অন্যের স্ত্রীর কোলে শুয়ে পরকীয়া বিরোধী আন্দোলন বন্ধ করুন
লিখেছেন লিখেছেন ব্লাকহোল ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০১:৪৪:০৬ রাত
অধ্যাপক ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পুরো নাম আবু আহসান মোহম্মদ সামসুল আরেফিন সিদ্দিক, একটি নাম , ইতিহাসের অংশ হতে যাচ্ছেন।
এবারের বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির পাওয়া উপহারগুলোর মাঝে অন্যতম হলো , ঢাবি উপাচার্যের ঐতিহাসিক ঘোষণা । যেখানে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন , পাকিস্তানের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা । এটা খুব ভালো মাপের একটা কাজ , তবে এটার মাঝে যে পরিমান দেশপ্রেম আছে তার চেয়ে বেশী আছে অন্য কাউকে খুশি করার প্রবনতা ।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ আজ অনেক বেশী বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে । যারা নিজের জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে তারা আজ অবহেলিত কিন্তু তারাই সুবিধাভোগী যারা সুযোগ থাকা স্বত্বেও যুদ্ধ না করে নিজেকে রক্ষা করেছেন আর এখন মিডিয়ার সামনে এমন ভাব করে যেন তারাই সব করেছে।
আ আ ম স আরেফিন স্যার ঢাবির উপাচার্য তথা সিন্ডিকেট সভাপতি হিসেবে ঢাবি আর পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতেই পারেন । এটা তার ক্ষমতার অংশ । পরে আবার নতুন কোন ভিসি আবার সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারেন । এগুলো আসলে দেশপ্রেম নাকি ক্ষমতার ব্যবহার করে দেশপ্রেমের অভিনয় করা।
Action is more powerful than words
আমি যদি ভুল না করে থাকি তবে জনাব সিদ্দিক সাহেব ১৯৬৯ সালে এসএসসি পাস করেন । তখন আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ ছিলোনা ছিলো পাকিস্থান । আর সেই নিয়ম অনুযায়ী জনাব সিদ্দিক সাহেবের যে এসএসসির ট্রান্সক্রিপ্ট আছে তাতে সুন্দর করে পাকিস্থান শব্দটা লেখা আছে ।তাকে এসএসসি ডিগ্রিটা প্রদান করেছে পাকিস্থান সরকার কোন সন্দেহ নাই । পাকিস্থানের সাথে ঢাবির সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে নিজের সম্পর্ক ছিন্ন করাই কি সত্যিকার বুদ্ধিমান দেশপ্রেমিক নাগরিকের কাজ হত না ???? সবার আগে তো আপনার নিজের এসএসসির সনদ ফিরিয়ে দিয়ে আপনার এই দেশপ্রেম দেশপ্রেম খেলা শুরু করলে খেলটা মানুষের ধরতে একটু সময় লাগতো ।
হায়রে বাংলাদেশ ! হায়রে স্বাধীনতা !
একজন পাকিস্তানি সৈন্যদের মুরগি সাপ্লাই দিয়ে দিয়ে আজ মুক্তিযুদ্ধের হোলসেল ডিলার হয়ে গেছে ।
যদি খুব বেশি ভুল না করে থাকি তবে সম্ভবত জামায়াত নেতা জনাব মোহাম্মদ কামারুজ্জামান ও জনাব আরেফিন সিদ্দিক সাহেব সহপাঠী ছিলেন ঢাবিতে। বেশ ভালো বন্ধু ছিলেন তারা । বিগত জোট সরকারের সময় কোন এক প্রতিষ্ঠানে জনাব আরেফিন সিদ্দিক সাহেবের স্ত্রীর কোন এক প্রতিষ্ঠানে চাকুরি সংক্রান্ত বেশ ভালো একটা জটিলটা হয় , যেখানে জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের হস্তক্ষেপে মিসেস আরেফিন সিদ্দিক আবার চাকুরিতে বহাল হন , তার পর আর সমস্যা হয়নি ।
জনাব সিদ্দিক সাহেব কি পারবেন একজন ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত একজন রাজাকারের অবদান ফিরিয়ে দিতে । পারবেন কি ফিরিয়ে দিতে কামারুজ্জামানের হস্তক্ষেপের পর যে টাকা তার স্ত্রী বেতন নিয়েছেন তার সব , আর সেই টাকা দিয়ে যা করেছেন যেমন নিজের বা সন্তানদের লেখাপড়া বা অন্যান্য খরচ যোগানো , পারবেন সে সব ফিরিয়ে দিতে । ফিরিয়ে দিতে যদি হয় তবে সব কিছুকে আগের অবস্থায় নিতে হবে অর্থাৎ সেই বেতনের টাকায় যদি বাচ্চারা শিক্ষিত হয়ে থাকে তবে তাদের আবার সেই আগের ক্লাস থেকে লেখাপড়া শুরু করতে হবে । পারবেন কি বাচ্চাদের সেই ১১ বছর আগে থেকে আবার শুরু করাতে ????
জনাব সিদ্দিক সাহেব পাকিস্তানি সম্পর্ক ছেদ করতে চাইলে আপনার এসএসসি সনদ ফিরিয়ে দিয়ে নিজেকে আন্ডার ম্যাট্রিক ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে শুরু হোক আপনার এই দেশপ্রেম দেশপ্রেম খেলা।
আমরা দেশকে ভালবাসতে চাই , যারা আমাদেরকে স্বাধীনতার স্বাদ পেতে বাধা দিয়েছে তাদের ঘৃণা করতে চাই তবে চাইনা কেউ আমাদের আবেগ নিয়ে খেলা করুক।
সিগারেট পান করতে করতে যায় ধূমপান বিরোধী সেমিনার এ, সন্ত্রাসীরা দেয় সন্ত্রাস বিরোধী বক্তব্য ......... তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ এ বিতর্কিত ভুমিকায় থাকা মানুষগুলো আজ ৭১ বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন ।
অন্যের স্ত্রীর কোলে শুয়ে পরকীয়া বিরোধী আন্দোলন আমাদের দেশে বন্ধ হোক ।
বিষয়: রাজনীতি
১০৪৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন