শৈশবই হচ্ছে জীবন গঠনের উপযুক্ত সময়!
লিখেছেন লিখেছেন শেখ জাহিদ ২৪ অক্টোবর, ২০১৬, ০৫:৩১:২১ বিকাল
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম শ্রেণীতে উঠে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন গ্রুপে (আর্টস, সাইন্স, কমার্স) বিভক্ত হয়ে যায়। সাধারণত এর পূর্বের সময়টার জন্য শিক্ষার্থীদের পঠিত বিষয় একই থাকে। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভেদের কথা আগেই বিবৃত হয়েছে। এবারে যদি আমরা একটা বিশেষ প্রতিষ্ঠানের দিকে মনোযোগ নিবেশ করি তাহলে আমাদের আলোচনা নিম্নরূপ হবে।
.
চতুর্থ শ্রেণী হতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সময় অর্থাৎ সর্বমোট পাঁচটি বছর পরো জীবনের প্রেক্ষিতে খুব বড় ব্যাপ্তি না হলেও এ সময়টা অবশ্যই খুবই মূল্যবান। মানব জীবনের এই সময়ের ক্ষুরধার মেধা এর পরবর্তী বা পূর্ববর্তী জীবনে আর কখনও পাওয়া সম্ভব নয়। এ সময়েই কোন শিক্ষার্থী তার জীবনের বহু মূল্যবান জ্ঞানের সংস্পর্শে আসে। এ সময়ে যারা তাদের সমস্ত সুযোগকে একত্রীভুত করে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে তারাই জীবন যুদ্ধে বিজয়ীর আসনে আসীন হয়। এ ব্যাপারে অভিভাকের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত ক্রিয়া করে ছেলেমেয়েদের উপর। এ সময় যেসব ছাত্র- ছাত্রীরা তাদের প্রিয় শিক্ষকের সান্নিধ্য, সহযোগিতা এবং তত্ত্বাবধান পায় তারাই জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যায় পরিপূর্ণভাবে। এর সাথে যদি যুক্ত হয় ব্যক্তির অদম্য স্পৃহা এবং নিরলস প্রচেষ্টা তাহলে সম্ভব হয় ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌছানো। এ বয়সের মধ্যেই একটা সময়ে শিক্ষার্থী ব্যক্তিস্বাতন্ত্র অর্জন করতে পারে, এ সময়েই কোন ব্যক্তি তার শারীরিক ও মানসিক ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা বেশি বিকাশের সুযোগ পেয়ে থাকে। Teen age হচ্ছে বয়সন্ধিকাল। এ সময়ের demand ব্যকিক্রমধর্মী এবং নানাবিধ। বালক-বালিকাদের মানসিক ও দৈহিক বিকাশের পাশাপাশি কিছু বাড়তি বিষয়ে সমস্যাগ্রন্থ করে ফেলে এই বয়স। এই সময়ে তাই পিতা- মাতা বা অভিভাবককে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে তাদের ছেলে-মেয়েদের ব্যাপারে। বালক-বালিকারা এ বয়সে যথেষ্ট Sensitive থাকে। মানব জীবনের সম্পূর্ণ দৈহিক বিকাশের বেশির ভাগই সম্পন্ন হয়ে থাকে এই বয়স কালের মধ্যে। এই ব্যাপারটাও বিবেচনায় আসা উচিৎ। সেজন্যে এ বয়সে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ বাড়াতে হয়। শিক্ষা জীবনের মোট তিনটি দিক রয়েছে- তা হলো একাডেমিক পড়াশুনা, সুস্বাস্থ্য অর্জন এবং চরিত্র গঠন। ৪র্থ শ্রেণী হতে ৮ম শ্রেণী সময়কালে শেষোক্ত দুটি বিষয়কে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ। চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে যদি কেউ প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হয় তবে এ সময়েও কিছু পদস্খলন হতে পারে, যা ব্যক্তির জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করতে পারে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন