কিঞ্চিৎ ১৮+ পোস্ট। নিজ দায়িত্বে পড়ুন। (১)
লিখেছেন লিখেছেন আসমানি ২৯ আগস্ট, ২০১৬, ১২:১৫:৫৪ রাত
তখন আমি বর্ধমানে চাকুরি করছিলাম।
তাই, মেসে থাকতাম।
মেসে চাকুরীজীবী শুধু আমি। আর দু জন প্রাইমারির টিস্যার। চারজন কলেজ পড়ুয়া।
মোট সাত জন এক সাথে ছিলাম।
কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে তানিয়ার সাথে আমার খুব ভাব ছিলো।
অন্যদের সাথে ও খারাপ ছিলো না।
তবে তানিয়ার সাথে টাকা পয়সা লেনদেন ও করতাম। কোন মাসে বাসাভাড়া দিতে না পারলে আমাকে বলতো আপু আপনার কাছে টাকা আছে?
বাবা টাকা পাঠালে দিয়ে দেবো।
তারপর সময়মত দিয়ে দিতো।
মেয়েটা মোটামুটি সুন্দরী। কলকাতার মেয়ে। তবু এখানে কেন পড়ছে তা কখনো জিজ্ঞেস করিনি।
হঠাৎ রাত দুটোয় মোবাইল টা বেজে উঠলো।
দেখলাম তানিয়ার কল।
বেড়ে দেখি, তানিয়া বেড়ে নেই।
এত রাতে মেয়েটা রুমে নেই।
গেলো কোথায়? কল কেন দিচ্ছে?
একটু বিরক্তি নিয়ে রিসিভ করলাম।
আপর প্রান্ত থেকে পুরুষ কণ্ঠ শুনতে পেলাম। বলছে, এ মোবাইল এর মালিক কিছুক্ষণ আগে রাস্তায় এক্সিডেন্ট করেছে।
ডায়ালে আপনার নাম্বার পেলাম তাই কল দিলাম।
সদর হসপিটাল আসলে ৩নং ওয়াডে দেখবেন।
আমি আবাক হয়ে গেলাম। তড়িঘড়ি করে ছুটলাম হসপিটালে। দেখি অজ্ঞান অবস্থায় আছে।
ডাক্তার বললো, আমি ফোন করছিলাম।
প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। আমরা দু ব্যগ রক্ত দিয়েছি।
রোগী আপনার কি হয়?
বললাম, আমার কিছু হয় না। আমরা একসাথে মেসে থাকি।
-ওর স্বজন কাউকে খবর দিন।
=আমি ওর ঠিকানা জানিনা। তবে এ টুকু জানি ওর বাড়ি কোলকাতা।
এখানে কলেজে পড়ে।
-আর কিছু?
=না আর কিছু জানিনা।
- এটা ঐ গাড়ির ড্রাইবার।
=ওনার এ অবস্থা কেন? হাত পা ভাঙ্গা?
-ওখানকার পাবলিক গাড়িটি আটক করে ওনার এ অবস্থা করে দিয়েছে।
কাতর স্বরে বললো লোকটা, ভগবানের দিব্বি। আমি ইচ্ছে করে এক্সিডেন্ট করিনি। আমি ধীরে গাড়ি চালাচ্ছিলাম।
হঠাৎ মেয়েটা আমার গাড়ির সামনে জাপিয়ে পড়লো।
মনে হয়, আত্নহত্যা করতে চেয়েছিলো।
অবাক হলাম, তানিয়া আত্নহত্যা করতে চাইবে কেন? নিজেকে কিছুই বুঝাতে পারলাম না।
ডাক্তার কে বললাম, ওর দায়িত্ব আমি নিলাম। আপনারা ওকে ভালো চিকিৎসা দিন। তারপর, কিছু টাকা কাউন্টারে জমা করে দিলাম।
বস কে ফোন করে বললাম, আমার এক বোন এক্সিডেন্ট করেছে, আজ আমি অফিসে আসতে পারবোনা।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১২৫৮ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সত্য ঘটনা লিখছি জাতি যেন সচেতন হয়।
আপনি হলে কি করতেন?
দোয়া করবেন যেন লিখাটা শেষ করতে পারি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন