷ আল্লাহ সেখান থেকে তোমাদের বাঁচিয়ে নিয়েছেন।এভাবেই আল্লাহ তাঁর নির্দশনসমূহ তোমাদের সামনে সুস্পষ্ট করে তুলেন ৷ হয়তো এই নিদর্শনগুলোর মাধ্যমে তোমরা নিজেদের কল্যাণের সোজা সরল পথ দেখতে পাবে। (আল-ইমরান/১০৩)

ব্যাখ্যাঃ- تمسك শব্দের অর্থ কোন কিছু পাঁচ আঙ্গুলে দৃঢ়ভাবে, শক্ত করে ধারণ করা। কিন্তু اعتصام শব্দের অর্থ উভয় হাতে শক্ত করে দেহের সমস্ত শক্তি দিয়ে জাবরে ধরা। যেমন কোন অবোধ শিশু যখন বাবার সাথে বাইরে কোথাও যেতে চায়, কিন্তু বাবা তাকে রেখে চলে যেতে চায় তখন শিশুটি দৌড়ে গিয়ে চার হাত পায়ে সর্বশক্তি দিয়ে তার বাবার পা জড়িয়ে ধরে। কারণ সে ভাবে, তাকে বাবার সাথে যেতেই হবে, এতদ্ভিন্ন আর কোন গত্যন্তর নাই। অনুরূপভাবে সামষ্টিক মুসলানকেও ভাবতে হবে, কোরান সর্ব শক্তি দিয়ে আকড়ে ধরতে হবে। অর্থাৎ ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থ বিচার ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে কোরানের অনুশাসন মেনে চলতে হবে। কারণ মানব জাতি হচ্ছে শিশুর মত অবুঝ, সে তার কল্যাণ অকল্যাণ বুঝে না। তাই শিশু যেমন বাবার সাথে থাকলে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, তদ্রুপ মানব জাতি যতক্ষণ কোরান আঁকড়ে ধরে থাকবে ততক্ষণ সে নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত । যেমন -﴿ فَإِمَّا يَأْتِيَنَّكُم مِّنِّي هُدًى فَمَن تَبِعَ هُدَايَ فَلَا خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلَا هُمْ يَحْزَنُونَ﴾) এরপর যখন আমার পক্ষ থেকে কোন হিদায়াত তোমাদের কাছে পৌছুবে তখন যারা আমার সেই হিদায়াতের অনুসরণ করবে তাদের জন্য থাকবে না কোন ভয়, দুঃখ, বেদনা)। কারণ মানুষের কী সে কল্যাণ আর কী সে অকল্যাণ তা সে বুঝে না, বুঝে তার স্রস্টা। কাজেই স্রষ্টা প্রদত্ত বিধান কোরানকে আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকতে হবে ।

حبل -অর্থ রশি। বাইবেলে কোরানকে কোলা (ফুরকান) ও আগুন (জিহাদ) বলা হয়েছে - whose fan is in his hand, and he will thoroughly purge his floor, and gather his wheat into the garner; but he will burn up the chaff with unquenchable fire.

কোরানকে রশির সাথে তুলনা করার কারণ হচ্ছে উভয়টাই নিরাপত্তার মাধ্যম। যেমন গরু ছাগলের গলায় যদি রশি থাকে তাহলে সেই প্রাণী অন্যের ক্ষতি ও নিজের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকে । তখন সে চড়তে চড়তে বা ঘুরতে ঘুরতে অন্যের ফল ফসল পয়মাল করতে পারে না। তেমনি পাহাড়ে জঙ্গলে ঢুকে গিয়ে বাঘ সিংহ ইত্যাদি হিংস্র প্রানীর খাদ্য হওয়া থেকে নিরাপদ থাকে।অনুরূপভাবে কোরআন হচ্ছে আল্লাহ্‌র রশি যার একপ্রান্ত বান্দার গলায় বাধা অন্য প্রান্ত আল্লাহ্‌র হাতে অর্থাৎ বান্দা ও আল্লাহ্‌র মধ্যে সেতু বন্দন বা যোগাযোগের মাধ্যম। যেমন রাসূল (সাঃ) বলেছেন- কোরআন হচ্ছে আকাশ থেকে মাটিতে ঝুলানো আল্লাহর রশি। কাজেই মানুষ যতক্ষণ কোরআনের বিধি বিধানের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকবে ততক্ষণ আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমারেখার গণ্ডিতে আবদ্ধ থেকে নিজের ও অন্যের ক্ষতি থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। অন্যের ক্ষতি যেমন চুরি, ডাকাতি, সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি, প্রতারণা, খুন-খারাপি, যিনা ইত্যাদির মাধ্যমে অন্যের হক ও অধিকার নষ্ট করা। আবার নিজের ক্ষতি হচ্ছে কোরআনের বিধান বাদ দিয়ে বিভিন্ন তন্ত্র-মন্ত্রের অনুসারী হওয়া, দেব-দেবীর উপসনা করা ইত্যাদি কাজ নিজের ক্ষতি-এর মাধ্যমে শয়তান মানুষকে খেয়ে ফেলে যেভাবে বাঘ-সিংহ গরু-ছাগল খেয়ে ফেলে। এজন্যই দুনীয়ার সকল তন্ত্র-মন্ত্র বাদ দিয়ে কোরআনের বিধি বিধান মেনে চলা ফরজ।

جمعيا-অর্থ একত্রে, সম্মিলিতভাবে, ঐক্যবদ্ধভাবে। এ শব্দটি –اعْتَصِمُوا-এর সর্বনামের তাকীদ হয়েছে। - تَفَرَّق- অর্থ বিচ্ছিন্ন হওয়া, বিভক্ত হওয়া, দলে দলে ভাগ হয়ে যাওয়া।

মুফাসসীরিনে কেরামের মতামতঃ—حبل-অর্থ এমন উপায় উপকরণ যার মাধ্যমে উদ্দেশ্য ও অভীষ্ট লক্ষে পৌছা যায়। কেউ কেউ বলেন এর দ্বারা উদ্দেশ্য জামাত অর্থাৎ মুসলিম ঐক্য। কেউ কেউ বলেন, আল্লাহর সাথে প্রদেয় অঙ্গিকার। তবে হাবলুন দ্বারা কোরআনই উদ্দেশ্য হবে, কারণ রাসূল (সাঃ) বলেন . عن أبي سعيد الخدري قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: كتاب الله، هو حبل الله الممدودُ من السماء إلى الأرض. – অর্থাৎ কোরআন হচ্ছে আকাশ থেকে মাটিতে ঝুলানো আল্লাহর রশি। وَلَا تَفَرَّقُوا --অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে কোনরূপ বিভক্ত না হওয়া এবং আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্যের ব্যাপারে পরস্পর মিলে মিশে ঐক্যবদ্ধ থাকা। পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাওয়া। বিভক্তি সম্পর্কে রাসূল (সাঃ) কঠোরভাবে সতর্ক করে গেছেন-- أنس بن مالك قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم:"إنّ بني إسرائيل افترقت على إحدى وسَبعين فرقة، وإن أمتي ستفترق على اثنتين وسبعين فرقة، كلهم في النار إلا واحدة. قال: فقيل: يا رسول الله، وما هذه الواحدة؟ قال: فقبض يَدَه وقال: الجماعة،" –অর্থাৎ রাসূল (সাঃ)ইরশাদ করেন, বনী ইসরাইল ৭১ ফিরকায় বিভক্ত হয়েছে, কিন্তু আমার উম্মত ৭২ ফিরকায় বিভক্ত হবে। তাদের একটি দল ব্যতিত সবাই জাহান্নামি।তখন রাসূল (সাঃ) কে প্রশ্ন করা হল, সেই একটি দল কারা? উত্তরে রাসূল (সাঃ) হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বললেন জামাত তথা ঐক্যবদ্ধ দল। অর্থাৎ যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ রাখার চেষ্টা করবে।

وَاذْكُرُوا نِعْمَتَ اللَّهِ عَلَيْكُمْ --এখানে আওস ও খাজরাজ এ দুটি গোত্রের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের বর্ণনা দিচ্ছেন। জাহেলি যুগে তাদের মধ্যে ১২০ বছর মেয়াদি দীর্ঘ যুদ্ধ চলছিল। মালেক বিন আজলান খাঁজরাজির মাওলা হুর বিন সুমাইর এর হত্যার মাধ্যমে এ যুদ্ধের সুত্রপাত হয়। তারপর রাসূল(সাঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ তা’লা শান্তি স্থাপন করেন।কিন্তু ইহুদীদের কাছে এ শান্তি ভাল লাগল না । তারা উভ্য় গোত্রকে অতীত ইতিহাস স্বরণ করিয়ে দিয়ে উস্কানি দিতে লাগল। ফলে তাদের মধ্যে যুদ্ধের উপক্রম হল। তখন রাসূল (সাঃ) সেখানে উপস্তিত হয়ে ফয়সালা করে দেন। এ সম্পর্কেই আয়াতটি নাযিল হয়। (তাবারি, কুরতুবি)

বিধানঃ- উক্ত আয়াতের শরয়ী বিধান হচ্ছে ঐক্য ফরজ বিভক্তি হারাম। কারণ উসূলে ফিকহের মূলনীতি হচ্ছে –الامر للوجوب والنهي للحرام-অর্থাৎ কোরআনের অনুজ্ঞা দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্থ হয় আর নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্থ হয়। তবে ব্যতিক্রমও আছে। সুতরাং -َاعْتَصِمُوا-আমর দ্বারা এখানে তিনটি ওয়াজিব সাব্যস্থ হয়েছে।যেমন ১।আমর বা অনুজ্ঞা হওয়ার কারণে ওয়াজিব ২।- جمعياদ্বারা তাকীদ হওয়ার কারণে ডবল ওয়াজিব। ৩। পরিস্থিতির কারণে ওয়াজিব। যেমন কোন মুসলিম দেশ আক্রান্ত না হলে মুসলিম অধিকার খর্ব না হলে স্বাভাবিক অবস্থায় জিহাদ ফরজ নয়। কিন্তু আক্রান্ত হলে জিহাদ ফরজ এমনকি নারী পুরুষ গোলাম সকলের উপরেই ফরজে আইন হয়ে যায়। অর্থাৎ পরিস্থিতি অনুযায়ী বিধান প্রযোজ্য হয়। অনুরূপভাবে মুসলিম ঐক্য যদি কোরআনের বিধান অনুসারে পূর্ব থেকে ফরয নাও থাকত তবুও মুসলিম বিশ্বের বর্তমান বিপর্যস্থ পরিস্থিতিতে ঐক্য ফরজ বলে গন্য হত। কিন্তু -اعتصام-দ্বারা ঐক্য পূর্ব থেকেই ফরজ সাব্যস্থ হয়ে আছে, এখন পরিস্থিতির কারণে আবার ফরজ হল। কাজেই এখন মুসলিম ঐক্য সর্ব দিক থেকে واجب الوجوب- তথা মহা ফরজ হয়ে গেছে। আবার - وَلَا تَفَرَّقُوا-(তোমরা দলে দলে বিভক্ত হয়ো না) এটা নাহি বা নিষেধাজ্ঞার শব্দরুপ। এর দ্বারা বিভক্তিকে হারাম করা হয়েছে। আবার বিভক্তির কারণে মুসলিম জাতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিধায় পরিস্থিতির কারণে তা আবার হারাম হল।সুতরাং উক্ত আয়াত তিনদিক থেকে ঐক্য ফরয করেছে এবং দুই দিক থেকে বিভক্তি হারাম করেছে।

ফিরকার পরিচয়ঃ প্রশ্ন হল উম্মাহর মধ্যে যে শত শত, হাজার হাজার দল উপদল রয়েছে তাদেরকে ফিরকা বলা যাবে কিনা এবং তাদের এভাবে ফিরকাবন্দি হওয়া ও হয়ে থাকা জায়েয কিনা ? এর বাস্তব ভিত্তিক উত্তর হচ্ছে, (১) বর্তমানে উম্মাহ জামাতবদ্ধ নয়- সবাই ফিরকাবন্দি বিধায় প্রত্যেক দল উপদল ফিরকা। কারণ ফিরকা শব্দটি জামাতের বিপরীত। আর জামাতের অর্থ ধারন করে উম্মাহ শব্দ। কিন্তু যখন তারা শিয়া সুন্নী দুই ভাগে বিভক্ত হল তখন আর উম্মাহ থাকল না, ফেরকা হয়ে গেল। এর পরেও যদি শিয়া সুন্নী উভয় দলের মধ্যে আরো ভাঙ্গন বিভক্তির সৃষ্টি না হত তাহলেও হয়তো বা যুক্তির খাতিরে জামায়াত বলা যেত। কিন্তু এ উভয় দল অনুচ্ছেদ, ব্যবচ্ছেদ, পরিচ্ছেদ আকারে চক্রবৃদ্ধি হারে অসংখ্য দলে বিভক্ত হয়ে গেছে বিধায় প্রত্যেকটা দল ফিরকা। এখানে আমরা শুধু সুন্নীদের আলোচনা করব। এখন কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, আমরা সুন্নীরা ছোট খাট এখতেলাফ ভিত্তিক বিভক্ত হলেও বুনিয়াদী ভাবে জামাতবদ্ধ, কাজেই সুন্নীদের কোন দল ফিরকা নয়। এ দাবী তো ধোপে টিকবে না। কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির মধ্যে যেমন আন্তবিবাহ, ধর্মীয় আন্তঅনুষ্ঠান হয় না, তেমনি সুন্নী ফিরকা গুলির মধ্যেও তা হয় না। যেমন উপমহাদেশের দেওবন্দী, বেরেলভী, তাবলিগী, জামায়াতী, সুফিবাদী ইত্যাদি দলের মধ্যে আন্তবিবাহ হয়েছে এমন নযির বিরল। আবার তাদের বিভিন্ন ধর্মীয় ও দলিয় অনুষ্ঠানাদিতে একে অন্যের সাথে যোগ দিয়েছে এমন ও দেখা যায় না। এমনকি জামায়াতী ইমামের পিছনে তাবলীগী ও তরিকতীরা নামাজ পড়ে না। অন্যরাও তথৈবচ। তদুপরি তারা একে অপরকে ধ্বংস করার জন্য বেলতলা থেকে হাইকোর্ট তলা পর্যন্ত দৌড়ায়। কাজেই বাস্তবতা প্রমাণ করে যে, তারা শুধু ফিরকাই নয় বরং প্রত্যেক ফিরকার মুরুব্বীদের নবীর স্থলাভিষিক্ত করে পৃথক পৃথক সম্প্রদায়ে পরিণত হয়ে গেছে। আর এ জাতীয় প্রত্যেক দল ফিরকা ও গুমরাহ।

(২) আবার রাসূল (সাঃ) ৭৩ ফিরকার হাদীসে সবাইকে ফিরকা বলেছেন-যা সামনে আসছে। এ ৭৩ ফিরকার মধ্যে শুধু একটি ফিরকা নাজাত প্রাপ্ত। অত্র হাদীসে হকপন্থি ও বাতিলপন্থি সবাইকে ফিরকা বলা হয়েছে।

(৩) আবার ফিরকা অর্থ যদি বাতিলপন্থি ধরা হয় তাহলেও সবাই ফিরকা। কারণ কোরআন হাদীসের বর্ণনায় বুঝা যায় ৭৩ ফিরকার মধ্যে নাজাতপ্রাপ্ত দলটি একমাত্র তারাই যারা নিজেরা জামায়াত বা ঐক্যের উপর থাকে এবং অন্যদেরও রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু উম্মাহর মধ্যে এ জাতীয় কোন দল সংস্থা সংগঠন নেই বিধায় যা আছে সবাই ফিরকা, সবাই পথভ্রষ্ট। কাজেই উম্মাহর অন্তর্ভুক্ত সকল দল ফিরকা।এখন আর কেউ জামায়াত বদ্ধ নেই। আর যে কোন ধরনের ফিরকার জন্ম দেয়া ও ফিরকাবন্দি হয়ে থাকা হারাম, সম্পুর্ণ হারাম।

বাস্তব প্রয়োগঃ উপরোক্ত আলোচনায় প্রমাণিত হয় যে, রেজাখানি তথা বেরেলভী, দেওবন্দী, তাবলীগী, জামায়াতে ইসলামী, ব্রাদারহুড, তালেবান, আইসিস, সূফীবাদ, সালাফী ইত্যাদি ফেরকার জন্ম দেয়া হারাম হয়েছে। তারা ফরজ লঙ্ঘন করেছেন এবং হারামে লিপ্ত রয়েছেন। কোরআনের বিধান অনুসারে এ বিষয়ে কারো দ্বিমত পোষণ করার সুযোগ নাই। (ধারাবাহিক)

বিষয়: রাজনীতি

১১৪৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358489
০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:৫৭
আনিসুর রহমান লিখেছেন : Complex subject, hard to solve conflict and United together. I think lots of think should be consider
Among them the v.important key points are ever person, group, party should be non judgemental about others

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File