দশটি সময় যখন দু’আ কবুল হয়
লিখেছেন লিখেছেন তট রেখা ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০৪:৫৭ রাত
মূলঃ আমিনা সালাউ
( ইংরেজী থেকে অনুদিত ও সম্পাদিত)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আমাদের যা কিছু প্রয়োজন তা চাওয়ার জন্য সালাত হলো একটি মাধ্যম। কিন্তু সালাতের বাইরেও আমাদের মুসলমানদের কিছু সময় দেয়া হয়েছে, যখন আমাদের দোয়া কবুল হতে পারে। চলুন সেই সময় গুলো কখন, একটু জানা যাক।
১। ফরজ সালাতের পরঃ
আবু উমামা (রাঃ) বর্ণিত একটি হাদীসে আছে, তিনি বলেনঃ
"جوف الليل الآخر ودبر الصلوات المكتوبات" অর্থাৎ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম কে বলা হলো, কোন দোয়া অধিক কবুল হয় ? শেষ রাতের মধ্যকালের ও ফরয সালাতের পরের দোয়া ( রিয়াদুসসালেহীনঃ
, ৪র্থ খন্ডঃ হাদীস নং-১৫০১, মীনা বুক হাউজ, http://sunnah.com/riyadussaliheen/17/36, জামে তিরমিযীঃ হাদীস নং ৩৪৩১,মীনা বুক হাউজ)। এই সময়টি হলো তাশহুদের পরে এবং সালামের আগে। অবশ্য এই ব্যাপারে মত-পার্থক্য রয়েছে, অনেকে বলেন, সময়টি সালাম ফেরানোর পরে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ।
২। শেষ রাতের মাঝামাঝি সময়ঃ
আবু উমামা বর্ণিত উপরোক্ত হাদীসে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম রাতের শেষ ভাগের মধ্যকালকে দোয়া কবুলের সময় বলে উল্লেখ করেছেন। উবাদা বিন সামেত (রাঃ) হতে বর্ণিত অন্য আরেকটি হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
" مَنْ تَعَارَّ مِنَ اللَّيْلِ فَقَالَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ ثُمَّ قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي أَوْ قَالَ ثُمَّ دَعَا اسْتُجِيبَ لَهُ فَإِنْ عَزَمَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ صَلَّى قُبِلَتْ صَلاَتُهُ " অর্থাৎ,
যে ব্যাক্তি রাতে জাগ্রত হয়ে বলে, ‘ আল্লাহ ব্যাতিত কোনো প্রভু নাই, তিনি এক তাঁর কোনো শরীক নাই, সার্বভৌমত্ব তাঁর, সমস্ত প্রশংসা তাঁর প্রাপ্য এবং তিনি সব কিছুর উপর সর্ব শক্তিমান। আল্লাহ সম্পুর্ণ পবিত্র, আল্লাহই সমস্ত প্রশংসার অধিকারী। আল্লাহ ব্যাতিত কোনো মাবুদ নাই, আল্লাহ সুমহান। আল্লাহর অনুগ্রহ ব্যাতিত অন্যায় থেকে বিরত থাকার কিংবা ভালো কাজ করার শক্তি কারো নেই। এরপর সে বলবে হে প্রভু আমাকে ক্ষমা করে দাও। অথবা তিনি বলেছেন, সে দোয়া করলে তা কবুল করা হয়। আর যদি সে সাহস করে অযু করে সালাত আদায় করে, তবে তার সালাত কবুল করা হবে। ( তিরমিযীঃ হাদীস নং -৩৩৪৯ মীনা বুক হাউজ, http://sunnah.com/tirmidhi/48/45, বুখারী, আবু দাউদ, নাসাই, ইবনে মাজা ) হাদীসের মান সহীহ।
৩। আযানের সময়ঃ
আযানের সময়টি দোয়া কবুল হওয়ার জন্য অন্যতম একটি সময়। নিম্নোক্ত হাদীসে বলা হয়েছেঃ
وعن سهل بن سعد رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم "ثنتان لا تردان، أو قلما تردان: الدعاء عند النداء وعند البأس حين يلحم بعضهم بعضًا" ((رواه أبو داود بإسناد صحيح)).
অর্থঃ হযরত সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, এমন দুটি সময় আছে, যখন (দোয়া করলে তা) প্রত্যাখ্যান করা হয়না অথবা (বলেছেন) খুব কমই প্রত্যাখ্যান করা হয়। আযানের সময় ও যুদ্ধের সময় যখন পরস্পরের সাথে যুদ্ধ চলতে থাকে। (রিয়াদুসসালেহীনঃ
, ৩য় খন্ডঃ হাদীস নং-১৩২৬ মীনা বুক হাউজ, http://sunnah.com/riyadussaliheen/12/41, আবু দাউদ) হাদীসের মান সহীহ।
৪। আযান এবং ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ঃ
আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ও আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়ার জন্য উপযুক্ত সময়, আনাস ইবনে মালিক বর্ণিত নিম্নের হাদীসঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ زَيْدٍ الْعَمِّيِّ، عَنْ أَبِي إِيَاسٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يُرَدُّ الدُّعَاءُ بَيْنَ الأَذَانِ وَالإِقَامَةِ "
صحيح (الألباني)
حكم :
অর্থঃ আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী দু’আ কখনোই ফেরত দেয়া হয়না । ( সুনানে আবু দাউদঃ হাদীস নং-৫২১, http://sunnah.com/abudawud/2/131) আল-আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
অতএব আযানের পর ফরয সালাতের জন্য অপেক্ষ্যমান অবস্থায় দু’আ করা উচিৎ।
৫। জুম’আর দিনের একটি মুহুর্তঃ
জুম’আর দিনে এমন একটি মুহুর্ত আছে, যখন কোনো ব্যাক্তি নারী অথবা পুরুষ যেই হোক, আল্লাহর কাছে যা চায়, তাকে তা দেয়া হয়। বলা হয়ে থাকে সময়টি হলো আছরের সালাতের পর এবং সময়ের ব্যাপ্তি খুবই সংক্ষিপ্ত। তবে অনেকে বলেন সময়টি ইমাম খুৎবার জন্য অগ্রসর হওয়ার থেকে শুরু করে সুর্যাস্তের আগে পর্যন্ত সময়ের মধ্যেই আছে। এই সময় পাওয়ার জন্য সবাইকে তটস্থ থাকা উচিৎ। রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম নিম্নের হাদীসে বলেছেনঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَكَرَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَقَالَ " فِيهِ سَاعَةٌ لاَ يُوَافِقُهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ، وَهْوَ قَائِمٌ يُصَلِّي، يَسْأَلُ اللَّهَ تَعَالَى شَيْئًا إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ ". وَأَشَارَ بِيَدِهِ يُقَلِّلُهَا.
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। এক জুম’আর দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম খুৎবা প্রদান করলেন, (খুৎবায়) তিনি বললেন, এ দিনে এমন একটি মুহুর্ত আছে যে, কোন মুসলমান বান্দা যদি এসময় দাঁড়িয়ে সালাতরত অবস্থায় আল্লাহর নিকট কিছু প্রার্থনা করে, তবে তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করেন। (এটা বলে) তিনি হাত দিয়ে ইশারা করে বুঝিয়ে দিলেন যে, মুহুর্তটি খুবই সংক্ষিপ্ত। ( সহীহ বুখারীঃ হাদীস নং- ৮৮২ মীনা বুক হাউজ, ৫২৩ হামিদিয়া লাইব্রেরী, http://sunnah.com/bukhari/11/59)
৬। মৃতকে নিয়ে দাফনের উদ্দেশ্যে কবরস্থান যাত্রার সময়ঃ
কোনো ব্যাক্তির মৃত্যুর পর যখন জানাযার সালাত সম্পন্ন করে তাকে দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন সেই সুযোগকে ব্যাবহার করে মৃতের জন্য দোয়া করা ভালো। কারণ নিম্ন বর্ণিত হাদীসটিঃ
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ أَيُّوبَ، . وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، رَضِيعٌ كَانَ لِعَائِشَةَ - عَنْ عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَمُوتُ أَحَدٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَتُصَلِّي عَلَيْهِ أُمَّةٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَبْلُغُونَ أَنْ يَكُونُوا مِائَةً فَيَشْفَعُوا لَهُ إِلاَّ شُفِّعُوا فِيهِ " . وَقَالَ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ فِي حَدِيثِهِ " مِائَةً فَمَا فَوْقَهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ أَوْقَفَهُ بَعْضُهُمْ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
অর্থঃ আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যদি কোনো মুসলমান মারা যাওয়ার পর একশত জনের একদল মুসলমান তার জানাযার নামাজ আদায় করে এবং তারা তার জন্য সুপারিশ করে, তবে তার জন্য তাদের সুপারিশ কবুল করা হবে। আলী ( ইবনু হজর) তার বর্ণিত হাদীসের স্থলে একশত বা ততোধিক বাক্য উল্লেখ করেছেন। (সহীহ আত-তিরমিযীঃ হাদীস নং-১০২৯ হুসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, তিরমিজী শরীফঃ হাদীস নং-১০২৯ ইঃফাঃ, http://sunnah.com/tirmidhi/10/65, মুসলিম)
৭। সিজদার সময়ঃ
বলা হয়ে থাকে, একজন মুসলিম সিজদারত অবস্থায় আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী অবস্থায় থাকে । এ কারণেই সিজদারত অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বেশী করে দু’আ করতে বলেছেনঃ
وعن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:
"أقرب ما يكون العبد من ربه وهو ساجد، فأكثروا الدعاء" ((رواه مسلم)).
অর্থঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত । রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, ‘ বান্দা সেজদারত অবস্থায় তার প্রভু সবচেয়ে নিকটবর্তী হয়ে থাকে। সুতরাং সেজদায় গিয়ে অধিক হারে দোয়া কর। ( রিয়াদুসসালেহীনঃ হাদীস নং ১৪৯৯ মীনা বুক হাউজ, মুসলিম, http://sunnah.com/riyadussaliheen/16/21)
৮। কদরের রজনীতেঃ
আমরা রমাজান মাস থেকে যেহেতু আর কয়েক সপ্তাহ দুরে, এখানে শক্তিশালী রজনীর কথা উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক হবে- যে রাত হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। আল্লাহ বলেনঃ
لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِّنْ أَلْفِ شَهْرٍ
শবে-কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।
( সুরা কদরঃ আয়াত-৩)। এই রাত্রীতে ফেরেশতারা আসমান থেকে অবতরণ করেন এবং আল্লাহ সকল দু’আ কবুল করেন
৯। মজলুম অবস্থায়ঃ
একজন মজলুমের প্রার্থনা আল্লাহর নিকট সর্বাবস্থায় কবুল হয়। এটি আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে বলেনঃ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ: حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: ثَلاَثُ دَعَوَاتٍ مُسْتَجَابَاتٍ: دَعْوَةُ الْمَظْلُومِ، وَدَعْوَةُ الْمُسَافِرِ، وَدَعْوَةُ الْوَالِدِ عَلَى وَلَدِهِ.
অর্থঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ তিনটি দু’আ আছে যা কবুল হয়ঃ মজলুমের দু’আ, মুসাফিরের দু’আ এবং সন্তানের জন্য পিতা-মাতার দু’আ” ( আল আদাবুল মুফরাদ, http://sunnah.com/urn/2204810) আল-আলবানি হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন
১০। সফরে থাকা অবস্থায়ঃ
সফরে থাকা অবস্থায় একজন পুরুষ ও নারীর দু’আ আল্লাহর নিকট কবুলের সুযোগ রয়েছে। উপরোক্ত হাদীসেই তার প্রমাণ রয়েছে।
এ ছাড়াও আরো একটি বিশেষ দিনে হাজীদের দু’আ কবুলের সুযোগ রয়েছে। দিনটি হলো আরাফায় অবস্থানের দিন। এ দিনে আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে নিকটে থাকেন এবং অধিক সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করেন।
দু’আকারী ব্যস্তত্রস্ত না হলে দু’আ কবুল হয়ঃ
ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া (রহঃ) বর্ণনা করেছেনঃ
حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ شُعَيْبِ بْنِ لَيْثٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، حَدَّثَنِي عُقَيْلُ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّهُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو عُبَيْدٍ، مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَكَانَ مِنَ الْقُرَّاءِ وَأَهْلِ الْفِقْهِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُسْتَجَابُ لأَحَدِكُمْ مَا لَمْ يَعْجَلْ فَيَقُولُ قَدْ دَعَوْتُ رَبِّي فَلَمْ يَسْتَجِبْ لِي " .
অর্থঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমাদের দু’আ তখনই কবুল হয়, যখন সে ব্যস্তত্রস্ত না হয়, (ব্যস্তত্রস্ত ভাবে) সে দু’আ করার পর বলতে থাকে, আমি আমার প্রতি পালকের নিকট দোয়া করলাম, অথচ তিনি আমার দোয়া কবুল করলেননা) ( সহীহ মুসলিমঃ হাদীস নং-৬৬৮৫, বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স)
আল্লাহ আমাদের সকলের দু’আ কবুল করুন। আমীন।
SIMILAR POSTS YOU MAY LIKE TO READ:
হিংসা বা ঈর্ষা জয়ের ৮টি উপায়
সালাত কি জীবনের পরিবর্তন আনে
আমাদের দশটি বিনষ্ট জিনিস
মদীনায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম এর দেয়া প্রথম খুৎবা
বিষয়: বিবিধ
১৫৭০ বার পঠিত, ২৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনুবাদ সুন্দর হয়েছে। লেখাটা আরেকবার দেখে নেবেন।
মূল লেখিকা এবং আপনি, উভয়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া।
আর সবার কাছে দাওয়াত পৌঁছানোই তো মুমিনের কাজ। হেদায়েতের মালিক তো আল্লাহ।
জাজাকাল্লাহ খায়রান।
অনেক গুরুত্ব বহনকারী একটি লিখা,
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দিন, আমিন
ঊজিবু দা'ওয়াতাদ দাঈ ইজা দাআন,
ফালইয়াসতাজীবুলী...
মন্তব্য করতে লগইন করুন