মানুষ পশুত্বে তখনই পরিনত যখন তার মৃর্তুর পরের জীবন কে অস্বীকার করে বা ভুলে যায়।
লিখেছেন লিখেছেন হারেছ উদ্দিন ০৫ মার্চ, ২০১৬, ০৪:২২:০৯ বিকাল
মানুষ পশুত্বে তখনই পরিনত যখন তার মৃর্তুর পরের জীবন কে অস্বীকার করে বা ভুলে যায়।
মানুষ যখন ধর্মীয় অনুভুতি থেকে দুরে সরে যায়, আখেরাত কে ভুলে দুনিয়া জীবনের লোভ লালসায় আকৃষ্ট হয়। দুনিয়া পাওয়ার জন্য জঘন্য নিকৃষ্ট কাজ করতে দ্বিদাবোধ করেনা।
পরিবার, সমাজ ও দেশের অবর্ননীয় ক্ষতি, অশান্তি তাদের দ্বারা সংগঠিত হয়। হত্যা, ধর্ষন, চুরি, চিনতাই, ডাকাতি এসব করতে তাদের বিবেক বাঁধা দিতে পারে না।
ধর্মীয় অনুভুতি না থাকার কারনে বিবেক দুর্বল হয়ে যায়, পশুত্ব মাথাছাড়া দিয়ে উঠে তখন তার দ্বারা সবকিছু সংগঠিত হয়। আজকের সমাজে তারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি।
প্রতিদিন এমন কিছু ঘঠনা ঘটে যা বিশ্বাস করতে কঠিন লাগে, প্রশ্ন জাগে মানুষ কি করে এটা করতে পারে? মূলত যাদের দ্বারা এগুলি হচ্ছে তারা মানবতা-মানুসত্বকে বলি দিয়ে পশুত্বে পরিনত হয়েছে।
আখেরাত হল মানব জীবনের ব্রেক, আখেরাতের ভয় মনে জাগ্রত থাকলে একাজ করার সময় তাকে থামিয়ে দেয়।
আজ মানুষের মনে ধর্মীয় অনুভূতিকে আরও দুরে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে।
ধর্মীয় শিক্ষাকে বাঁধাগ্রস্থ করে, ব্যবিচার করার মত শিক্ষাকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যা মানুষের ধর্ষনের মত জগন্য কাজ করতে বিবেকে বাঁধেনা।
ব্যভিচারে (পরকিয়া) লিপ্ত হয়ে নিজের শ্নেহের সন্তানকেও হত্যাকরছে এর চাইতে নিকৃষ্ট নির্মমতা কি হতে পারে? যে সন্তানের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থল মা-বাবা সেখানেই আজ হত্যা।
এই অবক্ষয় থেকে বাঁচার জন্য সবচাইতে প্রয়োজন আল্লাহ ভীতি, আখেরাতের জবাব দিহিতার চিন্তা জাগ্রত করা। কোরআন -হাদিসের সঠিক শিক্ষার মাধ্যমে অনুভূতি জাগ্রত সম্ভব।
ধর্মীয় অনুভূতি, আখেরাতের ভয়কে জাগ্রত না করে শুধু প্রচলিত আইনে শান্তি সম্ভব নয়।
আল্লাহ আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষকে এই মহা সত্যটুকু বুঝার তৌফিক দিন।িু
বিষয়: বিবিধ
১১৪৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুন্দর বলেছেন। জাযাকাল্লাহু খাইর
মন্তব্য করতে লগইন করুন