" বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" এই বাক্যটি বলতে এতদ্বিধা কেন?
লিখেছেন লিখেছেন হারেছ উদ্দিন ১৭ এপ্রিল, ২০১৬, ০৭:২০:১৩ সন্ধ্যা
ইসলামের গন্ধ যাতে না লাগে সেজন্য
একটি জন গোষ্টির কোন কাজ শুরু করার আগে " বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" না বলার দৃষ্টতা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
ইসলাম মানুষকে একটি বিশেষ সভ্যতা এবং সংস্কৃতি শিক্ষা দিয়েছে। প্রত্যেকটি কাজ শুরু করার আগে আল্লাহর নাম উচ্চারন করে শুরু করা এই সভ্যতা ও সংস্কৃতির একটি রীতি।
স্বচেতনতার সহিত আন্তরিক ভাবে এ রীতি অনুযায়ী মানুষ যদি কোন কাজ শুরু করে তাহলে তিনটি সুফল অনিবার্য্য সে পাবে।
এক:- মানুষ অনেক খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকবে। কারন কাজটা করার আগে তার মন জাগ্রত হয়ে যাবে আল্লাহর নাম নিয়ে কোন খারাপ কাজ শুরু করার অধিকার তার নাই। তাই এই বাক্যটি তাকে বিরত থাকার তাগিদ দেবে।
দুই:- বৈধ সঠিক ও সৎকাজ করার শুরুতে আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করার কারনে মানুষের মনোভাব মানষিকতা ভালোর প্রতি ফিরে আসতে সাহায্য করবে।
তিন:- আর সবচাইতে বড় সফলতা হচ্ছে। আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করার কারনে, আল্লাহর সাহায্য সহায়তা ও সমর্থন সে পাবে এবং কাজ বরকত পাবে।
শয়তানের প্ররোচনা থেকে ধ্বংশ বিপর্যয় থেকে সংরক্ষিত রাখা হবে।
বান্দা যখন আল্লাহ মুখী হয় তখন আল্লাহ বান্দার প্রতি এগিয়ে আসেন।
আল্লাহ আমাদের বরকত পুর্ন পথে পরিচালিত করুন।
সকল ষড়যন্ত্র থেকে হেফাজত করুন, সব সময় সর্ব কাজ আল্লাহর নাম নিয়ে শুরু করার তৌফিক দান করুন।
বিষয়: বিবিধ
১০৮০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গত দুই মাসে (ফেব্রুয়ারী-মার্চ ২০১৬) ঢাকাতে আমার কয়েকটি প্রাতিষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ হয়। আগের বছরগুলিতে দেখেছি এই অনুষ্ঠানগুলি শুরু হতো পবিত্র কোর'আন তেলাওয়াতের মাধ্যমে, কিন্তু এইবার শুরু হলো নাচ-গানের মাধ্যমে - ইসলাম বিরোধীদের কুঅভ্যাস ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে (নাউজুবিল্লাহ)।
মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন