যে কারণে আমি লেখক হুমায়ুন আহমেদকে অপছন্দ করি
লিখেছেন লিখেছেন শরীফুল ইসলাম শরীফ ১৩ নভেম্বর, ২০১৫, ১১:১০:৩৩ রাত
পৃথিবীটা আসলে রহস্যের সমদ্র ভান্ডার! আর মানুষগুলো যেন এক-একটা আফ্রিকা মহাদেশের অদ্ভুত এলিয়েন!! যাকগে এসব! কারো সন্দেহ নেই হুমায়ুন আহমেদ সমকালীন বাঙালি উঠতি পাঠক সমাজের কাছে খুবই জনপ্রিয়। থাকাটা অস্বাভাবিক নয়! যেখানে হুমায়ুন আজাদ, তসলিমা নাসরিন কিংবা দাউদ হায়দারদেরথেকেও প্রচুর ভক্ত আছে! সে দিক থেকে নিশ্চয়ই জনাব হুমায়ুন আহমেদও জনপ্রিয়তা পাবার দাবি করতেই পারে এবং ঠিকও!
যাই হোক মানুষ মাত্রই সমালোচনা-আলোচনার সংমিশ্রণ। এক ব্যক্তি কারো কাছে দেবতাতুল্য আবার কারো কাছে ঘৃণার পাত্র! যা প্রকৃতিরই নিয়ম! সক্রেটিস, ক্ষুদিরাম, বেগম রোকেয়ারাও সবার কাছে পছন্দের ছিলেন না!!
আমার অবস্থান আরও স্পষ্ট করছি। আমার সাথে অনেকে দ্বিমত পোষন করবেন। সেটাও গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। জনাব হুমায়ুন আহমেদের বিরুদ্ধে আমার ব্লেইমগুলো পয়েন্ট বাই পয়েন্ট তালিকাবদ্ধ করছি.....................................
১। জনাব হুমায়ুন আহমেদ তার শেষ উপন্যাস‘ দেয়াল’ কেন? কার স্বার্থে? কাকে খুশি করতে? কিংবা কার চাপে মূল স্ক্রিপ্টটি এডিট করেছেন? সেটাই তাকে আমার অপছন্দের প্রধান কারণ!
২। পৃথিবীর সকল বিখ্যাত লেখকদের মতো উনারও ভোগবাদী অবস্থানটা ছিল একদম স্পষ্ট। এক্ষেত্রে তিনিও গতানুগতিক। প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের অমত থাকার পরও কেন তিনি দ্বিতীয় রমনির জন্য দীর্ঘদিনের সাজানো সংসার ভাঙলেন???
৩। হিমু, মিসির আলীর কাল্পনিক চরিত্র তার অনবদ্য সৃষ্টি। একমত । কিন্তু ভঙ্গুর বাঙালি চলচ্চিত্রে তিনিও আর দশটা চলচ্চিত্রকারের মতো কমার্শিয়াল প্রডাক্টের দিকে ঝুকেছেন! অবাক করার বিষয় হলো‘ ঘেটুপুত্র কমলা’ কি আদৌ বাঙালি সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জ্য?? নাকি সমকামিতার ইঙ্গিত? সে দিক থেকে তারেক মাসুদের ‘ মাটির ময়না কিংবা রানওয়েতে’ অনেক শিক্ষনীয় বিষয় উঠে এসেছে। আমি তো চেয়েছিলাম উনার মতো সৃজনশীল লেখকরা সমাজের অসঙ্গতিগুলো চলচ্চিত্রে অগ্রাধিকার দিবেন। অথচ বাস্তবে উল্টো চিত্র!
উনার গল্পগুলো নি:সন্দেহে হাসির খোরাক জোগায়! কিন্তু কতটা সামাজিকভাবে গুরুত্ব বহন করে সেগুলোও ভাবা দরকার.......
দিসইজ অনলি মাই অপিনিয়ন। প্লিজ টেইক ইট ক্রিটিক স্টেইজ নট অফেনসিভ.........
বিষয়: সাহিত্য
১১৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন