ব্রেকিং নিউজ
লিখেছেন লিখেছেন মুফতি আইয়ুব ধর্মপুরী ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৬:০৬:০৪ সন্ধ্যা
চল যাই চট্টগ্রাম
চলুন একটু ঘুরে আসি বাংলাদেশের 'বাবুল ইসলাম' ইসলামের প্রবেশদ্বার খ্যাত ঐতিহ্যমন্ডিত চাটিগায় যা কাল প্ররিক্রমায় চেরাগী পাহাড় বেয়ে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে রূপান্তরিত। আরবদের শাতিয়ু গুংগায়।
প্রমথ চৌধুরী বলেছিলেন,
"বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে, নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে"....
চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে ব্যপারটা আসলেই চিন্তা করার মত। সত্য বলতে কি বাংলা ভাষার সাথে চট্টগ্রামের ভাষার ৭০ ভাগই নূন্যতম মিল নেই। তাই এটাকে মুল ভাষা বলেও কেউ দাবী তুলতেই পারে।
যেমন টা ধরেন:
মুরগী কে চট্টগ্রামের ভাষায় বলে "কুরো"...
মোরগ কে বলে " লাতা কুরো"..
শালিক পাকি কে বলে "দেচ্ছো"..
তেলাপোকা কে বলে "তেইল্লেচুরা"
কাক কে "হাউওও"
টয়লেট কে "টাট্টি"
খারাপ মানুষ কে "জারগো"
মাউলানা কে "মুলিছাফ"
পেয়ারা কে "গুয়াছি"
শিমের বিচি কে "হাইস্যে"
সমুদ্র কে "দইজ্জে"
ইত্যাদি ইত্যাদি...।
আর চট্টগ্রামের ভাষায় এমন কিছু এপিক এক্সপ্রেশন আছে যা শুধু বাংলা কেন! পৃথিবীর কোন ভাষায় অনুবাদ করা যাবে না।
যেমন ধরেন :
অবাইজ্জেকুদা!!
আত্তামারেবাপ!!!
মাইল্লেফিরে!!!
অবাজিরে!!
উম্মারেম্মা।
এরকম আরো শত শত এক্সপ্রেশন।।
তাছাড়া চটগ্রামের প্রবাদ গুলোও পুরোপুরি ভিন্ন ।
যেমন ধরেন " পুন্দত নাই তেনা, মিডে দি ভাত হানা" (" সতর ঢাকতে কাপড় নেই, তাও মিঠা দিয়ে ভাত খেতে চায়)..
ফুয়াদেল্লাই ছাড়িত ন পারির,
কেড়ারলাই গিলিত ন পারির।
বাংলা অনুবাদ ঃ স্বাদের জন্য
ছাড়তে পারছি না, কাঁটার জন্য
গিলতে পারছি না।।
হাত পাঁচ চইদ্দ, দুই টিয়া নইদ্দো।
বাংলা অনুবাদ ঃ সাত পাঁচ চৌদ্দ, দুই টাকা দিয়ো না।।
ঘরের গরু ঘাড়ার খের ন হায়।
বাংলা অনুবাদ ঃ ঘরের গরু সামনের মাঠের ঘাস খায় না।
এরকম হাজারো প্রবাদ আছে, যা বাংলা ভাষায় বুঝে নেয়া অনেক কঠিন।
এটিই আমাদের মায়ের ভাষা। এ ভাষা শেখা যায় না। যুগের পর যুগ মানুষ চট্টগ্রামে থেকেও এ ভাষা পুরোপুরি আয়ত্ত করতে
পারেনা। এ ভাষা জন্ম থেকে আয়ত্ত করতে হয়। বেচে থাকুক চাটগাঁইয়া ভাষা অনন্ত কাল।
এক গবেষনা মতে চট্টগ্রামের ভাষায় প্রায় ২০০টির মত আরবী শব্দ প্রচলিত রয়েছে। যেমনঃ আইল, ফুয়াদ, হদেহদে ইত্যাদি। এমনকি 'না' শব্দটিও এখানে আরবী ভাষার মত শুরুতেই ব্যবহার হয়। যথাঃ ন জাইউম, ন খাইয়ুম, লা আযহাব। অথচ বাংলায় বলি যাবনা, খাবনা ইত্যাদি। সুদুর চীনে অবস্থিত সাহাবাদের কবর একথা বুঝায় যে তারা সমুদ্রপথে আমাদের বংগোপসাগর হয়ে গিয়েছিলেন। যাত্রাপথে চট্টগ্রামে যাত্রা বিরতি, ইসলাম্প্রচার করেছিলেন। তাদের মাধ্যমেই এখানে আরবীর সন্নিবেশ।আল্লাহই ভাল জানেন।
উয়ি প্রাউড টু বি এ চিটাইংগা।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চাটগাইয়া ভাষা আঁরার প্রিয় ভাষা। আঁরার অনেক উস্তাদ চাডিগাঁর। অনের বাড়ি চিটাং হড়ে বদ্দা? চিটাং শহরত আঁর অনেক বন্ধু থাহে।
চলো বেজ্ঞুন মিলি চট্টগ্রামে
মন্তব্য করতে লগইন করুন