হাদীসের অন্ধ অনুসারীরা-

লিখেছেন লিখেছেন আবু বকর সিদ্দিকী ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬, ১০:১৭:২২ সকাল



খোলাফা্যে রাশেদীনের পর হযরত মুয়াবিয়ার যুগ শুরু হয়। তিনি ইসলামী নীতিতেই রাষ্ট্র পরিচালনা করেন। কিন্তু শেষের দিকে এসে ইসলামী খেলাফতের মুলনীতির বিপরীত তার নিজপুত্র ইয়াজীদকে খলিফা নিযুক্তির মাধ্যমে রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করে যান।এর বিরোধিতায় নেমেছিলেন মহানবীর দৌহিত্র হুসাইন। তাকে সপরিবারে কারবালার প্রান্তরে নৃশংসভাবে হত্যা করে ইসলামী খেলাফতের সম্ভাবনার সূর্য্য চির তিরোহিত করে দেয়া হয়। ইসলামী জাহানে রাজতন্ত্রের যাত্রা সেই শুরু। এখনো সেই রাজতন্ত্রের যাতাকলে জনগন নিষ্পেষিত হচ্ছে। প্রকৃত ইসলাম নানাভাবে রাজতন্ত্রের দরবারী আলেমদের মনগড়া ব্যাখ্যায় ধামাচাপা পড়ে গেছে।মহানবীর ওফাতের সুদীর্ঘ ২০০ থেকে ২৫০ বৎসর পর হাদীস লিপিবদ্ধ করার কাজ শুরু করেন ইমাম বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্যরা। এই সুদীর্ঘ সময়ের মধ্যে হাদীসের বর্ণনায় নানা বিকৃতি ঘটেছে। সংগৃহিত সব হাদীসই সহী একথা বলার কোনই অবকাশ নেই। ইসলামী সমাজ যে সময় রাজতন্ত্রের অধীনে সেই সময়েই হাদীস সংকলিত হয়েছে। বড় বড় সরকারী আলেমরা রাজতন্ত্রের আনুকুল্য আজীবনই পেয়ে এসেছেন। তারাও হাদীস সংকলনে জড়িত ছিলেন কোন না কোনভাবে। তবে সে কারনে ইমাম বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি সহ অন্যান্য হাদীস সংকলককে কোনভাবেই খাটো করার কোন জো নেই। হাদীস সংগ্রহে তারা ছিলেন আন্তরিক। এরপরও হাদীসের নানা বর্ণনার কারনে ইসলামী সমাজে নানা বিভেদ বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়েছে। হয়েছে নানা মতবাদ। হয়তো এটা মহান আল্লাহর ইশারাতেই হয়েছে। তিনি চান মানুষ তার বিবেককে কাজে লাগাক।

সবার সংগৃহীত হাদীসেই পরস্পর বিরোধী হাদীস আছে। হাদীসগুলোকে কোরআনের আলোকে মিলিয়ে নেওয়াই যুক্তিযুক্ত। আবার সবক্ষেত্রেই এটা সম্ভব নয়। তাই বিবেক খাটানোটাই উত্তম পন্থা। কেননা আল্লাহপাক বিবেক জিনিসটা সবার মধ্যেই দিয়েছেন। কোরআন নিয়ে কারো মধ্যে কোন মতবিরোধ নেই। আছে কেবল হাদীস নিয়ে। হাদীস সহী যেমন আছে, তেমনি আছে যয়ীফ বা জাল হাদীস।আবার সহী হাদীসও একটার সাথে আরেকটা পরস্পরবিরোধী। একটি হাদীসের বিপরীতে আরেক হাদিস দিয়ে যুক্তি দেওয়া যায়। কোন কোন হাদীসকে ১০০ ভাগ সহীহ বলা হলেও সেটার প্রমাণই বা কি? এরজন্যে হাদীস বিশারদ হওয়ার প্রয়োজন। কিন্তু সকল মুসলমানের জন্যে হাদীস বিশারদ হওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

কোনো কোনো হাদিসে বলা হয়েছে কোরআন ও আহলে বাইতকে (হযরত ফাতেমা, হযরত আলী, ইমাম হাসান, ইমাম হোসেন) আঁকড়ে ধরতে, তাহলে কেউ বিপথগামী হবে না। (যেমন, তিরমিযি : ৩৭৮৬)। আবার একটি হাদীস অনুসারে, নবীজি (সা.) বলেছেন " হে আম্মার, যখন দেখবে আলী এক পথে চলছে আর বাকী সাহাবারা অন্য, তখন তুমি আলীর সঙ্গে যেও ও অন্যদের ত্যাগ করবে । কারন, সে তোমাকে পতনের পথে পরিচালিত করবে না এবং হে'দায়েতের পথ হতেও বের হতে দেবে না।"

বিপরীতে আরেকটি হাদীস দেখুন। এই হাদীস অনুসারে, নবীজি (সা.) বলেছেন যে, তাঁর মৃত্যুর পরে ৩০ বছর খোলাফায়ে রাশেদীন (অর্থাৎ সত্যপন্থী শাসক) শাসন করবেন। এর মধ্যে প্রথম চার খলিফা অন্তর্ভুক্ত। অথচ দেখুন, প্রথম খলিফা হযরত আবূ বকর (রা.) এর শাসনকে নবী-কন্যা হযরত ফাতেমা (রা.) মেনে নেননি, এবং তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত হযরত আলী (রা.)-ও হযরত আবূ বকরকে মেনে নেননি।

এখন, প্রথমে উল্লেখ করা হাদিসটি সত্য হলে, আবূ বকরের বিপরীতে হযরত আলীকে সমর্থন করতে হবে। দ্বিতীয় হাদীস অনুসারে, আবূ বকরও সত্যপন্থী, হযরত আলীও সত্যপন্থী। কিন্তু দেখুন একজন আরেকজনের বিরোধিতা করছেন। তাহলে অন্ততঃ বিরোধিতার বিষয়টিতে তাদের উভয়ের মতামত সত্য হতে পারে না। একজন নিশ্চয়ই ভুল। তাহলে কিন্তু দ্বিতীয় হাদিসটি তার যোগ্যতা হারায়। অর্থাৎ, এমন অনেক কন্ট্রাডিকশান আছে। দেখা যাচ্ছে যে হযরত আলীর পক্ষের হাদিসগুলোকে শিয়ারা উল্লেখ করছে, সুন্নিরা করছে আবার "৩০ বছর সত্যপন্থী শাসক থাকবেন" এই হাদীসকে। অথচ দুইটা পাশাপাশি আনলে, সেইসাথে কিছুটা ইতিহাস এনে বিচারবুদ্ধি প্রয়োগ করলে গরমিল ধরা পড়ে।

এখন, মহানবীর সাহাবীগণের মধ্যে যখন বিরোধীতা হয়, একজন আরেকজনের বিরোধীতা করেন, একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন এবং যুদ্ধ করেন, এমন অবস্থায় আপনি দুইজনকেই সমর্থন করতে পারেন না। সাহাবীগণের সমালোচনার ব্যাপারে যে হাদীস উল্লেখ করা হয়, তার বিপরীতে এটা খুবই গুরুত্বপুর্ণ প্রশ্ন।

হযরত আলী (আ.) মুয়াবিয়াকে সিরিয়ার গভর্নর পদ থেকে পদচ্যুত করেন। মুয়াবিয়া সিরিয়া থেকে হযরত আলীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং সিফফিনের যুদ্ধ সংঘটিত হয় এই দুই দলের মাঝে, যাতে উভয় পক্ষের বহু লোক মারা যান। দেখুন : উভয়েই আল্লাহর নবীর সাহাবী ছিলেন। আবার উভয়েই পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। উভয় পক্ষই কি সঠিক কাজ করেছে? উভয়পক্ষই কি সত্যের পথে ছিলেন? তেমনিভাবে আলীর বিরুদ্ধে মা আয়শার বিরোধিতা ও উষ্ট্রের যুদ্ধেও কোন পক্ষ সহী ছিলেন সেটা বলা সম্ভব নয়। উভয়েই সঠিক পথে ছিলেন তেমনটা বলা যায় না। একমাত্র আল্লাহ কর্তৃক ঘোষিত ব্যক্তি ছাড়া আর কেউ-ই ভুলের উর্ধ্বে নন-এটা দৃঢভাবে বুঝতে হবে।

অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো, হাল আমলের কিছু আলেম হাদীসকে কোরআনের চাইতেও বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন। হাদীস নিয়ে সন্দেহ পোষন করলে ঈমান থাকবে না মর্মে ফতোয়া দিচ্ছেন। বুঝুন ঠেলা। সহী বুখারী শরীফে আছে, মহানবীর সাথে বিয়ের সময় মা আয়শার বয়স ছিল ৬। ৬ বছরের শিশুর কি সম্মতি দেয়ার জ্ঞান থাকে? সে কি বিয়ের উপযুক্ত? আল্লাহর নবী কি শিশুকামী ছিলেন? (নাউজুবিল্লাহ)। তাহলে কিসের ভিত্তিতে এসবকে সহী বলে মানুষকে গোমরাহ করা হচ্ছে? ঐ সময়ে ৬ বছরে যদি কারো বিয়ের প্রচলন থেকেও থাকে, মহানবী তো কেবল ঐ সময়ের জন্যে পৃথিবীতে আসেননি। তার আদর্শ কেয়ামত পর্যন্ত অনুসৃত হবে। কিন্তু এই কথিত সহী হাদীস কি অনুসৃত হচ্ছে? কোন আলেম কি আজ পর্যন্ত তার কন্যাকে ৬ বছরে বিয়ে দিয়েছেন? তাহলে কেন এই ঐতিহাসিক ভ্রান্তি আমরা হাজার বছর ধরে আঁকড়ে ধরবো? আমি একজন আলেমকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, হাদীসটি জাল। বুখারীর হাদীস হলেই যে তা নিঃসন্দেহে গ্রহণীয় তা নয়। কিন্তু যেহেতু সেটা বুখারী এবং মুসলিম সাহেব সংকলিত করেছেন, সে কারনে তা সহী বলা হচ্ছে। আর হাদীস জগতে বুখারী এবং মুসলিমের হাদীসে রাজতন্ত্রের পক্ষে যায় এমন কিছু হাদীস সংকলিত হওয়ায় ঐ হাদীসের গুরুত্ব অন্য যেকোন হাদীসের চেয়ে বেশী। তারা রাজতন্ত্রের আনুকুল্য পেয়েছেন।’ সত্য মিথ্যা একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।

আজকাল তো এমনও হয়েছে, কোরআনের একটা আয়াত বললে, তার বিপরীতে হাজারটা হাদীস এনে তা খন্ডাতে এগিয়ে আসেন কোন কোন আলেম।

কোরআনে বলা হয়েছে, যারা ধর্ম সম্বন্ধে নানা মতের সৃষ্টি করেছে ও দলে দলে বিভক্ত হয়েছে; তাদের ওপরে আপনার কোনো দায়িত্ব নেই। তাদের বিষয় আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিন।আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের জবাবদিহি করবেন। (৬: ১৫৯)

এবং তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জু মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর; তোমরা দল উপ-দলে বিভক্ত হইও না। (৩: ১০৩)

যারা নিজেদের ধর্মে মতভেদ সৃষ্টি করেছে ও দল উপ-দলে বিভক্ত হয়েছে; তারা ব্যক্তি/নিজ নিজ মতবাদ নিয়েই মদমত্ত রয়েছে। (৩০: ৩২)

তিনি তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন সেই ধর্ম যার নির্দেশ দিয়েছিলেন নুহকে––আর আমি অহি করেছি তোমাকে এবং যার নির্দেশ দিয়েছিলাম ইব্রাহিম, মুছা ও ঈছাকে; এই বলে যে, তোমরা ধর্ম প্রতিষ্ঠা কর এবং তাতে মতভেদ সৃষ্টি করবে না। । (৪২: ১৩)

তারা বুদ্ধিমান হয়েও কেবলমাত্র পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষের কারণেই নিজেদের মধ্যে দলাদলি ও মতো ও মতভেদ সৃষ্টি করেছে। (৪২: ১৪)

তোমরা তাদের মত হইও না; যারা তাদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শন আসার পরেও নিজেদের মধ্যে মত- পার্থক্য করত: দল উপদলে বিভক্ত হয়েছে। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আজাব । (৩: ১০৫)

পক্ষান্তরে হাদীসে আছে,

রাছুল বলেন, “আমার উম্মতে ৭৩টি দল হবে, তার মাত্র একটি দল বেহেস্তে যাবে; বাকি সকলে দোযখে যাবে।”

রাছুল (সা) বলেছেন, “আমার উম্মতে মোহাম্মদ এবনে ইদ্রিছ (শাফেঈ) নামে একটি লোক জন্মাবে। সে আমার উম্মতের পক্ষে ইবলিস অপেক্ষাও অধিক অনিষ্টকারী হবে; পক্ষান্তরে, আমার উম্মতে আর একজন লোক হবেন, তাকে আবু হানিফা বলে সম্বোধন করা হবে; তিনি হচ্ছেন আমার উম্মতের বাতি।” [হাদিছ সূত্র: ক ও খ): বোখারী, ‘মোস্তফা চরিত’; আকরাম খাঁ]

এতো অল্প পরিসরে কোরআন ও হাদীসের কন্ট্রাডিকশন এমনকি একই ব্যক্তির বর্ণিত দুটি হাদীসের কন্ট্রাডিকশন বুঝা সম্ভব নয়। হাদীসপন্থীরা এতোই অন্ধ যে, ২০০/৩০০ বছর পরে বর্ণিত ও সংকলিত নানা বিকৃত হাদীসকেও তারা সহী বলে মেনে নিয়েছেন এবং ইসলামকে কঠিন থেকে কঠিনতর করে দুনিয়াটাকেই দোজখ বানিয়ে দিতে আর তেমন বাকী কিছু রাখেননি।

বিঃদ্রঃ এখানে হাদীসকে অস্বীকার করার কোন প্রসঙ্গ নেই। বরং সকল হাদীস যে সহী নয় সেটাই বর্ণনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আর কোরআনের সাথে কন্ট্রাডিক্ট করলে সেটাকে কোনভাবেই সহী বলার কোন জো নেই মুসলমানদের। আমার জানার সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো।

বিষয়: বিবিধ

১৭২৩ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

358017
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০:৫৯
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনি হাদীসের সংরক্ষনের বিষয়ে সত্য বলেননি।এটা প্রথম থেকেই সংরক্ষিত হচ্ছিলো। তবে কুরান এর সংরক্ষনে ভুল নেই। হাদীসের ক্ষেত্রে সত্য মিথ্যা নিরুপিত হয়েছে। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাহর হাদীস চেক করার সিস্টেম রয়েছে। এখানে রাবীদেরকে বিশ্লেষণ করে হাদীসের সত্যাসত্য নির্ধারন করা হয়। রসূলের(সাঃ) থেকে অনেক লিখিত হাসীসের কপিও ছিলো। পরবতীতে তাবেঈন,তাবে তাবেঈন কতৃকও হাদীস ব্যপকভাবে সংরক্ষিত হয়েছে,লিখিত হয়েছে। হাদীসের ভেতর জাল জয়িফ আছে তাই হাদীসই বাদ দিয়ে শুধু করুআন ধরতে হবে এমন এক গ্রুপ আছে। হাদীস ছাড়া কুরআনের আদেশ নিষেধ পরিপালিত হওয়া সম্ভব নয়।

সাহাবাদের ভেতর ইস্তেহাদী মত পার্থক্য ছিলো। সেটাকে অনেকে বিশাল করে দেখে সুন্নাহ থেকে সরে গেছে। সাহাবাদের ভেতর ভুল বোঝাবুঝি বা ইস্তেহাদী পার্থক্যকে কুচক্রীরা ব্যবহার করে যুদ্ধ পর্যন্ত বাধিয়েছিলো। আজকের দিনেও এসব বিষয়ে কাফির মুশরিক ও দালালরা নানা ফন্দি ফিকির,সন্দেহমূলক কথা বলে মুসলিমদের ভেতর সমস্যা সৃষ্টি করে।


যাইহোক আপনার লেখা থেকে মুসলিমদের শেখার কিছু নেই
358018
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:১৩
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : অনেক চমৎকার লিখেছেন। চালিয়ে যান। নিন্দুকের নিন্দার ভয় করবেন না।
358022
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ১১:৩৩
অপি বাইদান লিখেছেন : ইসলামের জগাখিচুড়ী। ইসলামের ছাই/ছালিতে আসলে কিছু নেই।
358024
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ১২:০৫
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভাল লাগলো। আশাকরি আরো লিখবেন, ধন্যবাদ।
358027
৩০ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০২:০৫
আবু জান্নাত লিখেছেন : যুগ যুগ ধরে এসকল বিতর্ক টিকে থাকবে। আর মুসলিম উম্মাহ দিকবিদিক ছুটাছুটি করবে।

আল্লাহই সর্বোত্তম অভিবাবক। তিনিই পারেন সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখতে। তাঁর কাছ এই মিনতিই জানাই।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File