নারীবাদীর পোষ্টমর্টেম

লিখেছেন লিখেছেন ওয়েলকামজুয়েল ১৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:৩৪:০২ রাত

আমাদের নারীবাদীদের নিয়ে কিছু জিনিস বোধগম্য হয় না! যেমন ধরেন, জনৈক সুপার কপ গরম গরম নারীবাদীত্ব গল্প লেখেন! ওমেনচ্যাপ্টারের লেখিকাদের নারীবাদীত্ব জাগ্রত হয় পরকীয়ার জন্য, ইসলাম বিরোধিতায়! তাদের নারীবাদ জাগ্রত হয় পুরুষের নাম শুনলে, অবশ্য তারা সবাই যে লেসবিয়ান, সেটা আমি বলছি না! পুরুষ মানেই তাদের কাছে ধর্ষক, তাদের ব্লেম গেমে অভিযুক্ত ইভেন তাদের ভাই, তাদের পিতা!

এরা নারীবাদীত্ব প্রমাণ করে রক্তে ভেজা প্যাড আপ্লোডে, এদের ট্যাবু ভাংগার দায়িত্ব নাকি দেয়া হইছে! অথচ জীবনে দেখবেন না, মেয়েদের স্বাস্থ্য নিয়ে এক লাইনের ও একটা কথা বলতে! এদের হিট সীকিং এর ধান্দাই হল আলোচনায় আসা!

এরা অর্গাজম ডের শুভেচ্ছা জানায়! যৌণ জীবন উপভোগের আমন্ত্রণ জানায়! অথচ তাদের নিজেদের উপভোগ এমন পর্যায়ে গেছে, শতকরা আশি ভাগ ক্ষেত্রে এক পুরুষে তাদের হয়নি, একাধিক পুরুষ ও তাদের সুখীই করতে পারে নি!

তারা স্বাধীন জরায়ুতে বিশ্বাসী! আজকাল চিড়িয়াখানাতে ও এমন উদ্ভট প্রাণী কিন্তু মেলে না! বেশ্যাবৃত্তি আমাদের দেশে অবৈধ হলেও, অহরহ ঘটতেছে, আমরা মধ্য বয়সী মাসীদের ব্যাপারটা বুঝি, শরীরের গাথুনি একটু ঢিলে হলে, বাজারদর কমে গেলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও আজকাল বেশ্যাবৃত্তি হয় না।

পরকীয়াকে তারা দোষ ভাবে না, প্রতিটি প্রেম, প্রতিটি সম্পর্ক নাকি বাস্তবতা! ব্যাচেলাররা এরকমই খুজে! খাওয়া দাওয়া শেষ, সোনার বাংলাদেশ! দাম্পত্য জীবনে কতখানি অসুখী হলে প্রকাশ্যে এমন আব্দার করা যায়? হতে পারে আপনার স্বামী অক্ষম, তাকে ডিভোর্স দিন, নতুন করে বিয়ে করুন!

ডিভোর্স আপনাদের জীবনে প্রাত্যহিক বিষয় গুলোর একটা! তাদের দরকার নাগর, সম্পর্ক না! বাস্তবতা এটাই, প্রতিটা সহবাসই বাস্তবতা, এটাই বলে ফেলুন না!

বুক অবশ্যই আপনার, যেহেতু বুক আপনার, সেটা কতখানি ঢাকবেন, সেটাও আপনার ব্যাপার! না ঢাকলেও চলে! আগের দিনে মানুষজন বন বাদাড়ে এরকম প্রকাশ্যে বুক দেখিয়েই চলত! আমরা তাদের কে প্রাগৈতিহাসিক "জংলী" বলি! অবশ্য সম্পূর্ণ নগ্ন ট্রাইব খুব রেয়ার এখন এই শতাব্দীতে! নেংটা জংলীরাও বুকের উপর কাপড় রাখতে শিখে গেছে! তারা জানে সন্তানের অধিকার সেখানে! আমি প্রচুর ছেলে, চোখ দিয়ে মেয়েদের চাটে! আপনার বুক আপনি কতখানি ঢাকবেন সেটা যেমন আপনার ব্যাপার, ছেলের চোখ কই নজর দিবে, সেটাও তার ব্যাপার, তো ব্যাপারটা পুরো জংলীদের মত হয়ে গেল না?

স্তন প্রদর্শিত হলেই তাতে হাত দেবার অধিকার জন্মে না, কিন্তু বুকে টেটু করে হেডলাইট জ্বালায়ে পেপারে বিজ্ঞাপন দিয়ে পুরুষদের উষ্কাণী দিয়ে নারীবাদের অসহায়ত্বের গল্প ফাদা ব্যাপারটা বেশ্যার বুক বের করে দরদামে না মেলার মত হয়ে গেল না? ওহ! আজকাল বেশ্যাকেও বেশ্যা বলতে নেই, যৌণকর্মী বলে নাকি রেটটা বাড়িয়ে সম্মান দিতে হয়!

তারা ভাবে পিতা মাতা নাকি তাদের মঙ্গল চান না! না! আবার সব পিতা মাতা না!

তাদের কাছে ওড়না বিষয়টাই অশ্লীল! আমার আত্মীয়স্বজনের মাঝে প্রচুর উচ্চ শিক্ষিতা নারী আছে, যারা পারলে নিজের বাসায়, নিজের স্বামীর সামনেও ওড়ণাটা শালীন ভাবে চাপিয়ে রাখে! ভাই কিংবা বাবার সামনে তো বটেই! তাদের ভাই কিংবা বাবার কাম জাগ্রত হয় না, তাদের কে শেখানো হয়েছে, নম্রতা, ভদ্রতা, সম্মান, শ্রদ্ধা বিষয় গুলো! বস্তিতে বেড়ে উঠলে অনেক সময় মানসিকতা সহজে গড়ে ওঠে না, আর পিতা মাতা অশিক্ষিত হলেই বা কি আর করার!

যাহোক, কুকুরের লেজ কখনো সোজা হয় না।

শেষ করার আগে, কোটা রিফর্ম মুভমেন্টে ছাত্রীলীগ নেত্রী তার জুনিয়র এর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে, সেই ব্যাপারে আপনাদের কোন সাড়া শব্দ নাই, কেন? নাকি ভাসুরের নাম মুখে আনতে নেই? ইভেন বাংলার স্যুবার কব এর ও কোন আওয়াজ নাই! এরকম নারীবাদী হইলে চলবে?

বিষয়: বিবিধ

৮০১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য