বুখারী শরিফ: হাদিস নং ১১৮-১১৯;
লিখেছেন লিখেছেন saifu islam ১৬ আগস্ট, ২০১৬, ১০:৪০:১৩ রাত
হাদিস ১১৮ আদম (র)…ইবন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আমার খালা নবী এর সহধর্মিণী মায়মূনা বিনত হারিস (রা)-এর ঘরে এক রাত্রি যাপন করছিলাম। নবী তাঁর পালার রাতে সেখানে ছিলেন। নবী ‘ইশার সালাত আদায় করে তাঁর ঘরে চলে আসলেন এবং চার রাক‘আত সালাত আদায় করে শুয়ে পড়লেন। কিছুক্ষ্ণণ পর উঠে বললেনঃ বালকটি কি ঘুমিয়ে গেছে? বা এ ধরনের কোন কথা বললেন। তারপর (সালাতে) দাঁড়িয়ে গেলেন, আমিও তাঁর বাঁ দিকে গিয়ে দাঁড়ালাম। তিনি আমাকে তাঁর ডান দিকে এনে দাঁড় করালেন। তারপর তিনি পাঁচ রাক‘আত সালাত আদায় করলেন। পরে আরো দু’ রাক‘আত আদায় করলেন। এরপর শুয়ে পড়লেন। এমনকি আমি তাঁর নাক ডাকার শব্দ শুনতে পেলাম। এরপর উঠে তিনি (ফজরের) সালাতের জন্য বের হলেন।
★
হাদিস ১১৯ ‘আবদুল ‘আযীয ইবন ‘আবদুল্লাহ (র)… আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ লোকে বলে, আবূ হুরায়রা (রা) বড় বেশী হাদীস বর্ণনা করে। (জেনে রাখ,) কিতাবে দুটি আয়াত যদি না থাকত, তবে আমি একটি হাদিসও বর্ণনা করতাম না। এরপর তিনি তিলাওয়াত করলেমঃ “আমি সেসব স্পষ্ট নিদর্শন ও পথ-নির্দেশ অবতীর্ণ করেছি মানুষের জন্য কিতাবে তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার পরও যারা তা গোপন রাখে আল্লাহ তাদেরকে লা‘নত দেন এবং অভিশাপকারিগণও তাদেরকে অভিশাপ দেয় কিন্তু যারা তওবা করে এবং নিজদিককে সংশোধন আর সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে, ওরাই তারা, যাদের প্রতি আমি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” (২:১৫৯-১৬০) (প্রকৃত ঘটনা এই যে,) আমার মুহাজির ভাইয়েরা বাজারে কেনাবেচায় এবং আমার আনসার ভাইয়েরা জমা-জমির কাজে মশগুল থাকত। আর আবূ হুরায়রা (রা) (খেয়ে না খেয়ে) তুষ্ট থেকে রাসূলুল্লাহ –এর সঙ্গে লেগে থাকত। তাই তারা যখন উপস্থিত থাকত না, তখন সে উপস্থিত থাকত এবং তারা যা মুখস্থ করত না সে তা মুখস্থ রাখত।
বিষয়: বিবিধ
১১৮৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
খুব ভালো একটা কাজ করে চলেছেন..
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকাল্লাহ
সবাইকে মোবারকবাদ;
মন্তব্য করতে লগইন করুন