যে সকল আয়াত হাদিস ছাড়া পালন করা অসম্ভব
লিখেছেন লিখেছেন মো সারোয়ার হোসেন ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১১:৩১:০৬ সকাল
যে সকল আয়াত হাদিস
ছাড়া পালন করা
অসম্ভব
===============
===============
=========
#অসম্ভব # ১ঃ মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“তোমরা সলাত
ক্বায়েম করো।” -সূরা
মুয্যাম্মিল, ৭৩/২০
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, আমাদেরকে সলাত
কায়েম করতে হবে।
এখন এই সলাত
আদায়ের নিয়ম
কুরআনে পাওয়া যাবে
না। বরং হাদিস থেকে
পাওয়া যাবে। তাই
বুঝতে হবে যে, এই
আয়াতটি হাদিস ছাড়া
পালন করা অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ২ ঃ মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“এবং যাকাত আদায়
করো।” -সূরা
মুয্যাম্মিল, ৭৩/২০
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, আমাদেরকে যাকাত
আদায় করতে হবে।
এখন যাকাত আদায়
করার নিয়মটি
কুরআনে পাওয়া যাবে
না। বরং হাদিসে পাওয়া
যাবে। তাই বুঝতে হবে
যে, এই আয়াতটিও
হাদিস ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ৩ ঃ মহান
আল্লাহ্ আরো বলেন,
.
“যাঁরা প্রথম সাঁরির
মুহাজির ও আনসার
এবং যাঁরা তাঁদেরকে
খাঁটিভাবে অনুসরণ
করবে আল্লাহ্ তাঁদের
প্রতি খুশি হবেন এবং
তাঁরাও আল্লাহ্’র
প্রতি খুশি হবেন।
তাঁদেরকে এমন
জান্নাতে প্রবেশ
করানো হবে। যার
তলদেশ দিয়ে নহর
প্রবাহিত হবে। আর
তাঁরা সেখানে চিরকাল
বসবাস করবে।”-সূরা
তাওবাহ্, ৯/১০০
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, যদি আমরা প্রথম
সাঁরির মুহাজির ও
আনসারদের খাঁটিভাবে
অনুসরণ করতে পারি
তাহলে আল্লাহ্
সুবহানাহু ওয়া তায়ালা
আমাদেরকে
চিরস্থায়ী জান্নাত
দিবেন। এখন এই
মুহাজির ও
আনসারদের খাঁটিভাবে
অনুসরণ করতে হলে
তাঁদের ইতিহাসও
জানতে হবে। তা না
হলে আমরা তাঁদেরকে
কিভাবে অনুসরণ
করবো ? আর এই
মুহাজির ও
আনসারদের ইতিহাস
কুরআনে কোত্থাও
খোঁজে পাওয়া যাবে না
ইনশাাআল্লাহ্। মূলতঃ
তাঁদের ইতিহাসগুলি
হাদিসে পাওয়া যাবে।
তাই বুঝে নিতে হবে
যে, এই আয়াতটিও
হাদিস ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ৪ ঃ মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“তোমাকে জিজ্ঞেস
করে হারাম মাসগুলোতে
যুদ্ধ করার ব্যপারে।
তুমি তাদেরকে বলো,
এই হারাম মাসে যুদ্ধ
করা অন্যায়।” -সূরা
বাক্বারাহ্, ২/২১৭
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, হারাম মাসে যুদ্ধ
করা অন্যায়। এখন
আমাদেরকে এই
অন্যায় কাজ থেকে
বিরত থাকতে হলে
জানতে হবে যে, কোন-
কোন মাসসমূহ হারাম।
কুরআনে কোত্থাও এই
হারাম মাসসমূহের নাম
উল্লেখ করা হয়নি।
শুধুবলা হয়েছে যে,
চারটি মাস হারাম। এ
সম্পর্কে মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“নিশ্চয়ই আল্লাহ্’র
বিধানে ও গণনায় মাস
বারোটি আসমান ও
যমীন সৃষ্টির দিন
থেকেই। এই
মাসসমূহের মাঝে
চারটি মাস হারাম।” -
সূরা তাওবাহ্. ৯/৩৬
.
কিন্তু এই আয়াতে
বলা হয়নি কোন চারটি
মাস হারাম। মূলতঃ এই
চারটি হারাম মাসের
নাম হাদিস থেকেই
জানা সম্ভব। তাই বুঝে
নিতে হবে যে, হারাম
মাসে যুদ্ধ করার মতো
অন্যায় কাজ থেকে
নিজেদেরকে বাঁচাতে
হলে হাদিস থেকে
জানতে হবে যে, কোন
চারটি মাস হারাম।
অতএব, এই আয়াতটিও
হাদিস ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ৫ ঃ মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“যখন তোমরা যমীনে
সফরে থাক তখন
সলাত ক্বসর (কম)
করাতে কোন দোষ
নেই।” -সূরা নিসা,
৪/১০১
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, যখন আমরা সফরে
থাকবো তখন সলাত
কম আদায় করতে
পারবো। কিন্তু এই
সলাত কম আদায়
করার পরিমাণ কতটুকু
তা কুরআনের
কোত্থাও উল্লেখ নেই।
বরং সফরে
থাকাবস্থায় সলাত কম
আদায় করার
পরিমাণটি হাদিসে
উল্লেখ করা হয়েছে।
অতএব, এই আয়াতটিও
হাদিস ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ৬ ঃ মহান
আল্লাহ্ আরো বলেন,
.
“হাজ্ব হয় নির্দিষ্ট
মাস সমূহে।” -সূরা
বাক্বারাহ্, ২/১৯৭
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, এই ফরজ হাজ্বটি
পালিত হয় নির্দিষ্ট
মাসসমূহে কিন্তু এই
নির্দিষ্ট মাসগুলি
কোন- কোন মাস তা
কুরআনে কোত্থাও
উল্লেখ করা হয়নি।
বরং এই মাসসমূহের
নাম হাদিসে উল্লেখ
করা হয়েছে। অতএব,
এই আয়াতটিও হাদিস
ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ৭ ঃ মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“অবশ্যই তোমাদের
জন্য আল্লাহর
রসূলের মাঝে উত্তম
আদর্শ রয়েছে ...” -সূরা
আহযাব, ৩৩/২১
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, রসূলের মাঝে
অর্থাৎ তার সমগ্র
জীবনীতেই আমাদের
জন্য আদর্শ রয়েছে
অর্থাৎ তাঁর জীবন
থেকে আমাদের শিক্ষা
নিতে হবে। কিন্তু
রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর
সমগ্র জীবনের
ইতিহাস কুরআনে
উল্লেখ করা হয়নি।
বরং হাদিসে তাঁর (সাঃ)
সমগ্র জীবনের
ইতিহাস রয়েছে।
অতএব বুঝা গেল এই
আয়াতটিও হাদিস
ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ৮ ঃ মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“হে মু’মিনগন, তোমরা
নাবীর প্রতি সলাত
(দুরুদ) এবং সালাম
পাঠাও।”-সূরা আহযাব,
৩৩/৫৬
.
এই আয়াতটি বলছে
যে, আমরা যেন নাবীর
প্রতি সলাত (দুরুদ)
এবং সালাম পাঠাই।
কিন্তু নাবীর প্রতি
সলাত (দুরুদ) পাঠানোর
নিয়ম কি তা
কুরআনের কোত্থাও
উল্লেখ করা হয়নি।
বরং, সলাত (দুরুদ)
পাঠানোর নিয়মটি
হাদিসে বর্ণিত
হয়েছে। অতএব, এই
আয়াতটিও হাদিস
ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ৯ ঃ মহান
আল্লাহ্ বলেন,
.
“...তোমরা খাও এবং পান
করতে থাক, যে
পর্যন্ত না তোমাদের
জন্য কাল সুতা হতে
ফাজরের সাদা সুতা
প্রকাশ না পায়...।” -সূরা
বাকারা- ২/১৮৭
.
এই আয়াতটি মূলতঃ
কোন সময় থেকে সওম
(রোজা) শুরু করতে
হবে, তা বলছে। এখন
এই কাল সুতা এবং
ফাজরের সাদা সুতা
বলতে আল্লাহ কোন
সময়কে বুঝাচ্ছেন, তা
কুরআনের কোন
আয়াত দ্বারা বুঝা
সম্ভব নয়। এই
আয়াতটি বুঝতে হলে
হাদিস থেকে বুঝতে
হবে যে, কাল সুতা
ফাজরের সাদা সুতা
বলতে আল্লাহ কোন
সময়কে বুঝিয়েছেন।
অতএব বুঝা গেল এই
আয়াতটিও হাদিস
ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
.
#অসম্ভব # ১০ ঃ
মহান আল্লাহ্ বলেন,
.
“তোমরা আল্লাহর
রুজ্জুকে আঁকড়ে ধর
...।” -সূরা আলি-ইমরান
৩/১০৩
.
এই আয়াতে আল্লাহ
বলছেন যে, আমরা যেন
তাঁর রুজ্জুকে আঁকড়ে
ধরি। কিন্তু আল্লাহর
রুজ্জু কি তা কুরআনে
উল্লেখ করা হয়নি,
বরং হাদিসে আল্লাহর
রুজ্জু কি তা উল্লেখ
করা হয়েছে। অতএব
বুঝা গেল যে, এই
আয়াতটিও হাদিস
ছাড়া পালন করা
অসম্ভব।
.
তাহলে বুঝা গেল যে,
হাদিস আল্লাহ্’র
ওয়াহী। হাদিস ছাড়া
মুসলিমগণ কুরআনের
সকল আয়াত পালন
করতে সক্ষম নন।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৭ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যথার্থ বলেছেন, সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন