ভারতের গরু বিক্রির চেষ্টায় বাংলাদেশি গরুর বিপক্ষে দেশি মিডিয়ার যত চুলকানি
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ আনোয়ার হুসাইন ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫৯:৩৭ সন্ধ্যা
আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে,
গত বছর ‘বাংলাদেশের আমে
ফরমালিন আছে’ বলে
বাংলাদেশী মিডিয়াগুলো
একযোগে প্রচার করেছিলো।
মিডিয়ার অপপ্রচার ও
বাংলাদেশের সরকারের
উদ্যোগে সেবার বহু আম ধ্বংস
করেছিলো প্রশাসন। এতে
মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো
বাংলাদেশের কৃষকরা। কিন্তু পরে
আবিষ্কৃত হলো -
১) ফরমালিন আসলে মিডিয়াসৃষ্ট
একটি গুজব এবং সেই গুজবের
কারণে ধ্বংস করা হয়েছে প্রায় ৬০
হাজার টন ফল ও মাছ (http://goo.gl/Sh7HPZ )
২) যে যন্ত্র দ্বারা ফরমালিন
মেপে ফল ধ্বংস করা হচ্ছিলো,
সেই যন্ত্রটাই আসলে ত্রুটিপূর্ণ
( http://goo.gl/3ay7VF )
৩) ফরমালিন নামক গুজব ছড়ানোর
পেছনে মূল কাজ করেছিলো
ভারতীয় আম। কারণ ভারতীয় আমে
ক্ষতিকারক পদার্থ থাকায় তা
ইউরোপে নিষিদ্ধ হয়। তাই বিপুল
পরিমাণে ভারতীয় আম অবিক্রিত
অবস্থায় থেকে যায়। সেই আম
বাংলাদেশের মার্কেটে
চালাতে ‘বাংলাদেশের আমে
ফরমালিন আছে’ বাংলাদেশী
মিডিয়ার মাধ্যমে এই গুজব ছড়িয়ে
দেয় ভারতীয় গোয়েন্দারা। এরপর
বাংলাদেশী আম ধ্বংস হলে, সেই
সুযোগে মার্কেটে প্রবেশে করে
ভারতীয় বিষাক্ত আম, যা
ইউরোপে আগেই নিষিদ্ধ
হয়েছিলো। ( http://goo.gl/h5STnC )
ঠিক একইভাবে এবার কোরবানী
ঈদের আগে বাংলাদেশের
মিডিয়াগুলো একযোগে প্রচার
করেছে, ‘বাংলাদেশী গরুতে
মোটাতাজা করতে বিষ মেশানো
হয়েছে। তাই বাংলাদেশী গরু
যারা খাবে তাদের শরীরে বিষ
আক্রান্ত হবে।’
স্বাভা্বিকভাবে মিডিয়ায় এক
অপপ্রচার যখন বার বার করা হয়, তখন
মানুষের মনমগজে সেই অপপ্রচার যুক্ত
হতে থাকে। ফলে ইচ্ছা-অনিচ্ছায়
অনেকে বাংলাদেশী সুস্থ সবল-গরু
রেখে ভারতীয় হাড্ডিসার গরুর
দিকে ঝুকবে। কিন্তু যে ভারত
এতদিন গরু বন্ধ রাখলো, সে হঠাৎ
করেই গরু ছেড়ে দিলো কেন ? শুধুই
কি টাকার জন্য ছেড়েছে ? নাকি
টাকা তুলে নেওয়ার সাথে
সাথে বাংলাদেশীদের জন্য
পাতা হয়েছে নতুন কোন মরণ ফাঁদ ?
এ ব্যাপারে বাবু লাল সরকার নামক
এক ভারতীয় বলে:
“আরে বাংলাদেশী শুযোরের
বাচচা , আমরা বা রাজনাথ সিং
রা যে গরু পাঠাচ্ছে, তাদের
প্রত্যকটাকে বিভিন্ন ক্রানিক
রোগের জিবানু ইনজেকশন করে
দেওয়া হয়। ওই গরুর মাংস খাবি আর
ক্রনিক ক্রনিক রোগে ভুগবি আর
ভারতে এসে চিকিত্সা করাবি।
আমাদের লক্ষ্য :
গরু বেচে পয়সা কামাবো আবার
রোগের চিকিত্সা করেও পয়সা
কামাবো ।
মানে ,,,,.... পোয়াও মারবো....
আবার ধোনের ভাড়াও নেব ।”
(লিঙ্ক: https://goo.gl/g6zXKu ,
কমেন্টে)
তাই বাংলাদেশী গরুর বিরুদ্ধে
অপপ্রচার ও বাংলাদেশে
ভারতীদের গরু পাঠানোর লক্ষ্য ও
উদ্দেশ্য হতে পারে তিনটি:
ক) বাংলাদেশে থেকে ভারতের
মোটা অংকের টাকা তুলে
নেওয়া।
খ) অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে গরু ছেড়ে
বাংলাদেশী খামারীদের
মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত করা। এতে
পরবর্তীতে এ বিশাল গরুর মার্কেট
দখল করতে সহজ হবে।
গ) গরুর শরীরে ইঞ্জেকশনের
মাধ্যমে স্লো-পয়জনিং করা, এতে
গরুর মাংশ খেলে সেই স্লো-পয়জন
মানুষের দেহেও সঞ্চালিত হবে।
তাই বাংলাদেশীদের উচিত,
নিজ স্বার্থেই কোরবানীতে
ভারতীয় গরু বর্জন করা।
বিষয়: বিবিধ
১১৯২ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন