যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতিই একমাত্র বৈষম্য দূর করতে পারে।
লিখেছেন লিখেছেন হারেছ উদ্দিন ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৫:৫৪:৫৩ বিকাল
নিপীড়িত নির্যাতিত বঞ্চিত শোষিত মানুষের অধিকার সম্পদশালীদের সম্পদের মাঝে;
,
মানুষের সে অধিকর কিভাবে আদায় করা হবে সে পদ্ধতি আল্লাহ নিজেই নির্ধারন করে দিয়েছেন। যে পদ্ধতিতে এই মানুষ গুলির সম্মানের সাথে এঅধিকার আদায় হবে ভ্রাতৃত্য বোধের ভিত্তিতে। কোন সংঘাত হবে না, দুর্বলতা, হেয়তা থাকবে না স্ব স্ব সম্মান বজায় রেখে তাদের অধিকার পাবে।
যারা এই অধিকার আদায় করবে তারা এটা অন্যের হক ভেবেই দেবে। এতসুন্দর পদ্ধতি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষের সামনে পেশ করেছেন।
এখানে আরও একটি ভুল ধারনা সমাজে পোষিত আছে, যারা সহযোগিতা করে তারা ভাবে দয়া করে দিচ্ছে। যারা নেয় তারাও নিজেকে খুব দুর্বল ভেবে নেন।
আসলে এই ধারনা সম্পুর্ণ ভুল।
যারা দিচ্ছে এটা দয়া নয় পাওনা অধিকার আদায় করছেন, যারা নিচ্ছেন তারাও দয়ার দান নিচ্ছেন না এটাও তাদের পাওনা অধিকার।
এটা আল্লাহর পক্ষথেকে নির্ধারিত।
কিন্তু তা না মানার কারনেই শ্রেনী বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এটাও অস্বীকার করার উপায় নাই যে না জানার করনেও হয়েছে।
অধিকার আদায়ের ভুল পদ্ধতির কারনেই এমন বৈষম্য এবং সংঘাত যা শান্তি বিনষ্টকারী।
মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার জন্য আল্লাহ যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি দিয়েছেন। এই যাকাতকে এখন ছদকার মত মনে করে ব্যক্তিগত ভাবে নিজ ইচ্ছায় দেওয়া হয়, যাকাতের এই পদ্ধতি নয়। রাষ্ট্রিয় ভাবে আদায় এবং সুষম বন্টনের মাধ্যমে অর্থনীতির উন্ন্যয়নে কাজে লাগানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
সকল সম্পদের মালিক আল্লাহ, খনিজ, বনজ, মুৎস্য সব আল্লাহর দেওয়া, মানুষের অর্থনৈতিক বৈষম্য দূর করার জন্য এই গুলি ব্যবহার করার কথা।
কিন্তু আজ সব গুলিই ধনীদের হাতে, তাই এই অধিকার আদায়ের আন্দোলন বঞ্চিদেরই করার কথা। সেখানেও সম্পদশালীদের হস্তক্ষেপ, আন্দোলন হচ্ছে অধিকার আদায়ের নামে, মূলত লাভবান হচ্ছে সম্পদশালীরাই।
সুতরাং বঞ্চিত মানুষদের বুঝা দরকার আল্লাহর দেওয়া অর্থনৈতিক পদ্ধতি যারা চালু করবে তাদের সযোগিতায় তাদের ডাকে সারা দেওয়া দরকার তাদের হাতকে শক্তিশালী করা দরকার।
আল্লাহ সকলকে বুঝার তোফিক দিন।
বিষয়: বিবিধ
৭৯৭ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন