রোজা পালনের মূল উদ্দেশ্য;
লিখেছেন লিখেছেন হারেছ উদ্দিন ১৯ জুন, ২০১৬, ১২:৩৯:০১ রাত
"হে ইমানদারগন রোজা তোমাদের উপর ফরজ করা হয়েছে,যেরুপ ফরজ করা হয়েছিলো তোমাদের পুর্ব্ববর্তিদের উপর সম্ভবতঃ তোমরা তাকওয়া অর্জন করবে " (সুরা-বাকারা ১৮৩ নং আয়াত)
,
কোরআনের এই ঘোষনায় বুঝা গেল রোজা ফরজ করার উদ্দেশ্য হল ইমানদারদের মধ্যে তাকওয়া সৃষ্টি করা।
তাকওয়া হল আললাহ্ ভীতি, যা সর্বদায় সর্বকাজে আললাহর হুকুম কে মেনে চলার একটা অনুভূতি অন্তরে জাগ্রত করা।
কোনটা আল্লাহ্ করার জন্য হুকুম করেছেন এবং কোনটা নিষেশ করেছেন তা বেচে বেচে চলার মানষিক অবস্থা তৈরী করে।
আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ মেনে চলা আখেরাতের শাস্তির ভয়ে এটাই হল তাকওয়া। এই তাকওয়া যে ব্যক্তির অন্তরে তৈরী হয় সে ব্যক্তির নাম মুত্তাকী বা পরহেজগার।
দীর্ঘ একমাস রোজা পালন করে যে ব্যক্তি তাকওয়াদারী বা মুত্তাকী হয় তার কাজ হল জীবনের প্রতিটি কাজ করার জন্য কোরআন থেকে হেদায়াত নেওয়া অর্থাৎ কোরআনে জীবনের প্রতিটি কাজ যে নিয়মে এবং পদ্ধতিতে করার জন্য বলেছে সেই ভাবে করবে এটাই হল তাকওয়া।
রোজার সাথে আল- কোরআন অতপ্রোত ভাবে জড়িত। এই কোরআনকে আল্লাহ রমজান মাসে নাজিল করেছেন, একটি বরকত ময় রাতে। উদ্দেশ্য দীর্ঘ একমাস রোজা পালনের মাধ্যমে ইমানদারেরা মুত্তাকী হবে আর কোরআন থেকে হেদায়াত নেবে।
রোজা পালনের আর সব ফজিলত তো পাবেই কিন্তু মূল উদ্দেশ্য এটাই আমরা বুঝতে পারি।
আল্লাহ আমাদের সকলকে দীর্ঘ একমাস রোজা পালনের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করে মুত্তাকী হওয়ার তওফিক দিন এবং কোরআন থেকে হেদায়াত নিয়ে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মেনে চলার পরিবেশ তৈরী করে দিন।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৫ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্লগে আয়োজন চলছে, আপনি জানেন? বিস্তারিত জানতে আমার পাতায় ঘুরে আসুন
মন্তব্য করতে লগইন করুন