ক্রিকেট কিংবদন্তী রকিবুল হাসান এখন নির্বাসিত।
লিখেছেন লিখেছেন মিস্টার ট্রাইবুনাল ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৫:৩৯:১০ বিকাল
হ্যা তিনি সেই রকিবুল হাসান,
যিনি ব্যাটের মধ্যে ‘জয় বাংলা’ স্টিকার লাগিয়ে পাকিস্তানে খেলেছিলেন।
তিনি সেই গোপালগঞ্জের রকিবুল হাসান,
যিনি শেখ কামালের বন্ধু ছিলেন।
তিনি সেই রকিবুল হাসান,
যিনি শুরু থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।
আজকে সেই রকিবুল হাসান নির্বাসিত হয়েছেন।
কোন একটি ঘটনা ঘটলে যে ঘটনাটি সামনের দিকে তদন্ত করা যেমন জরুরী, ঠিক তেমনি পেছন দিকে তদন্ত করাও জরুরী। মানে ঐ ঘটনাটি পেছন কারা ঘটিয়েছে কিংবা ঘটাতে সাহায্য করেছে সেটা তদন্ত করা।
যেমন-
১) রকিবুল হাসানকে বিতর্কিত করতে প্রথম রিপোর্টটি করে একাত্তর টিভি’র সাংবাদিক দেব চৌধুরী
২) রকিবুল হাসানের থেকে পরবর্তী বিষ্ফোরক মন্তব্য সংগ্রহগুলো করে একাত্তর টিভি। সেখানে রকিবুল হাসান অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। কিন্তু কেন ঐ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বক্তব্য আসলো ?
এর কারণ-
একাত্তর টিভির দ্বিতীয় সাংবাদিক রকিবুলকে ঐ সাংবাদিক এমন কিছু বলেছে যেন সে বিসিবির নেতৃস্থানীয়দের বিরুদ্ধে চটে যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়। পরবর্তীতে সেগুলো সংগ্রহ করে তার কাটছাট অংশ টিভিতে প্রচার করা (পুরোটা নয়) । এক্ষেত্রে রকিবুল একাত্তরের পাতা ফাঁদে পা দেয়। এর কারণ, রকিবুল হচ্ছে মাথাগরম, যেটা সে নিজেই স্বীকার করেছে। তারমানে কোন একটি মহল পুরো একটি প্ল্যান করে রকিবুল হাসানকে বিবিসি থেকে বাদ দিলো।
এর দ্বারা বোঝা যাচ্ছে- রকিবুল হাসান একটি মহলের স্বার্থের বিরুদ্ধে ছিলো। এবং সেই স্বার্থের বিরুদ্ধচারণ করার কারণেই তাকে একটি অপরেশনের মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হলো।
অর্থাৎ
আপনি কট্টর আওয়ামীলীগার হন
আপনি প্রভাবশালী গোপালগঞ্জী হন,
আপনি শেখ কামালের বন্ধু হওন,
আপনি ব্যাটের মধ্যে জয় বাংলা স্টিকার লাগান,
আপনি শেখ হাসিনার বেয়াই হউন,
কিংবা আপনি প্রভাবশালী এলজিআরডি মন্ত্রী হউন,
কোন কাজে আসবে না, যদি আপনি ইন্ডিয়ান হাইকমিশন তথা ঐ নেটওয়ার্কের হিন্দুদের বিরুদ্ধে কিছু বলেন, কিছু বললেই আপনাকে নাজেহাল করা হবে। কথায় বলে, সরকারের ভেতরের সরকার। এরা হচ্ছে সরকারের ভেতর চুপটি করে বসে থাকা একটি মহল, এদের স্বার্থের বিরুদ্ধে কিছু ঘটলেই এরা সব কুকুরের মত ‘কেউউউ..’ করে উঠে। ‘সংখ্যালঘু হিন্দু নির্যাতন’, ‘সাম্প্রদায়িকতা’, ইত্যাদি বলে শোরগোল ফেলে দেয়। ব্যস সরকার বা আওয়ামীলীগের ঐ ব্যক্তিটিকে নাজেহাল করে ছাড়ে।
রকিবুল হাসান কিংবা খন্দকার মোশাররফ হোসেনকে দেখে আমি অবাক হইনি, শুধু এটা ভেবেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। বঙ্গবন্ধু অনেক কিছুই শুনেছিলেন, অনেক কিছুই করেছিলেন। শুধু তাদের স্বার্থের একটা কথা শুনেননি, সেটা হলো- “না বাংলাদেশে ভারতীয় কোন সেনা থাকতে পারবে না, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে”। ব্যস, এ কাজটি এমন একটি মহলের স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে গেলো, ফলশ্রুতিতে তারা গুটি চেলে বঙ্গবন্ধুকে পাঠিয়ে দিলো পরপারে, আর বললো- “দেখ আমাদের বিরোধীতা করলে কি হয়। এই দিনে (১৫ই আগস্ট শোক) তোরা কানবি, আর আমরা ঐ দিনে হাসবো (ভারতের জাতীয় দিবস ১৫ আগস্ট)।”
আজকে যারা গোড়া আওয়ামীগ, তাদের এখান থেকে শিক্ষাগ্রহণ খুব জরুরী। আজকে তারা যে গোষ্ঠীটিকে মাথায় তুলে কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার সুযোগ দিচ্ছে, দুই দিন পর ঐ গোষ্ঠীটি যে ঐ আওয়ামীলীগারের মাথার কাঠালের বদলে খোদ মাথা ভেঙ্গে খাওয়ার শুরু করবে না, এটা কিন্তু বলা যায় না। তাই সাবধান আওয়ামীলীগ।
বিষয়: বিবিধ
১২৩৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত
সত্যের বিজয় অনিবার্য,
মিথ্যার বিণাশ অবশ্যম্ভাবী
মন্তব্য করতে লগইন করুন