>>ধর্মের মা-বোন বানানো: অচেনা এক পাপের নিরব লাইফ ইন্সুরেন্স<<
লিখেছেন লিখেছেন ফাহিম বদরুল হাসান ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৪:৩২:২৫ বিকাল
>>ধর্মের মা-বোন বানানো: অচেনা এক পাপের নিরব লাইফ ইন্সুরেন্স<<
আমাদের সমাজে ইসলামের নামে অনেক গর্হিত বিষয় বা কর্মকান্ড হয়, যার শরয়ী কোনো ভিত্তি নেই, শুধুমাত্র সামাজিক প্রথা-ই এর চালক। এগুলো এমনভাবে সমাজে গেঁথে গেছে চিন্তা করাই মুশকিল যে, কাজগুলো ইসলামে কোনভাবেই গ্রহণীয় নয়। হারাম।
এরকমই অত্যন্ত মারাত্মক একটি প্রথা হচ্ছে- ধর্মের মা-বাবা, ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে ইত্যাদি রিলেশন তৈরি করা। এর মাধ্যমে চলে, বেগানা দুজন মানুষের মধ্যে একেবারে মাহরামের মতন চলন বলন।
অনেক মহিলাদের দেখা যায়, যারা খুবই রক্ষণশীল, বেপর্দা চলাফেরা দূরে থাক, বেগানা লোকের সাথে টেলিফোনেও কথা বলতে ইতস্তত বোধ করেন। কিন্তু কাউকে ধর্মের ভাই/বাপ ডেকে আপন ভাই/বাবার মত দেখা-সাক্ষাত করেন। কথাবার্তা বলেন। অনেক আলেমকেও দেখা যায়, ইসলামের সর্বক্ষেত্রে খুবই সেনসিটিভ, কিন্তু কোনো একজন নারীকে ধর্মের মেয়ে/বোন বানিয়ে এক্কেবারে বে-হিজাবী আচরণ করেন। একসাথে বসে গল্পসল্প, খাওয়া-দাওয়া করেন! অনেকটা নিজের মেয়ে বা বোনের মত! এই সম্পর্ক গড়ার ট্রেডিশন আমাদের সোসাইটিতে এমনভাবে জড়িয়ে গেছে যে, এটা এখন ইসলামেরই একটা অংশ মনে হয়।
●অনেক তিক্ত, রসকষহীন এবং তথাকথিত অসামাজিক মনে হলেও এই সম্পর্কগুলো আপাদমস্তক অবৈধ। ধর্মের মা-বাবা,ভাই-বোন ইত্যাদি বানানো হারাম এবং গর্হিত। এবার ভাবুন, একজন সাধারণ বেগানা পুরুষ/মহিলার সাথে কথা বলা, ইচ্ছাকৃত গাড়িতে পাশাপাশি বসে কোথাও যাওয়া, পরস্পরে দেখা করা ইত্যাদি যেমন জায়েয নেই, ঠিক একই হুকুম হচ্ছে ধর্মের মা-বোন ইত্যাদি সম্পর্কে। আশ্চর্যজনক ভাবে আর এই পাপ নিজের অজান্তে মানুষ সারাটা জীবন করেই যায়!
হয়তো কেউ কেউ এই "ধর্মের সম্পর্ক" গুলোতে নোংরামি, কালিমা, বদ-নিয়ত নাই বলে দাবী করবেন। কিন্তু এইসব দাবী কিংবা পবিত্রতার দোহাই কোনোভাবেই একটি নাজায়েয সম্পর্ককে বৈধতা দিতে পারবে না।
কেউ যদি বলে যে, তার মদ পান করলে নেশা হয় না,তাহলে কি ঐ ব্যক্তির জন্য মদ পান জায়েয হবে? পৃথিবী উল্টে গেলেও না। ঠিক একইভাবে কারো ধর্মের মা-বোনের সাথে সম্পর্কে পবিত্রতার দাবী কোনক্রমেই বৈধতার দোয়ারে পা রাখতে পারবে না।
বিষয়: বিবিধ
১৪৪৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন