আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ করবেন?
লিখেছেন লিখেছেন মো সারোয়ার হোসেন ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:১৬:৪৬ সন্ধ্যা
আপনি কেন আগামী ২৫শে সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ শুক্রবার ঈদ না করে
আগামী ২৪শে সেপ্টেম্বর রোজ বৃহশপ্রতিবার ঈদউল-আযহা পালন করবেন???????
- হাদিসের ভাষায় জ্বিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে হজ্ব হবে এবং হজ্বের পরের দিন
- অর্থাৎ জ্বিলহজ্বের ১০ তারিখে কুরবানি মানে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু আমরা কি হজ্বের পরের দিন ঈদুল আযহা পালন করছি????
না করছিনা।কারন সেদিন বাংলাদেশে থাকে ৯ই জ্বিলহজ্ব মানে হজ্বের দিন মনে করা হয়
অথছ হজ্বের অনুষ্ঠান গুলো প্রতিটা টিভি চ্যনেল সরাসরি সমপ্রাচারিত করে থাকে তার পরেও আমাদের হুশ হয়না। কুরবানি হবে হজ্বের পরের দিন অথছ
- বাংলাদেশে কুরবানি মানে ঈদ পালন হয় হজ্বের দুই দিন পর।
আপনার বিবেককে প্রশ্ন করুন!!!!
- কুরবানি কবে করার কথা বা ঈদ কবে হবে????
- আর আপনি কবে করছেন???????
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন যে,আরাফার দিনে
অর্থাৎ হজ্বের দিনের সাওমের
ব্যাপারে আমি আল্লাহর উপর এ বিশ্বাস রাখি,ঐ দিনের
সাওমের বিনিময়ে আল্লাহ পাক সাওম পালনকারীর
পূর্ববর্তী এক বছর এবং পরবর্তী এক বছরের
গুনাহ ক্ষমা করে দেন।(মুসলিম শরীফ,খন্ড-১,পৃঃ
-৩৬৭)
হাদীসে ঘোষিত এ মহান পূন্য লাভের আশায়
অগণিত মুসলিম নর -নারী বাংলাদেশের স্থানীয় ৯
জিল-হাজ্জ সাওম রাখেন।
- কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল ঐ
দিন মক্কা মোআজ্জমা সহ সারা বিশ্বে ১০ বা ১১ জিল-
হাজ্জ।
অর্থাৎ কোন ভাবেই ঐ দিনটি আরাফার
দিনতো নয়ই বরং কোরবানীর বা তাশরীকেন দিন
প্রথম দিন।
- যে দিন গুলোতে সাওম রাখা সকল ইমাম ও
আলেমের ঐক্য মতে হারাম।
তাহলে ফল হলো
স্থানীয় চাঁদ দেখার হিসেবে একটি নফল সাওম
রেখে হারামে নিমজ্জিত হচ্ছেন অগণীত মুসলিম
নারী- পুরুষ।
অতএব আসুন যেহেতু আগামী ২৩শে সেপ্টেম্বর বুধবার হজ্ব হবে অতএব আমরা সে অনুযায়ী রোজা
এবং আমরা আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ইং রোজ বৃহশপ্রতিবার ঈদুল আযহা পালন করি।
এবং আমল গুলো সহীহ সুন্নাহ পন্হায় পালনে সচেষ্ট হয়।
বিষয়: বিবিধ
৯৯৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন