হিংসা বা ঈর্ষা জয়ের ৮ টি উপায়
লিখেছেন লিখেছেন তট রেখা ১১ এপ্রিল, ২০১৬, ০২:৪১:২৬ দুপুর
মূলঃ রাবিয়া ফাহমা দাউদ
(ইংরেজী থেকে অনুদিত )
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হিংসা বা ঈর্ষা হলো এমন একটি অনুভুতি, যা জীবনের কোনো না কোনো সময় আমরা সবাই এর ভেতর দিয়ে যায়। এটা হতে পারে প্রতিবেশীর নতুন গাড়ীর জন্য, পাশের বাড়ীর ভাবীর নতুন শাড়ীটির জন্য, হতে পারে সহকর্মীর প্রমোশন দেখে, স্কুলে কোনো সহপাঠির ফলাফল দেখে, হতে পারে ব্লগে কোনো ব্লগারের অসম্ভব জনপ্রিয়তা দেখ। এমন কি কারো জ্ঞানের গভীরতা দেখেও মানুষ ঈর্ষান্বিত হতে পারে। এটা একটি নেতিবাচক আবেগ যা আমাদের হৃদয়ে জাগ্রত হয়, যখন দেখি অন্য কারো এমন কোনো জিনিসের প্রাপ্তি ঘটেছে, যা আমরা নিজেরা কামণা করি, কিন্তু পাইনি। এটা একটি জঘন্য স্বভাব যা নিম্ন বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছেঃ
“ আবু হোরায়রা রাদিআল্লাহুআনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা হিংসা ত্যাগ কর, কেননা হিংসা নেক কাজকে সেরূপ খেয়ে ফেলে যেরূপ আগুন কাঠকে খায়”।
( সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং- ৪৮২৫ বাংলাদেশ তাজ কোম্পানি) এই হাদীস টিকে ইবনে হাজার ‘হাসান’ বলেছেন।
এখানে ঈর্ষা বা হিংসা জয়ের ৮ টি উপায় বর্ণিত হলোঃ
১। আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করুনঃ
যে ঈর্ষার উত্তাপ আপনি অনুভব করেন, তা শয়তান ব্যাতিত অন্য কারো দ্বারা প্রজ্বলিত নয়। এই জন্যই আল্লাহ আমাদের আল-কুরানুল কারীমের শেষ সুরাতে তাঁর কাছে আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দিচ্ছেনঃ
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (৫
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ (৬
জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
(সুরা আন-নাসঃ আয়াত ৫-৬ )
পরবর্তী সময়ে যদি এরূপ অনুভুতি জাগ্রত হওয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়, তৎক্ষণাৎ এই ছোট ও শক্তিশালী অস্ত্রের প্রয়োগ করুন, বলুন, أعوذ بالله من الشيطان الرجيم (আউযবিল্লাহিমিনাশ শায়তোয়ানির রাজিম – আমি অভিশপ্ত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি).
২। ঈর্ষার বিরূদ্ধে বিদ্রোহ করুনঃ
এই ধাপটি আসলে আগের ধাপেরই সম্প্রসারণ। এখানে আমরা শুধু শয়তানের কু-মন্ত্রণা কে ফিরিয়ে দেবার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করি তাই নয়, বরং সচেতন ভাবে শয়তান এবং নিজেদের নফস কে তাদের সাজানো খেলায় পরাজিত করারও চেষ্টা করি।
এটা আমাদের রক্ষণাত্মক থেকে আক্রমণাত্মক কৌশলে নিয়ে যায়!
সুতরাং আপনি যদি কখনো কোনো মানুষের প্রতি ঈর্ষান্বিত হন, নিজেকে বিরত রাখুন এবং অন্যের প্রতি খারাপ ধারণা পোষন করার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন। নিজেকে ছাড়িয়ে যান, এবং অপরের সম্পর্কে ভালো ধারণা করতে নিজেকে বাধ্য করুন। নিম্নলিখিত পয়েন্ট গুলি এই ধাপের ভালো উদাহরণ।
৩। প্রার্থনা করুনঃ
• নিজের জন্য – আপনার জীবনে কোনো কিছুর ঘাটতি আছে , এটা সার্বক্ষণিক ভাবে চিন্তা করার পরিবর্তে এটার ব্যাপারে কিছু করুন। এর থেকে মুক্তি পেতে হলে, সবচেয়ে ভালো পন্থা হলো তাঁকে বলা, যিনি বাধ্য করেন ( আল-জব্বার), এবং তাঁর কাছে চাওয়া, যিনি প্রয়োজন মিটান ( আর-রাজ্জাক) এবং যিনি দান করেন ( আল-ওয়াহাব) তার কাছে কল্যাণ প্রার্থণা করুন। এই কাজ গুলো নিশ্চিত ভাবেই ফলাফল বয়ে আনবে। যেমন আল্লাহ ওয়াদা করেছেন,
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُواْ لِي وَلْيُؤْمِنُواْ بِي لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে।
(সুরা বাকারাঃ আয়াত-১৮৬)
• অপরের জন্য –যখন কোন ঈর্ষান্বিত ব্যাক্তি খালেস ভাবে, যার প্রতি ঈর্ষা পোষন করা হয়, তার জন্য দোয়া করে, এটা উভয়ের মধ্যে সকল শত্রুতা দুর করে দেয়। এটা ঈর্ষা দুর করণে সবচেয়ে কার্যকরী পন্থা, এটা প্রার্থনা কারীর জন্য দুই ধরনের পুরস্কার এর কারন হয়ঃ
শয়তান এবং নিজের নফসের বিরূদ্ধে যাওয়ার জন্য পুরস্কার।
যে জিনিসের জন্য সে ঈর্ষান্বিত হয়েছে, তার জন্য যদি এর চেয়ে ভালো কিছু না হলেও, নুন্যপক্ষে সেই জিনিসের জন্য ফেরেস্তারা আল্লাহর নিকট দোয়া করে।
আবু দারদা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মুসলমান বান্দা তার ভাই এর অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে একজন ফেরেস্তা তার জবাবে বলে, “ আর তোমার জন্যও অনুরূপ”।
(সহীহ মুসলিমঃ হাদীস নং-৬৬৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদীস নং- ৬৬৮০, বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স)
৪। হাত মিলান ও সালাম বিনিময় করুনঃ
অন্যের সাথে হাত মিলানো ও সালাম বিনিময় করলে, অন্তরের মধ্যে জমে থাকা শত্রুতা দুর হয়, যেমন রসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ যখন দুইজন মুসলমান মিলিত হওয়ার পর মুসাফাহা ( হাত মিলানো) করে, তখন তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে তাদের সব গুণাহ মাফ করে দেয়া হয়”। ( সুনানে আবু দাউদঃ হাদীস নং-৫১২৪, বাংলাদেশ তাজ কোম্পানী- হাদীসটিকে নাসিরুদ্দীন আলবানি সহীহ বলেছেন)
৫। নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা বন্ধ করুনঃ
আল্লাহ কুরান মজীদে বলেছেনঃ
وَلاَ تَتَمَنَّوْاْ مَا فَضَّلَ اللّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ لِّلرِّجَالِ نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبُواْ وَلِلنِّسَاء نَصِيبٌ مِّمَّا اكْتَسَبْنَ وَاسْأَلُواْ اللّهَ مِن فَضْلِهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
আর তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত।
(সুরা নিসাঃ আয়াত -৩২)
৬। নিজের প্রাপ্ত অনুগ্রহ ও কল্যাণ কে গণনা করুনঃ
নিজের উপর প্রাপ্ত অনুগ্রহ ও কল্যাণ নিয়ে কৃতজ্ঞ থাকলে, তা শুধু নিজের অন্তরেই পরিতৃপ্তি আনেনা, আল্লাহ কল্যাণের পরিমানও বৃদ্ধি করেন! আল্লাহ বলেনঃ
وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ
যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর
(সুরা ইব্রাহীমঃ আয়াত-৭)
এটি একটি সুন্দর চক্র।
৭। যতটুকু সম্ভব সর্বোত্তম হওয়ার চেষ্টা করুনঃ
শুধুমাত্র একটি ব্যাপার যা আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, তাহলো আমাদের আমল বা কর্ম ও আচরণ। আমরা অন্যের কর্ম বা তকদির কে নিয়ন্ত্রণ করিনা, কিন্তু আমাদের নিজেদের প্রচেষ্টাকে সাধ্যের সর্বোচ্চ চুড়ায় নিয়ে যেতে পারি। সুতরাং আমরা নিজেদের দিকে মনযোগ নিবদ্ধ করি, জান্নাতকে আমাদের চুড়ান্ত লক্ষ্যে পরিণত করি, এ কাজে সর্বোচ্চ আত্ম-নিয়োগের মাঝেই পরিতৃপ্তি অন্বেষন করি।
৮। আল্লাহ এবং আল্লাহর পরিকল্পণার উপর ভরসা করুনঃ
সর্বোপরি, সর্বদা আল্লাহ সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষন করুন। তিনি জানেন, আপনাকে কখন কি দিতে হবে এবং একমাত্র তিনিই জানেন আপনার জন্য কোনটি সর্বোত্তমঃ
كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।
(সুরা বাকারাঃ আয়াত-২১৬)
বিষয়: বিবিধ
১৬৬০ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে ছোট্ট বেলা থেকেই, এখনো আমার ক্লাসে আমার চেয়ে ভাল করলে আমার খুব খারাপ লাগত এখনো লাগে তবে কখনো তার খারাপ কামনা করি নাই আমি আমার পড়াশুনার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছি যাতে আগামিতে আমি তার চেয়ে ভাল করতে পারি । আর এটাকে তো আমি ইতিবাচক হিংসাই মনে করেছি ।
তাহলে কি আমি ভুল করেছি ?
ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আর যে ব্যাক্তি জ্ঞানীর জ্ঞানকে এই ভেবে ঈর্ষা করে যে, তার মত জ্ঞানী হলে আমি আমার জ্ঞানকে মানব কল্যাণে আল্লাহর ওয়াস্তে কাজে লাগাতাম! এই ধরণের ঈর্ষা শুধু বৈধই নয়, উৎসাহও দেয়া হয়েছে।
আমার জানা মতে "হিংসা" শব্দটি নেতিবাচক অর্থ (হাসাদ) এবং "ঈর্ষা" শব্দটি ইতিবাচক অর্থ (গিবতা) নির্দেশ করে!
যে কারণে হিংসা নিন্দনীয় এবং ঈর্ষা প্রশংসনীয়!
তবে কেউ কেউ হিংসা ও ঈর্ষা সমার্থক মনে করেন এবং তাঁদের লেখায় সেভাবেই প্রয়োগ করেছেন!
মূল রচয়িতা, অনুবাদক, পরিবেশক ও পাঠক/মন্তব্যকারী সবার জন্য দোয়া- জাযাকুমুল্লাহ..
অনেক সুন্দর কিছু আলোচনা।
কারো কোন উন্নতি দেখে জ্বলন হয় না ঠিক ই,
কিন্তু মনে মনে কামনা করি, আল্লাহ, ওদের কে ও ভালো রাখুক, আমাদের কে ও ভালো রাখুক
চমতকার একটি বিষয় নিয়ে বিষদ লিখেছেন।
অল্পতে সন্তুষ্ট থাকতে না পারা হিংসার অন্যতম কারণ। আজকাল মানুষ প্রতিটি বিষয়ে অন্যের উন্নতি দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায়, এতে করে প্রথম. অনুসরণ, তারপর অন্যকে ছাড়িয়ের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় লিপ্ত, যদিও প্রতিযোগিতার বিষয়টি হয় ইসলামী শরীয়াহ বিরোধী হয়।
আমি মুহাম্মদ আসাদের একজন গুণমুগ্ধ ভক্ত। আমার অনেক লেখাতেই তাঁর রেফারেন্স দেই। যেমন এই লেখাটি। আমার মত ক্ষুদ্র ব্যক্তির তাঁর মত ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করার যোগ্যতা নেই, যদি না সেই সমালোচনা সহীহ আক্বীদা পন্থি উলামারা করে থাকেন। তার লেখা তফসির টি মুতাজিলা আক্বীদার দোষে দুষ্ট হওয়ার ফলে ১৯৭৪ সালে সৌদী আরবে নিষিদ্ধ হয়েছিল। যা উইকিপিডিয়াতে নিম্নোক্ত ভাষায় এসেছে।
“Criticism[edit]
Considered one of the leading translations of the Qur'an, it has been criticized by some traditionalists for its Mutazilite leanings. The book was banned in Saudi Arabia in 1974 (before its publication) due to differences on some creedal issues compared with the Salafi ideology prevalent there.”
সৌদী আরবের “The Permanent Committee for Scholarly Research and Ifta” তাদের ফতোয়া তাঁর লেখা তফসিরের অসঙ্গতি এই ভাবে বর্ণনা করেছেন।
4- Why was the translation mentioned above published in a Muslim country taking into account that Muhammad Asad - to my knowledge - is living in the Kingdom of Morocco?
(Part No. 3; Page No. 294)
I find nothing in the Qur'an or the Sunnah to support the issues mentioned in it. I hope that your Fatwa will back me to refute these matters and prevent the publication of this translation here.
A: The translation referred to contains fatal errors and flagrant false beliefs. As a result, the Constitutional Council of the Muslim World League in Makkah Al-Mukarramah issued a decree banning the print and publication of this translation.
May Allah grant us success. May peace and blessings be upon our Prophet Muhammad, his family, and Companions.
এই কমিটির সদস্য বৃন্দ হলোঃ
Member
1. `Abdullah ibn Qa`ud
2. `Abdullah ibn Ghudayyan
3. `Abdul-Razzaq `Afify `Abdul-
4. `Aziz ibn `Abdullah ibn Baz
লিঙ্কঃ http://www.alifta.com/Search/ResultDetails.aspx?languagename=en&lang=en&view=result&fatwaNum;=&FatwaNumID;=&ID=906&searchScope=7&SearchScopeLevels1;=&SearchScopeLevels2;=&highLight=1&SearchType=exact&SearchMoesar=false&bookID;=&LeftVal=0&RightVal=0&simple;=&SearchCriteria=allwords&PagePath;=&siteSection=1&searchkeyword=109117104097109109097100032097115097100#firstKeyWordFound
একজন ভক্ত হিসাবে যখন প্রথম আমি তাঁর আক্বীদার বিভ্রান্তি নিয়ে জানতে পারি, আমি নিজেই মর্মাহত হয়েছিলাম। কিন্ত সত্যকে সবসময় ব্যাক্তিগত রাগ-অনুরাগের উপরে স্থান দিতে হবে। যখন দেখলাম “মেসেজ অফ দ্যা কুরান” গ্রন্থটি নিয়ে শাহ মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান এর লেখাটি এত ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, মানুষকে সতর্ক করে দেয়ার দায়িত্ব বোধ থেকেই আমার সত্য কথাটি প্রকাশ করা। যাতে করে আমি আল্লাহর দরবারে যেন সত্য গোপনের দায়ে অভিযুক্ত না হয়।
ঐক্যের খাতিরে সত্যকে গোপণ করে রাখতে হবে, এমন ধারণা ইসলাম সমর্থন করেনা, বরং ইসলামে ঐক্যই হয় সত্যকে কেন্দ্র করে।
আশা করি আপনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি।
মা’আসসালাম
মন্তব্য করতে লগইন করুন