জাগো মুসলিম, উঠ সিংহ! ভাঙ্গার ভবিষ্যতবাণী ও আমাদের প্রত্যাশা।
লিখেছেন লিখেছেন নকীব আরসালান২ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৬:২৮:৩০ সন্ধ্যা
ভূমিকাঃ আজ মুসলিম বিশ্ব যখন আগ্নেয়গিরির মত টগবগ করে জ্বলছে, মুসলিম জাতির এমন লাঞ্চনাদায়ক পতন ঘটেছে- যার নযির ইতিপূর্বে পৃথিবীর অন্যকোন জাতির বেলায় দেখা যায়নি। এ সংকটকালে উম্মাহর চিন্তাশীল ব্যক্তিরা মুক্তির উপায় খুঁজছে এবং মুসলিম ঐক্যই একমাত্র মুক্তির উপায় বলে সনাক্ত করছে। কাজেই আমরাও উপায়ান্তর না দেখে উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আর এ লক্ষে প্রত্যেক দেশে একটি করে সংস্থা গঠন করে এ সংস্থার অধিনে প্রথমে প্রতিটি ইসলামী দল- মত, মাযহাব ও ফিরকাগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে তারপর রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ঐক্য স্থাপন করে খিলাফত বা মুসলিম জাতিসংঘ বা আফ্রেশিয় ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা চুড়ান্ত করছি। এভাবে মরক্কো থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত মুসলিম দেশগুলোকে একই কেন্দ্রের আওতাভুক্ত করে এ হতভাগ্য জাতির মুক্তি ও উন্নতি নিশ্চিত করার সাম্ভাব্যতা নিয়ে চিন্তা করছি। ঠিক এ সময় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পৃথিবী কাপানো একটি সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে।যাতে ইউরোপে আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। সংবাদটি হল, এক তাজরাবাকার মহিলা ভবিষ্যৎ-বক্তা ভবিষ্যৎবাণী করেছেন শীঘ্রই মুসলমানরা ইউরোপ দখল করে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে। এ সংবাদ আমাদের উদ্যোগ ও উদ্যম হাজারগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা চরমভাবে উচ্ছসিত, উত্তেজিত, পুলকিত ও আশান্বিত। আমাদের এখন বিশ্বাস জন্মেছে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হলে বিশেষত ইসলামী দল ও ফিরকাগুলি কোরআনের নির্দেশ মোতাবেক ঐক্য হলে শুধু মুসলিম বিশ্বেই নয় বরং ইউরোপসহ অন্যান্য মহাদেশেও খিলাফত প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে। এর পিছনে যুক্তি হচ্ছে- ইসলামের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের বহুমুখী অপপ্রচার সত্ত্বেও খৃষ্টানরা ব্যাপকভাবে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে, তার উপর মধ্যপ্রাচ্যের বিরাট সংখ্যক রিফিউজি ইউরোপে আশ্রয় নিচ্ছে। তাদের সংস্পর্শে খৃষ্টবাদে বিতৃষ্ণ নাস্তিক খৃষ্টানরা ইসলাম সম্পর্কে জানার ও বুঝার সুযোগ পাবে, সেই সাথে মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আফ্রেশিয়ায় খিলাফত প্রতিষ্ঠা করলে পড় ইউরোপ বাকী থাকবে না। স্বেচ্ছায়ই হউক বা অস্ত্র বলেই হউক ইউরোপও খিলাফতের অধিনে চলে আসবে। বাস্তবতাকে বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎ বাণী আরো বাস্তব করে তুলেছে। নিচে ভাঙ্গার ভবিষ্যতবাণী গুলি হুবহু তুলে ধরা হল। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম কিছু কিছু ভবিষ্যতবাণীর ব্যাখ্যা প্রদান করেছে আর কিছু কিছুর ব্যাখ্যা তারা দেয়নি বা দিতে সক্ষম হয়নি। কাজেই আমরা সেগুলোর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আমাদের ব্যাখ্যা নামে সাথে সাথে জুরে দিয়েছি।
ভাঙ্গা ও তার প্রফেসী
বাবা ভাঙ্গা, ৮৫ বছরের এক নারী- যার মৃত্যু হয়েছে ১৯৯৬ সালে, এক ভবিষ্যদ্বাণীতে বলে গিয়েছিলেন- ২০১৬ সালে ইউরোপ দখলে নেবে মুসলিম চরমপন্থীরা।
অন্ধ এই নারীর আধ্যাত্মিক ক্ষমতা ছিল বলে ধারণা করা হয়।সাবেক অটোমান সাম্রাজ্যের আগ্নেয় পার্বত্য অঞ্চলের একটি গ্রামে জন্মেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। স্ট্রুমিকা অঞ্চলে গ্রামটির নাম ভ্যাঞ্জেলিয়া পাঁদেভা দিমিত্রোভা। প্রচলিত লোককাহিনী বলে, ১২ বছর পর্যন্ত সাধারণ জীবনযাপনই করেছিলেন তিনি। এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে বাতাসে উড়ে গিয়ে এবং শক্তিশালী বাতাসের তীব্রতায় মাটিতে আছড়ে পড়ে ১২ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান তিনি। বেশ কয়েকদিন পর তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় তার পরিবার তাকে খুঁজে পেয়েছিল বলে শোনা যায়। ময়লার আস্তরে চোখ সম্পূর্ণ জোড়া লেগে গিয়েছিল তার। দারিদ্র্যের কারণে চিকিৎসা না করাতে পেরে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান তিনি।
পরে ভাঙ্গা জানান, নিখোঁজ থাকার দিনগুলোতে অন্যরকম এক দৃষ্টিশক্তির অভিজ্ঞতা হয়েছিল তার এবং অসুস্থ মানুষদের সুস্থ করার ও ভবিষ্যদ্বাণী করার শক্তি অর্জন করেছেন তিনি। নিজের অতিপ্রাকৃত শক্তির বিষয়ে অন্যদের বিশ্বাস করাতে পেরেছিলেন তিনি এবং খুব শিগগিরই তার অসংখ্য ভক্ত-অনুসারী-অনুরাগীর দল তৈরি হয়। তার অনুরাগীদের মধ্যে ছিলেন তখনকার অসংখ্য ধনী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাষ্ট্রের প্রধান, বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ এবং আরো অনেক পেশা ও ধরনের মানুষ। তার কয়েক মুহূর্তের সান্নিধ্য পেতে সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন তার সঙ্গে গিয়ে দেখা করতেন।
পরবর্তীতে বুলগেরিয়ান কম্যুনিস্ট পার্টির নেতাদের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছিলেন বাবা ভাঙ্গা। অভিযোগ রয়েছে, এই নেতাদের অনেকেই তার ভবিষ্যৎ বলতে পারার ক্ষমতাকে নিজেদের আখের গোছানোর স্বার্থে অপব্যবহার করেছিলেন। অগণিত বিদেশী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে সাক্ষাতের কারণে তিনি গৃহবন্দী ও দেশের গোপন গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে ছিলেন বলেও শোনা যায়। বুলগেরিয়ার এই নারীর ‘দূরদৃষ্টি অলৌকিক’ ছিল বলে প্রচলিত রয়েছে। অসংখ্য দৈববাণী তিনি করে গিয়েছিলেন জীবদ্দশায়, যার বেশ কয়েকটি ‘ফলে যাওয়ায়’ অনেকেই ভাবতে বসেছেন পরের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো নিয়ে। ৫০ বছর ধরে কয়েকশ’ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ভাঙ্গা, জানিয়েছে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিরর। ‘বলকানের জ্যোতিষী’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো ভাঙ্গাকে। তার করা ভবিষ্যদ্বাণীর ৮৫ শতাংশই ‘ফলে গেছে’ বলে দাবি করা হয়।
৯/১১’র সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে পরিচিত ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে হামলা এবং ২০০৪ সালে সমুদ্রের তলদেশে ইতিহাসের ভয়াবহতম ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামি- এসব ঘটনা সম্পর্কে ঘটনার কয়েক দশক আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন বাবা ভাঙ্গা।
এক ‘মুসলিম মহাযুদ্ধ’ সম্পর্কে দৈববাণী করে গিয়েছিলেন ভাঙ্গা, যা শুরু হওয়ার সময় হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন ২০১০ সালের আরব বসন্তের কথা, যা ধীরে ধীরে সিরিয়াজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে এবং যে যুদ্ধের শেষ হবে ২০৪৩ সালে ইউরোপে খিলাফতি সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। ইউরোপ মুসলিমদের দখলে চলে যাবে এবং মুসলিমদের নতুন সাম্রাজ্যের রাজধানী হবে রোম, এমনটাই বলে গেছেন ভাঙ্গা।
এখন অনেকে মনে করছেন, ‘মুসলিম মহাযুদ্ধ’র মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠন আইএস’র সমৃদ্ধির আশঙ্কার কথাই বলে গিয়েছিলেন ভাঙ্গা। কথিত এই ‘নারী নবী’র সতর্কবাণী সত্য হলে আগামী বছরের শেষ নাগাদ আজকের ধনাঢ্য ইউরোপ মহাদেশ ‘চরম পরিণতি’ ভোগ করবে এবং মহাদেশটি ‘বর্জ্যভূমি’-তে পরিণত হবে।
এক্ষেত্রে এই ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে তাত্ত্বিকরা আইএস’র যেভাবে মেলাচ্ছেন, তা হলো- ইরাক ও সিরিয়া থেকে ইয়েমেন, লিবিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃতির মাধ্যমে ধীরে ধীরে ইউরোপের কেন্দ্রে প্রবেশ করছে আইএস জঙ্গিরা।
বাবা ভাঙ্গার ‘সত্য হওয়া’ সবচেয়ে জনপ্রিয় ভবিষ্যদ্বাণী
১৯৫০’র দশকে ২০০৪ সালের সুনামি দৈববাণী
‘শীতল অঞ্চল উষ্ণ হবে... আগ্নেয়গিরি জেগে উঠবে। বিরাট তীর অঞ্চল ছাপিয়ে উঠবে এক বিশাল ঢেউ, যা ভাসিয়ে নেবে মানুষ ও শহর, সবকিছু চলে যাবে পানির নিচে।’
‘সবকিছু গলে যাবে, ঠিক বরফ যেভাবে গলে যায়।’
১৯৮৯ সালের দৈববাণী- ৯/১১’র হামলা
নিউ ইয়র্কের হামলার সঙ্গে বাবা ভাঙ্গার যে ভবিষ্যদ্বাণীকে মেলানো হয়, সেটি হলো- ‘ভয়াবহ, ভয়াবহ! মার্কিন সহোদর (পাশাপাশি দুই সুউচ্চ ভবনকে তিনি ‘ভাই’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়) ইস্পাতের পাখিদের (ছিনতাইকৃত দু’টি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ?) হামলায় ভেঙে পড়বে। ঝোপের (ইংরেজিতে ‘বুশ’, ধারণা করা হয় তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান জর্জ ডব্লিউ বুশ-কে বুঝিয়েছেন তিনি, যাকে ওই হামলার জন্য দায়ী অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে দাবি করা হয় বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের তত্ত্বে) আড়ালে লুকিয়ে চিৎকার করবে নেকড়েরা এবং নিরীহদের রক্ত ঝরবে।’
১৯৮০ সালের দৈববাণী- মর্মান্তিক রুশ ডুবোজাহাজাডুবি
২০০০ সালে সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিল রাশিয়ার পারমাণবিক ডুবোজাহাজ কুর্স্ক। আন্তর্জাতিক উদ্ধারকারী দলের কয়েকদিনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে ডুবোজাহাজটির ভেতরে থাকা নাবিকরা সমুদ্রের নিচে ভয়াবহভাবে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এই দুর্ঘটনার আগে পর্যন্ত সবার ধারণা ছিল, ভবিষ্যদ্বাণীতে কুর্স্ক বলতে ভাঙ্গা রাশিয়ার কুর্স্ক নামের শহরটিকে বুঝিয়েছিলেন। ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ছিল- ‘শতাব্দীর শেষের দিকে, ১৯৯৯ ও ২০০০ সালের আগস্ট মাসে কুর্স্ক পানিতে তলিয়ে যাবে, কাঁদবে সারা বিশ্ব।’
নির্বাচনে বারাক ওবামার জয়
যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম রাষ্ট্রপ্রধান হবেন কোনো আফ্রিকান-আমেরিকান, বলে গিয়েছিলেন ভাঙ্গা, যা প্রমাণিত। কিন্তু একইসঙ্গে তিনি এই রাষ্ট্রপ্রধানকে ‘শেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে আখ্যায়িত করে গিয়েছিলেন। ‘শেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট’ বলতে তিনি ঠিক কী বুঝিয়েছিলেন, তা বুঝতে হলে এখন সঠিক সময়ের অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
আফ্রিকান-আমেরিকান বারাক ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এবং দু’ দফার নেতৃত্ব শেষে নতুন নেতার খোঁজে যুক্তরাষ্ট্রে পরবর্তী নির্বাচনী দৌড়ও শুরু হয়ে গেছে।
পরবর্তী বছরগুলোর জন্য ভাঙ্গার করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী
২০১৬: ‘মুসলিমরা’ ইউরোপ দখল করবে, যার ফলে ‘পতন ঘনিয়ে আসবে’ ইউরোপের। ধ্বংসের এই অভিযান স্থায়ী হবে কয়েক বছর, মানুষ মরবে পোকার মতো এবং পুরো মহাদেশ হয়ে যাবে ‘প্রায় শূন্য’।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ রাসুল (সাঃ) ভবিষ্যতবাণী করে গেছেন, খিলাফতে রাশেদা থাকবে ত্রিশ বছর, তারপর শুরু হবে রাজতন্ত্র (আমীর মোয়াবিয়া (রাঃ) থেকে উমাইয়্যা ও আব্বাসিয়া শাসন), তারপর হবে স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র (যা এখনো অধিকাংশ মুসলিম দেশগুলোতে চলছে), তারপর আবার খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহ তার নবীর ভবিষ্যতবাণী বাস্তবায়িত করবেন। কাজেই উম্মাহর সকল ইসলামি দল- মত ফিরকা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুসলিম বিশ্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে। তারপর মুসলমানদের তথা কথিত সন্ত্রাসী ও সশস্ত্র সংগঠন আল কায়েদা, আইসিস, তালেবান, বুকো হারাম ইত্যাদিরা ইউরোপে একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে হামলে পড়বে। ইউরোপিয়ানরা বিগত কয়েক শতাব্দি ব্যাপি মুসলমানদের উপর যে রক্তপাত ঘটিয়েছে, সম্পদ শোষণ করে নিয়েছে মুসলমানরা এর প্রতিশোধ নেবে। কচুকাটা করবে এবং সেখানে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবে।
২০১৮: বিশ্বের নতুন পরাশক্তি হবে চীন।
২০২৩: পৃথিবীর কক্ষপথ বদলে যাবে (এর সঠিক অর্থ জানে না কেউ)।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ কিন্তু আমরা জানি। বর্তমানে আমেরিকা হলো শয়তানের অক্ষ। আর এ অক্ষকে কেন্দ্র করেই পৃথিবী আবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, ১৯২৪ সালে পশ্চিমারা প্রথম বিশ্বযুদ্ধুত্তর খিলাফত ধ্বংস করেছিল, এখন আমরা ২০২৪ সালের পূর্বেই খিলাফত প্রতিষ্ঠা করব। ফলে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে মুসলমানরা অধিষ্ঠিত হবে। কাজেই তখন দাজ্জাল আমেরিকা ধ্বংস হবে এবং খেলাফত কেন্দ্রিক পৃথিবী আবর্তিত হবে। এটাই হলো পৃথিবীর কক্ষপথ বদলে যাবার যথার্থ।
২০২৫: ইউরোপের জনসংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ ইউরোপে খৃষ্টান জনসংখ্যা শুন্যের কোঠায় নেমে আসবে। কারণ সবাই মুসলমান হয়ে যাবে।
২০২৮: শক্তির নতুন উৎসের সন্ধানে মানবজাতি বৃহস্পতিতে উড়ে যাবে।
২০২৫ – ২০২৮: নতুন জ্বালানি ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় ক্ষুধা নির্মূল শুরু হবে।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ জ্বালানি ক্ষুধা নির্মূলের উৎস নয়। বরং এর মমার্থ হলো ২০২৪ সালের মধ্যে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর ইসলামী অর্থব্যবস্থা অনুযায়ী পৃথিবীর সম্পদের সমবন্টন হবে। ইহুদি ও খৃষ্টান ধনকুবেরদের অর্থ বিশ্বের দরিদ্র জনগোস্টির মাঝে সমবন্টন করা হবে। সমাজের সর্বস্তরে ব্যাপক অর্থ সমাগন ঘটবে। ফলে ধনি দরিদ্রের বৈষম্য কমে আসবে।
) আর এভাবেই ক্ষুধা নির্মূল হবে। كَيْ لَا يَكُونَ دُولَةً بَيْنَ الْأَغْنِيَاءِ مِنكُمْ(
২০৩৩: বরফ গলে বিশ্বে পানির উচ্চতা অনেক বেড়ে যাবে (যা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে)।
২০৪৩: ইউরোপের ইসলামিক খিলাফতে রূপান্তর সম্পূর্ণ হবে। রোম হবে নতুন রাজধানী। বিশ্বের অর্থনীতি মুসলিম রাজ্যের অধীনে চলে যাবে।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ মুসলিম বিশ্বে ২০২৪ সালের মধ্যে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর ইউরোপ আক্রমণ, দখল ও পুর্নাংগ খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত সময় লেগে যাবে। আর তখন তিনটি মহাদেশের খেলাফত নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষে এশিয়া আফ্রিকা ও ইউরোপের কেন্দ্রস্থল/ সংযোগস্থল রোম হবে কেন্দ্রীয় খেলাফতের সদর দফতর। এ বিষয়ে কোরানে ইঙ্গিত রয়েছে-
- রোম বিজিত হবে)। غُلِبَتِ الرُّومُ ﴿الروم: ٢﴾
খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর মুসলমানরা ত্রিব্ব মানে তিন ব মানে বানিজ্য, বিজ্ঞান ও বিশ্ব নেতৃত্ব দখল করে নেবে। সঙ্গত কারণেই বিশ্ব অর্থনীতি মুসলমানদের কব্জায় চলে আসবে।
২০৬৬: প্রথমবারের মতো জলবায়ু পাল্টে দেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন কোনো অস্ত্র (‘ইনস্ট্যান্ট ফ্রিজিং’ বা তাৎক্ষণিক বরফে পরিণতকরণ অস্ত্র) ব্যবহার করবে যুক্তরাষ্ট্র, উদ্দেশ্য রোম দখল ও খ্রিস্টত্বকে ফিরিয়ে আনা।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ ইউরোপে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পর সবাই মুসলমান হয়ে যাবে, খৃস্টবাদ হুমকির মুখে পড়বে। তখন অবশিষ্ট খৃস্টানদের প্ররোচনায় আমেরিকা মুসলমানদের উপর সর্বশেষ মরণ কামড় দিবার চেষ্টা করবে, সে ক্রুসেডের ডাক দিবে, খেলাফতের কেন্দ্র রোম দখলের চেষ্টা করবে। কিন্তু পরাজিত হবে এবং চুড়ান্তভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে।
২০৭৬: ইউরোপ ও গোটা বিশ্বে সাম্যবাদী শাসনব্যবস্থা ফিরে আসবে।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ ২০৬৬ সালে আমেরিকা পতনের পর বিশ্বে এক কেন্দ্রিক- খিলাফত কেন্দ্রিক মেরুকরণ হবে। সমগ্র বিশ্বে ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা ও বিচার ব্যবস্থা- যা পৃথিবীর একমাত্র সাম্যবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে।
২০৮৪: প্রকৃতি পুনর্জন্ম নেবে (এর অর্থও বুঝতে পারেনি কেউ)।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ কিন্তু আমরা বুঝি। খিলাফত ব্যবস্থার অধিনে ইসলামী শাসন ব্যবস্থার সুফল হিসাবে কোন অভাব অনটন থাকবে না, কোন অন্যায় অবিচার, জোর- জুলুম, হিংসা- বিদ্বেষ, যিনা ব্যাভিচার থাকবে না। পৃথিবী হবে ইনসাফের বাগান, শান্তির স্বর্গ। ফলে মানুষের স্বভাব প্রকৃতি বদলে যাবে। মানুষ হয়ে যাবে সদ্য ভুমিস্ট শিশুর মত নিষ্পাপ। প্রকৃতিও মানুষের জন্য তার ভাণ্ডার উপুড় করে ঢেলে দিবে। এটাই প্রকৃতির পুনর্জন্ম।
২১০০: পৃথিবীর অন্ধকার পাশে আলো দেবে মানবনির্মিত সূর্য (এই কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ২০০৮ সাল থেকে পরমাণু একীভবন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃত্রিম সূর্য তৈরির চেষ্টায় কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।)
২১৩০: মহাজাগতিক প্রাণির (এলিয়েন) সাহায্যে পানির নিচে বসবাস করতে শুরু করবে মানবসভ্যতা।
২১৭০: বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খরা শুরু হবে।
২১৮৭: দু’টো বিশাল আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত বন্ধ হয়ে যাবে।
২২০১: সূর্যের ‘থার্মোনিউক্লিয়ার প্রসেস’ ধীরগতির হয়ে যাওয়ায় তাপমাত্রা কমে যাবে।
২২৬২: গ্রহগুলো ধীরে ধীরে কক্ষপথ পরিবর্তন করতে শুরু করবে। ধূমকেতুর সঙ্গে সংঘর্ষের ঝুঁকিতে পড়বে মঙ্গল।
২২৬২ – ২৩০৪: সময় অতিক্রম বা ‘টাইম ট্রাভেল’ সম্ভব হবে, ফ্রান্সে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করবে ফরাসি গেরিলা যোদ্ধারা, ‘চাঁদের রহস্য উন্মোচন’ হবে।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ ফ্রান্স হলো পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্য দেশ। খিলাফতের অধিনে ফ্রান্সের জনগন ইসলাম গ্রহণ করলেও হয়ত নিজেদের প্রাচীন সভ্যতা সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা রক্ষার্থে তারা কেন্দ্রীয় খেলাফত থেকে স্বাধীনতা চাইবে। আর তখন সম্মুখ সমরের সামর্থ না থাকায় তারা গেরিলা যুদ্ধ শুরু করবে। অথবা তখনো হয়তো কিছু খৃষ্টান বাকি থাকবে যারা খৃস্টবাদ ও স্বাধিনতার জন্য আন্দোলন করবে। কিন্তু ফ্রান্সের সংখ্যাগুরু মুসলমানদের সমর্থন না পেয়ে তারা গেরিলা যুদ্ধ শুরু করবে।
২৩৪১ সাল থেকে মানবসৃষ্ট দুর্যোগে পৃথিবী বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠতে শুরু করবে, নানারকম অভাব থেকে যুদ্ধে জর্জরিত হয়ে উঠবে বিশ্ব।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ প্রকৃতির বিধান অনুযায়ী সভ্যতা ভাঙ্গে গড়ে। কোন সভ্যতা পুরাতন হয়ে গেলে তাতে ঘোনে ধরে। সূত্রানুসারে তখন খিলাফত ব্যবস্থায় ত্রুটি দেখা দিবে। মুসলমানরা অপরিনামদর্শি, ভোগ বিলাসি, অত্যাচারী ও ব্যাভিচারি হয়ে উঠবে। সবলরা দুর্বলদের শোষণ করবে, ধনী দরিদ্র বৈষম্য ফুটে উঠবে। আর তখনই দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও যুদ্ধ-বিগ্রহ শুরু হবে।
২৩৫৪: কৃত্রিম সূর্যের কারণে কোনো দুর্ঘটনার ফলে খরা তীব্রতর হবে।
২৪৮০: দু’টো কৃত্রিম সূর্যের সংঘর্ষে পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাবে।
৩০০৫: মঙ্গলে একটি যুদ্ধে গ্রহ-নক্ষত্রের নির্দিষ্ট আবক্র পথ বদলে যাবে।
৩০১০: চাঁদে আঘাত করবে একটি ধূমকেতু। পৃথিবীর চতুর্দিকে পাথর আর ছাইয়ের বলয় তৈরি হবে।
৩৭৯৭: এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীতে প্রাণের সমাপ্তি ঘটবে। তবে নতুন একটি সৌরশক্তির দিকে এগিয়ে যাবে মানবসভ্যতা।
৩৮১৫ – ৩৮৭৮: এর আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে সমস্ত মানবসভ্যতা, মানুষ পশুর মতো বাঁচতে শুরু করবে, মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে বের করে আনতে আসবে নতুন কোনো ধর্ম।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ এটাই হলো রাসূল (সাঃ) এর সেই বিখ্যাত প্রতিশ্রুতকাল। ইমাম মাহদি আগমনের পূর্বকাল। প্রফেসিতে উল্লেখিত মানব সভ্যতা বলতে খিলাফত ব্যবস্থা। অর্থাৎ তখন খিলাফত সম্পূর্ন ধ্বংস হয়ে যাবে, এর নাম নিশানা থাকবে না। পৃথিবী পাপের পঙ্কে ডুবে যাবে, চুরি ডাকাতি খুন ব্যাভিচার, জেনোসাইড, মিথ্যা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, আমানতের খিয়ানত ইত্যাদি সকল প্রকার পাপাচার মহামারির আকারে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পরবে। তখন জোর যার মুল্লুক তার নীতি প্রবর্তিত হবে। সবলরা দুর্বলদের খেয়ে ফেলবে। সত্য হবে মিথ্যা আর মিথ্যা সত্যের সম্মান পাবে। সম্ভ্রান্তরা লাঞ্চিত হবে, আর ইতর, বখাটে, সন্ত্রাসীরা সম্মানী হবে। জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অবহেলিত হবে মূর্খতা গ্রাহ্য হবে। মালহামাতুল কুবরা- বিরাট বিরাট যুদ্ধ সংগটিত হবে, মানুষের রক্ত মাংস বাতাসে উড়বে। মানুষ পশুর মত হয়ে যাবে। পিতা কন্যাকে, সন্তান মাতাকে বিয়ে করবে, ব্যাভিচার করবে। খোদার জমিন পাপের দরিয়ায় হাবুডুবু খাবে। মানুষ আল্লাহকে ভুলে যাবে। পাপ, অন্যায় ও অবিচারের অন্ধকার পৃথিবী গ্রাস করে নিবে। আর তখনই মানব জাতীর মুক্তির জন্য ইমাম মেহেদী ও ইসা (আঃ) এর আবির্ভাব ঘটবে। তারা পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। এখানে নতুন ধর্ম বলতে মেহেদী ও ঈসা (আঃ) এর সংস্কার আন্দোলন বুঝানো হয়েছে।
৪৩০২ – ৪৬৭৪: শয়তান ও ঘৃণার ধারণা পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে, মানুষ অমর হয়ে উঠবে, মহাজাগতিক প্রাণির সঙ্গে তুলনীয় হবে। মহাজগতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৩৪০ বিলিয়ন মানুষ সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে কথা বলতে পারবে, যা হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ এ সময়ে হযরত ঈসা (আঃ) এর শান্তি প্রতিষ্ঠা ও খিলাফত কালের ধারনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে, কিয়ামতের পুর্বে ঈসা (আঃ) খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন। তখন তিনি এমন শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন যে, মানুষের মাঝে কোন অভাব অভিযোগ, দুঃখ কষ্ট থাকবে না। তখন এত বরকত হবে যে, এক গাভীর দুধ গ্রাম শুদ্ধু মানুষের জন্য যথেষ্ট হবে। একটি ফল এক পরিবারের জন্য যথেষ্ট হবে। চোর জঙ্গলে যাবে, সেখানে সোনা রুপার খনি দেখেও সেদিকে ফিরে তাকাবে না। রাস্তা ঘাটে ধন সম্পদ পরে থাকবে, মানুষ তা স্পর্শও করবে না। কারণ তখন কোন প্রয়োজন ও অভাব থাকবে না। তদুপরি মানুষের মাঝে পূর্ন আমানতদারী দিয়ানতদারি ফিরে আসবে। এটাই হলো শয়তান ও ঘৃণা বিদূরিত হওয়ার অর্থ। আর মহাজাগতিক প্রাণী অর্থ ফেরেশতা। তখন মানুষ উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবে। তারা ফেরেশতার মত নির্লোভ নির্মোহ ও নিষ্পাপ হবে, অন্যায় অবিচার ব্যাভিচার মুক্ত হবে। এভাবে তারা ফেরেশতার সাথে তুলনীয় হবে। আর সৃষ্টি কর্তার সাথে কথা বলার অর্থ সকল মানুষ বেহেস্তী হবে, কারণ বেহেস্তিরা আল্লাহর সাথে কথা বলবে। পাপ থাকবে না বলে কেউ জাহান্নামী হবে না।
সবকিছুর শেষ:
৫০৭৯ সালে সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে।
আমাদের ব্যাখ্যাঃ এটা কিয়ামতের সাম্ভাব্য সময়কাল।
(সূত্র: মিরর, ইনডিপেন্ডেন্ট, ডেইলি মেইল, এক্সপ্রেস, ডেইলি স্টার, নিউজ ডটকম।)
আমাদের কর্মপদ্ধতিঃ কোরানে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ফরয এবং বিভক্তি হারাম করা হয়েছে।
আল্লাহ তা’লা বিভক্তিবাদিদেরকে কাফের আখ্যা দিয়ে তাদের জন্য জাহান্নামের সুসংবাদ দিয়েছেন। রাসূল (সাঃ)ও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি প্রদান করেছেন। কাজেই ঈমান রক্ষার্থে, পরকাল রক্ষার্থে মুসলিম ফিরকাগুলির মধ্যে ঐক্য ফরয। তদুপরি এ বিষয় সর্বজ্ঞাত যে, উম্মাহর বিভক্তি ও কেন্দ্রচ্যুতিই আজ মুসলিম জাতিকে অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি দাড় করিয়েছে। কাজেই কোরআন সুন্নাহয় যদি ঐক্য ফরয নাও থাকত তবুও উম্মাহর বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে ঐক্য ফরয বলে গন্য হত। সুতরাং বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষিতে মুসলিম জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে ইজমায়ে উম্মাত বা সর্বসম্মত সীদ্ধান্ত হয়ে গেছে। কারণ এছাড়া এ জাতির মুক্তির দ্বিতীয় কোন পথ খোলা নেই। বিভিন্ন ইসলামী দল ও ফিরকাগুলি ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেলেই খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। মুসলিম জাতি পশ্চিমা দাজ্জালের কবল থেকে মুক্তি পাবে, বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে অধিষ্ঠিত হতে পারবে। তদুপরি বিশ্বময় খিলাফত প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা ও আশা রয়েছে। কাজেই এখন আমাদের একমাত্র কর্তব্য হল বিভিন্ন ইসলামী দল ও ফিরকাগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করা। আর এ মহত্তর কাজ ব্যক্তি পর্যায়ে একাকীত্ব সম্পাদন করা সম্ভব নয় বিধায় আমাদের সীদ্ধান্ত হল প্রত্যেক দল ও ফিরকা থেকে একজন করে যোগ্য আলেম বা স্কলার যাচাই করে একটি সংস্থা গঠন করা। এ সংস্থাই ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করবে। তারপর তারাই রাজনৈতিক দলগুলোর নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করে খিলাফত প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে। এভাবে মুসলিম বিশ্বের প্রত্যেক দেশে এমনকি বিশ্বের সকল দেশে এ জাতীয় সংস্থা, সংগঠন বা মুসলিম থিংক-ট্যাংক গঠন করে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বস্তুত মুসলিম জাতি মূর্খ ও অপরিনামদর্শি। কেননা পৃথিবীতে আজে-বাজে, আলতু-ফালতু অসংখ্য সংস্থা-সংগঠন গড়ে উঠেছে। অথচ দুঃখের বিষয় এ উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ করার মত মহৎ ও বৃহৎ কাজের লক্ষে কোন থিংক-ট্যাংক বা সংস্থা সংগঠন গড়ে উঠেনি। অথচ ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে কত দল কত মারামারি, হানাহানি, খুনাখুনি করে রক্ত গঙ্গা প্রবাহিত করছে। কাজেই ইসলামের সন্তান, ভাইটি/বোনটি আমার, তুমি যদি মুমিন হও, স্বজাতির উন্নতি চাও, দাজ্জালের কবল থেকে মুক্তি চাও, নিজের ইহকাল-পরকাল সংকট মুক্ত করতে চাও, তাহলে দৌড়াও, ঐক্যের পথে দৌড়াও। ফিরকাবাজি, দলবাজি দু পায়ে মাড়িয়ে আল্লাহ্র ওয়াস্তে ঐক্যবদ্ধ হও, জাতিকে ঐক্যবদ্ধ কর, তদোদ্দেশ্যে কোন সংস্থা বা সংগঠন গড়ে তোল। তাহলে তোমরা ইহকাল ও পরকালে পূর্নাংগ সফলতা ও আল্লাহ্র সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে। সুতরাং শীঘ্রই প্রত্যেক দল থেকে একজন করে যোগ্য আলেম/ স্কলার এগিয়ে আসুন যাতে একটি সংস্থা গঠন করে এর মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যপানে দ্রুততর গতিতে অগ্রসর হতে পারি। আল্লাহুম্মা আমিন, আমিন, ছুম্মা আমিন।
বিষয়: বিবিধ
৩৪০১ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন