বুখারী শরিফ: হাদিস নং ৬৭ ;

লিখেছেন লিখেছেন saifu islam ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ০৩:২০:৩৩ দুপুর

মুসাদ্দাদ (র) ……… আবূ বাকরা (রা) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার নবী করীম (সাঃ) এর কথা উল্লেখ করে বলেন, (মিনায়) তিনি তাঁর উটের ওপরবসেছিলেন। একজন লোক তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তিনি বললেনঃ ‘আজ কোন দিন?’ আমরা চুপথাকলাম এবং ধারণা করলাম যে, এ দিনটির আলাদা কোন নাম তিনি দিবেন। তিনি বললেনঃ “এটা কুরবানীর দিন নয় কি?” ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ ‘এটা কোন মাস?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করতে লাগলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ছাড়া অন্য কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ ‘এটা যিলহজ্জ নয় কি?’ আমরা বললাম, ‘জী হাঁ।’ তিনি বললেনঃ জেনে রাখ। ‘তোমাদের জান, তোমাদের মাল,তোমাদের সন্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের এ মাস, তোমাদের এ শহর, আজকের এ দিন সন্মানিত। এখানে উপস্থিত ব্যক্তি (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। কারন উপস্থিত ব্যক্তি হয়ত এমন এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার থেকে বেশি মুখস্থ রাখতে পারবে।’ ৫২. পরিচ্ছেদঃ কথা ও আমলের পূর্বে ইলম জরুরী আল্লাহ তা’আলার ইরশাদঃ ——- “সুতরাং জেনে রাখ, আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ্ নেই।” (৪৭:১৯) এখানে আল্লাহ তা’আলা ইলমের কথা আগে বলেছেন। আলিমগণই নবীগণেvর ওয়ারিস। তাঁরা ইলমের ওয়ারিস হয়েছেন। তাই যেইলম হাসিল করে সে বিরাট অংশ লাভ করে। আর যে ব্যক্তি ইলম হাসিলের উদ্দেশ্যে পথ চলে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্য জান্নাতের পথ সহজ করে দেন। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেনঃ “আল্লাহর বান্দাদের মেধ্য আলিমগণই তাঁকে ভয়করে।” (৩৫:২৮) আল্লাহ তা’আলা আরো ইরশাদ করেনঃ“আলিমগণ ছাড়া কেউ তা বুঝে না।” অন্যত্র ইরশাদ হয়েছেঃ “তারা বলবে, ‘যদি আমরা শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম, তাহলে আমরা জাহান্নামী হতাম না।” (৬৭:১০) আরো ইরশাদ করেনঃ “বল যাদের ইলম আছে এবং যাদের ইলম নেই তারা কি সমপর্যায়ের?” (৩৯:৯) নবী করীম (সাঃ) বলেনঃ আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন। আর অধ্যয়নের মাধ্যমেই ইলম অর্জিত হয়। আবূ যর (রা) তাঁর ঘাড়ের দিকে ইশারা করে বলেন, যদি তোমরা এখানেতরবারী ধর, এরপর আমি বুঝতে পারি যে, তোমরা আমার ওপর সে তরবারী চালাবার আগে আমি একটু কথা বলতে পারব, যা নবী করীম (সাঃ) থেকে শুনেছি, তবে অবশ্যই আমি তা বলে ফেলব। নবী করীম (সাঃ) এর বাণীঃ উপস্থিত ব্যক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যক্তির কাছে (আমার বাণী) পৌঁছে দেয়। ইব্ন আব্বাস (রা) বলেন, —— (তোমরা রব্বানী হও)। এখানে —— মানে প্রজ্ঞাবান, আলিম ও ফকীহ্গণ। আরো বলা হয়ে —– সে ব্যক্তিকে বলা হয় যিনি মানুষকে জ্ঞানের বড় বড় বিষয়ের পূর্বে ছোট ছোট বিষয় শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলেন। ৫৩। পরিচ্ছেদঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) ওয়ায-নসীহতে ও ইল্‌ম শিক্ষা দানে উপযুক্ত সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতেন, যাতে লোকজন বিরক্ত না হয়ে পড়ে।

বিষয়: বিবিধ

৯৩৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File