বিষয়ঃ কুরআনের অনুবাদ
লিখেছেন লিখেছেন ওয়েলকামজুয়েল ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ০৯:০৯:০০ সকাল
ব্যক্তি উদ্যোগে ইসলামের পবিত্র গ্রন্থ কোরান অনেকবারই বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। তবে শাসকের আদেশে কোরানের টেক্সট কিংবা মতান্তরে অনুবাদ সংশোধনের নজির খুব বেশি নাই।
একজন মুসলিম শাসকের জন্য কোরানের টেক্সটে মতান্তরে অনুবাদে সংশোধনের কাজে হাত দেয়াটা তার প্রবল ও একচ্ছত্র প্রতাপের একটা প্রকাশ্য চিহ্ন ও একই সাথে তার শাসনে ঐশ্বরিক স্বীকৃতির প্রমান। প্রতাপশালী খলিফা রাশেদুনের অন্যতম হযরত ওমর এবং ওসমান কোরানের টেক্সট সংশোধন করেছেন। যাদের বিশ্বাসযোগ্যতা মুসলিমদের কাছে প্রশ্নের অতীত। কিংবা দশম শতকে পার্সীয়ান সম্রাট মনুসর অথবা হালের সৌদি বাদশাহরা তাদের দরবারের উলামাদের এধরনের অনুবাদ সংশোধনের হুকুম দেয়ার ক্ষমতা রাখেন, যাদের দাপট নিয়েও মুসলিম সমাজের তেমন একটা প্রশ্নের অবকাশ নাই।
"কোরানের অনুবাদ সংশোধনের হুকুম" - এই হুকুমের মধ্যেই প্রচন্ডরকম একনায়কত্বের ক্ষমতা ছটা আছে ... ঐশ্বরিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শাসক হিসেবে নিজের ইমেজ প্রতিষ্ঠার চেস্টা আছে। শেখ হাসিনার যেহেতু জনগনের স্বীকতি নাই তাই তার এইরকম একটা ঐশ্বরিক স্বীকৃতি জরুরি। যেখানে তিনি কোরানের অনুবাদ সংশোধনের আদেশ দেয়ার মত ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নৈতিক অধিকার রাখেন।
মুসলিম প্রধান দেশের কোনো শাসক যার নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে সে শাসক আর যাই হোক নির্বাচনের বছরের এধরনের সিদ্ধান্তে যাবে না। যেহেতু নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতীয় কিছুর মধ্যে দিয়ে শেখ হাসিনাকে যেতে হচ্ছে না তাই তিনি এই রিস্ক এফোর্ড করতে পারছেন। তার এই সিদ্ধান্ত বরং তার প্রবল আত্মবিশ্বাসের প্রমান। এই অনুবাদ সংশোধনের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রতিটি বস্তু এমনকি ধর্মের উপরেও যে তার প্রবল অথরিটির আছে একটা বড় নজির হয়ে থাকবে।
এটা ইন্ডিকেটর যে শেখ হাসিনা শুধু মদীনার সনদেই দেশ চালান না বরং মুসলিম প্রধান দেশের নেতা হিসেবে কোরান অনুবাদ সংশোধনের আদেশ দেয়ার হিম্মত রাখেন। এইটা তার ক্ষমতা সংহত করতে চলার একটা বড় ইন্ডিকেটর ।
বিষয়: বিবিধ
৭৮৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন