আগামীকালের মধ্যে বাংলাদেশের কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলল পাকিস্তান

লিখেছেন লিখেছেন হারেছ উদ্দিন ০৬ জানুয়ারি, ২০১৬, ০৪:০১:১৮ বিকাল

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ঢাকা থেকে পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে প্রত্যাহারের জেরে এবার ইসলামাবাদ থেকে বাংলাদেশের কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে বলেছে পাকিস্তান।আগামীকাল বিকেলের মধ্যেই ইসলামাবাদ থেকে তাঁকে প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশের একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। কিন্তু কূটনীতিক মৌসুমী রহমানকে কেন বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে,তা জানায়নি ইসলামাবাদ।সূত্র জানায়, পাকিস্তানি কূটনীতিক ফারিনা আরশাদকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ যেমন পাকিস্তানকে অনানুষ্ঠানিকভাবে বলেছিল,তেমনি মৌসুমী রহমানকে ফিরিয়ে নিতে ঢাকাকে মৌখিকভাবে বলেছে ইসলামাবাদ।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মৌসুমী রহমানকে সরকার ঢাকায় ফিরিয়ে আনছে না। তাঁকে পাকিস্তান থেকে পর্তুগালে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে তাঁকে লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠানো হতে পারে।কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামাবাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সোহরাব হোসেনকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হয়। এরপর বেলা সাড়ে তিনটারদিকে মৌসুমী রহমানকে নিয়ে সোহরাব হোসেন পাকিস্তানেরপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়াও সার্ক) মোহাম্মদ ফয়সালের সঙ্গে দেখা করতে যান।এ সময় মোহাম্মদ ফয়সাল বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে মৌসুমী রহমানকে ইসলামাবাদ থেকে প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। কিন্তু কেন মৌসুমী রহমানকে বাংলাদেশ ফিরিয়ে নেবে, সে সম্পর্কে কোনো ব্যাখ্যা দেননি পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক।সম্প্রতি জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে ফারিনা আরশাদকে বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে বলার কয়েক দিন পর গত ২৩ ডিসেম্বর তাঁকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।এর এক দিন পর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, পাকিস্তান হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব ফারিনা আরশাদকে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ধারাবাহিকভাবে হেনস্তা করেছে।এ ছাড়া গণমাধ্যমেও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ধারাবাহিকভাবে তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অপপ্রচার চালানো হয়েছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর পর তাঁকে ইসলামাবাদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।২০১৫ সালে ফারিনাসহ পাকিস্তানের দুই সরকারি কর্মকর্তাকে ঢাকা থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের অর্থায়নের অভিযোগে ওই বছরের ১২ জানুয়ারি বনানী থেকে গ্রেফতার করা হয় পাকিস্তান হাইকমিশনের কনস্যুলার কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহার খানকে।এরপর পাকিস্তানের হাইকমিশন মুচলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়ার পর ৩১ জানুয়ারি তাঁকে ইসলামাবাদে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদেরদ- দেওয়ায় পাকিস্তান ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার বক্তৃতা-বিবৃতি দিয়ে এবং জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নিন্দা প্রস্তাব এনে সরাসরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়েছে। পাকিস্তানের এসবতৎপরতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বিষয়: বিবিধ

৯৭৪ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

356320
০৬ জানুয়ারি ২০১৬ বিকাল ০৫:২১
হতভাগা লিখেছেন : পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক না রাখলে কি কোন ক্ষতি হবে ?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File