ইসলামে মায়ের (নারীর) মর্যাদা
লিখেছেন লিখেছেন স্মরণ কালের শ্রেষ্ঠ বেয়াদব ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:২৭:৫৭ সকাল
“হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত, নবী করিম (সা.)-এর সময় ‘আল কামা’ নামক এক যুবক কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। তার রোগ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পেতে থাকে। শয্যাপাশে উপস্থিত সেবা-শুশ্রুষাকারী ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ’ কালিমা পাঠ করার উপদেশ দেন। কিন্তু শত চেষ্টা করেও সে তা উচ্চারণ করতে পারেনা। রাসূল (সা.) এ আর্শ্চয ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে জিজ্ঞাসা করলেন, তার মা কি জীবিত আছে? বলা হলো তার পিতা মারা গেছে তার মা জীবিত আছে। অবশ্য সে খুবই বয়োবৃদ্ধ। তখন তাকে রাসূল (সা.) এর দরবারে উপস্থিত করা হলো। তার নিকট তার ছেলের কথা উল্লেখ করে এর কারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাস করা হলো। সে বলল, আলকামা বড় নামাজী, বড় রোজাদার ব্যক্তি এবং বড়ই দানশীল। সে যে কত দান করে তার পরিমাণ কারো জানা নেই। রাসূল করিম (সা.) জিজ্ঞাস করলেন, তোমার সাথে তার সম্পর্ক কেমন? উত্তরে বৃদ্ধা মা বলল, আমি ওর প্রতি খুবই অসন্তুষ্ট। তার কারণ জিজ্ঞাসা করায় সে বলল, সে আমার তুলনায় তার স্ত্রীর মন যোগাত বেশি, আমার উপর তাকেই বেশি অগ্রাধিকার দিত এবং তার কথা মতই কাজ করতো। রাসূল (সা.) বললেন, ঠিক এ কারণেই আল্লাহ তায়ালা তার মুখে কালিমার উচ্চারণ বন্ধ করে দিয়েছেন। অতঃপর রাসূল (সা.) হজরত বিলাল (রা.)কে আগুনের একটি কুণ্ডুলী জ্বালাতে বললেন এবং তাতে আল-কামাকে নিপে করার আদেশ করলেন। আল-কামার মা এ কথা শুনে বলল, আমি মা হয়ে তা কেমন করে হতে দিতে পারি! সে যে আমার সন্তান, আমার কলিজার টুকরা। রাসূলে করিম (সা.) বললেন, তুমি যদি চাও যে, আল্লাহ তাকে মাফ করে দিন তাহলে তুমি তার প্রতি খুশি হয়ে যাও। অন্যথায় আল্লাহর শপথ, তার নামাজ, রোজা ও দান-খয়রাতের কোনো মূল্যই হবেনা আল্লাহর দরবারে। অতঃপর আল-কামার মা বলল, আমি আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে সাী রেখে বলছি, আমি তাকে মাফ করে দিলাম। এরপর খবর নিয়ে জানা গেল যে, আল-কামা অতি সহজেই কালিমা উচ্চারণ করতে সমর্থ হয়েছে।
হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর এ হাদীস প্রমাণ করে মায়ের মনে এতটুকু কষ্ট কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। হাদিসের এঘটনা মায়ের মর্যাদাকে বাড়িয়ে আরো শক্তিশালী করেছে।
বিষয়: বিবিধ
১০৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন