অশনি সংকেত: ভেবেচিন্তে এগোতে হবে // সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক

লিখেছেন লিখেছেন সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:১১:৩২ রাত

জাতীয় নিরাপত্তা একটি দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন হেনরি কিসিঞ্জার, যিনি সেই থেকে এখন পর্যন্ত একজন বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তি। এ মুহূর্তেও যুক্তরাষ্ট্র সরকারে একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আছেন। তবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত চমকপ্রদ কোনো ঘটনা ঘটছে না বলে তার নামটি মিডিয়ায় তেমন একটা আসছে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতেও একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আছেন (অজিত দুভাল)। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। ভারতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে যিনি মনোনয়ন পান, তিনি দুই বা তিন বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে কেউ নেই। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পরিষদ অথবা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ এ নামেও কোনো সংস্থা দেশে সক্রিয় নেই।

জাতীয় নিরাপত্তার অনেক দিক আছে। আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান বা আধুনিক রাষ্ট্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভাষায় এগুলো হল- ভৌগোলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, রাষ্ট্রব্যবস্থার নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্বের নিরাপত্তা ইত্যাদি। বিশ্বের অন্যতম মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র বলে বেড়ায়, পৃথিবীর অনেক স্থানেই তাদের স্বার্থ নিহিত আছে। সেই স্বার্থের ওপর আঘাত এলে তারা মনে করে তাদের নিরাপত্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং হুমকিতে পড়েছে। এটি বিশ্বের সব দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। যেমন, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বাইরেও দেশের স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে। ওই স্বার্থের ওপর যদি কোনো ধরনের হামলা আসে তাহলে আমাদের বলতে হবে, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিতে পড়েছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শক্তিশালী দেশ চীন, অথবা অর্থনৈতিকভাবে অন্যতম শক্তিশালী দেশ জাপান- উভয় দেশের জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও এ ধরনের একাধিক বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়। জাপান ও চীনের অল্প দূরে অবস্থিত জনমানবশূন্য দুটি দ্বীপের মালিকানা নিয়ে অনেকদিন ধরে উভয় দেশ ঝগড়ায় লিপ্ত। ওই দ্বীপগুলোয় কোনো কিছু ঘটলে জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে বলে তারা মনে করে। অথচ দ্বীপ দুটির আয়তন জাপানের মূল ভূখণ্ডের আয়তন থেকে ১০০ ভাগের এক ভাগ এবং চীনের মূল ভূখণ্ডের আয়তন থেকে ৪০০ ভাগের এক ভাগেরও কম। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাখ্যৈংছড়িতে এবং কক্সবাজারের সর্ব দক্ষিণ উপজেলা উখিয়ার কিছু গ্রামে অনেক কিছুই ঘটছে বা ঘটে। এসব কিছুই বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত।বাংলাদেশের অধিবাসীরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুন, তারা বাংলাদেশেরই অংশ। তদ্রুপ আমেরিকানরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুন, তারা আমেরিকারই অংশ। বাংলাদেশী দূতাবাসগুলো পৃথিবীর যে স্থানে রয়েছে সেটিও বাংলাদেশেরই অংশ। আবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যেসব দূতাবাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে, সেগুলোও মূল দেশগুলোরই অংশ। সুতরাং বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী দূতাবাসে বা দূতাবাসে অবস্থানরত কোনো বিদেশী নাগরিকের ওপর যদি কোনো ধরনের আক্রমণ আসে, তাহলে মেনে নিতে হবে সেই আক্রমণটি তাদের দেশের স্বার্থের ওপরই করা হয়েছে।এ পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়, আততায়ীর গুলিতে ইতালীয় নাগরিক সিজারি তাভেল্লা নিহত হওয়ার ঘটনায় ইতালির স্বার্থ আক্রান্ত হয়েছে, অথবা ইতালির নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। রাজধানী ঢাকায় ইতালীয় নাগরিক হত্যাকাণ্ডের মাত্র পাঁচ দিন পরই রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি একই ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এখানেও ওই একই কথা প্রযোজ্য। অর্থাৎ জাপানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে অথবা জাপানি স্বার্থ আক্রান্ত হয়েছে। প্রশ্ন হল, এ হত্যাকাণ্ডগুলোর কারণে বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি-না বা বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে কি-না? জবাবে বলতেই হবে, হ্যাঁ, বাংলাদেশেরও জাতীয় নিরাপত্তার ওপর একটি আঘাত এসেছে। কারণ বাংলাদেশে বসবাসরত জনগণ যদি নিরাপদ না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় রয়েছে। একটি রাষ্ট্রের যে চারটি অনস্বীকার্য মূল উপাদান প্রয়োজন তার একটি হচ্ছে সীমানা দ্বারা চিহ্নিত ভূখণ্ড, দ্বিতীয়টি হচ্ছে ওই ভূখণ্ডে বসবাসরত জনগোষ্ঠী, তৃতীয়টি হচ্ছে সরকার তথা ওই জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও ভূখণ্ডের নিরাপত্তার জন্য একটি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান, আর চতুর্থ উপাদানটি হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ভৌগোলিক সীমার মধ্যে বসবাসরত জনগণ স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করবে, বাইরের কোনো শক্তি এক্ষেত্রে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।যা হোক, ইতালীয় ও জাপানি নাগরিক নিহত হওয়ায় জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে বর্তমান সরকার সমালোচনার মুখে রয়েছে এবং সরকারের দক্ষতাও প্রশ্নের সম্মুখীন। সেই সঙ্গে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনাগুলো কেন ঘটছে? এটা কি দুর্বৃত্তরা করছে, ডাকাত বা ছিনতাইকারীরা করছে, সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বীরা করছে, আন্তর্জাতিক কোনো চরমপন্থী বা উগ্রবাদী গোষ্ঠী করছে- ইত্যাদি প্রশ্ন অবশ্যই করা যায়। এ প্রশ্নগুলোর উত্তরে অনেকে নানারকম কথাবার্তা বলছেন এবং এটাই স্বাভাবিক। আমি এ বিষয়টির একটি প্রেক্ষাপট উল্লেখ করছি। গত ৪-৫ বছর ধরে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনীগুলো, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো এবং সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অহরহ বলে আসছে, বাংলাদেশে জঙ্গি উত্থান কিছুতেই হতে দেয়া হবে না; জঙ্গিরা দেশের যেখানেই থাকুক না কেন এবং যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন তাদের ধরা হবে এবং আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বিভিন্ন অপরাধীকে ধরার পর, বিশেষ করে দলবদ্ধ বা সুপরিচিত কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে দূরবর্তী কোনো সম্পর্ক আছে এমন কাউকে ধরার পর তাদের মিডিয়ার সামনে হাজির করা হয় জঙ্গি সংগঠনের তকমা লাগিয়ে। মিডিয়ায় প্রচুর প্রচারণা চালানো হয়। এমন প্রচারণার একটি ইতিবাচক দিক হচ্ছে, দেশে-বিদেশে লোকজন বলবে, বাংলাদেশে জঙ্গিরা সুবিধা করতে পারছে না, ধরা পড়ছে। বাংলাদেশ সরকার খুবই তৎপর। আর নেতিবাচক দিক হচ্ছে, দেশে-বিদেশে অনেকেই মনে করতে পারে, এ ক’জন ধরা পড়েছে, এর বাইরে আরও না-জানি কতজন লুকিয়ে আছে, ধরা পড়েনি। আমি মনে করি, এভাবে বারবার প্রচারের কারণে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে এবং দেশের ওপর এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। জঙ্গি ধরা পড়ার বিষয়টি বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা রয়েছে এমনটিই নির্দেশ করে। এটিই মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে। সরকার এই নেতিবাচক দিকটিকে আমলে নিচ্ছে না। জঙ্গি ধরতে পারাটাকেই কৃতিত্ব হিসেবে দেখছে। এ প্রেক্ষাপটে যখন ইতালীয় ও জাপানি নাগরিক নিহত হলেন, তখন সরকার বলা শুরু করল, ‘বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই।’ কিন্তু এ কথাটি এখন অনেকেই বিশ্বাস করতে রাজি নয়।হঠাৎ করেই শোনা গেল, কোন এক মাধ্যম থেকে খবর এসেছে, দুই বিদেশী নাগরিককে নাকি আইএস হত্যা করেছে। আইএস নাকি এ হত্যার দায়ও স্বীকার করেছে। ইন্টারনেটের যুগে এরকম খবর থেকে প্রমাণ হয় না এ হত্যার দায় আইএসের। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার বরাতে ভারতীয় পত্রিকা খবর দিয়েছে অন্য ধরনের। যা হোক, আইএস যদি না হয়ে থাকে, তাহলে অন্য জঙ্গিদের কেউ হতে পারে। অথবা খবরটি মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্যও ছড়ানো হতে পারে। শুধু আইএস নেই, আইএস নেই বললেই বিশ্ব বাংলাদেশ সরকারের কথায় বিশ্বাস করবে না। কারণ পৃথিবীতে উগ্রবাদী, চরমপন্থী ও জঙ্গিরা রয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এই তিন পন্থীর কোনো পন্থী বাংলাদেশে রয়েছে কি-না? এবং তারা ইতালীয় ও জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত কি-না? গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্ত করে বিশ্লেষণের পর চূড়ান্তভাবে মতামত দেয়াটাই সমীচীন ও ন্যায়সঙ্গত। এ হত্যাকাণ্ড যারাই ঘটিয়েছে, তারা কোনোভাবেই বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না। তারা সরকারেরও বন্ধু নয়। বিভিন্ন টিভি-টকশোতে বক্তারা বিভিন্ন আঙ্গিকে বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করছেন; কিন্তু চূড়ান্ত মতামত কোনো জায়গা থেকেই দেয়া সম্ভব নয়।এ ঘটনার কারণে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফর বাতিল করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা ক্রিকেট দলও তাদের সফর বাতিল করেছে। এ বিষয়গুলো দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একটি উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। অনেক বিদেশীর বাংলাদেশ সফর বাতিল করা হচ্ছে, অনেক বিদেশী পেশাজীবীকে বাংলাদেশ থেকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ দুটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সর্বত্রই একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে- বাংলাদেশ কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের শিকার কি-না? জবাবে বলতে হয়, বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের শিকার হতেই পারে। ১৯৭২-৭৪ সালে আমাদের সোনালি আঁশ পাট ও পাটের গুদাম একের পর এক জ্বলেছিল হিংসার আগুনে। গত ১২-১৩ বছরের খতিয়ান যাচাই করলে দেখব, দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠানেও পরপর আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয়েছে।অনেক দেশই বর্তমান সরকারকে আনুষ্ঠানিকতার খাতিরে উপরে উপরে সদ্ভাব দেখায় অর্থাৎ সম্পর্ক বহাল রাখে। কিন্তু তারা অন্তর থেকে বর্তমান সরকারকে পছন্দ করছে না। কারণ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক, কূটনৈতিক সম্পর্কের নিয়মানুযায়ী বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সম্পর্ক রয়েছে। এর মানে এই নয় যে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে পৃথিবীর সব দেশই ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করবে। অনেক দেশ, সরকার ও জনগোষ্ঠী বর্তমান সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব পোষণ করতেই পারে। অতএব সরকার জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার মাধ্যমে নিজেদের শত্রু সংখ্যা বাড়াচ্ছে বলে আমি করি। এতে করে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে এর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।আমি আরও মনে করি, বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা এখন হুমকির সম্মুখীন। সুতরাং বিদেশী নাগরিক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টির সঠিক তদন্ত হওয়া উচিত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। শুধু জোর গলায় ‘এ হত্যাকাণ্ডে বিএনপি-জামায়াতের হাত আছে’ বলে বিষয়টিকে উড়িয়ে দিলেই হবে না। এ ধরনের বক্তব্যকে সরকার কর্তৃক বিষয়টিকে গুরুত্বহীন করে দেয়ার বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই ধরে নেবে দেশ-বিদেশের সচেতন মহল। সরকারের দায়িত্ব হল মূল আসামিকে খুঁজে বের করে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো- সে যে দলেরই হোক। বিএনপি বা ২০ দলীয় জোটের প্রতি সরকারের আক্রোশ থাকায় সরকার এ হত্যাকাণ্ডের তকমা লাগিয়ে বিএনপির বাকি নেতাকর্মীদের জেলে পুরে দিয়ে ২০ দলীয় জোটের চলমান রাজনৈতিক গতিকে একেবারেই থামিয়ে দিতে পারে। বস্তুত এরই মধ্যে গত ১০-১২ দিনে বহু নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরূপ একটি সংকটের মুখে দেশের সচেতন নাগরিকরা অনুগ্রহপূর্বক বিষয়টি নিয়ে একটু ভাবুন। এটাই আমার আবেদন। আমাদের সামনের কঠিন প্রশ্নগুলোকে নির্মোহ দৃষ্টিতে কীভাবে সমাধান করা যায়, কীভাবে দেশের ভাবমূর্তিকে বিশ্ব দরবারে উজ্জ্বল করা যায়- দল-মত নির্বিশেষে আসুন আমরা সেই পথ খুঁজে বের করি।

সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক : নিরাপত্তা বিশ্লেষক; চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি

বিষয়: বিবিধ

৯৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File