ইমামের কথা মানা ও না মানা
লিখেছেন লিখেছেন মো সারোয়ার হোসেন ৩১ জুলাই, ২০১৭, ১১:১৬:১২ রাত
ধ্যায়: ইমামের কথা শোনা ও মানা, যতক্ষন তা নাফরমানীর কাজ না হয়।
আলী রা বলেন, নবী (সা) একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদলকে পাঠলেন এবং একজন আনসারীকে তাদের আমীর নিযুক্ত করে সেনাবাহিনীকে তার অনুগত্য করার নির্দেশ দিলেন।
এরপর তিনি (আমীর) তাদের উপর রাগান্নিত্ব হলেন এবং বললেন: নবী (সা) কি তোমাদেরকে আমার আনুগত্য করার নির্দেশ দেননি?
তারা বললো: হ্যাঁ।
তখন তিনি বললেন: আমি তোমাদের দৃঢ়ভাবে বলছি যে, তোমরা কাঠ জড় কর এবং তাতে আগুন জ্বালাও। এরপর তোমরা তাতে প্রবেশ করবে।
তারা কাঠ জড়ো করলো এবং তাতে আগুন জ্বালাল। এরপর যখন তারা প্রবেশ করতে ইচ্ছা করল, তখন একে অন্যর তাকাতে লাগলো।
তাদের কেউ কেউ বললো: আগুন থেকে পরিত্রানের জন্যই তো আমরা নবী (সা) এর অনুসরণ করছি?! তাহলে কি আমরা আগুনেই প্রবেশ করবো? তাদের এসব কথপকথনের মাঝে হঠাৎ আগুন নিভে যায় আর তার (আমীরের) ক্রধ ও দমিত হয়ে যায়।
এ ঘটনা নবী (সা) এর নিকট বর্ণনা করা হলে তিনি বলেন: যাদি তারা তাতে প্রবেশ করত, তাহলে কোন দিন আর এ থেকে বের হত না। জেনে রেখো! #আনুগত্য_কেবল_বৈধ_কাজেই_হয়ে_থাকে।
সহীহুল বুখারী: ৭১৪৫-৪৩৪০ (তা ১৮৪০ (মুসলিম), ৭২৪ আহমাদ, ৬৬৪৬ (আধু ৬৬৬০ (ইফা)
-----------------------
এই একটি হাদীস ই যথেষ্ট কোন ইমামের কথাকে ছুড়ে মারার জন্য যদি তা কোরআন ও সহীহ হাদীসের বিপরিত হয়।
বিষয়: বিবিধ
৮০৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন