পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার ও দয়া-১

লিখেছেন লিখেছেন মুহাম্মদ সাদিক হুসাইন ১৩ জানুয়ারি, ২০১৬, ০১:০৮:২০ দুপুর

পিতা-মাতা হচ্ছে একজন মানুষের সবচে প্রিয় ও আপনজন। শিশুকাল থেকেই যে দু’জন মানুষের সীমাহীন আদর-যত্নে বেড়ে উঠে একটি মানবসন্তান, যাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় লালিত-পালিত হয় এবং একসময় সে ধীরে ধীরে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হয়, তারা হচ্ছেন সেই মহান মা-বাবা।

‘মা’ যেমন পৃথিবীর সবচে মধুর শব্দ, ‘বাবা’ শব্দেও লুকিয়ে আছে জগতের যত আদর ও ভালোবাসা। কারও গুরুত্ব কোনো অংশে কম নয় স্ব-স্ব ক্ষেত্রে। জন্মের পর মমতাময়ী মায়ের ক্রোড় যেমন শিশুর জন্য পৃথিবীর সবচাইতে নির্ভরযোগ্য আশ্রয়, তার বেড়ে উঠা ও লালন-পালনের ক্ষেত্রেও পরম স্নেহময় বাবার যত্ন ও আদর এক অকৃত্রিম ঠিকানা ও ভরসা। মা হোক, বাবা হোক; কোনো একজনের শূন্যতাও এক অপূরণীয় ক্ষতি মানুষের জীবনে।

পিতা-মাতার উপস্থিতি একজন সন্তানের জন্য বিরাট রহমত। তাদের সেবা-যত্নকে ইসলামে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আল্লাহর হকের পর বান্দার হক ও অধিকারসমূহের মধ্যে মা-বাবার হককেই অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে পবিত্র কুরআনে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর উপাসনা কর আল্লাহর, শরীক করো না তাঁর সাথে অপর কাউকে। পিতা-মাতার সাথে সৎ ও সদয় ব্যবহার কর..’ (সূরা নিসা, আয়াত: ৩৬)

পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করা এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা যে কতই গুরুত্বপূর্ণ একজন সন্তান বা সন্ততির জন্য তা-ই ফুটে উঠেছে নিম্নোক্ত হাদিসে। এতে সহজেই অনুমেয়, মা-বাবার খেদমত করতে পারা সন্তানের জন্য কত বড় সৌভাগ্যের বিষয়, একইভাবে মা-বাবাকে কাছে পেয়েও তাদের সেবা-যত্ন করতে না পারাটা কত বড় দুর্ভাগ্যের।

প্রসিদ্ধ সাহাবি আনাস ইবন মালেক রা. থেকে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি চায়, তার জীবনের আয়ু প্রলম্বিত (অর্থাৎ দীর্ঘ) হোক এবং তার রিযিকে বৃদ্ধি হোক, ওই ব্যক্তির উচিত যেন সে তার পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখে।’ (মুসনাদে ইমাম আহমদ, হাদিস নং ১৩৩৯৯)

বিষয়: বিবিধ

১১৬৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File