ঐশি'রা তৈরি হয় কোথা থেকে?

লিখেছেন লিখেছেন দিগন্তের শেষ ১৪ নভেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৬:৪২ রাত

সংবাদ পত্রের পাতায় টিভির চিত্রে যতবার ঐশির মলিন মুখখানি দেখেছি একটু কষ্ট লেগেছে। অনেকে অনেক ভাবে তাকে সমালচনায় এনেছে। প্রশ্ন হচ্ছে তার এ বখে যাওয়া জীবটা কে উপহার দিয়েছে?

ঐশি ছোট্টকালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে পড়ত, কিন্তু তার ধরাবাধা জীবন ভালো লাগেনি। যার ফলে সে বাবা-মা'র কাছে বাইনা করে "ও‌" লেভেল স্কুলে ভর্তি হয়। বাবা-মা চেয়েছিলো ও মানুষের মতো মানুষ হবে, তাকে দিয়ে দু'জনে কতই না সপ্ন বুনেছিলো। কিন্তু তাদের দু'জনার সপ্ন তিল তিল করে অঙ্কুরে নষ্ট করে দিলো! মদ, গাজা, ইয়াবাআর যৌনতা এরমক ভয়াবহ অনৈতিকতার পথে যখন এ মেয়েটি পা বাড়িয়েছিলো তখন হয়তো প্রথম কিছুদিন কিছু বলেনি তার মা-বাবা। কিন্তুু আস্তে যখন মারাত্মক পর্যায়ে পৌছায়ে গিয়েছিলো তখন তার মা-বাবা কঠোর হয়েছে | আচ্ছা বলুন এখন মেয়েটি কেনো শুনবে ‌তার মা বাবার কথা?

আমাদের সমাজে এখন যাদের ঘরে ভাত নেই তারা এখনও পরের বাড়িতে কিছু দিন মুজুরি খেটে, ফুট-ফরমায়েশ করে সংসার চালায়। আচ্ছা এদের কতজন শতকরা এখন মাদক গ্রহন করে?

প্রতিবেশি দেশের অঘাধ ভালোবাসার নিদর্শন হিসাবে আমরা এখন মাদকের উপর ভাসছি।

স্কুল -কলেজের ঐশির মতো কোমোলমতী শিশুরাও আজ এই ভয়ংকার কাল থাবা থেকে নিরাপদ নয়। অথচ এরাই কিন্তু পরিক্ষার খাতায় মাদকের কূফলতার উপর পৃষ্টার পৃষ্টা লিখবে।

একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের বাবা হয়তো সারদিন কষ্ট করে উপার্জন করছে, আর মা তার সংসার সামলাচ্ছে। এদিকে সন্তান তার বাবা-মায়ের কষ্টে উপার্জীত অর্থ মাদকতায় উড়িয়ে দিচ্ছে! আহ্হা…

শিশুদের এই পদস্খলনের জন্য দায়ী কে? বলুন। ঐশিদের প্রতি উপদেশ 'তুমি তো এখন খুবই অনুতপ্ত, অসহায় তাই না? আশ্চার্য! ঐশি তুমি কি জানো তোমার বাবা-মাকে যদি পূনর্জন্ম বলে কিছু থাকত আর তাদের দু'জনার দেওয়া হতো তবুও কিন্তু তোমার বাবা -মা তোমার এতটুকু কষ্ট চাইতো না যে তোমার পায়ে একটা কাঁটা বিদ্ধ হোক। আজ সেখানে তুমি অন্ধ কারাগারে বদ্ধ প্রকষ্টে, তোমার অনুতপ্ত কান্নার আওয়াজে কারারক্ষিদের মাঝরাতের ঘুম ভেঙে যায়, কি? এতটুকু অল্প বয়সের মেয়ে তুমি তোমার জীবনের ঊষাক্লান্তে প়ৃথিবির সমস্ত ক্লান্তি ব্যথা বেদনা সবই তোমার কাঁধে এসেছে? কি জন্য তোমার তো এমনটা হওয়ার কথা না ' ঐশির পরিবারের ফটো এলবাম দেখলেই মনের মধ্য চাপা বেদনা নাড়া দিয়ে যায়। কতো সুন্দরই না ছিলো তাদের এক ছেলেমেয়ের ছোট্ট পরিবারটি।

কিছুদিন আগে ভারতের মুম্বায়ের বোমা হামলার কথিত আসামি মেনন তার মৃত্যর পূর্বে তার মেয়ের কাছে ফোনে শেষ কথা বলেছিলো 'আমি কখনো ভালো বাবা হতে পারেনি ' হয়তো ঐশির বাবাও মৃত্যর আগে স্বজ্ঞানে থাকলে অনূরুপ বাক্য বলতো।

অভিভাবকবৃন্দ আপনার সন্তানকে মানসিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত করুন এবং উন্নত বিবেক গড়ূন, তাদের হাতে বল্গাহীন স্বাধীনতার লাগাম ছেড়ে দিবেন না।

বিষয়: বিবিধ

১৪২৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

349643
১৪ নভেম্বর ২০১৫ রাত ০৩:৪৪
শেখের পোলা লিখেছেন : মা বাবা ছেলে মেয়েদের আগলে রাখলেইকি তারা সৎ হয়ে যাবে, ইয়াবা ফেনসিডিল চিনবে না৷ তারাকি মোবাইলে চ্যাট করা বুঝবেনা? তাদের তো সকুল কলেজে পাঠাতে হবে৷ সেখানে তারাকি বখাটেদের পাল্লায় পড়ে পার্কের কুঞ্জ বনে যাবেনা? মা বাবার অপেক্ষা বেশী সময় তারা বাইরে থাকবে৷ এর পর যদি হারামের অগাধ টাকা চাওয়া মাত্র হাতে আসে তবেতো সোনায় সোহাগা৷কাকে শুধরাবেন?ধন্যবাদ৷
349669
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:২৩
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : দিগন্তের শেষ : ঐশি'রা তৈরি হয় কোথা থেকে?
উত্তর : সম্ভবত: শাহবাগ থেকে..
349671
১৪ নভেম্বর ২০১৫ দুপুর ০১:৩২
শফিউর রহমান লিখেছেন : ফাঁসী নয়, সংশোধনের সুযোগ দেয়া হোক। বিবেকবান সবাই প্রতিবাদ করুন ছোট্ট এই মেয়েটিকে ফাঁসির মাধ্যমে আর একটি শিশু হত্যার কার্যক্রমকে রুদ্ধ করার জন্য।

তুমি তো এখন খুবই অনুতপ্ত, অসহায় তাই না? আশ্চার্য! ঐশি তুমি কি জানো তোমার বাবা-মাকে যদি পূনর্জন্ম বলে কিছু থাকত (অবশ্যই নাই) আর তাদের দু'জনার দেওয়া হতো তবুও কিন্তু তোমার বাবা -মা তোমার এতটুকু কষ্ট চাইতো না যে তোমার পায়ে একটা কাঁটা বিদ্ধ হোক। আজ সেখানে তুমি অন্ধ কারাগারে বদ্ধ প্রকষ্টে, তোমার অনুতপ্ত কান্নার আওয়াজে কারারক্ষিদের মাঝরাতের ঘুম ভেঙে যায়, কি? এতটুকু অল্প বয়সের মেয়ে তুমি তোমার জীবনের ঊষাক্লান্তে প়ৃথিবির সমস্ত ক্লান্তি ব্যথা বেদনা সবই তোমার কাঁধে এসেছে? কি জন্য তোমার তো এমনটা হওয়ার কথা না ' ঐশির পরিবারের ফটো এলবাম দেখলেই মনের মধ্য চাপা বেদনা নাড়া দিয়ে যায়। কতো সুন্দরই না ছিলো তাদের এক ছেলেমেয়ের ছোট্ট পরিবারটি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File