তাই স্বপ্ন দেখবো বলে আমি দু'চোখ পেতেছি

লিখেছেন লিখেছেন ভাঙা মিনার ২৩ অক্টোবর, ২০১৫, ০২:৩৪:৫২ দুপুর

২য় পর্ব..

সভ্যতা আসবে যাবে। একসময় আদ জাতি ছিলো, সামূদ জাতি ছিলো। দম্ভে আর জুলুমে তারা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো সবাইকে। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচাইতে ক্ষমতাধর জাতিকেও আল্লাহ এক মূহুর্তেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। কওমে লূতের মাঝে "সমকামিতা" প্রকটভাবে দেখা দিয়েছিলো, তারা শুনেনি তাদের নবীর বলা কথাগুলো-- মাটিচাপা পড়ে, প্রকট শব্দে কানে তালা লেগে সমস্ত জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো। পবিত্র কুরআনে এই পৃথিবী আর নভোমন্ডলসহ সমস্ত কিছুর স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেই দিয়েছেন-- তিনি অনেক জাতিকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন তাদের "কাজের জন্য"। তিনি জানিয়েছেন আমাদের মাঝে কেউ যদি তার দাসত্ব না করে, আল্লাহ তাদের সবাইকে নিশ্চিহ্ন করে সেখানে আরেকটা জাতিই সৃষ্টি করে দিতে পারেন -- নিঃসন্দেহে এটা তার জন্য কোন ব্যাপারই না। কিন্তু আমরা যখন সেই কোন একটি জাতিস্বত্ত্বার অংশ -- তখন সেটা আমাদের জন্য "ব্যাপার"। আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য ব্যাপার। আমাদের একটা জীবন একবারের জন্যই। এই আত্মা, এই দেহ আর জীবন -- একবারের জন্যই। আমরা নিশ্চয়ই অবলীলায় ভেসে দিতে পারিনা আমাদের জীবন -- আমরা অবশ্যই চাইনা একটা নিশ্চিত ভয়ংকর পরিণতি। এমন উদ্দেশ্যহীন বর্বর লোভী, জালিম আর কামুক সমাজ তৈরি করে যে জাতি-- তার অংশ হওয়ায় আমাদের ভালো কাজের অ্যাকাউন্টে অনেক কিছু জমা থাকলেও -- সেই পুরো ব্যাঙ্কটাই মহান অধিপতি করে দিবেন "সিলড"। তাইতো খেয়ে দেয়ে, ঘুমিয়ে, চাকুরি করে দিন অতিক্রম করার পরেও মহান সর্বশক্তিমানের দাসত্বের কতখানি আমরা প্রত্যেকে/পরিবারসহ/ এই পুরো জাতি মিলে করছি তা চিন্তা করার দায় থেকে যায় সবারই। নইলে একদম শেষে সকল প্রাপ্তিই হয়ত মাল্টিপ্লাইড হবে শূণ্য দিয়ে, (ধনসম্পদX প্রতিপত্তি X সম্মান X যশ X জ্ঞান) X শূণ্য = শূণ্য [ভিখিরী]। এখন চিন্তা করার বিষয় রয়ে যায় -- আমরা কি হাশরের ময়দানের বিশাল প্রান্তরে ভিখিরি বেশে দাঁড়াতে চাই?

আমি চাকুরি করি একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক "আধুনিক প্রজন্মের" তরুণ। আমাদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে চলে আলাপ। প্রায়ই টপিক আসে "গার্লফ্রেন্ড-বিয়ে-মেয়ে"। একদিন সহসা লম্বা চওড়া আলাপ হলো-- আমি শ্রোতা টাইপের। কিছু কিছু আলাপে সবার প্রবেশের ফাঁকফোকর থাকে না। তাই ওয়েস্টিন, রুচিতা বার, ভুত, রেস্তোরা, পিজা হাট, কেএফসি গুলশান ধানমন্ডির কিছু কিছু প্লেসের রঙ্গিন আলাপ চলতে থাকলে অন্য কাজে মন দিলাম। এলো বিয়ের আলাপ। প্রশ্ন আমার দিকে। কেন প্রেম করিনা -- এ নিয়ে কিছুক্ষণ হাসি তামাশা। ইদানিং ছেলে মহলে একটা কথা খুব শুনি -- "লাভ ম্যারেজ মানে নিজের গার্লফ্রেন্ড, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ মানে অন্যের গার্লফ্রেন্ড"। আমি এই প্রসঙ্গেও কথা বলিনা, শুধু স্মিত একটা হাসি উপহার দিই ওদের। একজন অভিজ্ঞতা বলছিলেন নিজ জীবনের -- কীভাবে তিনি স্কুলগামী একটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছিলেন, কতবার চাকুরিজীবী বাবা মায়ের সেই মেয়েরটির বাসাতেই শয্যাগমন করেছেন, কীভাবে মেয়েটা রিলেশন ব্রেক করে *আপ* রিলেশনে চলে গেলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হই। তারপর একজন বলতে শুরু করলো তাদের ভার্সিটিতে[ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে] কীভাবে ক্লাসের মধ্যেও ছেলে-মেয়ে আদিম আনন্দের স্বাদ নিতো। অমন কমপক্ষে ১০-১৩টা গল্প। সত্য-মিথ্যা জানিনা, আমি স্তব্ধ হয়ে শুনি। বরফশীতল হয়ে জমে যাওয়া দেহে রক্তসঞ্চালনের চেষ্টা করতে থাকি।

আমার দিকে তাকিয়ে একজন কলিগ বলতে থাকে -- "তুমি এই জেনারেশনে এমন কোন মেয়ে আশা করতে পারো না বিয়ে করতে গিয়ে, যে *ইউজড* না"! তার পরপরই আবার বলে "টাকা-পয়সা না থাকলে বউ *বাঁধতে* পারবা না, তোমাকে অনেক টাকা থাকতে হবে, নইলে বউ আপনার অফিসে থাকার সময়ে পাশের বাড়ির ছেলেটার সাথে ফোনে কথা বলবে, তারপর... "। আমি আর সহ্য করতে পারিনি, শক্ত গলায় বলে উঠেছিলাম -- "দুঃখিত আমি একমত না। এই সমাজে আমার মতন দুর্বল আত্মার একটা ছেলেও যখন এমন ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকতে পারে, এমন কেউ আমার জন্য আছেই যে আমার মতন করেই আমার মতন কারো জন্য অপেক্ষা করছে। সমস্ত মেয়েদের এক করে দিলে হবেনা কেননা আমি আমার বোনদের মতন অনেক মুসলিমাহ বোনদের চিনি যারা অসম্ভব সুন্দর অন্তকরণকে ধারণ করে"। যাদের চোখে পৃথিবী কেবলই কেনাকানা, গয়নাগাটি, সাজগোজ আর গাড়ি-বাড়ির না। তাদের কাছে এই জীবনটার একটা আলাদা অর্থ আছে। তাদের কাছে ব্র্যাডপিট-নিকোল কিডম্যান, শাহরুখ-গৌরি, প্রভা-রাজিবরা দাম্পত্য জীবনের আইকন না। তাদের কাছে আইডল হলো হলো ফাতিমা, আয়িশা, আসিয়া, খাদিজা নামের কিছু পবিত্র আত্মা। মুসলিম যারা, তাদের আইডল তথা আদর্শ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যার জীবনে দারিদ্র ছিলো আগাগোড়া বন্ধু। আরবের ইসলামী রাস্ট্রের এই নেতা বিয়ের অনেকগুলো বছর পরেও মোহরানা আদায় করতে না পারায় স্ত্রী আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে নিজ বাড়িএসব সভ্যতা আসবে যাবে। একসময় আদ জাতি ছিলো, সামূদ জাতি ছিলো। দম্ভে আর জুলুমে তারা ছাড়িয়ে গিয়েছিলো সবাইকে। পৃথিবীর ইতিহাসের সবচাইতে ক্ষমতাধর জাতিকেও আল্লাহ এক মূহুর্তেই নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলেন। কওমে লূতের মাঝে "সমকামিতা" প্রকটভাবে দেখা দিয়েছিলো, তারা শুনেনি তাদের নবীর বলা কথাগুলো-- মাটিচাপা পড়ে, প্রকট শব্দে কানে তালা লেগে সমস্ত জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো। পবিত্র কুরআনে এই পৃথিবী আর নভোমন্ডলসহ সমস্ত কিছুর স্রষ্টা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেই দিয়েছেন-- তিনি অনেক জাতিকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন তাদের "কাজের জন্য"। তিনি জানিয়েছেন আমাদের মাঝে কেউ যদি তার দাসত্ব না করে, আল্লাহ তাদের সবাইকে নিশ্চিহ্ন করে সেখানে আরেকটা জাতিই সৃষ্টি করে দিতে পারেন -- নিঃসন্দেহে এটা তার জন্য কোন ব্যাপারই না। কিন্তু আমরা যখন সেই কোন একটি জাতিস্বত্ত্বার অংশ -- তখন সেটা আমাদের জন্য "ব্যাপার"। আমাদের জীবনের প্রতিটি দিনই আমাদের জন্য ব্যাপার। আমাদের একটা জীবন একবারের জন্যই। এই আত্মা, এই দেহ আর জীবন -- একবারের জন্যই। আমরা নিশ্চয়ই অবলীলায় ভেসে দিতে পারিনা আমাদের জীবন -- আমরা অবশ্যই চাইনা একটা নিশ্চিত ভয়ংকর পরিণতি। এমন উদ্দেশ্যহীন বর্বর লোভী, জালিম আর কামুক সমাজ তৈরি করে যে জাতি-- তার অংশ হওয়ায় আমাদের ভালো কাজের অ্যাকাউন্টে অনেক কিছু জমা থাকলেও -- সেই পুরো ব্যাঙ্কটাই মহান অধিপতি করে দিবেন "সিলড"। তাইতো খেয়ে দেয়ে, ঘুমিয়ে, চাকুরি করে দিন অতিক্রম করার পরেও মহান সর্বশক্তিমানের দাসত্বের কতখানি আমরা প্রত্যেকে/পরিবারসহ/ এই পুরো জাতি মিলে করছি তা চিন্তা করার দায় থেকে যায় সবারই। নইলে একদম শেষে সকল প্রাপ্তিই হয়ত মাল্টিপ্লাইড হবে শূণ্য দিয়ে, (ধনসম্পদX প্রতিপত্তি X সম্মান X যশ X জ্ঞান) X শূণ্য = শূণ্য [ভিখিরী]। এখন চিন্তা করার বিষয় রয়ে যায় -- আমরা কি হাশরের ময়দানের বিশাল প্রান্তরে ভিখিরি বেশে দাঁড়াতে চাই?

আমি চাকুরি করি একটা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে। তাদের মাঝে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক "আধুনিক প্রজন্মের" তরুণ। আমাদের কাজের ফাঁকে ফাঁকে চলে আলাপ। প্রায়ই টপিক আসে "গার্লফ্রেন্ড-বিয়ে-মেয়ে"। একদিন সহসা লম্বা চওড়া আলাপ হলো-- আমি শ্রোতা টাইপের। কিছু কিছু আলাপে সবার প্রবেশের ফাঁকফোকর থাকে না। তাই ওয়েস্টিন, রুচিতা বার, ভুত, রেস্তোরা, পিজা হাট, কেএফসি গুলশান ধানমন্ডির কিছু কিছু প্লেসের রঙ্গিন আলাপ চলতে থাকলে অন্য কাজে মন দিলাম। এলো বিয়ের আলাপ। প্রশ্ন আমার দিকে। কেন প্রেম করিনা -- এ নিয়ে কিছুক্ষণ হাসি তামাশা। ইদানিং ছেলে মহলে একটা কথা খুব শুনি -- "লাভ ম্যারেজ মানে নিজের গার্লফ্রেন্ড, অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ মানে অন্যের গার্লফ্রেন্ড"। আমি এই প্রসঙ্গেও কথা বলিনা, শুধু স্মিত একটা হাসি উপহার দিই ওদের। একজন অভিজ্ঞতা বলছিলেন নিজ জীবনের -- কীভাবে তিনি স্কুলগামী একটা মেয়ের সাথে প্রেম করেছিলেন, কতবার চাকুরিজীবী বাবা মায়ের সেই মেয়েরটির বাসাতেই শয্যাগমন করেছেন, কীভাবে মেয়েটা রিলেশন ব্রেক করে *আপ* রিলেশনে চলে গেলো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হই। তারপর একজন বলতে শুরু করলো তাদের ভার্সিটিতে[ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে] কীভাবে ক্লাসের মধ্যেও ছেলে-মেয়ে আদিম আনন্দের স্বাদ নিতো। অমন কমপক্ষে ১০-১৩টা গল্প। সত্য-মিথ্যা জানিনা, আমি স্তব্ধ হয়ে শুনি। বরফশীতল হয়ে জমে যাওয়া দেহে রক্তসঞ্চালনের চেষ্টা করতে থাকি।

আমার দিকে তাকিয়ে একজন কলিগ বলতে থাকে -- "তুমি এই জেনারেশনে এমন কোন মেয়ে আশা করতে পারো না বিয়ে করতে গিয়ে, যে *ইউজড* না"! তার পরপরই আবার বলে "টাকা-পয়সা না থাকলে বউ *বাঁধতে* পারবা না, তোমাকে অনেক টাকা থাকতে হবে, নইলে বউ আপনার অফিসে থাকার সময়ে পাশের বাড়ির ছেলেটার সাথে ফোনে কথা বলবে, তারপর... "। আমি আর সহ্য করতে পারিনি, শক্ত গলায় বলে উঠেছিলাম -- "দুঃখিত আমি একমত না। এই সমাজে আমার মতন দুর্বল আত্মার একটা ছেলেও যখন এমন ভয়াবহতা থেকে মুক্ত থাকতে পারে, এমন কেউ আমার জন্য আছেই যে আমার মতন করেই আমার মতন কারো জন্য অপেক্ষা করছে। সমস্ত মেয়েদের এক করে দিলে হবেনা কেননা আমি আমার বোনদের মতন অনেক মুসলিমাহ বোনদের চিনি যারা অসম্ভব সুন্দর অন্তকরণকে ধারণ করে"। যাদের চোখে পৃথিবী কেবলই কেনাকানা, গয়নাগাটি, সাজগোজ আর গাড়ি-বাড়ির না। তাদের কাছে এই জীবনটার একটা আলাদা অর্থ আছে। তাদের কাছে ব্র্যাডপিট-নিকোল কিডম্যান, শাহরুখ-গৌরি, প্রভা-রাজিবরা দাম্পত্য জীবনের আইকন না। তাদের কাছে আইডল হলো হলো ফাতিমা, আয়িশা, আসিয়া, খাদিজা নামের কিছু পবিত্র আত্মা। মুসলিম যারা, তাদের আইডল তথা আদর্শ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, যার জীবনে দারিদ্র ছিলো আগাগোড়া বন্ধু। আরবের ইসলামী রাস্ট্রের এই নেতা বিয়ের অনেকগুলো বছর পরেও মোহরানা আদায় করতে না পারায় স্ত্রী আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা কে নিজ বাড়ি

বিষয়: বিবিধ

১১৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File