সব সাধকের বড় সাধক,আমার দেশের প্রবাসী,তারা দেশের বোজা নই,তারা দেশের খনিজ সম্পদ।

লিখেছেন লিখেছেন সানজিদ হোসেন ইরাজ ২৫ মে, ২০১৬, ০১:৪৯:০৩ দুপুর

লিখাটা তাদের জন্য যেই শিক্ষত যুবক যুবতীদের প্রবাসী কামলাদের উপর এত ক্ষোভ।

,

এক গণ্ডমূর্খ ধনী জমিদার প্যারিস থেকে অল্পদিনের জন্য গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। ঘোড়ার পিটে সওয়ার হয়ে তিনি সারা গ্রাম ঘুরে বেড়াতে লাগলেন,রাস্তার ধারে,নতুন বাড়ি দেখে তিনি থমকে দাড়াঁলেন,

সেখানে অনেক ছেলেমেয়ে দেখে তার কৌতূহল হল,একটি ছেলেকে ডেকে এনে তিনি রাজকীয় গাম্ভীর্যে বললেনঃ'এখানে কি হচ্ছে?

,

ছেলেটি বললঃএইটা বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে হাজার ফ্রা,'ফরাসী মুদ্রা' জমা দিলে পিইচ,ডি ডিগ্রী পাওয়া যায়,যারা হাতে বা পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে টিপছাপ দিতে পারে,এবং এক হাজার ফ্রা,জমা দিলেই ডিগ্রী পেয়ে যায়,জমিদার বেশ খুশী হয়ে ভিতরে গেলেনঃজমিদার কড়কড়ে এক হাজার ফ্রা জমা এবং টিপছাপ দিয়েউ ভিসির কাছ থেকে ডিগ্রী নিয়ে এলেন।জমিদার খুব খুশী হলেন।

,

বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ তার মনে হল,হায়!আমি কি বোকা,আমার ঘোড়ার জন্য ও ত একটি ডিগ্রী আনতে পারতাম,ঘোড়াও ত পায়ে দিয়ে টিপছাপ দিতে পারত,এই কথা ভেবে সেই ভিসির কাছে গিয়ে বললেন,এই লন আরো,এই হাজার ফ্রা,আমার ঘোড়াটারে ও একটি পিইচ'ডি ডিগ্রী দিয়ে দিন, আমার ঘোড়াটা ও অন্তত পা,দিয়ে টিপছাপ দিতে পারবে। সুতরাং তারে একটি ডিগ্রী দিয়ে দিন,ভিসি কিছুক্ষণ জমিদারদের দিকে তাকিয়ে রইল এবং বললঃসরি স্যার আমরা এখানে ঘোড়াদের ডক্টরেট ডিগ্রী দিনা, আমরা শুধু গাধাদের ডিগ্রী দিয়,

,

এই পোষ্ট তাদের জন্য যারা যারা মূর্খ জমিদারের মত জ্ঞান অর্জন ছাড়াই সার্টিফিকেট অর্জন করতে চাই,যাদের জীবনে নাই নৈতিকতার বিন্দুমাত্র তারা কিভাবে নৈতিকতা সম্পর্কে জানবে,শুধু বই পড়লে কি তারে শিক্ষিত বলে,,,লিমেন্টিক করা সার্টিফিকেট থাকলে কি তারে জ্ঞানী বলা যায়,

মা বাবা,সংসার,বিবি,বাচ্চা,স্বজন,পরিবার,পরিজনের একটু মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যায়,আমাদের নিরহ বাঙ্গালীরা আরব দেশে শ্রম দিতে,তাদেরকে প্রয়োজন মিটিয়ে,নিজের চাহিদামত ভোগ করে,তাদের আখ্যায়িত দিই,নিজের ফেমিলি বা আত্মীয় স্বজনরা,প্রবাসী কামলা নামে,কামলা বলতেছে,ঠিক আছে,তারা ত এমনেই কর্মী,তারা ত বাপ,ভাইয়ের টাকা দিয়ে চলে না।তারাই নিজেই কষ্ট করে অন্যের মুখে হাসি ফূটানোর জন্য।অন্যকে সুখে রাখার জন্য।সারাটি জীবন ফেমিলির আদর,ভালবাসা থেকে বঞ্চিত হয়ে ফেমিলির সুখের জন্য জীবন বিসর্জন দেয়।তাদের প্রতি দিন শেষে আমাদের এত যে ক্ষোভ হয়,যেন সেই এক কুখ্যাত খুনি।এমনকি তরুণতরুণী ছেলে মেয়েদের ও অনেক ক্ষোভ জন্ম হয়,প্রবাসীদের প্রতি।তাদের বাবা ও প্রবাসী,, প্লাসে,মাইনাসে হিসাব করলে তাদের জন্মের পিতা খুজে পাওয়া যাবেনা।ভাইরে,আপুরে একটু চিন্তা করুন ওই মানুষগুলো নিজের গায়ের সুখ না চেয়ে আমাকে,আপনাকে,মানুষের মত মানুষ গড়ে তুলার জন্য ৫৫' ডিগ্রী উত্তপ্ত গরমের মাঝে নিজের দেহখানি অকাতরে বিলিয়ে দিচ্ছে,এর চেয়ে কি বড় ত্যাগ আর আছে,নাকি কলিজা কেটে রান্না করে দিতে হবে,তাহলে ত্যাগ হবে,আমাদের দেশের,তবে কিছু প্রবাসীদের আমি ঘৃণা করি,তারা প্রবাসে গিয়ে কোটিপতি বুনে যায়,মানুষকে মানুষের মত গণ্য করেনা,তবে সবাই নই,আমার বাবা প্রবাসী নই,কিন্তু আমি প্রবাসী আংকেল,ভাই,ব্রাদার্স সবাইকে অন্তস্তল হতে শ্রদ্ধা করি,ভালবাসি।তবে আমি তাদের মত প্রবাসী না হলে তাদের কষ্টের যন্ত্রনা এক মূহুর্ত হলেও দেখেছি।

,

আসুন প্রবাসী ভাইদের আমরা উৎসাহ দিই,তাদেরকে আমরা ভালবাসি।তাদেরকে আমরা যেন,কেউ হেউ না করি।প্রবাসী দেশের বোজা নই,তারা দেশের খনিজ সম্পদ।

বিষয়: বিবিধ

১১৬৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370065
২৫ মে ২০১৬ দুপুর ০২:১৫
এমরুল কায়েস ভুট্টো লিখেছেন : চেত্না পন্থিদের কাছে কেবল সেই সব প্রবাসীদের প্রতি ক্ষোভ যারা মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ গুলোতে রয়েছে। ইউরোপ বা আমিরিকার প্রবাসীদের প্রতি তাদের দরদ অনেক। এমন কি তারা নিজেরাও ইউরোপ বা আমিরিকায় পাড়ি জমানোর জন্য মুখিয়ে থাকে।
যদিও রেমিটেন্স দেখলে বুঝা যায় ইউরোপ, আমিরিকার প্রবাসীদের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশের প্রবাসীরাই বেশি অবদান রাখতেছে। সরকারী হিসেবে ৬০ লাখেরও বেশি বাংলাদেশে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আছে। আর ৬০ লক্ষ পরিবার বলতে দেশের মোট পরিবারের প্রায় অর্ধেক পরিবারের কাছাকাছি। যার অর্থ হল ৬০ লক্ষ পরবার সরাসরি মধ্যপ্রচ্যের টাকার ‍উপর নির্ভরশীল। যেখানে অর্ধেক দেশ চলে মধ্যপ্রাচ্যের টাকায় সেখানেও কিছু ”প্রগতিশীল সুশীল” আছে যারা সব সময় মধ্যপ্রাচ্য গীবত করে বেড়ায।
২৫ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৪
307142
সানজিদ হোসেন ইরাজ লিখেছেন : জনাব,চরম সত্য আপনার কথা আপনার সাথে আমি একমত,, যারা এইরকম মানসিকতা সম্পর্ণ তারা সবাই চেতনার প্রোডাকশন, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।
370082
২৫ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:১৭
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : প্রবাস জীবন হচ্ছে ঢাকা শহরের লোকাল বাসের মত। সবাই উঠার জন্য ব্যস্ত। কিন্তু উঠার পরে বলে ভাই জায়গা নাই উঠবেননা।
প্রবাসে আসার আগে সবাই মনে করে প্রবাস মানে টাকার গাছ। শুধু ধাক্কা দিলেই টাকা পড়ে; কুড়িয়ে নিয়েই দেশে পাঠাবে.. কিন্তু আসার পরে একই সুর ভাই বিদেশ আসবেননা।
২৫ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৫
307143
সানজিদ হোসেন ইরাজ লিখেছেন : একদম সত্য,কেউ বা প্রবাসে যায় দুঃখ গুছাতে আর কেউ বা যায় দুঃখ তৈরী করতে প্রবাসে।
,
ধন্যবাদ আপনাকে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File