যেসব কারণে জাতীয় কিংবা দলীয় বিভেদ প্রকট আকার ধারণ করে:

লিখেছেন লিখেছেন সত্যের আহ্বান ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১১:৩০:৪২ রাত

১.গোঁড়ামী: যুক্তিহীনভাবে নিজের মতে অটল থাকাকেই গোঁড়ামী বলা হয়। এর বিপরীত হলো সহনশীলতা। গোঁড়ামীর অন্যতম উদাহরণ হলো- ভিন্ন মতাবলম্বীকে নির্বিচারে দেশের বা দলের শত্রু মনে করা।

২.পারস্পরিক গালাগাল: গালাগাল চলতে থাকলে বিভেদ বাড়তেই থাকে। কেউ কেউ ভিন্নমতাবলম্বীকে এমনভাবে গালি দেন যেনো মনে হয় তিনি নিজে (বা তারা নিজেরা) ছাড়া সকলেই ক্ষতিকর। এ জাতীয় অপবাদ ও গালাগাল দেশ বা দলকে দ্বিধাবিভক্ত করে।

৩.ব্যক্তিপূজা: পছন্দের ব্যক্তিকে জোরপূর্বক নেতায় পরিণত করার চেষ্টা করা অনুচিত ও ধ্বংসাত্মক।

৪.দলের প্রতি অন্ধ আবেগ বা দলীয় অহংকার: একটি ঐতিহ্যময় গৌরবকে যখন কোনো বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্ঠী কিংবা কোনো দল নিজের একক অবদান বলে দাবি করে, তখনই তা কেবল বিতর্কিতই হয়ে ওঠে না, বরং জনমনেও তা নিয়ে জন্ম নেয় নানারূপ সংশয় ও সন্দেহ। সংকীর্ণতার কারণেই ‘একলা চলোরে নীতি’ সৃষ্টি হয় এবং এক গোষ্ঠীর লোক অন্য গোষ্ঠীর ভালো কাজকেও ভালো বলে স্বীকার করে না।

৫.অভ্যন্তরীন বিষয়ে বাইরের শক্তির হস্তক্ষেপ কামনা: আমাদের নিজেদের সমস্যাকে নিজেদেরকেই সমাধান করা কাম্য। বিদেশী শক্তিকে তা সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া মানে সেই শক্তিকে অভিভাবক বলে মেনে নেওয়া। তবে, ন্যায়সঙ্গত ও সম্মানজনক সহযোগিতা গ্রহণ করা হলে ভিন্ন কথা।

৬.সংখ্যাগরিষ্ঠতা, সম্পদ, ক্ষমতা ও বাহুবলের বাহাদুরী: এসবের বাহাদুরী প্রদর্শন করলে সংখ্যালঘু, দরিদ্র, ক্ষমতাহীন ও দুর্বল জনশক্তি বা জনগণ নিজেদেরকে বঞ্চিত ভাবতে শুরু করে।

৭.দল বা দেশকে পৈত্রিক সম্পত্তি মনে করা: ক্রান্তিলগ্নে বিশেষ অবদান প্রদর্শনকারী নেতা ও দল প্রায়ই দল ও দেশকে নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবতে শুরু করে- যা বিপত্তির অন্যতম কারণ।

৮.দলের চেয়ে ব্যক্তির কিংবা দেশের চেয়ে দলের স্বার্থকে বড় মনে করা : যারা দলের চেয়েও ব্যক্তির কিংবা দেশের চেয়েও দলীয় স্বার্থকে বড় করে দেখেন তাদের বিরোধিতা করতে বাধ্য হন দলপ্রেমিক বা দেশপ্রেমিকগণ। ফলে ঐক্যের পরিবর্তে সৃষ্টি হয় বিভেদ।

বিষয়: বিবিধ

১২১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File