স্যাটেলাইটের ধোঁয়ার আড়ালে
লিখেছেন লিখেছেন ওয়েলকামজুয়েল ১২ মে, ২০১৮, ০১:৪০:১৩ দুপুর
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের ডামাডোলের ফাঁকে গত বুধবার নয়া দিল্লীতে ভারতের সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সই করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তির অধিনে প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার জন্য ভারত বাংলাদেশকে যে পাঁচশ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিবে সেই ঋণের অর্থে বাংলাদেশের যা প্রয়োজন এবং ভারতের যা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে সেই ভিত্তিতেই প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনা হবে।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ভারতের কাছে চাহিদা অনুসারে দাবিপত্র পেশ করবে। এই ৫০ কোটি ডলারের ৩৫% অর্থ খরচ করে "ভারতের অনুমতি সাপেক্ষে" অন্যকোনো দেশ থেকে বাংলাদেশ অস্ত্র ক্রয় করতে পারবে। গত বুধবার নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ভারতীয় প্রতিরক্ষা সচিব সঞ্জয় মিত্রের বৈঠক শেষে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়।
এ প্রসঙ্গে একটা করুন ইতিহাস মনে পরলো। রেজা শাহ পাহলভির আমলে মার্কিন যুক্তরাস্ট্র আর ইউকে থেকে ইরান প্রয়োজন ছাড়াই বিপুল অস্ত্র ক্রয় করতো। যার মধ্য F-14 Tomcat আর কোবরা হেলিকপ্টার গানশীপও ছিলো। শাহের জেনারেলরা এসব ক্রয়ের ব্যাপারে খুবই আগ্রহী ছিলেন।
১৯৭৯ সালে ইরানে রেভ্যুলুশনের ৪ দিনের মাথায় গোয়েন্দা সংস্থা "সাভাক" এর প্রধানসহ শাহেন শা এর সামরিক বাহিনীর ৪ জন মোস্ট সিনিয়ার জেনারেলকে ৩ মিনিটের সংক্ষিপ্ত বিচার শেষে খোমেনীর সদর দফতরের ছাদ থেকে গুলি করে নীচে ফেলে দেয়া হয়।
কথিত আছে যে রেভ্যুলুশন পরবর্তি ৩ মাসে শাহের বিমানবাহিনী প্রধান সহ শাহ রেজিমের সামরিক বাহিনীর সকল সিনিয়ার জেনারেল এবং সাবেক ও কর্মরত ৩ শতাধিক সিনিয়র অফিসার ও ২ শতাধিক উর্ধতন সরকারি কর্মকর্তাকে সামারি কোর্টে প্রায় বিনা বিচারে বিচার তেহেরানের রাস্তার মেকশিফট বধ্যভুমিতে মৃত্যদন্ড কার্যকর করা হয়।
এবং এদের পরিবারের সদস্যদের পরবর্তিতে আর কেউ তেহেরানের রাজপথে কোনোদিন হাঁটতে দেখে নাই।
বিষয়: বিবিধ
৬৭৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন