প্রাকৃতিক গ্যাস আপনার ভবিষ্যত বংশধরদের জন্যও সুতরাং এটিকে রক্ষা করুন:

লিখেছেন লিখেছেন আতাউর রহমান ১০ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:১৯:৫৮ রাত

আমার প্রিয় বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা,

ভুগর্ভে সঞ্চিত অতি মুল্যবান এ প্রাকৃতিক গ্যাস নি:শেষ হয়ে গেলে দারিদ্রক্লিষ্ট এ দেশ এবং আপনার ও আপনাদের সন্তান সন্ততির কি দশা হবে তা একটু চিন্তা করুন। অপচয় করার পাপে হাশর দিবসের পরিণতির কথাও একটু ভাবুন। এ পৃথিবীবাসীকে রিযিক প্রদানের নিমিত্ত আল্লাহ তায়ালা যেমন অজস্র খনিজ সম্পদ ও রকমারী ফল ফসলাদির ব্যবস্থা করেছেন এ গ্যাসও ঠিক তেমন। মানুষের ভোগ ব্যবহারের জন্যই আল্লাহ এসব নিয়ামাতরাজীর সমাহার ঘটিয়েছেন, তবে অপচয় করার ব্যাপারে এসেছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। কুরআন কারিমে ঘোষিত হয়েছে:

“সম্পদের অপব্যয় ও অপচয় করো না৷ যারা অপচয় করে তারা শয়তানের ভাই আর শয়তান তার রবের প্রতি অকৃতজ্ঞ৷ (সুরা বানী ইসরাইল ২৭) .......“আর খাও ও পান করো কিন্তু অপচয় না, আল্লাহ অপচয়কারীদেরকে মোটেই পছন্দ করেন না”৷ (সুরা আ’রাফ ৩১) শুধু তাই নয়, যেসমস্ত খাবার দাবার অতি তুচ্ছ তা নষ্ট করার ব্যাপারেও হাদিসে রয়েছে কড়া নিষেধবানী। আর গ্যাস তো তুচ্ছ কোন জিনিস নয়। শত শত বছরের ব্যবধানে এক জটিল বিক্রিয়ায় ভুগর্ভে তৈরী হয় এ গ্যাস।

সুতরাং যারা, দিয়াশলাইয়ের একটি কাঠি নষ্ট হবে কিংবা বার বার চুলা জালানো কষ্টকর - এই চিন্তায় গ্যাসের চুলাটি সারাক্ষন জালিয়ে রাখছেন তারা কত বড়ো ভুল কাজ করছেন একটু ভাবুন। আপনি কি মনে করেছেন – এ পাপের জন্য কোন কৈফিয়তই হাশর দিবসে আপনাকে দিতে হবেনা?।

নোট: সৎ ও কল্যানমুখী কাজের আদেশ/উপদেশ/পরামর্শ এবং অসৎ ও ধ্বংসকর কাজে নিষেধ/নিষেধাজ্ঞা একটি কুরআনী নির্দেশনা। মু’মিন চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্টও বটে। সুতরাং গ্যাস সংক্রান্ত আমার এ চিঠিটি যদি কারুর অনুভুতির দুয়ারে কোন আবেদন সৃষ্টি করে থাকে এবং তিনি যদি উপলব্ধি করেন যে, নি:সন্দেহে এটিও সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধাজ্ঞার একটি, তাহলে তার প্রতি আমার বিনীত আবেদন: আমার এ চিঠিটি ফেসবুকে শেয়ার করুন।

বিষয়: বিবিধ

৮৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File