বাস্তব ও সত্যি একটি শিক্ষনীয় গল্প। পড়ার জন্য অনুরোধ রইল।
লিখেছেন লিখেছেন হৃদয়ে বাংলাদেশ ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:২৩:৩৩ দুপুর
সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজের প্রান ডঃ গোলাম সাকলাইন স্যারের বলা এই গল্পটা কারো মনে আছে?
গাধাকে সৃষ্টি করার
পরে সৃষ্টিকর্তা বললেন : "তুই
আজীবন কঠোর পরিশ্রম করবি, অন্যের
বোঝা বয়ে বেড়াবি। তোর
মাথায় কোনো বুদ্ধিও থাকবেনা।
তোকে আয়ু দিলাম ৫০ বছর।
গাধা : সে কি !! এত কষ্ট
করে আমি এত দীর্ঘদিন
বাঁচতে চাইনা। প্লিজ, আমার আয়ু
কমিয়ে ২০ বছর করে দিন।
সৃষ্টিকর্তা : যাহ, তাই দিলাম।
কুকুরকে বললেন : "তুই হবি মানুষের
সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু,
কিন্তু মানুষের উচ্ছিষ্ট
খেয়ে বেঁচে থাকবি। তোর আয়ু
হবে ৩০
বছর।"
শুনে, কুকুর ঈশ্বরকে বলল : দয়া করে একটু
শর্ট করে ঐটা ১৫
করান। এতদিন বাঁচতে চাইনা।
ঈশ্বর এইবারও রাজি হয়ে গেলেন।
এরপর উনি বানরকে বললেন :
"হে বানর, তোর একমাত্র কাজ
হবে লাফিয়ে লাফিয়ে এক গাছ
থেকে আরেক গাছে যাওয়া, আর
তামশা দেখিয়ে মানুষকে বিনোদন
দেওয়া। তোর আয়ু দিলাম ২০
বছর।
সে আবেগে কেঁদে ঈশ্বরকে বলল :
দিবেনই যখন ১০ বছর দেন,
আমি এত বড় জীবন দিয়ে কি করব??
ঈশ্বর এইবার পুরুষকে বলল :
"তুমি হবে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব।
সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বিচক্ষণ।
তোমার আয়ুও হবে ২০ বছর।"
সে তো খুশিতে পাগল হয়ে গেল,
কিন্তু এত মহত জীবন নিয়ে মাত্র ২০
বছর??
সে করজোরে প্রভুকে বলল :
একটা কাজ করা যায়না?
আপনি আমাকে গাধার ফেরত
দেওয়া ৩০ বছর,
কুকুরের ১৫ বছর,
বানরের ১০ বছর দিয়ে দেন।
ঈশ্বর বললেন : নিজের
ভালো পাগলেও বোঝে, তুই বুঝলি না।
যাহ, দিলাম।
সেই থেকে ছেলেরা পুরুষ মানুষ
হিসেবে বাঁচে ২০ বছর,
পরের ৩০ বছর গাধার মত সংসারের বোঝা টানে,
তার পরের ১৫ বছর ছেলে মেয়ে যা দেয় তাই খেয়ে পরে বেঁচে থাকে কুকুরের মতো,
আর তার পরের দশ বছর বানরের মত,কখনো এক সন্তানের বাসা তো কখনো আরেক সন্তানের বাসায় ঘোরে আর নাতি নাতনিদের বিনোদন দেওয়াই হয় তাদের প্রধান দায়িত্ব।
বিষয়: বিবিধ
৪০১১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন