যুগান্তর কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি জাগোনিউজ২৪ এর মিথ্যা সংবাদ
লিখেছেন লিখেছেন চৌদ্দগ্রাম ১৯ নভেম্বর, ২০১৫, ১২:৪৮:৩৫ রাত
যুগান্তর ১৫নভেম্বর ২০১৫ কুমিল্লা ব্যুরো ও জাগোনিউজ২৪ প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম ছিল।চৌদ্দগ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ১০ ভাংচুর লুট।
সংবাদটি পড়ে বুঝা যাচ্ছে একেই ব্যক্তি দুইটি পত্রিকায় একাই সংবাদ প্রচার করেছে। যুগান্তর কুমিল্লা ব্যুরো ও জাগোনিউজ২৪ প্রতিনিধিরা সরেজমিনে খোঁজ খবর না নিয়ে এই মিথ্যা রিপোর্ট বানিয়েছেন।
আমি এখন আপনাদের সামনে তাদের সংবাদের কয়েটি মিথ্যা তথ্য তুলে ধরবো।
১/কুমিল্লায় সন্ত্রাসী হামলায় ৬টি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ নারীসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
আসল সত্য হচ্ছে-দুইটি ঘর ভাংচুর হয়,কোন লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।একজন নারী সুদু আহত হয়েছে।
২/বড়দৈন গ্রামের পার্শ্ববর্তী রতনপুর গ্রামের কয়েক যুবক ওই ইউনিয়নের হাটবাইর গ্রামের এক যুবকের মোবাইল ছিনতাই করে।
আসল সত্য হচ্ছে-মোবাইল ছিনতাই হয়েছে ঠিক, তবে হাটবাইর গ্রামে'র কোন যুবকের মোবাইল ছিনতাই হয়নি।
ছিনতাই হয়েছে,চিওড়া ইউনিয়নের নেতড়া গ্রামের তিন যুবকের।এই তিন যুবক তাদের বন্ধুদের বাড়িতে গিয়েছিল।তারা বাড়ি যাওয়ার সময়,বড়দৈন গ্রামের শাহাবুদ্দিন ও রফিক ওই তিন যুবকের মোবাইল ও টাকা নিয়ে যায়।
৩/এ ঘটনার মীমাংসার জন্য বড়দৈন গ্রামের শাহাবুদ্দিন চেষ্টা চালান।
এই খানে একটা মজার বিষয় লক্ষ্য করবেন আপনারা,রিপোর্টার যে বড়দৈন গ্রামের শাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেছেন,এ ঘটনার মীমাংসার জন্য সেই হচ্ছে আসল ছিনতাই কারী।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,এই শাহাবুদ্দিন মাদক ও চোরা চালানের জড়িত। তাকে সহযোগিতা করে আসছে জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতি ও যুবলীগ নেতা কামরুল। এদের বিরুদ্বেও অভিযোগ রয়েছে মাদক ও চোরা চালানের।গত মাসে বিজিবি'র হাতে ধরা ও পড়ে যুবলীগ সভাপতি জাফর উল্লাহ্।ঘটনার স্থলে টাকার বিনিময় ছাড়া পেয়ে যায় সে।
৪/এতে ব্যর্থ হলে হাটবাইর, নোয়াগ্রাম, রতনপুর গ্রামের কতিপয় সন্ত্রাসী বড়দৈন গ্রামের শফিউল্লাহর বাড়িতে শুক্রবার রাতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
আসল সত্য হচ্ছে-যে তিন যুবকের মোবাইল ছিনতাই হয়,তারা চৌধুরী বাজারে গিয়ে কয়েক জন কে বিষয় টা জানায়,চিওড়াতেও তাদের বড় ভাইদের খবর পৌছায়।
চৌধুরী বাজারের কয়েক জন ছাত্রলীগ নেতা বড়দৈন গ্রামের শাহাবুদ্দিন সাথে যোগাযোগ করলে,শাহাবুদ্দিন তাদের কে বড়দৈন গ্রামে আমন্ত্রণ জানান,পরে চৌধুরী বাজারের কয়েক জন ছাত্রলীগ নেতা ও চিওড়া ইউনিয়নের কয়েক জন বড়দৈন গ্রামে যেতে কিছু বুঝে উঠার আগে থেকে উৎপেতে থাকা শাহাবুদ্দিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা চাপাতি হাতে তাদের কে দৌড়াতে থাকে,কয়েক জন দৌড়ে পালাতে পারলেও কয়েক জন চাপাতির কোপে আহত হয়।
রিপোর্টার তার সংবাদে যাদের নাম উল্লেখ করেছে,সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়,তাদের কে এলাকার লোক জন ভদ্র হিসেবে জানে,তাদের কারো বিরুদ্বে থানায় কোন অভিযোগ নেই।
এই বিষয়ে জগন্নাথ দীঘি ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী বেলাল জানান।পত্রিকায় যাদের নাম এসেছে ভাংচুর করে লুটপাট করেছে,আমার কাছে এটা হাস্যকর সংবাদ মনে হয়েছে।যার উপরে ছিনতাইয়ের অভিযোগ তার পক্ষে সংবাদ টা এসেছে।টাকার বিনিময় এই সংবাদ প্রচার হয়েছে কিনা তিনি সন্দেহ করেন।
যুগান্তর ও জাগোনিউজ২৪ এর কর্তৃপক্ষ দৃস্টি আকষর্ন করে মেইল করা হলেও এখনো কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। ব্লগার ভাইদের পরামর্শ কামনা করছি।
মিথ্যা তথ্য সংবাদ প্রচার করে,কিন্তু মেইলের কোন উত্তর দিচ্ছে না।
বিষয়: বিবিধ
১০২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন