পেছনে ফিরে দেখাঃ আমাদের জাতী সত্তা
লিখেছেন লিখেছেন ওয়েলকামজুয়েল ০৪ জানুয়ারি, ২০১৯, ১০:০৫:০৭ রাত
আমার যথেষ্ট সন্দেহ হয় আগামী এক দশক পর্যন্ত বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির স্বাধীন অস্তিত্ব টিকবে কিনা!
ঘাড়ের রগ ফুলিয়ে আসলে যা বলা হয় এই "বাঙ্গালী বীরেরজাতি" - এসব আসলে ফাঁকা বুলি। আমি তো দেখি এ জাতি চরম অলস ও অকর্মণ্য এক জাতি, নিতান্তই ভাত কাপড়ের টানাপুরন না হলে কর্মচঞ্চল হয় না। চরম স্বার্থপর আত্মকেন্দ্রিক এক জাতি, পাড়া প্রতিবেশী পুড়ে ছাই হয়ে গেলেও নিজের গায়ে তাপ লাগার আগ পর্যন্ত এদের কোন বিকার নেই, চেতন নেই, সচেতন তো দূরে থাক। নেই কোন এদের ভিশনও, আছে শুধু একখান 'হুজুগ'। এই মাতলামি দিয়ে এ জাতির এতদূর আসা! ৭১ বলেন ৫২ বলেন ঐ সবই একই। ব্যপারটা তেতু হলেও ৭১ এর প্রাসঙ্গিক কিছু হাইলাইটস বিবরণ বলি -
৭১ এ মার্চের আগ পর্যন্ত এদেশীয় কোন রাজনীতিকেরই এ ভূখণ্ডকে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের কোন পরিকল্পনা বা প্রস্তুতি ছিলনা ক্ষুদ্র সামরিকাংশের যে বিদ্রোহী তৎপরতা ছিল সেটা ছিল বিরুপ পরিস্থিতির আবহে চিরাচরিত সৈনিক চেতনার স্বভাবজাত। যদিও ২৫ মার্চের পর সেটাই ব্যপকতা পেয়েছে।
মার্চের পরেও যে রাজনিতিকরা হাল ধরেছে তাও নয় ,বরঞ্চ সামরিক হামলার খবর শুনে উল্টো তারা আরো দেশবাসীকে ফেলে রেখে 'ছেড়ে দে মা কাইন্দা বাচি' বলে পরি কি মরি করে পালিয়ে বেড়িয়েছে আর বুদ্ধিজীবীরাও ছিল সব পাক সরকারের পদলেহী অখণ্ড পাকিস্থান রক্ষার পক্ষে, তারাও ছিল নিশ্চুপ। এমত অবস্থায় দেশ হয়ে পড়েছিল সম্পূর্ণ নেতৃত্ব শূন্য অভিবাভক শূন্য
এই সুযোগটাই ইন্ডিয়া অত্যন্ত পারঙ্গমতার সাথে কাজে লাগিয়েছিল হুজুগে মাতাল বাঙ্গালীর মধ্যে নানান রিউমার ছড়িয়ে দিয়ে নেতৃত্ব শূন্য বিক্ষুব্দ জনতাকে একোমডেট করে ছিল ইন্ডিয়া, তাদের রিক্রুট করে ট্রেনিং দিয়ে অস্ত্র দিয়ে বিদ্রোহী সেনা ও তাদের সমন্বয়ে রেজিমেন্ট করে করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তা করে, পুরো যুদ্ধটাই চলে ইন্ডিয়ান ছকে। শুরু থেকে ইন্ডিয়া নেপথ্যে থাকলেও পরবর্তীতে বিজয়ের প্রক্কালে প্রকাশ্যে অভিযানে নেমে বিজয়ীর মেডেলটা গলায় পরে এ ভূখণ্ডটাকে আযাদ করে দিয়ে চলে যায়।
আর এ দেশীয়দের ও যারা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সংখ্যা তৎকালীন সময়ে পুরো জাতিতে যুদ্ধে অংশগ্রহণে সক্ষম জনগোষ্ঠীর পরিসংখ্যানের তুলনায় নেহায়েতই নগণ্য। সন্দেহ হলে আপনার এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে দেখতে পারেন স্থানীয় কতজনের মধ্যে কয়জন মুক্তিবাহিনীর সাথে যোগ দিয়েছিল। গড়ে ২ পার্সেন্ট ও হবে কিনা সন্দেহ আছে, পরিস্থিতি আচ করতে পেরে ১৬ ডিসেম্বরে আগমুহূর্তে এসে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাদের হিসাব বাদ, তারা তো ছিল জাস্ট সুবিধাবাদী শ্রেণী যেটা বলা হয় যে আবাল বৃদ্ধ বনিতা লাঠি খুন্তা দা কোদাল নিয়ে হানাদারদের উপরে মহা সমারোহে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এটা সম্পূর্ণই বাজে কথা, এটা কোন সিনেমার স্ক্রিপ্ট হতে পারে, গল্প কবিতা উপন্যাস নাটকের অংশ হতে পারে কিন্তু বাস্তবতা তা ছিলনা, তবে হ্যা শেষ সময়ে বিজয়ে গন্ধ নাকে এসে লাগার পর পরিস্থিতি পরিবর্তন প্রত্যাশী এই জনতার মাঝে এধরনের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ চলাকালিন এই দীর্ঘ্য সময়ে মুষ্টিমেয় মুক্তিবাহিনীর সদস্য ছাড়া এই সারা মুলকের বিশাল জনগুষ্টির মধ্যে দেশ স্বাধীন করে ফেলার আক্ষরিক কোন উন্মাদনা ছিলনা, ছিলনা কোন সর্বব্যপি স্বাধীনতা লাভের অকুণ্ঠ কোন প্রত্যাশার হাহাকার। যেটা ছিল তা হল চারদিক শুধু সীমাহীন ভীতিসন্ত্রস্থতার গোমট এক আবহ, সবার মাঝে ছিল ভীতি অনিশ্চয়তা, আশংকার হাহাকার। তাদের শুধু একটাই কামনা ছিল একটি স্থিতিশীল আর শান্ত পরিবেশ। সেটা কি কোন বিশেষ পক্ষের বিজয়ে মধ্য দিয়ে হবে? না পরাজয়ের মাধ্যমে হবে? না সন্ধিতে? সেটা তাদের বহুলাংশের কাছেই খুব একটা গুরুত্ববহ ছিলনা।
তখনকার মানুষদের কাছে 'স্বাধীনতা' 'মুক্তিযুদ্ধ' এই শব্দ গুলোর সাথে কোন পরিচয়ও ছিলনা। বুঝতই না এগুলো কি জিনিষ। স্বাধীনতা অর্জনের পরে নানা সাহিত্য গল্প নাটক প্রচারনায় আস্তে আস্তে সর্বশ্রেণীর মানুষ বুঝতে শিখেছে স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ এগুলো আসলে কি জিনিষ কি এগুলোর প্রকৃত মর্মার্থ। এর আগে তো তারা মুক্তিযুদ্ধকে বলত গণ্ডগোল। শব্দটি জামাতিয়দের কটাক্য মূলক শব্দ এ যুগে বহুল প্রচারিত এ কথাটি সম্পূর্ণ ডাহা মিথ্যা কথা, এবং রাজনৈতিক নির্লজ্জ অপবাদ।
এমকি বিজয়ের পর পর মানুষকে স্বাধীনতার সুখবর বর্ণনা করতে গেলে তখন তারা অবাক করে দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করত স্বাধীনতা এইটা আবার কি জিনিষ?
তবে ভিনদেশীদের মোকাবেলায় নিজের বাপ-ভাই বা স্বজন হিসাবে মুক্তিবাহিনী তো অবশ্যই কিছু সাহসী স্থানিয়দের গোপন সহযোগিতা সর্বত্র পেয়েছে, যা বাস্তব। কিন্তু তাদের এই শেল্টার যে একটি স্বপ্নের স্বাধীন ভূখণ্ড লাভের প্রত্যাশায় মুক্তিযুদ্ধের অংশ হিসাবে হয়েছে সেটা বোধহয় সর্বক্ষেত্রে সঠিক নয়। জাতি তখন এমন লেভেলের সচেতন বা প্রতাশার স্বপ্নঘোরে ছিল বলে মনে হয় না। বলতে গেলে পুরো যুদ্ধটাই পাকিস্থানিদের চাপিয়ে দেয়া আর ইন্ডিয়ানদের লুফে নেয়া। মাঝখান থেকে আমরা শুধু ব্যবহৃত হয়েছি।
আর পাকিদের উপরে বাঙালীদের যে ক্ষোভ আছে তাতে তারা যে স্বাধীন ভূখণ্ড কায়েম করতে যাবে এমন বিশ্বাস তখন ঐ পাকিদের মাঝে জন্মায়নি। বরং তাদের ধারনা ছিল ইন্ডিয়ানরা এই ভূখণ্ডটিকে করায়ত্বে নিতে ষড়যন্ত্র করছে এবং স্থানীয় এদেশীয় হিন্দুরাই মূলত মুক্তিবাহিনী হয়ে তাদেরকে আক্রমণ করে ইন্ডিয়ানর মাস্টার প্লান বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছে। সে জন্য তাদের যত ক্ষোভ ছিল এদেশের হিন্দুদের উপর এদেরকে খুঁজে খুঁজে নির্দয় ভাবে বিনাবিচারে কাপুষোচিত ভাবে হত্যা করেছে, তাদের বাড়িঘর জালিয়ে দিয়েছে।
তাদের এই একরোখা হামলা থেকে বাচতে তখনকার মানুষজন নিজেদের বাড়ীতে কালেমা খচিত পতাকা ঝুলিয়ে রাখত, বাড়ীর দরজা জানালা দেয়ালে খড়ি মাটি দিয়ে কালেমা, আল্লাহু আকবর, আল্লহু এসব আরবিতে লিখে রাখত। এমনকি অনেক হিন্দুরাও এ পদ্ধতি এপ্লাই করে তাদের অনেক বাড়িঘর রক্ষা করেছে। বিপদের মুহূর্তে বাচতে অনেক হিন্দু, মুসলমাদের এই কালিমা পর্যন্ত মুখস্থ রাখার চেষ্টা করেছে।
পরবর্তীতে হানাদাররা যখন দেখল এ মুক্তিবাহিনী তো শুধু হিন্দুরাই নয় মুসলমানদের সন্তানরাও তাদের উপর হামলে পরছে, তখন তারা ভ্যবাচেকা খেয়ে যায়। পরবর্তীতে মুক্তি ফৌজের বিপক্ষে এলপাথারি অভিযান চালিয়ে হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে গনহত্যা চালায়, এর পরেই দেশবাসী ভেতরে ভেতরে ক্রোধে ক্ষোভে ফুসে উঠতে শুরু করে, তবে এটা ছিল চলমান আক্রমণ নিপীড়নের একটা প্রতিক্রিয়া। হানাদাররা শেষপর্যন্ত এসবেও কোন কূলকিনারা করতে না পেরে এবং এতদূর থেকে এসে স্থানীয় মুসলমানদের সমর্থন ছাড়া পার্শ্ববর্তী হস্থিতুল্য এক রাষ্ট্রের বিপক্ষে দাড়িয়ে থাকা অসম্ভব, সেটা বুঝতে পেরে নিজেদের বড়ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগেই নয় মাসের মাথায় আত্মসমর্পণ করে পরাজয় মেনে নিয়ে কেটে পড়ে। অর্থাৎ যত যায়ই বলুন আমাদের এই পুরো স্বাধীনতাটা কিন্তু ভারতীয় চুলাতেই রান্না হয়েছে আমরা শুধু কিছু কাঠ খড় পুড়িয়েছি এই যা।
আমার স্টাডিতে এই ছিল মোটামুটি ভাবে আমাদের সেই ৭১ এর বাস্তব হালচিত্র।
আর হ্যা আমি এখানে ইস্যু নিয়ে কোন বিশেষ মতামত থ্রো করিনি। যা করেছি তা অনেকটাই সংগ্রামের প্রকৃতি ও আবহের বিবরন। ব্যক্তি জাতি নির্বিশেষে যে কোন প্রানের জন্যই স্বাধীনতা একটি অমুল্য প্রাপ্তি। সেটা কোন প্রেক্ষাপট কেন্দ্রিক প্রাত্যাশিত থাকুক আর না থাকুক।
আর এটা একটি শতভাগ আবেগ বিবর্জিত ও হীনমন্যতা মুক্ত রচনা। কেন আমি আজ আমার ঐতিহ্যে থেকে এভাবে এই সাদাকালো ইতিহাসের সংকলন করতে গেলাম?
কারন চেতিত চেতনা আর রাঙা ইতিহাসের নামে আমার সামনে আজ মিথ্যা ফানুশের যে ফাঁপা বেলুন তুলে ধরা হয়েছে তাতে আমি বেশ ভীতসন্ত্রস্ত আমি বিশ্বাস করি আমার ঐতিহ্যে যাই থাকুক না এটাই আমার, এতে আমি কুণ্ঠিত বা হীনমন্য নই , সত্য ধারন করেই আমি গর্বিত হতে চাই। মিথ্যা ফাঁপরে অতিরিক্ত সিনা টান করতে আমায় লজ্জায় ধরে!
এ বর্ণনা আমার চর্মচক্ষে দেখা বর্ণনা নয় , এটা আমার এ বিষয়ের সামগ্রিক স্টাডি, সে প্রজন্মের মানুষজনের সাথে প্রত্যক্ষ্য কথা বলে যা জেনেছি , নিজ এলাকা ও দেশে যা অজারভ করেছি যা বুঝেছি সেসবের বিশ্লেষণ-গবেষণা থেকেই প্রসূত। এখানে ক্ষেত্র পরিসরে দ্বিমত অবকাশের সম্ভাবনা অস্বীকৃতও নয়।
এবার আসুন অপ্রিয় হলেও ৫২ তে একটু ঘাঁটাই । আবারো বলছি আমি ইস্যু নিয়ে বলছি না, নিঃসন্দেহে এটি একটি গুরুতর ইস্যু, ইচ্ছার বিরদ্ধে বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দেয়া একটি ভয়াবহ অন্যায়। এর বিপরীতে জাতীয় জাগরণই ছিল কাম্য। কি অদ্ভুত এত বড় ইস্যুতেও জাতীর পেশাজীবী-বুদ্ধিজীবী মহলকে এর বিরদ্ধে কোন প্রতিবাদের কোন চির ধরাতে পারেনি। শুধু মাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু নতুন প্রজন্মের ছাত্রদের বিস্ফোরণেই ইস্যুটি প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছিল। এমনকি সেই ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদেরও জাতীয় এ বিষয়ে উল্ল্যেখযোগ্য কোন ভুমিকা চোখে পড়ার মত নয়।
ছাত্রদের মিছিল নিয়ন্ত্রনে হিমসিম খাওয়া প্রশাসন তাদের ছত্রভঙ্গ করতে যখন গুলি চালায় তখন কিছু পথিক, শ্রমিক প্রান হারায়, তাদের মধ্যে একজন রিক্সা চালক ও ছিলেন। এটা একটি এক্সিডেনট এবং অবশ্যই মর্মবেদনাদায়ক।
কিন্তু যেটা বলা হয় যে তারা ভাষা জন্য প্রান বিসর্জন দিয়েছেন, এটা একেবারেই ডাহা মিথ্যা কথা। যিনি মারা গেছেন তিনি ইনটেনশনাললি ভাষার জন্য জীবন দেননি, তিনি অপঘাতে নিহত হয়েছেন। তিনি নিজেও জানেন না যে উনি কি কারনে মারা গেছেন।
আর সেই তাদেরই কিনা অমর শহিদ বানিয়ে, মহান ভাষা শহীদ বানিয়ে জমিনের উপর তিনটি খুঁটি গেরে, বাগানের পর বাগান উজার করে ফুল ছিটিয়ে পূজা আর্চনা করেই চলেছি বছরের পর বছর।
অথচ যারা সশরীরে ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে নির্যাতন সয়েছে কারাবরণ করেছেন এমন ভাষা সৈনিকদেরও আমরা কি সীমাহীন অবহেলা করেছি আজীবন! যে ভাষার জন্য আমাদের এত সংগ্রাম এত ত্যগ এত প্রেম এত দহররম মহররম সে ভাষারই দিবসটি নির্ধারণের জন্য- 'স্বভাষাতেই কি সুনিপুণ একটি দিন গণনা পদ্ধতি বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও কিনা আমরা দবারস্থ হলাম আরেকটি ভিনদেশী ভাষার প্রচলিত দিন গণনার পদ্ধতির উপর?
কথায় কথায় বলেন আমরা ব্রিটিশ বেনিয়াদের খেদিয়েছি সেখানেও তো বাতুলতা!
হাজার মাইল দূরে থেকে উড়ে গিয়ে তারা আমাদেরকে দীর্ঘ ২শত বছর শোষণ করেছে শোষতে শোষতে তারা যখন ক্লান্ত হয়ে পরেছে শোষার যখন আর কোন রস বাকি নেই তখন তারা জমিনটাকে ছেড়ে চলে এসেছে। এটার প্রমান পাবেন যদি ব্রিটেনটা একবার ভিজিট করেন। সংগ্রাম হয়েছে আন্দোলন হয়েছে এটা অসত্য নয়, তবে বললাম না যে এসব যুতসই কিছুই না সব ছিল বিক্ষিপ্ত। ব্যতিক্রম উপমা যোগ্য নয়। মহাভারত থেকে এই ঊপনবিশদের প্রস্থানটা হয়েছিল মূলত তাদের নিজেদেরই অনিহা ও আপোষরফার মাধ্যমে। যদি তাই না হয় তাহলে ভারত স্বাধীন এর একদিন পর আবার তাদেরই মধ্যস্থতায় দেশ ভাগ হয় কি করে। ওরা পরাজিত পালিয়ে যাওয়া শক্তি হিসাবে যায়নি বরং রাজনৈতিক টেবিল থেকে বিদায় নিয়েছে।
এই হল আমাদের মঞ্চ কাঁপানো ফাঁপানো জাতীয় বীরত্ব কীর্তন।
কোন কালেই এ জাতি কোন বর্গী আগ্রাসী ও নিপীড়ক জালিমের বিরদ্ধের শৌর্য-বীর্যের যুতসই কোন তূর্য ধবনি শোনাতে সক্ষম হয়নি। আর কিভাবেই বা পারবে কারন এ জাতীর মজ্জায় মজ্জায় রয়েছে দাসত্বের বীর্য, চানইক্যবাদের কুটিলতা। আরও আছে বিশ্বাসঘাতক স্বার্থপর দালাল মীরজাফর ঘসেটিদের শাণিত ধারা।
উচ্চবর্ণের হিন্দু জমিদারদের দাসগিরি, ব্রিটিশদের পদলেহন, দিল্লির তোষণ, পাকির শোষণ আর এখনতো স্বাধীন দেশে স্বাধীন ভাবেই চলছে ভারতীয় চুড়ান্ত দালালীর শেষ নিঃস্বরণ। আর সে জন্যই স্বাধীনতা নিয়ে এ আশংকা। অর্থাৎ এ জাতির দাসগিরি করতে করতেই ভুবন পার। ভাগ্য গুনে দৃশ্যত যেই স্বাধীনতাটা আজ জাতি পেয়েছিল সেটাও যে আজ তাদের অসীম বীরত্বের যাঁতাকলে যায় যায়, এতেও তাদের কোন বিকার নাই। শুধু দাসত্বই যেন তাদের মহাকালের অনিবার্য গন্তব্য।
আমি জানি স্থানীয় এসব ভূরাজনীতিই যাদের একমাত্র চেতনার উৎস তারা আমাকে ধিক্কার দিতে শুরু করবেন। এত খোলা কথায় অনেকেই জাতিগত পরিচয়ের সুত্রধরে আত্মহানিকর ভেবে বিস্মিত হবেন। আমি তাদের বলতে চাই আমি এমন এক মহান আদর্শিক চেতনা সমৃদ্ধ যেখানে এসব ভূরাজনৈতিক চেতনা একেবারেই গৌণ। যেখানে আত্মসমালোচনাই বড় কথা।
চলবে!!!!
বিষয়: বিবিধ
৭৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন