পহেলা বৈশাখে রয়েছে

লিখেছেন লিখেছেন মো সারোয়ার হোসেন ০৯ এপ্রিল, ২০১৬, ০৮:৩৯:৪৪ রাত

পহেলা বৈশাখে রয়েছে

১) হিন্দুদের ঘটপূজা

২) হিন্দুদের গণেশ পূজা

৩) হিন্দুদের

সিদ্ধেশ্বরী পূজা

৪) হিন্দুদের ঘোড়ামেলা

৫) হিন্দুদের

চৈত্রসংক্রান্তি পূজা-

অর্চনা

৬) হিন্দুদের চড়ক বা

নীল পূজা বা শিবের

উপাসনা ও সংশ্লিষ্ট

মেলা

৭) হিন্দুদের গম্ভীরা

পূজা

৮) হিন্দুদের কুমীরের

পূজা

৯) হিন্দুদের

অগ্নিনৃত্য

১০) ত্রিপুরাদের বৈশুখ

১১) মারমাদের সাংগ্রাই

ও পানি উৎসব

১২) চাকমাদের বিজু

উৎসব(ত্রিপুরা, মারমা

ও চাকমাদের পূজা

উৎসবগুলোর

সম্মিলিত নাম

বৈসাবি)

১৩) হিন্দু ও বৌদ্ধদের

উল্কিপূজা

১৪) মজুসি তথা অগ্নি

পূজকদের নওরোজ

১৫) হিন্দুদের বউমেলা

১৬) হিন্দুদের

মঙ্গলযাত্রা

১৭) হিন্দুদের সূর্য

পূজা

দেখা যাচ্ছে,

পহেলা

বৈশাখে কাফিরদের

বিভিন্ন পূজা ও

অনুষ্ঠান বিদ্যমান,

কিন্তু মুসলমানদের

এই দিনে কোন

অনুষ্ঠান নাই।

তাহলে

মুসলমান কেন শিরকী

অনুষ্ঠান বর্জন করবে

না???

কিন্তু মুত্রমনারা

যেভাবে ব্রেইন ওয়াশ

করেছে,তাতে

বাঙ্গালী মুসলিমরা

ধোকা খাবেই।

এছাড়া

যান্ত্রিক জীবনে

অভস্ত মানুষেরা

হাসফাশ করে বেচে

থাকে, সুস্ত্য

বিনোদনের অবস্থা

নেই,কেউ ব্যবস্থাও

নেয়নি।

তাই কিছুটা

ভিন্নতা আনতে

অনেকে বৈশাখের

অনুষ্ঠানে ছুটে

যায়,যদিও তারা এটার

মূল মর্ম বিশ্বাস

করেনা।

বোধহয় একটি

বড় অংশই এরকম।

সমাজ, রাষ্ট্রে যখন

জবর দস্তিমূলক ভাবে

কুফর জেকে বসে, তখন

মুমিনের চিন্তা

ভাবনাও অনেক সময়

গুলিয়ে যায়।

যথাযথ

পরিবেশ না পেলে

ঈমানের স্তর বহু

নীচে নেমে যায়।

সকল

কুফরকে ঝেটিয়ে

বিদায় করতে না পারলে

মুসলিম

উপাদানগত ভাবেই

মানব সমাজের

তলানিতে অবস্থান

করবে,কিন্তু তারা তা

উপলব্ধীও করতে

সক্ষম হবেনা।

তারা

আল্লাহর কাছে

ফরিয়াদ করবে কিন্তু

তা কবুল হবেনা। তারা

নিজেদের ইবাদতের

মাধ্যমে প্রার্থনা করে

ক্লান্ত হয়ে যাবে আর

আল্লাহকে দোষারোপ

করতে থাকবে,কিন্তু

ভেবে দেখার অবকাশ

পাবে না যে, তারা

একই সাথে আল্লাহ

এবং #শয়তানকে ইলাহ

বানিয়ে নিয়েছে।

আর

এখানেই মুত্রমনাদের

সাফল্য। তবে

বাস্তবতা হল,

মুত্রমনারাই ধ্বংস

হবে, আল্লাহ এমন

মুমিনদেরকে

বর্ণচোরাদের মাঝ

থেকে বের করে

অানবেন, যারা

আল্লাহকে অধিক ভয়

করে এবং যারা কুফরের

ব্যাপারে ব্যপক

প্রতিরোধী,ব্যপক

প্রবল।

{ Wait & See }

বিষয়: বিবিধ

১৩৬০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

365103
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৫৪
কুয়েত থেকে লিখেছেন : পহেলা বৈশাখে রয়েছে হিন্দুদের এত পুঁজা..? কুফরকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে না পারলে মুসলিম উপাদানগত ভাবেই মানব সমাজের তলানিতে অবস্থা করবে কিন্তু তারা তা উপলব্ধীও করতে সক্ষম হবেনা। সময় থাকতেই ঈমানের বলে বলিয়ান হতে হবে ধন্যবাদ আপনাকে
365113
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:২১
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি একটাও করবনা। দেখি কার বাবার সাধ্য আমাকে দিয়ে এইসব করায়! আই এম প্রাউড অফ মাই আওন কালচার।
365121
০৯ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:৫৭
শুকনা মরিচ লিখেছেন : ভালো লাগলোঘুরতে যেয়ে নামাজ মিস করা
365347
১১ এপ্রিল ২০১৬ দুপুর ০৩:৫৩
বিবেক নাই লিখেছেন : “ধর্ম যার যার, উৎসব সবার” মুসলিমরা যারা এই দাবির পক্ষে কন্ঠ মিলিয়ে বলে তারা দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ। মনে রাখতে হবে ইসলাম কখনো নীতিগত ভাবেই এধরণের বিষয় স্বীকার করেনা। মহান আল্লাহ সুবহানাহু তাআলা সূরা কাফিরূন এর শেষ আয়াতে ই স্পষ্ট করেছেন, যার যার দ্বীন তার এবং রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কাফেরদের উদ্দেশ্যে বলতে বলেছেন –“তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে। ” – সূরা কাফিরুন আয়াত ৬
ধর্ম যার যার উত্সব সবার – যদি সত্যি এমন হত তাহলে রাসুল (সাঃ) ইহুদি খ্রিষ্ঠানদের উত্সব বাতিল করে মুসলমানদের শুধু মাত্র দুই ঈদের সুসংবাদ দিলেন কেন? যদি জায়েজ হত উনি তখন সাহাবিদেরকে সেই সকল উত্সব উদযাপনে নিষেধ করতেন না! এখানেই রয়েছে ঈমানের পরীক্ষা! যার অনুষ্ঠান সে পালন করুক তাতে মুসলমানের কিছু আসে যায় না, যার প্রেক্ষিতে সুরা ক্বাফিরুন নাজিল হলো!
যদি কাফেরদের এই সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাওয়া বা শরিক হওয়া বা তাতে সমর্থন দেওয়া জায়েজই হত তাহলে তো সুরা কাফিরুন রহিত ঘোষিত হত। কাজেই কাফির-মুশরিকরা কখনোই মুসলমান এর দ্বীন ইসলাম এর বিষয়গুলো পালন করতে পারে না। তদ্রপ মুসলমানদের জন্য কাফির-মুশরিকদের ধর্মের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা, কৃষ্টি-কালচার, আদর্শ, পরামর্শ কোনোটাই গ্রহণ করা জায়িয নেই। আপনি বলতে চান আমি তো সেখানে পূজা করতে যাচ্ছি না, শুধুমাত্র দেখতে যাচ্ছি। কিন্তু কেন?
‘ইসলাম কাউকে ঘৃণা করতে শেখায় না, সবাইকে ভালোবাসতে শেখায়, বিধর্মীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালুন করুক। তাতে ইসলাম বাধা দেয়না কিন্তু কোন মুসলমান যদি তাদের সে অনুষ্ঠানে যায়, শুভেচ্ছা যানায় তাহলে সে মারাত্বক অপরাদ করলো।
ইমাম ইবনে কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ) এর বক্তব্য শুনুন,
“কাফেরদের তাদের উৎসবে সম্ভাষণ জানানো আলিমদের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নিষিদ্ধ। এটা কাউকে মদ খাওয়া বা খুন করা বা ব্যভিচার করায় সাধুবাদ জানানোর মতো। যাদের নিজের দ্বীনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নেই, তারাই কেবল এ ধরনের ভুল করতে পারে। যে অন্যকে আল্লাহ্‌র অবাধ্যতা, বিদ’আত, অথবা কুফরীতে জড়ানোর কারণে শুভেচ্ছা জানাবে সে আল্লাহ্‌র ক্রোধ ও শাস্তির সামনে নিজেকে উন্মুক্ত করল”।হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File