হৃদয়ের কোমলতা:

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন ২৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১১:৩৮:০৩ সকাল

নরম ও কোমল হৃদয়ের মানুষ সবার পসন্দ। নারী কিংবা পুরুষ.. যে কোনো মানুষের জন্য অন্তরের কোমলতা হচ্ছে এক অলঙ্কার, চারিত্রিক ভূষণ এবং আল্লাহর এক রহমত। পক্ষান্তরে কঠোর ও পাষাণ হৃদয়ের মানুষ সবসময় নিন্দিত। অন্তরের কঠোরতা মানুষকে একঘরে করে দেয়, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কারণ কঠোর মনের মানুষকে কেউ পসন্দ করে না।

দয়া ও রহমতের নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন অত্যন্ত কোমল হৃদয়ের মানুষ। কাফিরদের হাজারো দুর্ব্যবহারেও তিনি তাঁর কোমলতা হারাতেন না। পবিত্র কুরআনে তাঁর সেই মহৎগুণের কথা উল্লেখ করে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন। পক্ষান্তরে আপনি যদি রূঢ় ও কঠিন-হৃদয় হতেন, তা হলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো।’ (সূরা আলে ইমরান: ১৫৯)

রাসূলুল্লাহ সা. ছিলেন আদর্শ মানুষ গড়ার সফল কারিগর। মানুষের আত্মশুদ্ধি করতেন তিনি। বিশেষ করে অন্তরের রোগ-ব্যধির এমন চিকিৎসা দিতেন, রোগীরা সারা জীবনের জন্য নিরাময় লাভ করতো।

নিম্নোক্ত হাদিসে দেখা যায়, জনৈক লোক দয়ালু নবী সা.র দরবারে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল, আমার হৃদয় বড়ই কঠিন। কি করি ? জবাবে তিনি যা বললেন তা জগতের সকল কঠোর মনের মানুষের জন্য এক চমৎকার চিকিৎসা।

আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত। এক ব্যক্তি নবী করিম সা.এর নিকট এসে তার অন্তরের কঠোরতার অভিযোগ করল। তখন আল্লাহর রাসূল সা. লোকটিকে বললেন, “তুমি যদি তোমার অন্তরটাকে নরম ও কোমল করতে চাও, তা হলে মিসকিনকে খাবার দাও এবং এতিমের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে দাও।” (মুসনাদে ইমামে আহমদ, হাদিস সং ৭৫২২)

বিষয়: বিবিধ

১৩৮০ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

367393
২৮ এপ্রিল ২০১৬ বিকাল ০৪:২৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ
367416
২৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৮:৫৫
আফরা লিখেছেন : দাওয়াতী কাজের ক্ষেত্রে কোমল হৃদয় অত্যন্ত জরুরী এটা ঠিক । কিন্তু বেশী কোমল হৃদয়ের বাবা মায়ের সন্তান একটু বেয়াড়া টাইপের হয় ।

লিখা ভাল লেগেছে ধন্যবাদ ।
367419
২৮ এপ্রিল ২০১৬ রাত ০৯:৫০
দ্য স্লেভ লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ খায়রান

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File