মানুষের জীবনের প্রত্যেকটি কাজই ইবাদৎ;
লিখেছেন লিখেছেন হারেছ উদ্দিন ২১ আগস্ট, ২০১৭, ১২:২৯:৪৪ রাত
কিছু মানুষ ধর্ম এবং কর্মকে আলাদা মনে করে,
,
এরা কিন্তু সমাজের বুদ্ধিমান বলেও পরিচিতি আছে।
তারা ধর্মের কিছু কাজ নিজের ভালো বিশ্বাসেই পালন করে।
যেমন:- নামাজ- রোজা- তসবি -তাহলীল সাধ্য থাকলে হজ্ব পালন করে, যাকতও দেয় নফল নামাজ রোজাও পালন করে।
অন্য দিকে তার কর্মকে,
যেমন:- পরিবার পরিচালনা, সমাজ,ব্যবসা বানিজ্য ইত্যাদিকে তারা মনের চাহিদা বা ইচ্ছায় পরিচালনা করে নিজর সুবিধা অনুসারে যাতে সফলতা লাভ হয়।
এটা যে তার ধর্ম এবং কর্ম সম্পর্কে মারাত্বক অজ্ঞতা তা বোধগম্য নয়। এখানেই দ্বীনের জ্ঞান অর্জন না করার ব্যর্থতা!
আর এজন্য তার জীবন চলার পথে ভাল -মন্দ,হারাম- হালাল, উচিৎ- অনুচিৎ একাকার হয়ে যায়।
ধর্মকে আলাদা এবং কর্মকে জীবনের আলাদা অংশ মনে করে।
সে নামাজও পরে আবার ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিও করে, পরিবার এবং সমাজের আচার আচরন চলে মনগড়া ভাবে এটা আসলেই সমাজের কিছু মানুষের জানার অভাবে হয় বা হচ্ছে।
আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন শুধুমাত্র তাঁর ইবাদৎ করার জন্য এই বিষয়ে যদি কুরআন এবং হাদিস থেকে সঠিক জ্ঞান অর্জন করে, ইবাদতের সঠিক ধারনা নিয়ে করত তাহলে ধর্ম একর্ম আলাদা করতে পারত না।
ইবাদৎ অর্থ হলো গোলামী,
জীবনের প্রত্যেকটি কাজই তার ইবাদৎ এই বিষয়ে অজ্ঞতাই তার মূল কারন।
ইবাদতের সঙ্গা হলো জীবনের প্রত্যেকটি কাজে আল্লাহর যা হুকুম আছে তা মানা, তাহলে জীবনে যত কাজ করবে সবই তার ইবাদতে পরিনত হবে।
এটা আসলেই জানার অভাবেই অনেকে আলাদা ভাবেন।
তাই ইবাদৎকে সঠিক ভাবে করতে হলে জানা দরকার জ্ঞান অর্জন করা দরকার কুরআন- হাদিস অধ্যয়নের মাধ্যমে।
আর কিছু মানুষ আছে যারা জেনে বুজে এসব করে। ভালো জ্ঞানও রাখে মানুষকে বিপথে পরিচালনা করার জন্য।
এরা ধর্মকে মানার বান করে লোক দেখায় আসলে এরা বিশ্বাসী নয়, এদের কথা আলাদা।
আল্লাহ সকলকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞানার্জনের মাধ্যমে সঠিক ভাবে ইবাদৎ করার তৌফিক দিন।
বিষয়: বিবিধ
৬৯৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন